Breaking News

বোকা ছেলে। পর্ব - ০৫

রিক্ত প্যাকেট টা

হাতে নিয়ে পুলিশ চেক পোস্ট পর্যন্ত যেতেই একজন পুলিশ রিক্তকে থামায়। রিক্তকে চেক করে। হাতের প্যাকেট টা নিতেই রিক্ত পুরো থ হয়ে গেলো। পুলিশ অফিসার রিক্তর কলার ধরে ফোনটা বের করে
- স্যার পেয়ে গেছি। একটা ছেলের কাছে। আমরা ওকে নিয়ে চলে আসছি।
অন্য পুলিশরা এসে রিক্ত কে ধরে। হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দিলো। রিক্ত বোকার মতো অবাক হয়ে গেলো। পুলিশ অফিসার রিক্তর গালে কষে থাপ্পড় মেরে
- এই ওকে গাড়িতে তোল।
রিক্ত বলতে লাগলো
- স্যার স্যার আমি কি করছি? কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি কি করছি?
রিক্তকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেলো।
রেজা সিয়াম প্রান্ত ফোন টা বের করে
- ভাই কাজ হয়ে গেছে। আপনি এখন আসতে পারেন।
ওপাশ থেকে
- কাজের মতো কাজ করলি। সুন্দর প্ল্যান ছিলো তোদের। তোদের ব্যাগ টা জায়গা মতো চলে যাবে।
- ধন্যবাদ ভাই।
ফোনটা কেটে দিলো। রেজা বললো
- আমাদের টাকার ব্যাগটা নিয়ে পালিয়ে থাকতে হবে কিছুদিন।
সিয়াম অবাক হয়ে
- কেন?
- আরে ঐ বলদ টা যদি আমাদের নাম বলে দেয়।
- ঠিকি বলছিস। তবে মনে হয় না পুলিশ আমাদের কিছু করবে।
রিক্তকে থানায় নিয়ে ঝুলিয়ে পিঠানো শুরু করলো। আর বলতে লাগলো
- বল কোথায় পেয়েছিস।
- স্যার আমাকে ছেড়ে দেন। আমি কিছু জানি না। আমি কি করছি?
- কিছুই জানিস না। এখন সাধু সাজা হচ্ছে।
- স্যার আমার অপরাধ টা কোথায়। কেন মারছেন আমাকে।
- কত দিন থেকে চলছে তোর এসব কারবার।
রিক্ত কিছুই বুঝতে পারছে না। প্রতিটা মার রিক্ত চিৎকার দিয়ে উঠছে। এর ভেতর বড় অফিসার এসে
- কি হচ্ছে কি হ্যা এখানে?
বড় স্যারের কথা শুনে সবাই থেমে যায়। অফিসার বললো
- স্যার এই ছেলেটার থেকে আমরা এসব মারছি।
বড় অফিসার রেগে
- তোমাদের মতো কিছু মুর্খ্য অফিসারের জন্য আমাদের মান থাকে না। ওকে নামাও।
থানার অফিসার অবাক হয়ে
- স্যার।
- চুপ থাকো। তুমি যাকে ধরে এনে বেধরক মারছো তার বয়স জানো৷ মুর্খ্য।
রিক্তকে নিচে নামিয়ে চেয়ারে বসালো। বড় অফিসার রিক্তর সামনে বসে
- তোমার কাছে মাদক আর বোমের ফর্মূলা গুলো কই থেকে পেয়েছো।
-স্যার আমি কিছু জানি না।
বড় অফিসার প্যাকেটা হাতে নিয়ে
- এটা তো তোমার থেকেই পেয়েছে।
- এটা আমার বন্ধুরা আমাকে দিয়ে বললো সামনের দোকানে দিতে। আমি ওদিকেই যাচ্ছিলাম।
- তোমার বন্ধুরা কারা নাম বলো তো।
- সিয়াম রেজা আর প্রান্ত।
বড় অফিসার উঠে দাঁড়িয়ে
- যাও ওদের ধরে নিয়ে এসো। একটু জেনো দেরি না হয়।
বড় অফিসার ফোনটা বের করে ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বললো।
থানার অফিসার ফোনটা বের করে
- স্যার ঝামেলা হয়ে গেছে। বড় স্যার এসেছে। ছেলেটা তো নাম বলে দিছে। আপনি যা করার ব্যস্ত করেন।
