যদি দেখা না হতো । পর্ব - ০৩
গেট আটকে দিয়ে একবারে ছাদে চলে আসলাম,,একা একটা বাড়ি এখন আমি থাকবো,,
আগে একা রুমে ঘুমাতে ভয় পেতাম এখন একা একটা বাড়িতে থাকতে হবে ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো,,তারপর নিজেই নিজেকে সাহস দিলাম।
কেউই ফোন দেইনি।পরিবারের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো তাই ভেবে পারছিনা।
উফ ভুলেই গেছিলাম আমার কাজিন আর আমি তো একই ভার্সিটিতে পড়ি আমাকে
দেখলেই তো আম্মুকে বলবে।কিন্তু কেমন করে ট্রোলের হাত থেকে বাঁচবো,,,
বিয়েতে গিয়ে বিয়ে করে ফেললাম আসলেই আজিব
খিদা আর লাগলো না ঘুমাই পরলাম এর্লাম দিয়ে।
চোখে ঘুম আসছে না মনে হচ্ছে কেউ আছে আমার সাথে শুধু আজে বাজে চিন্তা মাথার মধ্যে।
খুব চেষ্টা করে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারবোনা।
সকালে,,
ঘুম থেকে উঠে ভার্সিটিতে যাব বলে রেডি হতে লাগলাম।
হঠাৎ মাথায় এলো আমার তো কোন বই নেই এখানে,,
কিভাবে যাব।হঠাৎ কলিংবেল বাজতে লাগলো খানিকটা ভয় পেয়ে দরজা খুলতে গেলাম।
খুলে দেখি কেউ নেই দরজা বন্ধ করবো নিচে একটা স্কুল ব্যাগ খুলে দেখি ভার্সিটির বইগুলো।
আমি এবার নিত্যান্তই অবাক হলাম কি হলো এটা যা মনে মনে ভাবলাম তাই পূরণ হলো,,
জানি এসব কোন ম্যাজিক নয় শুভ্রের কাজ।কিন্তু শুভ্র আমাকে ফোন কেন দিচ্ছেন না
আমি এবার রেডি হয়ে দরজা লক করে ভার্সিটিতে চলে আসলাম।
আসলাম তো ঠিক আছে জানিনা বান্ধবীরা কেমন করবে আমার
সাথে তাও একটু সাহস নিয়ে চলে আসলাম ভেতরে।
আমাকে দেখতেই আয়ুশি,,নিতি,,আবির,,আকাশ চলে আসলো
নিতিঃ কিরে বিয়ে বাড়িতে গেছিস ভালো কথা পরদিনই চলে আসবি দেরি করলি কেন,,
আমরা কতো মিস করেছি জানিস
আয়ুশিঃ হুম,,ভাগ্যিস তুই আজ এসেছিস চল আমরা মিলে আজ ওই টেপা হৃদয় বেটাকে টাইট দিবো
তানিশাঃ তার মানে কি এরা কিছু জানেনা,,উফ আল্লাহ বাঁচালে আজ নাহলে যে কি হতো ভাবতেও পারছিনা(মনে মনে খুশি হয়ে)
আকাশঃ কিরে এতো কি ভাবছিস,,আচ্ছা তোকে এমন লাগছে কেন।খুব স্ট্রেস গেছে তাইনা
আবিরঃ কি হলো কিছু বল।।
তানিশাঃ আরে নাহহ,,চল আজ টেপার বাচ্চাকে টাইট দিয়ে আসি(নরমাল হয়ে)
তারপর আমরা যেতে লাগলাম,, এক সপ্তাহ পর ক্লাস করলাম ভালোই লাগলো।টেপা হৃদয় বলতে স্যারের সইতান ছেলে আয়ুশিকে খুব ডিস্টার্ব করতো,,আমি স্যারকে বলে পিটুনি খাওয়াই ছিলাম তারপর থেকে আমাকে দেখে ভয় পায় খুব।আমি ছিলাম না বলে আবার তার সইতানি শুরু করছে,,,
সেদিন বেশ মজাই হলো ভার্সিটিতে বাড়িতে ফিরে শুভ্র ফোন দিলেন
তানিশাঃ আসসালামু আলাইকুম
শুভ্রঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,কেমন আছো
তানিশাঃ আলহামদুলিল্লাহ আপনি,,হ্যালো কি হলো কথা বলেননা কেনো?
