এক মুঠো রোদ । পর্ব - ০৩
মিষ্টি খুশিতে কেপে ওঠে। এই বুঝি তার মাথা গোজার জায়গা হয়ে গেলো।
ওমনি সানু বেগমকে সালাম করে বসে মিষ্টি।
--কি করছো?
--দেখতে তো একদম বাচ্চাদের মতো, কিন্তু কথা বলো মুরুব্বিদের মতো। বয়স কত তোমার?
--১৭
--হুম, বয়স কম ঠিকই, কিন্তু দুনিয়া তোমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। অনেকটা ম্যাচিউর তুমি।
--
--অনেক রাত হয়েছে, যাও ঘুমিয়ে পড়ো। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারো?
--জ্বি আন্টি, আমার অভ্যাস আছে।
--নামাজ পড়ো?
--জ্বি আন্টি।
--মাশা-আল্লাহ। যাও
.
হাসিমুখে মিষ্টিকে রুমে ঢুকতে দেখে রিয়া জিজ্ঞেস করে ওঠে।
--কিগো? মা কেনো ডাকলো তোমায়?
--আমায় কাজ দিলো।
--মা কাজ কোথায় পেলো? কি কাজ সেটা?
--ওনার পাশেপাশে থাকা।
--এটা কোনো কাজ হলো? বেতন কত দিবে?
--বেতন লাগবে না।
--লাগবে না? তুমি একটা বোকা মেয়ে।
--টাকা দিয়ে আমি কি করবো?
--জমাবে, বলাতো যায় না কখন কি প্রয়োজন পড়ে।
--আন্টির কাছেই নাহয় জমা থাকুক, কিছু প্রয়োজন পড়লে তখন ওনাকে বলবো।
--আচ্ছা যাই হোক, তুমি তাহলে কোথাও যাচ্ছো না।
--সেটাই তো মনে হচ্ছে।
.
সকালে সবার আগে ঘুম থেকে উঠে নামাজ শেষ করে রান্না ঘরে চলে যায় মিষ্টি।
সানু বেগম তখনো নিজের রুমে নামাজের পাটিতে বসে।
ধীরেধীরে সকালের আলো ফুটলে তিনি রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ান।
রান্নাঘরে প্রবেশ করে দেখেন মিষ্টি আগে থেকেই রান্না ঘরে। এবং নাস্তাও ইতিমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে।
--তুমি কখন এলে?
--নামাজ শেষেই এলাম।
--আমায় ডাকলে না যে?
--আপনি তাজবিহ পড়ছিলেন, তাই ভাবলাম বিরক্ত না করি।
--কি বানালে নাস্তা?
--রুটি, আলু ভাজি আর চা।
--আমরা তো এসব খাই না।
সানু বেগমের কথায় মিষ্টি একটা ধাক্কা খেয়ে ওঠে।
--আরে, ভয় পেও না। আমরা এটাই খাবো। মামুন রুটি আর আলু ভাজি বেশ পছন্দ করে।
ওমনি মিষ্টির মলিন মুখে আবার হাসি ফুটে ওঠে।
--রিয়াকে ডাকোনি?
--সেতো ঘুমাচ্ছে।
--প্রতিদিন ওকে তোমার সাথে নিয়ে উঠবে। একদম অলস সে।
--আচ্ছা।
--ওকে উঠিয়ে নিয়ে আসো।
নাস্তা বানানো শেষ করে মিষ্টি রিয়াকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে।
--এই রিয়া, ওঠো। আন্টি ডাকে।
--কেনো?
--নাস্তা করতে।
--আরো পরে খাবো।
--আন্টি বলছে ঝাড়ু নিয়ে আসতেছে।
--হ্যাহ...
তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে রিয়া ফ্রেস হতে চলে যায়।
--চলে এলে যে? রিয়া কোথায়?
--মুখ ধুয়ে আসতেছে।
--আচ্ছা, এই চা টা মামুনকে দিয়ে আসো।
--আমি?
--হ্যা, কেনো? কোনো সমস্যা?
--না আন্টি, কি যে বলেন। উনি উঠে গেছেন?
