Breaking News

বোকা ছেলে। পর্ব - ০৪


রিক্ত কোচিং এ যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হবে এমন সময় মর্জিনা বেগম রিক্ত কে বললো

- আজকে তোকে কোচিং এ যেতে হবে না।
রিক্ত অবাক হয়ে
- কেন?
- তোদের কোচিং এর পাশে একটা লাশ পাইছে।
রিক্ত মর্জিনা বেগমের কথা শুনে পুরো থ হয়ে গেলো। রিক্ত মুচকি হেসে
- কোচিং এ না গেলে যে আমাকে মাইর খেতে হবে।
- তোদের কোচিং বন্ধ থাকবে আজ। যেতে হবে না। ঘুমা যা।
রিক্ত মর্জিনা বেগমের কথা মতো আর কোচিং এ গেলো না।
এদিকে
পুলিশ দিয়ে সব প্রশাসনের লোকজন এসেছে তদন্ত করতে। লাশটা কে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হলো৷ সকলে সব জায়গা দেখছে কিন্তু কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় নি। এমন ভাবে মেরেছে যে বোঝার কোনো উপায় নেই৷ সবার ধারণা ভূত কি কোনো আত্মার কাজ। মেরে এনে ফেলে রাখছে। এটা প্রায়ই ঘটে৷ একই জায়গায় প্রায় লাশ পড়ে থাকে। এই জন্য ওখানের লোকজন জায়গা টার নাম দিয়ে ভূতুরে ভিলা। আশপাশের মানুষের কাছে জিঙ্গেস করছে কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারে না। কাউকেই তারা দেখে নি। পুলিশে জায়গাটাকে রেড জোন দিয়ে গেলো। এখানে কেউ আসবে না৷ সবাই চলে গেলো।
.
নিলয় কোচিং এ এসে আঙ্কেল কে বললো
- আপনি বাড়ি টা বিক্রি করে দিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করুন।
- আমি ও তাই ভাবছি। এভাবে চলতে থাকলে তো আমাদের কোচিং এ লোক কমে যাবে। ভয় তে কেউ আসতে চাইবে না।
- হ্যা। আসলেই কি ভূত খারাপ আত্মা আছে৷
- না থাকলে আর হুট হাট লাশ গুলো পড়ে থাকতো না। কেউ না কেউ তো দেখতো।
-ঐ খানে পরিত্যক্ত বাড়ি টাই কি থাকে না।
- না। থাকবে কি ভাবে ওটা তো ভূতদের ডেরা। দিনে মানে মানুষ যেতে ভয় পায়। যে ঐ বাড়ির ভেতর সকালে গেছে তদন্ত করতে। সে আর ফিরে আসে নি। মারা গেছে৷
নিলয় অবাক হয়ে
- কেন? যারা গেছিলো তারা তো কাউকেই দেখতে পেতো না ফিরে আসতো তাহলে মরতো কিভাবে৷
আঙ্কেল উঠে দাঁড়িয়ে
- ফিরলে ও পরেরদিন এখানে লাশ পাওয়া যেতো৷
নিলয় অবাক হয়ে গেলো।
প্রান্ত রেজা সিয়াম মোড়ের উপর আড্ডা দিচ্ছে। কিছু বাইক এসে ওদের সামনে থামলো। বাইকের উপর বসা একজন বললো
- কাজ ঠিক মতো চলছে তো৷
রেজা বললো
- হ্যা হ্যা চলছে।
- কোনো অসুবিধা নেই তো।
- না না। সব ঠিক ঠাক।
- ঠিক আছে।
বাইক গুলো চলে গেলো৷ প্রান্ত বললো
- আর মাত্র কিছু দিন তারপর।
তিনজনে হেসে উঠলো ।
পরেরদিন সকালে
একই জায়গায় সেম অবস্থাতে আবার ও লাশ পাওয়া গেলো। ওখানকার মানুষজন সবাই আতঙ্ক হয়ে উঠলো৷ ভির ঠেলে রিক্ত সামনের দিকে উঁকি দিয়ে লাশ টা কে দেখে পিছনে ছুটে আসে। প্রান্ত রিক্তকে দেখে বললো
- কি হয়েছে তোর?
- ভা ভা ভা
- কি ভা ভা ভা করছিস।
.
রিছা এসে
- কি হয়েছে?
- ওখানে বা বা বা বা
রিক্ত বেহুশ হয়ে পড়ে যায়। রিক্তর বেহুশ হওয়া সবাই অবাক হয়ে যায়। প্রান্ত সিয়াম রেজা রিক্তকে ধরে কোচিং এর কমন রুমে নিয়ে আসলো৷ প্রান্ত সিয়াম রেজা বের হয়ে দেখলো নিলয় ভাইয়ের চোখে পানি। প্রান্ত জিঙ্গেস করলো
