মনের মানুষ । পর্ব - ০৯
মিম তার কথা শুনে বললো,
দেওয়া হ'য়ে যাচ্ছে।" মেয়ের কথা শুনেই হাসতে লাগ
লেন মেহেরিশ। তিনি বললেন,
- "তোমার বসে গল্প করো। আমি সকলের নাস্তা জন্য নাস্তা করে আনছি ঠিক আছে?" তখন এক টা ছেলে হন্ত-দন্ত হয়ে ছুটে এসে মিমকে কোলে তুলে নিয়ে ঘুরতে লাগলো। মিম তাকে বললো,
- "মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর, রাহাত? নিচে নামা আমাকে।" রাহাত হাসতে হাসতে বললো,
- "কংগ্রাচুলেশন'স মেরি জান...! আব্বু তোর খবর শুনে খুব খুশি হয়েছে।"
- "কংগ্রাচুলেশন'স, ইউ টু দোস্ত। বাই দ্যা ওয়ে,,,, তুই আমায় ট্রিট দিবি কবে?"
- "তোর বাসায় এসেছি আগে তুই দে!
আমি কোনো একদিন ট্রিট দেবো সবাইকে একসাথে ডেকে।" ইমান ভ্রু কুঁচকে দু'জনের দিকে তাকিয়ে রইলো। মিম তাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো,
- "কি ব্যাপার কি হ'য়েছে?" ইমান মেকি হেসে বলল,
- "উনি কি আপনার বন্ধু? বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তির্ন হ'য়েছে?"
রাহাত হাসতে হাসতে বললো,
- "উত্তির্ন না হ'য়ে কোই যাই ভাইয়া, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বংশপরম্পরা রক্ষা করতে হচ্ছে।" মিম তার কান মলে দিয়ে বললো,
- "তুই আস্তো একটা গর্ধব...! তুই চাইলে'ই পারতিস
নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে।
বাপ-দাদ উকিল ছিল বলে আমাকে উকিল হতে হবে সেটা কোথায় লেখা আছে? না মানে, নিজে'র কোনো
গাটস্ নেই না?
আত্নবিশ্বাস নেই। ওদিকে,,,,,, " পুরুষ মানে'ই সিংহ।" বলে দাবী করো নিজেকে?" রাহাত মুখ কাচুমাচু করে বললো,
- "বাড়িতে মা আর এখানে এলে তুই। মা জননী প্লিজ ক্ষ্যামা দাও আমাকে।"
- "আহারে ন্যাকা ষষ্ঠী! একদম ঢং করবি না আমার কাছে এসে।"
ইমান তখন হাসতে হাসতে বললো,
- "কেন ম্যাডাম? ঢং করা'র অধিকার কি শুধু মাএ নারীতে'ই সীমা বদ্ধ আছে?"
- "না গো নেই। এই সম-অধিকারের যুগে আজ-কাল
পুরুষে'রা কেন বঞ্চিত হবে? সকল সুযোগ সুবিধা থেকে?
তারা লাল বেনারসি শাড়ি পরছে কাল থেকে না হ'য় সালোয়ার কামিজ পরা শুরু করে দেবে?" মিমে'র কথা শুনে ইমান মৃদু হেসে বললেন,
- "আপনি একটা জিনিস,,,,,,,, ম্যাডাম। কেউ কথায় পারবেনা আপনার সাথে।"
- "তাহলে চুপ থাকুন না মশাই। এত বাজে কথা খরচ করতে কে বলেছে আপনাকে?" মিমের কথায় হেসে ফেললো ইমান। সে বললো,
- "আসলে'ই, আজ থেকে মুখে কুলুপ এঁটে রাখতে হবে।" মিম ভেংচি কেটে বললো,
- "আপনি একটা টকিং টম।"
- "একচুয়ালি, আমার নিজেকে জেরি বলে মনে হয়
আপনার কাছে।"
মিম ইমানের কথা শুনে বললো,
- "আপনি ও একটা জিনিস। তবে সেটা কখনো বোধ হ'য় প্রকাশ করেননি আশে-পাশে'র লোকের কাছে।"
- "কেউ জানতে চাইলে তো বলবো? জানার একজন ছিলো, তবে সে-ও গত দশ বছর ধরে হাসপাতালে'র বিছানায় সজ্জা সজ্জা শায়ী হ'য়ে আছে।"
- "আন্টি সুস্থ হয়ে যাবে,,,,,,,,, মন খারাপ করবেন না আমি এর আগেও বলেছি আপনাকে। আপনি সাহস হারালে কি করে চলবে?
