বাংলাদেশে আজব এক চাকরির নাম ইমামতি
ছুটিতে যেয়ে যদি কোন ওজরের কারনে মাত্র একদিনের বেশি ছুটিতে থাকে, তাহলেই শুরু হলো চিল্লা চিল্লি যে, এই মাসের বেতন দেওয়া যাবে না, ইমাম বাদ দিয়া আরেকজন নিয়োগ দাও।
তখন মসজিদের সমস্ত মুসুল্লিই যেন ইমামের বসের ভুমিকা পালন করে।
পান থেকে চুন খসলেই যেন আর রক্ষা নাই!
"আঙ্গুল উঁচিয়ে ধমকের সুরে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে না"!
আমি মাঝে মধ্যে ভাবি যে, এই লোকগুলি যদি এমপি বা মন্ত্রি হতে পারতো তাহলে জনগনের বারোটা বাজিয়ে ছাড়তো। মাসে এক শত টাকা মসজিদে চাঁদা দিয়াই যেই পরিমান তাফালিং করে, ইমামের উপর যেভাবে নজরদারী করে, তা দেখে গা জ্বালা করে।
কার মহল্লার মসজিদকে কতো সুন্দর করা যায়, কত রকমের ডিজাইন করা যায় তাহা নিয়া প্রতিযোগিতার শেষ নাই। তখন টাকার হিসাবও নাই। যত টাকাই লাগুক না কেন টাকার অভাব নাই। কিন্তু ইমামের বেতন পাঁচ - ছয় হাজারের বেশি দিতে রাজি না।
হায়রে মানুষ!"! একজন ইমামের অবমাননা করেও দৌড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও !!?
মনে রাখবে ইমাম কারো চাকর না! তিনি "ওরাছাতুল আম্বিয়া" অর্থাৎ যেই মিম্বারে নবীজী (সাঃ) বসতেন, সেই মিম্বারেই কিন্তু একজন ইমাম বসেন।
অতএব, কাকে অবমাননা করছো? কার সাথে বেয়াদবি করছো? একটু ভেবে দেখো!
হে আল্লাহ বাংলাদেশের ইমামদের তুমি হেফাজত করো।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com