এক মুঠো রোদ । পর্ব - ০৫
মা বললো আর ওমনি বিয়েতে রাজি হয়ে গেলে? দাড়াও.. মা....... ও মা....... কই তুমি?
--জিজ্ঞেস করতে হবে, কেনো তোমার জোর করে বিয়ে দিচ্ছে।
--জোর করলো কই? আমিই তো রাজি হলাম।
--ওও আচ্ছা।
--আমি চলে গেলে আপনার কাজ গুলো কে করে দেবে? পারবেন না নিজের কাপড়গুলো নিজে ধুয়ে নিতে? নিজের ঘরটা নিজে গুছিয়ে রাখতে? সময় মতো নাস্তা করে অফিসে যেতে?
--জানি না।
--সকালে এলার্ম দিয়ে ঘুমাবেন। আমি আর ডাকতে আসবো না।
--সত্যিই চলে যাবে?
--সমস্যা কি? আন্টিকে বলবেন আরেকটা কাজের লোক আনতে।
--তোমায় কখনো কেউ কাজের লোক হিসেবে ট্রিট করেনি। তুমি এই ঘরেরই একজন সদস্য ছিলে।
--তাহলে আর কি বলবো, বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন। সে আপনার খেয়াল রাখবে।
--তোমার মতো হয়তো পারবে না।
--আমি আর আপনার খেয়াল রাখবো না। যাকে বিয়ে করবো শুধু তার খেয়াল রাখবো।
--মাকে একটু ডেকে দিবে?
--কেনো?
--এমনিই, দাও না।
--আপনার কি কিছু হয়েছে?
--না। একটু মাকে ডেকে দাও।
--আচ্ছা।
মিষ্টি দরজার বাহিরে এসে মুচকি হেসে ওঠে।
সানু বেগমের রুমে এসে দেখে তিনি নামাজের পাটিতে বসে আছে। তার পাশে বসে মিষ্টি মুচকি মুচকি হাসতে থাকে।
--মিষ্টি, কিছু বলবে?
--উনি আপনাকে ডাকছে।
--কেনো?
--ওনাকে বললাম যে আপনি অন্য কোথায়ও আমার বিয়ে দিচ্ছেন। ওমনি ওনার মুড খারাপ হয়ে যায়।
--কেনো কেনো?
--আমি কি করে বলবো?
--তোমাকে পছন্দ করে নাকি?
--জানি না।
--এই পর্যন্ত বিয়ের জন্য ৭-৮ টা মেয়ে দেখিয়েছি মামুনকে। একটাও তার পছন্দ হয়নি। তাহলে কি আমার আর আমার ছেলের পছন্দ এক?
--ওকে গিয়ে বলো আমি নামাজটা শেষ করে আসতেছি।
--আচ্ছা।
মিষ্টি আবার মামুনের কাছে ফিরে আসে।
--মা কই?
--উনি ব্যস্ত আছেন। আসবে না। বলেছে আমার বিয়ে নিয়ে যেনো আপনি কোনো কথা না বলেন।
--এমন কেনো বললো?
--তা তো জানি না। হাত মুখ ধুয়ে খেতে আসেন। শেষ বারের মতো আপনাকে খাবার দেই।
--আমার খুদা নেই। আমি বাহির থেকে খেয়ে এসেছি।
--মিথ্যা কেনো বলেন? আপনার মুখটা শুকিয়ে আছে। দেখেই বোঝা যায় আপনার খুদা লেগেছে।
--আর কিছু বোঝা যায় না?
--নাতো।
--নিজের রুমে যাও। আমার খাওয়ার ইচ্ছা নেই।
--রেগে যাচ্ছেন?
--না, যাও।
মিষ্টি বুঝতে পারে সত্যিই মামুনের মুড খারাপ হয়ে গেছে।
আস্তে করে বেরিয়ে মিষ্টি আবার সানু বেগমের রুমে ফিরে আসে।
--আন্টি শেষ?