আপনাকে এই মুহূর্তে আপনার বাবা এবং ছোটো ভাইয়ের সাপোর্ট সিস্টেম হতে হবে। সাইকোলজিস্ট আপনি,
আর আপনি ভালো করে'ই জানেন। এই সিচুয়েশন থেকে নিজেকে কি করে বের করে আনতে হবে? সো
গ্রো আপ। ওকে??" তখন দ্বীন এসে মিমে'র হাতে ফোন দিয়ে বললো,
- "নে ধর,,,,,,,, বাবা কথা বলতে চাইছে তোর সাথে।"
মিম বড় মামা'র সাথে কথা বলতে বলতে রান্না ঘরে
চলে এলো।
এসে দেখলো,,,,,,,,,, মেহেরিশ শিমুল কে সাথে নিয়ে সকলে'র জন্য চিকেন ফ্রাই করছে। ও যখন জরুরী একটা কাজে শিমুল কে নিজে'র ঘরে ডেকে নিয়ে এলো।
তখন হঠাৎ,,,, অপরিচিত এক টা নম্বর থেকে ফোন এলো মেহেরিশের কাছে। তিনি কল টা রিসিভ করে সালাম দিলেন। অপর পাশে'র মানুষ টা সালামে'র জবাব দিয়ে বললেন,
- "কেমন আছো তুমি? মেয়ে কেমন আছে? ডিভোর্স হয়ে গেছে, ভালো কথা। আমার কি এত টুকু জানা'র অধিকার ছিলো না যে আমাদের কি সন্তান হয়েছে?"
অনেক দিন পর, পরিচিত সেই কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে মেহেরিশ বলে উঠলেন,
- "আরেহ বাবা!
বুড়ে বয়সে এসে দেখছি আপনার প্রাক্তন এবং তার সন্তানে'র প্রতি খুব দায়িত্ববোধ জেগে উঠেছে? তা হঠাৎ আপনার এমন সুবোধ উদয় হওয়ার কারণ?
আপনি কি মনে করেন?
আমার সন্তানের ওপরে আপনার মতো একটা লম্পট ঠকবাজ, জোচ্চর এবং প্রতারকে'র কোনো অধিকার আছে? কি মনে করেন কি আপনি নিজেকে?
আজকে'র পর থেকে আর কখনো আমাকে এবং আমার মেয়েকে বিরক্ত করার চেষ্টা করলে আপনার কপালে খুব দুঃখ আছে। বেশি ভালো মানুষী দেখানো হ'য়ে যাচ্ছে বুঝি?
আপনার বোনকে জেলে পাঠিয়েছি,,,,,, এবার দেখছি
পরিবার সহ আপনাকে পাঠানো'র ব্যবস্থা করতে হবে। শুনুন,,,,,,, আমার সন্তান নিয়ে আপনাকে এতো ভাবতে হবে না। আমার সন্তানে'র আপনাকে কোনো প্রয়োজন নেই।
কারণ,,,,,,,,, সে নিজের শর্তে বাঁচে আর ও কখনো'ই আপনাকে মানুষ হিসেবে গন্য করবেনা। মনে হ'য় না
সে কখনো নিজের বাবা হিসেবে আপনাকে সমাজের সামনে স্বীকার করে নেবে। যাগগে,,, ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।"
কল টা কেটে মেহেরিশ,,,,,,,,,,, শক্ত হ'য়ে এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। মিম এসে মা কে হাতে হাতে সাহায্য করতে লাগলো। সে কথায় কথায় তাকে জিজ্ঞেস করলো,
- "মা এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?" তিনি মুচকি হেসে মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করলেন,
- "কখনো যদি......! কেউ কোনো কিছুর দাবী নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়ায় তুমি কি তাকে ক্ষমা করে দেবে?"