শুভ্রঃ নিশ্চুপ...
তানিশাঃ কি হলো কথা বলেননা কেনো??কেটে দিলাম তাহলে
শুভ্রঃ আরে না না,,তোমার কথা শুনতে ভালো লাগছিলো অনেক
তানিশা এবার শুভ্রের কথা শুনে লজ্জা পেলো,,দুজন দুজনকে ভালোবাসা শুরু করেছে দূরে আছে তাই কি? ভালোবাসা দূরুত্ব মানে না যে....
এভাবে দিন পনেরো চলে গেলো,,তানিশার ভেতর শুভ্রের জন্য একটা আলাদা জায়গা হতে লাগলো,,যেখানে শুভ্র বলেছিলো সপ্তাহে দুদিন কথা বলবা সেখানে এখন দিনে দুবেলা কথা হয়।
১৭ দিনে দিন,,
তানিশা কখন থেকে শুভ্রকে ফোন করতে লাগলো কিন্তু একটা কথাই বলছে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা
তানিশাঃ কি জানি শুভ্র ফোন রিসিপ করছে না কেন।হয়তো বিজি আছে
তানিশা নিজের কাজ করতে লাগলো, মোবাইলে গান ছেড়ে,,,
সব কাজ করলেও ভাবনার জগতে একজনেরই বসবাস।একটা গানে হঠাৎ খুব বেশিই শুভ্রকে মনে পরতে লাগলো,,আগের ঘটনাগুলো যেন চোখের সামনে ভাসছে,,
যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনে হয় এদেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অধয়-আধার
তানিশা কাজ ফেলে শুভ্রের একটা ছবি নিয়ে ছাদে চলে আসলো।দোলনায় বসে বুকের মাঝে ছবিটা আকড়ে ধরে,, চোখ দুটো বন্ধ করে রইলো,, দোলনায় দুলতে লাগলো সে
ব্যাথার সমাধিতে বসে এ মন
ফোটায় আশার ফুল রাশি রাজি
যখন দেখি ওই মুখের হাসি
স্বপ্নে থেকে আসো নয়নে তে
নয়ন থেকে তুমি স্বপ্নে হারাও
জাগো অনায়াসে কাছে হারাও
বাতাসে তানিশার চুলগুলো উড়তে থাকে,,তানিশা তো কল্পনায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে,,যেখানে শুধু শুভ্র আর তানিশা।
যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অধয়-আধার
রাতে,,
তানিশা ডিনার করে আবারও কয়েকবার ফোন দেয় কিন্তু একই কথা।
তানিশা এক বুক অভিমান নিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
এইভাবে ভার্সিটি থেকে বাড়ি,,কাজ কম্পিলিট করা আর শুভ্রকে ফোন করে না পাওয়ায় তানিশা যেন ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে,,,
তানিশাঃ কি হলো ওর,,কেন ফোন ধরছে না ২-৩ দিন হলো কথা বলেনা,,বিজি হলেও বলেছিলো দিনে একবার হলেও কল করবে।বন্ধ বন্ধ উফ ভালো লাগে না(ফোনটা বেডে ছুড়ে)
এখন ঠিক মতো খাবার তো দূরে থাক,, ফোন দিতেই থাকে শুভ্রকে কিন্তু শুভ্র ফোন অফ করে রাখছে...