--একটু আগে আমি ডেকে এসেছি, উঠে গেছে হয়তো।
--আচ্ছা দিন আমি দিয়ে আসি।
--নাও
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে মিষ্টি মামুনের রুমের দিকে পা বাড়ায়। হাতটা কেমন যেনো কাঁপছে, এই বুঝি চায়ের কাপটা পড়ে যাবে।
কেনো যেনো মামুনের রুমের দিকে যেতেই মিষ্টি ঘামাতে শুরু করে। কাঁপতে কাঁপতে মামুনের রুমে প্রবেশ করে মিষ্টি।
এখনো বিছানা ছেড়ে ওঠার নাম নেই। আন্টি বললো উঠে গেছে। চা টা কি রেখে চলে আসবো? নাকি ডেকে উঠিয়ে আসবো? নয় ছয় ভাবতে ভাবতে চা টা টেবিলে রেখে মিষ্টি আবার সানু বেগমের কাছে ফিরে আসে।
--চা দিয়েছো?
--জ্বি আন্টি।
--অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে?
--না, ঘুমাচ্ছে দেখলাম।
--দেখো কান্ড, ডেকে তুললে না কেনো?
--যদি বকা দেয়?
--বকবে না, বলবে যে আমি তোমাকে পাঠিয়েছি। জলদি যাও।
--আচ্ছা।
এবারও মিষ্টি ধীরেধীরে মামুনের দিকে পা বাড়ায়।
ভয়ে ভয়ে মামুনের পাশে এসে মামুনকে আস্তে করে ডেকে ওঠে।
কিন্তু মামুনের কেনো সাড়া শব্দ নেই। প্রায় ৫ মিনিট ধরে মামুনকে ডেকে চলেছে, মামুনের ওঠার কোনো নাম নেই।
পেছন থেকে রিয়া এসে মিষ্টিকে বলে ওঠে,
--যেভাবে ডাকতেছো, নিজের আওয়াজ কি নিজে শুনতে পাচ্ছো? ভাইয়া কিভাবে শুনবে?
--আওয়াজ বের হচ্ছে না গলা দিয়ে।
--দেখো কিভাবে ওকে উঠাই।
মিষ্টি একপাশ হয়ে দাড়ায়, আর রিয়া গিয়ে মামুনকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে ওঠায়।
--ওঠ বলছি এক্ষুণি।
--কি হয়েছে?
--কয়টা বাজে এখন?
--কয়টা?
--৭:৩০...
--কিহ? ৮:৩০ আমাকে অফিসে পোছাতে হবে, আর তুই এখন ডাকছিস?
--মিষ্টি সেই কখন থেকে তোকে ডাকছে, নাক ডেকে ডেকে ঘুমাচ্ছিস। কেনো হুস আছে তোর?
--ও কেনো ডাকবে? মা কই?
--আম্মুই ওকে পাঠিয়েছে তোকে ডাকতে। অনেক্ষন হয়ে গেলো মিষ্টি এসেছে। তাই আম্মু আমাকে পাঠালো। এখন ওঠ।
--এই শুনেন, আমার ঘুম একটু ঘাড়ো, কারো ডাকে আমার ঘুম ভাঙে না। পরে কখনো ডাকতে আসলে আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়েন।।
--আচ্ছা ভাইয়া।
--আমি আপনার ভাইয়া হলাম কবে?
--রিয়া ভাইয়া ডাকে, তাই আমিও ডাকলাম।
--এই একটার জ্বালায় জীবন শেষ, আর লাগবে না আমার।
--তুই আয় নাস্তা করতে, তোর নাস্তা আমি বের করছি।(রিয়া)
হনহন করে রিয়া মায়ের কাছে চলে যায়। মিষ্টিও আস্তে করে রিয়ার পেছন পেছন ফিরে আসে।
.
--বাহ, আজ আমার প্রিয় খাবার। কিভাবে আজ আমার কথা মনে হলো মা?
--আমি না, মিষ্টি বানিয়েছে।
--কি বলো, সে আমাদের মেহমান, তুমিতো দেখি তাকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছো।
--আরে আমি রান্নাঘরে ঢুকার আগেই দেখি সে নাস্তা বানিয়ে বসে আছে।
--এই যে শুনেন। আপনার কেনো কাজ করতে হবে না। আপনি আমাদের মেহমান। কোনো কাজ করবেন না।
--আমি তো কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিবো।(মিষ্টি)
--অ্যাহ? কিসের কাজ? কিসের পারিশ্রমিক?
--কাল না সে বললো সে কাজের খোজে এখান থেকে চলে যাবে, তাই তাকে কাজ দিলাম। তার আর যাওয়া লাগবে না। এখানেই থাকুক, কই যাবে সে?
--তা বুঝলাম। কিন্তু.....