মিম মা কে অনুধাবন করে, তাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
- "একে বারে'ই অসম্ভব মা....! তুমি সবকিছুর উর্ধ্বে আমার কাছে।
আমি জানি না, এই মুহূর্তে তোমার মনে কি চলছে। তবে আমি এত টুকু আশ্বাস তোমাকে দিতে পারি। আমি কখনো প্রশ্রয় দেবো না কোনো অপরাধীকে।"
মেয়ে'র কথায় নিজের পরিপূর্ণ বিশ্বাস ফিরে পেলেন মেহেরিশ। তিনি খুব ভালো করে জানেন, তার সন্তান এক দম অন্য ধাঁচে গড়ে উঠেছে। মিম সবার থেকে অনেক আলাদা। তার আজ খুব গর্ব হচ্ছে মেয়ে কে দেখে।
মিম সব খাবার-দাবার রেডি করে নিয়ে চলে এলো।
সে সকলে'র হাতে-হাতে চা কফি এগিয়ে দিচ্ছে আর তখন ইমান মিমকে জিজ্ঞেস করলো,
- "কি ব্যাপার ম্যাডাম? মন খারাপ??" মিম তাকে ঝাড়ি মে'রে বলে উঠলো,
- "আমার মন ভালো না খারাপ তা জেনে আপনার কি হবে?"
- "না মানে ম্যাডাম....! আমি কিন্তু ইতালি সাপোর্টার কাজে'ই কোনো দ্বন্ধ থাকা উচিত না আপনার এবং মাঝে।"
- "দেখুন,,, প্রতিটি খেলায় কিন্তু হারজিৎ থাকে। মন খারাপ সেটা সাময়িক সময়ের জন্য, ঠিক আছে???"
- "হুমম....! চিকেন ফ্রাই টা অনেক ভালো লেগেছে।"
তখন দ্বীন মিমকে জিজ্ঞেস করলো,
- "শুনলাম,
সিসিটিভি আন্টির বড় ভাই এসে তোকে কোর্ট চত্বরে
শাসিয়ে গেছে?"
- "ওনাকে কে ভয় ভাইয়া? আমি থোড়া'ই কেয়ার করি ওই লোকটা কে?
বরং আমি এতদিনে এটা বুঝতে পারলাম যে দুনিয়ায় এরকম কিছু আঁতেল আছে বলে'ই অপরাধ প্রবণতা এতো টা বেড়ে গেছে।
উনি এসে ছিলেন আমার সাথে আলাপ-আলোচনার
মাধ্যমে মধ্যস্ততায় আসতে। কিন্তু, আমি আমার কথা গুলো স্পষ্ট ভাবে তাকে বলে এসেছি। আমি অন্তত এই বিষয়ে কোনো আপসে আসতে চাই না তাদের সাথে। আমার "মা" কে ওই মহিলা অপমান করেছে,
আমি চোখের জলে নাকের জলে না করে ছাড়ছি না
ওই অসভ্য মহিলাকে।
সবে শুরু,,,,,,, এমন অবস্থা করবো যে মানুষের নামে বাজে কথা বলা'র আগে অন্তত একশোবা'র করে ভাববে।"
মেয়ের কথা শুনে হাসলেন মেহেরিশ, বুঝলেন তাকে থামানো যাবে না এতো সহজে। তিনি এগিয়ে গিয়ে মেয়েকে টেনে বসালেন। বললেন,
- "নাস্তা করে নাও মা.........! সব ঠাণ্ডা হ'য়ে যাচ্ছে।"
মিম চুপচাপ খেয়ে উঠে গেলো। তার শরীর টা বেশ খারাপ লাগছে।
আজ প্রায় তিন চার দিন ধরে মিমে'র ইমানে'র সাথে কোনো দেখাসাক্ষাৎ হয় না। সে মিমে'র খোঁজ নিতে এসে জানতে পারলো। ও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ।
তখন সে দ্বীনের কাছে জানতে চাইলো,
- "ওনাকে ডক্টর দেখানো হ'য়েছে??" মারিয়া এসে বললো,
- "হুমম....! আসলে তেমন কিছু না ভাইয়া মেয়েদের মাসিক একটা ঝালেমা হয়ে'ই থাকে আর ও মানুষ শক্তপোক্ত হলেও শরীর বেশ দূর্বল।
আন্নি ঘন্টায় ঘন্টায় খাবার নিয়ে ঠাসাঠাসি করছে তাকে, এখনো আন্টি সুপ খাইয়ে দিচ্ছে।
সে কম্বল গায়ে জড়িয়ে বসে আছে।"
মিমের খাওয়া শেষ হতেই ইমান এসে ওর সাথে দেখা করতে চলে এলো। বলল,
- "আপনার এই শরীর নিয়ে কি কোর্টে যাওয়া উচিত হবে?"