আরও দুদিন গেলো,,
তানিশা কাপড় নাড়ছে এমন সময় ফোন বাজছে তাড়াতাড়ি নিচে এসে শুভ্রের নাম্বার থেকে ফোন এসেছে দেখে খুশিতে ফোন ধরে
তানিশাঃ এই কই ছিলে তুমি,,জানো কতো ফোন দিছি আমি,,মোট পাঁচটা দিন কই ছিলে ,,কি হলো কথা বলছো না কেন,কতো কষ্ট হয়ছে আমার।এবার একটু কথা বলো প্লিজ
অপর পাশেঃ আপনি এই ফোনের ব্যক্তির কি হন
তানিশাঃ আমি ওর ওয়াইফ, কোথায় ওও,, ওকে একটু দেন প্লিজ
অপর পাশেঃ Sorry ma'am,, he is no more
তানিশাঃ আপনি কি মজা করছেন আমার সাথে,,এখন মজা করার সময় না ওকে দেন ও হয়তো রাগ করছে তাই এমন করছে আমার সাথে
অপর পাশেঃ সরি ম্যাম তিনি আর বেঁচে নেই।তিনি এখানে এসেছিলো একজনকে খুন করতে কিন্তু নিজেই খুন হয়ে গেলেন
কথাটা শুনতেই হাত থেকে ফোন টা পরে গেলো,,,কল এখনো কাটা হয়নি অপরপাশ থেকে হ্যালো ম্যাম,,ম্যাম শুনতে পাচ্ছেন,, ম্যাম... আওয়াজ হয়েই যাচ্ছে আমি তো পাথর হয়ে গেছি,,,আমার ভালোবাসার কি হবে,,চলেই যখন যাবে তাহলে কেন আমায় বিয়ে করেছিলেন
বিকেলের মধ্যেই এতো বড় বাড়িতে লোকজনের ভীর হয়ে গেলো আমার বাবা মা পরিবার শাশুড়ী শশুড় ও এসেছেন,,,কান্নার মিছিল পরে গেলো।আমার চোখ থেকে এক ফোঁটাও পানি পরছেনা।অনেকেই আমাকে শান্তনা দিচ্ছে কিন্তু আমি কিছু শুনতে পারছিনা,,এ কেমন এক নিরব কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।
অল্প দিনের ভালোবাসা কেনো দীর্ঘ সময়ের জন্য কাছে থাকেনা।কষ্ট গুলো যেন চার দেওয়ালে বন্ধী। এখন কেন বার বার মনে হচ্ছে যদি ওই বিয়েতে আমি নাই যেতাম, যদি দেখা না হতো আমাদের তাহলে আমার লাইফটা কতোটা হ্যাপি থাকতো এখন তো সব থমকে গেলো।
দুদিন পর,,
শাশুড়ীঃ বিয়ান আমার ছেলের জন্য আপনার মেয়ের জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো।কতোবার বলেছি এসব ছেড়ে নতুন ভাবে জীবন শুরু কর এই কথা বলার জন্য আমাদের বের করে দিছে।আপনি তানিশাকে এসব থেকে দূরে নিয়ে চলে যান আর চিকিৎসা করান না হলে অনেক বড় দূর্ঘটনা হয়ে যাবে।
আম্মুঃ আপনি ক্ষমা চাবেননা,,হুম ওকে নিয়ে চলে যেতে হবে আমাদের।আজ বিদায় নিবো তারপর ঢাকায় চলে যাব ওর লাইফটাকে গোছানোর জন্য
সেদিন দুপুরে আমাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।জয়েন্ট পরিবার তো আমাকে দেখে অনেকেই ছুটে আসছে আমি তাদের থেকে এরিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।কেন জানি মনে হচ্ছে এদের জন্য আমার জীবন নষ্ট হয়েছে।
বাড়িতে মিটিং বসলো,,,
দাদুঃ তো মিজান(আমার আব্বু) এটাই তোমার শেষ সিন্ধ্যান্ত