--হুম..। চলো দেখি কেনো ডাকছে।
--ওনাকে বললাম আপনি যাবেন না কথা বলতে। আর বলেছেন উনি যেনো আমার বিয়ের ব্যাপারে কোনো কথা না বলে। ওমনি রেগে গেলো। বললো খাবে না।
--দেখো কি করেছে শয়তান মেয়েটা।
--যাইয়েন না, দেখি কি করে।
--না গেলে আরো রেগে যাবে। চলো আমার সাথে।
--আমি কেনো?
--ওকে সব খুলে বলতে হবে না?
--আপনি বলেন। আমি থাকতে পারবো না। আমার লজ্জা করে।
--ওমা, তুমি না গেলে বলি কি করে?
--এখন বলিয়েন না। দেখি উনি কি করে। যদি সত্যিই উনি আমাকে পছন্দ করেন। তাহলে আমি দুপায়ে রাজি। আর একটু সময় দিন প্লিজ।
--দেখো তোমরা যা ভালো বোঝো।
মিষ্টি এগিয়ে গিয়ে সানু বেগমকে জড়িয়ে ধরে।
--অনেকদিন হলো মা ডাকতে পারিনা। খুব মা ডাকতে ইচ্ছে করছে।
--মানা করলো কে?
--আপনি যদি রাগ করেন।
--রাগ কেনো করবো?
--আচ্ছা মা, আমি উনার কাছে যাই। নাহয় রাগ করে হয়তো খাবারই খাবে না।
--আচ্ছা যাও।
মিষ্টি আবার মামুনের ঘরের দিকে পা বাড়ায়।
সানু বেগম পেছন থেকে মিষ্টির চলে যাওয়া দেখছে আর ভাবছে।
এমন একটা লক্ষ্মী মেয়েকে কি করে আমি হাতছাড়া করতাম?
যার রুপে-গুনে কোনো অংশে কমতি নেই।
একমাত্র সেই পারবে আমার সংসারটাকে সাজাতে।আমার মর্ডান মেয়ে চাই না,
বেশি শিক্ষিত মেয়ে চাই না, বেশি জ্ঞানী মেয়ে চাই না।
ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম তেমনটাই পেয়ে গেছি আমি। এবার শুধু বিয়েটা হওয়ার বাকি।
--আন্টি বলেছেন আপনাকে খাবারটা খেয়ে নিতে।
--আমার খুদা নেই।
--এই কয়দিনে যতটা বুঝলাম, আপনি সাজিয়ে মিথ্যে বলতে পারেন না। ধরা পড়ে যান।
--কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমে যাও।
--রেগে যাচ্ছেন কেনো? অনেক কষ্ট করে রান্না করেছি। না খেলে আমি কালই চলে যাবো এই বাড়ি ছেড়ে। অবশ্য আমি গেলেই বা কি, আর না গেলেই বা কি।
--তুমি কি আমার সাথে মজা করছো?
--মজা কেনো করবো? সত্যি বলছি, আন্টি আজই আমাকে বিয়ের কথা বললো।
--খাবারটা টেবিলে রেখে নিজের রুমে যাও।
--আচ্ছা আমার বিয়ের কথা শুনে আপনি কেনো রেগে যাচ্ছেন?
--আমি কেনো রাগবো?
--আপনি কি আমাকে পছন্দ করেন?
--কিহ? তোমাকে? আমার কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নাই? যে তোমাকে পছন্দ করবো! নিজের সীমানা অতিক্রম করো না।
মিষ্টি যেনো একটা ধাক্কা খেয়ে ওঠে। মামুনের মুখে এমন কথা মিষ্টি আসা করেনি।
মাথা নিচু করে রুম থেকে বেরিয়ে এসে সোজা নিজের রুমে চলে যায়।
পেছন থেকে মামুন কয়েকবার ডাক দিলেও মিষ্টি পেছন ফিরে তাকায়নি।
.
--মিষ্টি, কাঁদছো কেনো? কি হয়েছে?(রিয়া)
--এই মিষ্টি।
--কিছু হয়নি, এমনিই।
--আরে, এমনি এমনি কেউ কাঁদে? আম্মু কিছু বলেছে?