মায়ের কথার ওপর মামুন আর কেনো কথা বললো না। রিয়া সারাদিন শেষে বিকেলে স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরে, মামুনও অফিস শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরে।
এদিকে সানু বেগম সারাদিন ঘরে একা। তাই মিষ্টি সারাদিন ওনার সাথেই সময় কাটায়।
মিষ্টিকে পেয়ে তার একাকীত্ব অনেকটাই গুছে গেছে।
ধীরেধীরে মিষ্টি এই পরিবারেরই একজন সদস্য হয়ে যায়। সবাই মিষ্টিকে খুব পছন্দ করে।
এলোমেলো ঘরটা এখন পুরো সাজানো গোছানো।
এভাবে প্রায় ২ মাস কেটে যায়....। মিষ্টিকে এখন আর কেউ পর ভাবে না। রিয়া আর মিষ্টি দুজন খুবই ভালো বন্ধু।
--তুই আমার জন্য আর কখনো চকলেট, আইসক্রিম, চিপস এসব আনবি না।
বোনের মুখে এটা শুনে মামুন বেশ অবাক হয়।
--কেনো? আমার বনু কি কোনো কারনে আমার ওপর রাগ করছে?
--হ্যা।
--অ্যাহ? কি করলাম আমি?
--আমার জন্য এসব নিয়ে আসিস, ওই মেয়েটা আমার দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে থাকে। একদিন আমায় কি বলে জানিস?
--কি?
--আমি বললাম আমার থেকে চিপস নিয়ে খেতে।
কিন্তু সে বললো এসব কিছু খাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই।
আর বলে, "তোমার ভাইয়া তোমায় কত ভালোবাসে, সবসময় রাগি মুখে থাকলেও তোমার
সামনে সে সবসময় হাসি মুখ করে রাখে। সব ভুলে গেলেও তোমার জন্য এসব নিয়ে আসতে ভুলে না।
আমার খুব ইচ্ছা, আমারও নিজের একজন মানুষ হবে, আর যাই হোক,
সেও আমার কথা সবসময় মনে রাখবে, সব ভুলে গেলেও আমার কথা ভুলবে না।
প্রতিদিন আসার সময় আমার জন্যও কিছু না কিছু নিয়ে আসবে।
" জানিস, তার জন্য আমার আফসোস হয়, মেয়েটা আসলেই খুবই একা রে।
তার সামনে আমার জন্য আর কিছুই আনবি না। আমি নিবো না।
--এতে আমার দোষ কোথায়?
--দোষ হলো ওর সামনে আমাকে এসব দেওয়া।
--আচ্ছা কাল থেকে লুকিয়ে দিবো।
--লাগবে না। যদি দিতেই হয় তাহলে আমার জন্য যা আনবি, মিষ্টির জন্যও সেটা আনবি।
সে খুব খুশি হবে।
--বাব্বাহ, আচ্ছা আনবো। এখন খুশি?
--হুম, কিন্তু
--আবার কি?
--আর একটা কাজ করতে পারবি?
--কি কাজ?
--পারবি কিনা বল।
--না শুনেই?
--হুম।
--আচ্ছা শুনবো।
--এদিকে আয়, কানে কানে বলবো।
--বাপরে, কি এমন কথা আল্লাহ জানে.....
.
রিয়া আজ স্কুলে না গিয়ে বসে বসে টিভি দেখছে। মিষ্টি পেছনে এসে দাড়িয়ে রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে।
--আজ স্কুলে যাবে না?
--নাহ, ভালো লাগছে না।
--শরীর খারাপ করেছে?
--না না, এমনিই যেতে মন চাইছে না।
--কিছু বানিয়ে দিবো? খাবে?
--এদিকে এসো তো, বসো এখানে।
--হুম।
--এসব তোমার কাজ?
--আমার কাজ কি?
--কোনো কাজ নাই। আমার সাথে এক জায়গায় যাবে?
--যাবো।
--কোথায় সেটা জিজ্ঞেস করবে না?
--কোথাও যাওয়ার সুযোগ মিলছে, এটাই তো অনেক।
--তাই?
--হুম, কখন যাবে?
--বিকেলে।
--আচ্ছা ঠিক আছে।
বিকেলে রিয়া সেজেগুজে মিষ্টিকেও নিজের একটা জামা পড়িয়ে তৈরী করে দেয়।
--রিয়া? কোথায় যাচ্ছিস?(সানু বেগম)
--আমার এক বান্ধবির বাসায়।
--মিষ্টিকে সাথে নিচ্ছিস যে?