মিজানঃ জ্বী বাবা,,
বড় চাচ্চুঃ এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়,,জয়েন্ট পরিবার কখনোই ভাঙ্গবেনা
মিজানঃ তোর আর তোর মেয়ের জন্য আমার মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে,,,তুই কোনো কথা বলবিনা
এসব বিষয়ে।তোদের দেখলো ও কখনো স্বাভাবিক হতে পারবেনা।
আমি কালই ঢাকায় যাব
ছোট চাচ্চুঃ আমি বুঝেছি মিজান ভাই,,ওখানে গিয়ে একজন সাইকোলজিস্টের সাথে আগে পরিচয় করে,,
ওকে আগে সুস্থ করবি।মেয়েটা দুদিনে কি অবস্থা হয়েছে,,মুখটা দেখাই যাচ্ছে না
দাদুঃ আমার নাতনি আর আগের মতো হাসেনা রে।যে সবাইকে জ্বালাতো সে কেমন চুপসে গেছে,,
মিজান বাবা তুই নিয়ে যা ওকে,,টাকা নিয়ে চিন্তা করিসনা আমি তোকে দিব(কান্না করা অবস্থায়)
কেউই আমাকে খাওয়াতে পারছেনা,,,আসলে আমার কোন রুচিই নাই খাওয়ার,,কেমন জানি হয়ে গেছি আমি।
তার পরের দিন আব্বু ঢাকায় গিয়ে সব ঠিক করে আসলো।
সব ভাই বোন এসেছে আমাকে স্বাভাবিক করতে কিন্তু আমার এসব কিছু ভালো লাগছেনা।
এক পর্যায়ে আমি চিল্লিয়ে সবাইকে বের করে দিয়ে ফ্লোরে বসে কান্না করতে লাগলাম
আর কিছুই ভালো লাগছেনা আমার সব যেন খাঁচায় বন্ধী।
স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে চুড়মাড় হয়ে গেলো,,
শুভ্র কেন এমন করলো,,
কেউই কাউকে ক্ষতি করে ভালো থাকতে পারেনা কিন্তু আমি তো কারোর ক্ষতি
করিনাই তাহলে আমার সাথে এমন কোন হলো
পরেরদিন,,
আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,,জানলার পাশে বসে চারিদিকটা দেখছি,,একটু শান্তি অনুভব করছি আমি,, কেমন এক বিধবার পরিচয়ে জীবন কাটাবো আমি।চারিদিকের পরিবেশ দেখতে দেখতে কখন যে দু-চোখ লেগে গেছে তা আর বুঝতে পারিনি।
ঘুম ভাঙ্গলো ফেরিতে উঠার সময়,,অল্প সময়েই ফেরি পেয়ে গেলাম আমরা।চারিদিকে শুধু পানিময়,,কতো কোলাহল কিন্তু কিছুই ভালো লাগছেনা আমার।
বাড়িতে পৌছালাম ৭টায়,,
৫ম ফ্লোরে আব্বু ভাড়া নিছে,,কোয়াটার এলাকা।বাইরের অংশের মতো ভিতটাও অনেক সুন্দর গোছানো।
এটা অনেক আগেই ভাড়া নেওয়া বাসা,,আব্বু বিশেষ কাজে এই বাসা ভাড়া নিছিলো,,
আব্বু আসলে তখন আম্মুও আসতো আর আমি ছোট চাচ্চুদের ওখানে থাকতাম।
আমার রুমে গিয়ে বিছানার সাথে শরীর এলিয়ে দিলাম।
আম্মু খাবরের জন্য ডাকছে কিন্তু আমি এতোটাই ক্লান্ত যে না পারছি উঠতে না পারছি কথা বলতে,,,
আবার ও ঘুমিয়ে পরলাম।আম্মু হয়তো বুঝতে পেরে চলে গেছে।
সকালে,,,
আমি উঠে কোন রকম ফ্রেস হয়ে বেলকনিতে বসলাম।
ব্যাস্ত শহরের মানুষ গুলো তার আপন গতীতে ছুটছে কাজে।
এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো আম্মু গেট খুলে দেখলো পাশের রুমের আন্টি।
আম্মু আর আন্টি কথা বলতে লাগলো,,,
আর এদিকে আম্মুও অনেকদিন পরে ঢাকায় এসেছে।সব কথায় শোনা যাচ্ছে বেলকনি পর্যন্ত
আন্টিঃ তোমার মেয়েকে তো দেখলাম না এখনো কোথায় ও
আম্মুঃ বেলকনিতে আছে মনে হয় চলেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই আম্মু আন্টি আমার সামনে আসলো,,
আমি সালাম দিলাম তিনি উওর দিয়ে বললো,,
আন্টিঃ বাহহ মিষ্টি তো দেখতে,,তা মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি
আম্মুঃ নাহহ এখনো বিয়ে হয়নি,,কেবল ভার্সিটিতে পরে,,
চাকরি করুক তারপর দেখা যাবে
আন্টিঃ হুম একদম
আম্মুর কথা শুনে আমি বেশ অবাক হলাম,,আম্মুর দিকেই তাকিয়ে আছি।
আন্টি চলে যাওয়ার পর আম্মুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন,,
আম্মুঃ শোন ওটাকে কখনো বিয়ে বলে না আর ওটা বিয়ে নামে ছেলেখেলা।
আর ওর সাথে তোর কোন সম্পর্কও হয়নি,,,
ওই বিয়েটা জাস্ট এক্সিডেন্ট এটা তোকে মানতে হবে তানিশা।
নাহলে এই পরিবেশে কখনোই বাঁচতে পারবিনা।আর এসব বাদ দিয়ে চল খাবি
তানিশাঃ এতোটাই সহজ নাকি এগুলো মেনে নেওয়া।
এতোকিছুর পরও তো ওকে মেনে নিছিলাম কেন আমার সাথে এমন হলো আম্মু (জড়িয়ে কানতে লাগলাম)
আমার কান্না দেখে আম্মু কাঁদতে লাগলো আর নানা রকম করে বুঝাতে লাগলো আমাকে।
বিকেলে,,
আব্বু একজন মহিলা সাইকোলজিস্ট এর কাছে নিয়ে গেলো আমাকে।
তিনি আব্বুকে বাইরে যেতে বললেন।
ডাক্তারঃ শোন,,আমি তোমার লাইফ স্টোরি তোমার মুখে শুনতে চায়।
তোমার বিষয়ে অনেক শুনেছি আমি তোমার আব্বুর কাছে।কোন রকম সংকোচ করবা না,,
আমাকে তুমি আপু বান্ধবী যা মন ভাবতে পারো,,,
এবার বলো তো
তার কথা আমার কাছে ভালো লাগলো আমিও আস্তে আস্তে বলতে লাগলাম তাকে।
তিনিও মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগলেন।
ডাক্তারঃ তার মানে তোমার আর ওর মধ্যে কোন সম্পর্ক হয়নি
তানিশাঃ নাহহ
ডাক্তারঃ আজকের মতো এতোটুকুই,,
এটা আমার কার্ড তোমার যখন খারাপ লাগবে আমাকে ফোন দিও।
আর আগামী কাল আমার তোমার সাথে দেখা হবে।
আর আমি যা বলবো তুমি তাই করবে আচ্ছা
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। তিনি আব্বুকে ডেকে আজকের মতো পাঠিয়ে দিলেন।
সামান্য তো আমার না বলা কথাগুলো বললাম তাই কিছুটা শান্তি আমি অনুভব করতে পারলাম।
মহিলাটার বয়স খুব বেশি হবে মেহেন্তা আপুর বয়সি,,তাই আপু বলেই ডাকার প্লান করলাম।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com