- কি হয়েছে ভাইয়া?
নিলয় হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলো ওরা সবাই ভিড় ঠেলে লাশটা কে দেখে থ হয়ে যায়। এটা আর কারো লাশ না বাংলা ভাইয়ার৷ তাকে কে মারলো আর কেন বা মারলো৷ লাশ নিয়ে চলে গেলো।
একজন মুরব্বি বললো
- এখানে আর থাকা যাবে না। দিনদিন যদি এভাবে যদি মানুষ মেরে ফেলে রাখে৷ আমাদের মারবে না তার কি গ্যারান্টি আছে। এখান থেকে চলে যেতে হবে। ভূতুরি জায়গা এটা।
মুরব্বির কথা শুনে সবার ভয় টা আরো তীব্র হয়ে গেলো৷
রিছা রিক্তর ঙ্গান ফেরানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু কাজ হচ্ছে না। নিলয় এসে দেখলো রিক্ত অজ্ঞান অবস্থায়। নিলয় বললো
-কি হয়েছে?
- ওখানের লাশ দেখে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।
নিলয় এক বোতল পানি এনে রিক্তর মুখে সবটুকু ছিটিয়ে দিলোন। রিক্তর জ্ঞান ফিরলো৷ রিক্ত চেয়ে দেখলো মাথার কাছে রিছা। মুখের সামনে নিলয়। রিক্ত নিলয় কে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
কোচিং এ শোকের ছায়া পড়ে গেলো। ৫ দিন কোচিং বন্ধ দিয়ে দিলো। মর্জিনা বেগম রিক্তকে দেখে
- কি হয়েছে বাবা তোর?
.
রিক্ত মর্জিনা বেগমের সামনে বসে কেঁদে দিয়ে
- মা বাংলা ভাইয়াকে কারা জেনো মেরে ফেলছে।
মর্জিনা বেগম অবাক হয়ে গেলো, রিক্তর সামনে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে
- কারা মারলো ৷ পুলিশ ধরতে পারছে
- না মা। ভাইয়াটা কত ভালো ছিলো৷ আমার প্রিয় মানুষটাকে কারা মারলো।
রিক্ত তার মায়ের কাছে বেশি বাংলা ভাইয়ার কথা বলতো৷ বাংলা ভাইয়া ওকে নিয়ে মজা করতো সবসময়৷ রিক্তর খুব ভালো লাগতো৷
৫ দিন পর
রিক্ত কোচিং এ বসে আছে৷ কোচিং এ সবাই আসছে৷ ক্লাস সবাই নিলো ও বাংলা ভাইয়ার শূন্যটা সবার ভেতর বিরাজ করে। নতুন একজন আসছে বাংলা ক্লাস নেওয়ার জন্য কিন্তু কারো মন বসে না এই ক্লাসে। ।
দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেলো।
সন্ধ্যার পর রিক্ত রাস্তায় বের হলো। কিছুদূর যেতে দেখলো পুলিশে সবাইকে চেক করতাছে। রিক্ত সামনের দিকে কিছুটা এগোতে পিছন থেকে সিয়াম রিক্তর ঘাড়ে হাত দিয়ে
- কই যাচ্ছিস?
- একটু সামনে।
রেজা পাশে এসে
- একটা কাজ করে দিতে পারবি।
- কি কাজ?
প্রান্ত একটা প্যাকেট রিক্তর দিকে ধরে
- এটা তোর কাছে রাখ৷ সামনের ঐ দোকান টার লোকটার কাছে দিয়ে আমাদের কথা বলিস।
- তোরা তো যাচ্ছিস। তোরাই দিয়ে দিস।
সিয়াম হেসে দিয়ে
.
- আরে দোস্ত আমরা ঐদিক দিয়ে আসলাম। কিন্তু ভূলে গেছি তোকে দেখলাম তাই তুই দিয়ে দিলে ভালো হতো। প্রান্তের বড় ভাই ডাকছে জরুরি। ওখানে যাচ্ছি।
রিক্ত প্যাকেট টা হাতে নিয়ে
- ঠিক আছে।
সিয়াম প্রান্ত রেজা চলে গেলো। রিক্ত প্যাকেট টা
হাতে নিয়ে পুলিশ চেক পোস্ট পর্যন্ত যেতেই একজন পুলিশ রিক্তকে থামায়। রিক্ত চেক করে। হাতের প্যাকেট টা নিতেই রিক্ত পুরো থ হয়ে গেলো...........
(waiting for next part..............)

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com