ওপাশ থেকে
- ঠিক আছে আমি দেখছি ব্যাপার টা।
মর্জিনা বেগমের কানে খবর টা যেতেই এলাকার মাতবরকে সাথে নিয়ে থানার দিকে ছুটলো।
পুলিশে সিয়াম রেজা আর প্রান্তকে ধরে নিয়ে আসলো। ডাক্তার রিক্তকে ইনজেকশন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো। সিয়াম রেজা প্রান্ত বলতে লাগলো
- স্যার আমাদের ধরে আনছেন কেন? কি করেছি আমরা।
- ভেতর চল বুঝতে পারবি।
রেজা প্রান্ত সিয়ামকে ভেতরে নিয়ে গেলো রিক্তর সামনে। রিক্তর অবস্থা দেখে আতংকে উঠে তিন জনে। বড় অফিসার রিক্ত কে বললো
- দেখো তো এরা কি না?
- হ্যা স্যার এরা।
বড় অফিসার তিনজনের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে
- তোমরা ওর হাতে প্যাকেটা দিয়েছিলে কেন? তোমাদের কাছে কে দিছে।
সিয়াম বললো
- কিসের প্যাকেট। আর আমরা ওকে কি দিতে যাবো।
রিক্ত বললো
- স্যার ওরাই দিছিলো।
প্রান্ত বললো
- স্যার ও তো বোকা আমাদের ফাঁসানোর ট্রাই করছে। আমরা ওর সাথে কোচিং এ মজা করি বলে আমাদের ফাঁসাচ্ছে ।
রেজা বললো
- স্যার ওর কথা বিশ্বাস করবেন না। ও আমাদের ফাসাচ্ছে।
রিক্ত আস্তে আস্তে বললো
- স্যার ওরা আমার কাছে দিছিলো প্যাকেট টা।
- এই বলদের বাচ্চা তুই কি বলছিস। তুই বোকার বাচ্চা বোকা আমাদের নাম টাই খুজে পেলি আর কারো নাম পেলি না।
রিক্ত বেহুশ হয়ে পড়ে। বড় অফিসার গম্ভীর গলায় কিছু বলতে যাবে তখনি একজন এসে
- স্যার ও আমার ছোট ভাই। ওরা তিন জন আমার সাথেই ছিলো। ঐ ছেলের তথ্য ভূল। ভয় তে বন্ধু দের নাম বলে দিছে।
- আচ্ছা তোমার লোক তাহলে। ঠিক আছে নিয়ে যাও।
- ধন্যবাদ স্যার।
সিয়াম রেজা প্রান্ত কে নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে গেলো। থানার অফিসার বেশ অবাক হয়ে যায়। এতো সহজে ওদের যেতে দিলো। অফিসার যেয়ে বললো
- স্যার ছেলেটার মা এসেছে।
বড় অফিসার বেরিয়ে গেলো। মর্জিনা বেগমের সামনে দাঁড়িয়ে
- আপনার ছেলে কি করেছে জানেন?
মর্জিনা বেগম কান্না করে দিয়ে
- স্যার আমার ছেলেটা বোকা। বলদ বললেই চলে। ও এমন কিছু করতে পারে না।
- বোকা রাই বেশি করে।
- আমার ছেলেটাকে ছেড়ে দিন স্যার।
এলাকার মাতব্বর বললো
- স্যার রিক্ত নম্র ভদ্র একটা ছেলে। ওকে কেউ ফাঁসিয়েছে। ও খুব ভালো একটা ছেলে। ওকে ছেড়ে দেন।
- ঠিক আছে এবারের মতো ছেড়ে দিচ্ছি। নেক্সট টাইম যদি দেখি আর এমন করছে ছাড়বো না।
- আমার ছেলেকে নিয়ে এই শহর ছেড়ে চলে যাবো থাকবো না।
বড় অফিসার বললো
- এই ওকে নিয়ে এসো।
দুজন কনস্টেবল রিক্তকে ধরে নিয়ে আসলো। মর্জিনা বেগম রিক্তর অবস্থা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেরলো.............
(waiting for next part........)

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com