--না।
--ভাইয়া?
--না।
--তাহলে?
--কিছু হয়নি।
--আমি এক্ষুণি আম্মুকে ডাকে আনছি।
বলেই রিয়া দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। মিষ্টি চেষ্টা করেও রিয়াকে আটকাতে পারেনি।
চোখ মুছে বিছানার এক কোনায় বসে আছে সে। সানু বেগম এসে মিষ্টির পাশে বসে।
মিষ্টি তখনো নিচের দিকে তাকিয়ে বাসে আছে। দুচোখ তখনো পানিতে ভরে আছে।
--মিষ্টি, কি হয়েছে?
দ্রুত দুহাত দিয়ে চোখ মুছে হালকা মুচকি হাসি দিয়ে মিষ্টি বলে ওঠে
--কই কিছুনা তো।
--কাঁদছো কেনো?
--বাবা মাকে খুব মনে পড়ছিলো।
--মিথ্যা কবে থেকে বলা শুরু করেছো? আমি দরজার বাহিরেই ছিলাম।
ওমনি মিষ্টি সানু বেগমকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়।
--আম্মু, কি হয়েছে? ও কাঁদছে কেনো?(রিয়া)
--তোর ভাই বকছে ওকে।
--ভাইয়া কেনো বকবে ওকে?
--তোর ভাইকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর।
রিয়া হনহন করে মামুনের রুমে চলে যায়।
--আমার আর আপনাকে মা ডাকা হলো না।
--কে বলেছে হবে না? সব হবে, আমি গিয়ে ওর সাথে কথা বলবো।
--কি হবে বলেন। উনি মন থেকে কখনোই আমাকে মানতে পারবেন না। জোর করে কি সব হয়? দোষটা আমারই, ভুলেই গিয়েছিলাম আমার সীমানা কতটুকু।
--এত কিছু বুঝি না। তুমিই হবে আমার ঘরের বউ।
--জোর করবেন না প্লিজ, ওনার অমতের বিয়েটা হলে এই সংসারটা টিকবে না। অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। আর পারবো না, মরেই যাবো হয়তো।
--এভাবে কেনো বলছো? আমরা কি এতটাই খারাপ?
--কি বলছেন এসব? আমি কি এমন কিছু বলেছি?
--ওকে আমি বুঝিয়ে বলবো।
--থাক, আমি কাল সকালে চলে যাবো।
--চলে যাবে? কোথায়?
--জানি না, এখানে থেকে আমি আপনাদের মায়ায় জড়িয়ে পড়েছি। আমাকে অনেক দুর যেতে হবে। সব কিছু ভুলে যেতে হবে।
--কি বলছো এসব? তুমি কোথাও যাবে না, এখানেই থাকবে।
--আর সম্ভব না।
--দেখো মেয়ে, মুখে মুখে তর্ক করবে না। যা বলছি তা শুনো।
--প্লিজ আন্টি।
--আমি আর তোমায় বিয়ের জন্য জোর করবো না। তবুও যেও না আমাদের ছেড়ে।
--কি করবো আমি এখানে থেকে?
--আমাদের ছেড়ে গিয়ে কি করবে?
--জানি না।
--তুমি এখানেই থাকবে... আর কোনো কথা নয়...। প্রয়োজনে মামুনের সাথে কথা বলবে না। শাস্তি ওকে দিবো, তুমি কেনো শাস্তি পাবে?
--কি বলছেন?
--হুম ঠিকই বলছি, ওর এত সাহস হয় কি করে তোমাকে এমন কথা বলার? ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে। কাল থেকে ওর কোনো কাজ তুমি করবে না। খাবার দিবে না। তখন বুঝবে তোমার গুরুত্ব ওর কাছে কতটুকু। আমি আর রিয়া তো করবোই না। বুঝবে মজা।
মিষ্টি মুচকি হেসে ওঠে.....