- "দেখুন! কোর্টে আমি যাব'ই আমাকে যে ফ্রন্ট ছিটে বসে মজা দেখতে হবে।
" ইমান চমকে তাকিয়ে রইল, মিম কথা বলতে বলতে নিচে চলে এলো তার সাথে।
মেহেরিশ একরকম বাধ্য হ'য়ে মেয়ে কে কোর্টে নিয়ে এলেন, তিনি খুব করে চেয়েছিলেন তাজ আহমেদকে
তার সন্তানে'র কাছ থেকে দূরে দূরে রাখতে।।।।।।।।।
বেলা দশটা নাগাদ,,,,,, সকলে কোর্টে এসে পৌঁছালো
এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে মেহেরিশকে বলল
- "আমার মেয়ে তোমার সম্পর্কে ভুল কি বলেছে?"
মিম পেছন থেকে বেড়িয়ে এসে বললো,
- "জেলের ভাত খেতে না চাইলে একদম চুপপ..! না
কি আমি ব্যবস্থা নেবো আমার পক্ষ থেকে? বয়স হ'য়েছে না?
আমার মায়ের পেছনে না লেগে নিজে'র ওই অসভ্য, অশিক্ষিত মেয়ে'র হেদায়েতে'র জন্য দোয়া করুণ কাজে দেবে।
আপনার আর একটা অক্ষর আমার কানে এলে হ'য়
বয়সে বড় বলে কিন্তু পার পেয়ে জাবেন না আমার কাছ থেকে। আপনাকে দেখে'ই বোঝা যাচ্ছে মেয়ে'র অবস্থা এমন কেন? নিজে সারা জীবন কূটনামি করে বেড়িয়েছেন, আপনার একমাত্র মেয়ে ও ঠিক সেটা'ই
শিখেছে।"
কথা গুলো বলে মিম মা কে সঙ্গে নিয়ে তার ল'ইয়ার এর সাথে কোর্ট রুমে প্রবেশ করলো।।।। কারণ আজ মিসেস আফরান মাতুব্বর এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গ
দের শান্তি শোনানো হবে।
দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫০০ ধারা অনুযায়ী, মানহানি'র অপরাধের শাস্তি হিসেবে তাদের ২ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড উভয় দণ্ড দেওয়া হ'য়েছে।
মিমে'র ঠোঁটে'র কোণে বিজয়ে'র উল্লাস। সে মনে মনে বলে উঠলো,
- "দেখ মা..! তোমার মেয়ে তোমার অপমানের যোগ্য
জবাব দিতে পেরেছে। আজ মাতুব্বরে'র বউয়ের মুখ এর দিকে তাকানো যাচ্ছেনা।
অনেক আগে থেকে'ই আমি বুঝতে পেরে ছিলাম এই
মহিলা তোমাকেঃ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সকলে'র
সামনে, সমাজের সামনে ছোটো করার চেষ্টা করছে।
আর তাই আমি সুযোগে'র অপেক্ষায় ছিলাম, জানত
-ম।।।।। একদিন এই সুযোগ আমার জীবনে অবশ্যই আসবে।"
কেসে'র হিয়া রিং শেষে,,,,,,,,,
মিম মেহেরিশকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো। সে মাহবুবে রশীদ সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো,
- "স্যার আমাকে সাহায্য করার জন্য আমি ধন্যবাদ দিয়ে ছোটো করতে চাই না আপনাকে।"
তিনি বললেন,
