ফোঁড়া বিস্ফোরণ
আলোঃকি হয়েছে মেঘ?তুমি ঘরে এভাবে ঘাপটি মেরে বসে বসে কাঁদছো কেন?(উওেজিত হয়ে)
মেঘঃবউমনি আমার তো সর্বনাশ হয়ে গেছে বউমনি!আমি আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবো না বউমনি।
বউমনিঃতুমি কাঁদছো কেন?আমাকে বলো কি হয়েছে? তুমি এভাবে এভাবে কাঁদলে আমার কষ্ট হয় মেঘ?প্লিজ বলো আমাকে..(চোখ ছলছল করে)
মেঘঃ বউমনি খুব ব্যাথা করছে আমার?আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
আলোমনিঃকোথায় ব্যাথা করছে আমাকে বলো!এভাবে কাঁদে না সোনা।আমাকে বলো!!!
মেঘঃআসলে আমার ইয়ে হয়েছে?
আলোঃকি হয়েছে?বলো?????
মেঘঃআমার আমার না ফোড়া হয়েছে!আর খুব ব্যাথা করছে
আলোঃকবে ফোঁড়া হয়েছে?আর আমাকে বলো নি কেন?দেখি আমাকে দেখাও..
মেঘঃনা তোমাকে দেখানো যাবে না বউমনি!মাগো কি ব্যাথা হাই হাই! ও মা গো মরে গেলাম গো...
আলোঃআমার কাছে কিসের লজ্জা মেঘ!আমাকে না দেখালে বা বললে! আমি তোমার ব্যাথা কমানোর ব্যবসথা করবো কি করে বলো।
মেঘঃআসলে আমার বামে (পেছন সাইড)ফোঁড়া উঠছে!আমি এজন্য হাটতেও পারছি না আর কোথাও বসতেও পারছি না।
আলোঃআহারে! ফোঁড়া বের হওয়ার আর জায়গা পেল না!
এসব জিনিস গুলো এত ছ্যাচড়া কেন বুঝি না!
ইসস রে এসব সেনসিটিভ জায়গায় এসব বের হয়।এখন কি হবে?(হাসি চাপিয়ে রেখে)
মেঘঃতুমি হাসছো!আর আমার ধোঁয়া বের হচ্ছে
তারপর আলো কোন রকম ওর হাসিটা থামায়!অনেক বোঝানোর পরেও মেঘ আলোকে
ফোড়াটা দেখাতে চাই নি।আলোও আর জোর করে নি!তারপর ওরা দুজন মিলে ঠিক করে
কালকে হসপিটালে যাবো কারন ইনফেকশন হলে সাড়ে সর্বনাশ।
মেঘকে আলো কোন রকমে ওর কান্না থামিয়ে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
তারপর পরের দিন সকালে...
-
রোদঃকি রে মেঘ তুই এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছিস কেন?
মেঘঃকোমরে একটু ব্যাথা পেয়েছি তাই আর কি?
আলোঃ হুমম তারাতারি খেয়ে নাও আমরা হসপিটালে যাবো।
রোদঃকেন কেন?সিরিয়াস কিছু নাকি!আমাকে বলো..
আলোঃহুমম একটু সিরিয়াস
মেঘঃনা না কোন সিরিয়াস না।আমি একদম ঠিক আছি
(বউমনি আর ভাইরাল করো না! আমি লজ্জাতে এমনিতেই মরে যাচ্ছি তোমার পাঠক-পাঠিকাদের হাসি দেখে।আর এই বুইড়া দামড়া আমার দাভাইকে জানিয়ে আমার ইজ্জতের রসমালাই করো না)
রোদঃ কি হলো বলো আমাকে?(উওেজিত হয়ে)
আলোঃআসলে ওর ইয়েতে ফোঁড়া হয়েছে!বিষফোঁড়া আর অনেক ব্যাথা এজন্য হাঁটতে পারছে না।
রোদঃইয়েতে মানে কি?খুলে না বললে বুঝবো কি করে?
আলোঃপেছন সাইড
রোদঃওহ হো আর জায়গা পাইনি! বাহ্ ভালো তো তোর ইয়েতে ফোঁড়া হয়েছে মেঘ ট্রিট দে ভাই!এতদিন তো আমার ইজ্জতের ফালুদা করছিস তুই আর আলো মিলে আজকে তোকে বাগে পাইছি।দাড়া পরী আর পিংকিকে বলছি তোর ইয়ে হয়েছে..
মেঘঃনাআআআআা!আমি আর কোন দুষ্টুমি করবো না তাও এসব ভাইরাল করো না। আমি ভদ্রের ভ হয়ে যাবো গো দাভাই। ওদের কে এসব বলো না
রোদঃ
রোদ ওদের কে হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে রোদ অফিসে চলে যায়!আলো মেঘকে ধরে ধরে
হসপিটালের ভেতরে ঢুকে আর ওখানে গিয়ে জানতে পারে কোন ছেলে ডাক্তার আপাতত নাই।
যারা আছে তারা ওটিতে আছে...আর মেয়ে ডাক্তার আপাতত ফ্রী আছে।
এবার মেঘ পড়ে গেছে মাইনকার চিপায় বেচারা চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে...
-
মেঘঃসারাজীবন আমি ফোঁড়া নিয়ে ঘুরবো তাও কোন মেয়ে ডাক্তারকে আমার ইয়ে দেখাবো না।
আলোঃ আরে কিছু হবে না তো মেঘ!আমি আছি তো(মেঝেতে বসে গড়াগড়ি খাচ্ছে)
এবার মেঘ রাগে, কষ্টে,দুঃখে কি করবে বুঝতে না পেরে! একটা চেয়ারে ধপাস করে বসে পড়লো!
আর মা গো মা করে চিৎকার করে উঠলো!মেঘ এত জোরে চেয়ারে বসেছে যে মেঘের ইয়ের ফোঁড়াটা বিস্ফোরণ হয়েছে।মেঘ ব্যাথাতে আরো জোরে জোরে কাঁদছে আর বলছে..
মেঘঃদোয়া করি যারা যারা আমার এই দুঃখের দিনে হেসেছে! তাদের সবার বেশি না তিনটা করে
ইয়েতে ফোঁড়া হোক..আর আমি একা একা আমার ফোঁড়া বিস্ফোরণ করবো তাও
কাউকে আমার ইয়ে দেখাবো না।
মেঘ কাঁদছে আর ওখানে যারা দাড়িয়ে আছে তারা বিষয় টা বুঝতে পেরে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে...
(হুট করে আমার মেঘের কথা মনে পড়লো তাই দুইলাইন লিখে ফেললাম।
আর কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না)
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com