--কি বলেন, উনি পারবেন না।
--এটাই তো ওর শাস্তি।
পেছন থেকে রিয়া রুমে প্রবেশ করে...।
--আম্মু, তোমার ছেলে আমার কোনো কথার জবাব দেয় না। চুপ করে বসে আছে।
সানু বেগম রিয়া আর মিষ্টিকে সামনে বসিয়ে সোজাসুজি বলে দেন, কাল থেকে মামুনের সাথে কথা বন্ধ, ওর কোনো কাজে সাহায্য করা যাবে না।
মিষ্টি আর রিয়াকে রুমে রেখে সানু বেগম নিজের রুমে চলে যান।
সেই রাতে মামুনও আর রুম থেকে বের হয়ে কারো সাথে কথা বলেনি।
পরদিন সকাল সাড়ে নয়টায় মামুনের ঘুম ভাঙে, লাফ দিয়ে উঠে মাকে ডাকতে থাকে, আর চিৎকার করে বলতে থাকে কেনো তাকে কেউ ৯টার আগে ডেকে দেয়নি।
কোনো দিক থেকে জবাব আসেনি। দ্রুত তৈরী হয়ে নাস্তার টেবিলে এসে দেখে মিষ্টি রিয়া আর মা সবাই নাস্তা করে চলে যাচ্ছে।
--মিষ্টি....
-(চুপ)
--রিয়া....
--(চুপ)
--আরে, কেউ জবাব দিচ্ছো না কেনো? বয়রা হয়ে গেলে নাকি সবাই?
--
--আমার নাস্তা কই?
--তোর জন্য নাস্তা নিয়ে কেউ বসে নাই, টেবিলে রাখা আছে, নিয়ে নে।(রিয়া)
--বাবারে, গলার আওয়াজ এত বদলে গেলো কেনোরে?
কেনো উত্তর না দিয়ে রিয়া স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
--মা.......
--কি হয়েছে?
--দুপুরে চলে আসবো আজ। কি রান্না করবে?
--রান্না আমি করি না। যে রান্না করে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর।
--কি ব্যাপার? সবাই এতো রেগে আছো কেনো?
কোনো জবাব না দিয়ে সানু বেগমও নিজের রুমের দিকে হাটা দেয়।
--যাব বাবা... কি হয়ে গেলো আজ সবার? মিষ্টি......
--মিষ্টি......
মিষ্টি চেয়েও যেতে পারছে না, সানু বেগম শক্ত করে মিষ্টির হাত চেপে ধরে বসে আছে।
একটু পর মামুন কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
--এত লাফালাফি করো কেনো? কাল রাতে না তোমায় বকেছিলো।(সানু বেগম)
--ডাকলো যে!
--ডাকুক। যাবে না ওর কাছে। তোমার কাছে এসে ক্ষমা না চাইলে কথা বলবে না।
--কি যে বলেন।
--ঠিকই বলছি। চলো রান্নাটা বসিয়ে দেই।
--আপনি বিশ্রাম করুন, আমি করতেছি।
--এখন না, বিশ্রাম করবো যেদিন তোমায় সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারবো সেদিন। তখন তোমার সংসার তুমি সামলাবে, আমি আসবো না মাঝখানে।
--ধুর, শুধু বিয়ে বিয়ে করেন। চলেন.....
.
দুপুরে মামুন অফিস শেষে বাসায় ফিরে আসে।
মিষ্টি আর সানু বেগম দুজনই খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়।
--মা, খুদা লেগেছে।
--ও মা....।
--চেঁচাস কেনো? টেবিলে রাখা আছে। খেয়ে নে।
--তোমরা খাবে না?
--আমাদের খাওয়া শেষ।
--ওমা, বললাম আজ দুপুরে আসবো, তবুও আমাকে রেখে খেয়ে নিলে?
--তো তোর জন্য বসে থাকতে হবে?
--এতো রেগে আছো কেনো সকাল থেকে? কি করেছি আমি?