- "মেহেরিশ তুমি কি জানো??? তুমি কত ভাগ্যবতী তোমার এমন একটা সন্তান আছে যে কি না কোনো
কিছুর তোয়াক্কা করে না। কারণ,,,,,, সে তার মা কে অনেক বেশি ভালোবাসে।"
মেহেরিশ তখন মুচকি হেসে বললেন,
- "আমার কন্যা সন্তান,
আমার জীবনে'র শ্রেষ্ঠ উপহার। ও আমার কোল জুড়ে আসার পর আমার জীবন টা একদম বদলে গেছে।
আপনি এক দিন সময় করে বাড়িতে এসে বেড়িয়ে যাবেন। আমাদের দু'জনেরই খুব ভালো লাগবে।"
ওরা কথা শেষ করে এগিয়ে যাচ্ছিলো। তখন বয়স্ক সেই ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে মেহেরিশ কে হুকুমে'র সুরে বললেন,
- "কেস তুলে নাও তোমরা। জানো? আমার মেয়ের তিন ছেলেমেয়ে আছে?"
মেহেরিশ তখন বিরক্ত হয়ে বললেন,
- "তাহলে আমরা কি করতে পারি? অমানুষ তৈরি করার আগে মনে ছিলো না?
মানুষে'র নামে মিথ্যে গুজব রটাতে কে বলেছিল তাকে?
আর হ্যাঁ, হুকুম করা বাদ দিন। কোর্ট আপনার বাপ -দাদার সম্পত্তি না। ঠিক আছে?
বয়স হ'য়েছে না?
ধর্মে-কর্মে মন দিন আপনার জন্য বরং সেটাই ভালো হবে।
আর আপনার নাতি-নাতনিরা কিন্তু বাচ্চাকে না তারা ভালো করেই জানে যে তাদের মা অপরাধ করেছে।
ও হ্যাঁ আর একটা কথা।
চব্বিশ বছর যে রটনা আপনারা আমার নামে রটিয়ে ছিলেন না।
দেখুন,,,,,,,, হয়তোবা সেটা'ই ফিরে ফিরে আসছে। আপনি সবসময় বলতেন না 'আল্লাহ ছাড়
দেয়, ছেড়ে দেয় না কাওকে।'
তাহলে আপনারা কোন ফেরেস্তা? আপনাদের ছাড় দেওয়ার কোনো কারণ আছে?" দূরে দাঁড়িয়ে'ই তার
সকল কথা শুনছিলেন তাজ সাহেব। মিম তখন গিয়ে মায়ের হাত টেনে নিয়ে বললো,
- "চলো মা,,,, বাজে কথা খরচ করো না এই মহিলার সাথে।" তারপর মা মেয়ে দু'জনে মিলে কোর্টে'র গেটে চলে এলো।
মাহবুবে রশীদ সাহেব এসে ইমানকে ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলো মিমের সাথে। মিম ইমান কে দেখে তার স্যারকে বললো,
- "ইনি আপনার ভাগ্নে স্যার? আমার ভাবতেই কেমন যেন অবাক লাগে?" ইমান মৃদু হেসে বললো,
- "আপনার দেখছি আমার সবকিছু নিয়ে'ই সমস্যা।
আন্টি চলুন, আমি বাসায় ছেড়ে আসছি আপনাদের কে।" মিম কোমরে হাত দিয়ে ইমানে'র দিকে তাকিয়ে রইলো। ইমান তাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
- "আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট'স মেইল করেছি। একটু সময় বের করে চেক করে দেখবেন ঠিক আছে?"
- "আর্জেন্ট?"
- "হুমম! আশা করছি ওগুলো আপনার বেশ কাজে লাগবে।"
চলবে,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com