--একা তো, তাছাড়া ওতো সারাদিনই বাসায় থাকে, তাই ভাবলাম ওকে একটু ঘুরিয়ে আনি।
--সাবধানে যাস।
--আচ্ছা।
রিয়া মিষ্টিকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। দুজন সোজা মামুনের অফিসের সামনে এসে দাড়ায়।
একটু পর কোথায় থেকে যেনো মামুন আসে।
--এতো দেরি করেছিস কেনো?(রিয়া)
--সরি সরি, চল।
মিষ্টি বেশ অবাক হয়, হচ্ছেটা কি? রিয়া বাসায় বলে এলো বান্ধবীর কাছে যাচ্ছে, কিন্তু এখানে মামুনও যোগ হলো।
হঠ্যাৎ গাড়ির ব্রেকে মিষ্টির ভাবনার অবসান ঘটে।
গাড়ি থেকে নেমে দেখে ইয়া বড় একটা শপিং মল।
--আমরা এখানে কেনো?(মিষ্টি)
--কিছু কিনবো।
--তোমার বান্ধবীর বাসায় যাবে না?
--ধুর, শপিং করবো বললে কি আম্মু বের হতে দিতো? তাই মিথ্যা বললাম।
--আর উনি?
--আমি টাকা কই পাবো, তাই ভাইয়াকেও ডাকলাম।
--বাব্বাহ, কত চালাক তুমি।
--হা হা হা, চলো।
দীর্ঘ ৩-৪ ঘন্টা ঘুরে ঘুরে রিয়া শপিং করে। মিষ্টি বেশ অবাক হয়, কারন রিয়া সব কাপড়ই মিষ্টির মাপে নিয়েছে। জিজ্ঞেস করলে বলেছে তোমার আর আমার মাপ তো সমান।
মিষ্টিও আর কথা বাড়ায়নি।
শপিং শেষে অনেক রাত পর্যন্ত সবাই পুরো শহরটা ঘুরে বেড়ায়। রাতের প্রায় ১০টার পর তারা বাসায় ফিরে।
--আজ আমার কত খুশি লাগছে।(মিষ্টি)
--কেনো?(রিয়া)
--রাতের শহরটা এভাবে দেখবো কখনো কল্পনাও করিনি। চটপটি, ফুসকা এসবের নামই শুনেছি শুধু, আজ সেটাও খেলাম। তুমি আর উনি আমার মনের ইচ্ছেটা পূরণ করলে।
--তাই? আজকের এই দিনটা তোমার মনে থাকবে?
--হুম। ধন্যবাদ তোমাকে।
--আমি না, ভাইয়াকে দিও। সে ই তো এসবের ব্যবস্থা করলো।
--আমি পারবো না। ওনার সাথে কথা বলতে আমার লজ্জা করে।
--ওমা, লজ্জা কিসের?
--আজ রাস্তা পার হওয়ার সময় যখন আমার হাতটা ধরলো, যানো কি হয়েছে?
--কি?
--মনে হলো যেনো আমার কারেন্টের শক লেগেছে।
--কি বলো?
--হুম, যা লজ্জা করছিলো আমার। আমি আর ওনার সামনেই যাবো না।
--কেনো?
--এমনিই।
--ভাইয়াকে কি তুমি পছন্দ করো?
--কি যে বলো না। উনি পুরুষ মানুষ, তাই আমার লজ্জা পাওয়াটা স্বাভাবিক। তোমরা আমায় আশ্রয় দিয়েছো, উপকার করেছো, আমি অনেক কৃতজ্ঞ তোমাদের প্রতি। আমার নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে আমি জানি। তোমরা আমায় যেই বিশ্বাস করেছো, তা আমি নষ্ট করবো না।
--আমি তা বলিনি, এমনিই জিজ্ঞেস করলাম।
--বাদ দাও ওসব। চলো ঘুমিয়ে পড়ি, খুব ক্লান্ত লাগছে।
--আচ্ছা চলো।
.
ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় মিষ্টি। সাথে সাথেই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমায়।
রাতের তখন প্রায় ১২টা।
--মিষ্টি....
--হুম
--ওঠো।
--কি?
--ওঠো না।
--তুমি এখনো ঘুমাও নি?
--চোখ তো খোলো।
মিষ্টি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে বিছানার এক পাশে সানু বেগম দাড়িয়ে আছে, আর অন্য পাশে মামুন।
এতোরাতে তাদের চোখের সামনে দেখে মিষ্টি ঘাবড়ে গিয়ে উঠে বসে।
"Happy Birthday To You, Happy Birthday To You মিষ্টি"
এভাবে সবাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখে মিষ্টি একটু নয়, বেশ অবাক হয়।
আঙুলের কর গুনে গুনে হিসাব মিলিয়ে দেখে সত্যিই আজ তার জন্মদিন।
এভাবে নিজের জন্মদিনে কেউ উইস করছে এটা ভেবেই মিষ্টি কেঁদে দেয়।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com