--জানি না, জ্বালাস নাতো, যা।
--বাপরে...। কি যে করলাম আমি।
খাবার টেবিলে বসে মামুন মিষ্টিকে ডাক দেয়।
মিষ্টি দৌড়ে এসে মামুনের সামনে দাড়ায়।
--খেয়েছো?
--জ্বি।
--মা এতো রাগ দেখাচ্ছে কেনো আমার সাথে? কিছু হয়েছে?
--জানি না।
--সকালে আজ আমায় ডাকলে না কেনো?
--আমাকে কেনো ডাকতে হবে? আন্টি আমাকে আপনাকে ডাকার কাজ দেয়নি।
--বাপরে.. কি হয়ে গেলো সবার? সবাই রেগে আছে। কি করেছি আমি?
--জানি না।
বলেই মিষ্টিও নিজের রুমের দিকে হাটা দেয়।
.
টেবিলে রাখা খাবার খেয়ে মামুন সোজা মায়ের রুমে চলে যায়।
--মা....
--ও মা... কি হয়েছে বলো তো।
--কি?
--আমার সাথে কেউ কথাই বলছো না, বললেও জবাব দিয়ে চলে যাচ্ছো। কি হয়েছে?
--তোর সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছে নাই।
--কেনো? কি করেছি আমি?
--কাল রাতে মিষ্টিকে কি বলেছিলি?
--কি বলেছি?
--মনে করে দেখ।
--সে তোমায় বিচার দিয়েছে?
--না,আমি ওখানেই ছিলাম। এভাবে কাউকে ছোট করে কথা বলা কে শিখিয়েছে তোকে? এমন শিক্ষাতো তোকে আমি দেইনি।
--আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। সত্যিই আমি এটা বলতে চাইনি। মাথাটা গরম হয়ে গেছিলো, তাই কি বলতে কি বলে ফেলেছি জানি না।
--কেনো মাথা গরম ছিলো?
--ওকে অন্য কোথাও বিয়ে দিচ্ছো, আমাকে কেউ জানালেও না।
--জানালে কি করতি?
--আমি তো এই ঘরেরই সদস্য তাই না! আমি জানতে পারি না?
--কোথাও ওর বিয়ে ঠিক হয়নি, ও দুষ্টুমি করেছিলো তোর সাথে।
--দুষ্টুমি?
--হুম।
--বিয়ে নিয়ে?
--হুম, আমিই মিষ্টির বিয়ের কথা তুলেছিলাম। তাই তোর সাথে গিয়ে দুষ্টুমি করলো।
--এতদিন আমার পেছনে লেগেছিলে বিয়ে নিয়ে, এখন মিষ্টিকে নিয়ে লেগেছো। মেয়েটা আমাদের মেহমান, কে বলেছে তোমায় ওর বিয়ে নিয়ে কথা বলতে?
--ওকে তো আমার ভীষণ পছন্দ, একদম লক্ষ্মী একটা মেয়ে। আজ কালতো এমন মেয়ে পাওয়াই যায় না। তাই বিয়ের কথা বললাম ওকে।
--এত লক্ষ্মী মেয়ে হলে কেনো তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছো?
--তোকে তো কত মেয়ে দেখালাম বিয়ের জন্য, তোর তো কেনো মেয়েই পছন্দ হয় না। মিষ্টিকে তোর পছন্দ হয়?
--কি যে বলো না মা, এসব পছন্দ অপছন্দ নিয়ে আমি কখনো ভাবি নি। ও থাকুক এবাড়িতে, এত বিয়ে বিয়ে করিও না।
--মেয়েটার একটা ভবিষ্যৎ আছে, তাছাড়া সে এবাড়ির কাজের মেয়ে না। বিপদে পড়েই মেয়েটা এখানে আছে। আর তার এই বিপদের সুযোগ নেওয়াটা অমানুষের কাজ। এই কাজ আমি করতে পারবো না। যদি তুই রাজি থাকিস তাহলে আমাকে বল, আমি মিষ্টিকে জানাই। আর না হয় যদি পারি মিষ্টির অনুমতি নিয়ে ওকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দিবো। এভাবে আর না।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com