Breaking News

বখাটে ছেলে আর রাগী মেয়ের প্রেম কাহিনী । পর্ব -০২


শালী আমায় থাপ্পড় দেওয়ার মজা বুঝো।

অবন্তিকা চিৎকার দিয়ে দৌড়াচ্ছে আর রকি তার পিছে পিছে তেড়ে যাচ্ছে।

আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে না বলে বুঝাতে পারবো।

অবন্তিকা দৌড় দিয়ে একটা বাসাতে ঢোকে গেলো।আর রকি আমাদের কাছে ফিরে আসলো।

আমি বুঝতে পারলাম অবন্তিকা ঠিক মতোই ভয় পেয়েছে।

আমারে থাপ্পড় দেওয়ার মজা টা হাড়ে হাড়ে টের পাইছে শালী।

আমি আর আমার বন্ধুরা রকি কে বলতে লাগলাম।
----সাব্বাস ভাই আমারে থাপ্পড় দেওয়ার প্রতিশোধ টা ভালো ভাবেই নিয়েছিস।....(আমি)
----রকি তরে মেলা ধন্যবাদ।আজ তর জন্য স্পেশাল খাওয়া আছে।......(আবির)
----কি স্পেশাল খাওয়া আজ রকি রে খাওয়াবি।.....(আকাশ)
----আজ কারো বাসা থাইকা মুরগি চুরি করবো তারপর সেটা ভালো করে রেঁধে রকি রে খাওয়াবো।....(আবির)
----মুরগি চুরি কইরা আমরা না খাইয়া এই কুকুর টারে খাওয়ামু।....(আকাশ)
----ঐ ওরে কুকুর বলবিনা। রকি বলবি রকি।....(আবির)
---হ এহন কুকুর রেও কুকুর বলা যাবো না।.....(আকাশ)----এই তরা থামবি।......(আমি)
----থামলাম✋✋।....(আবির)
----এখন চল এখান থেকে।......(আমি)
----কোথাই যাবো।..(আবির)
---এখানে আর এখন থাকা যাবে না।রিক্স আছে বুঝছিস।..... (আমি)
---হ বুঝছি চল চায়ের দোকানে যামু।.....(আবির)
---এই রকি ভাই আসো।.....(আকাশ)
.
এই বলে আমরা সবাই সেখান থেকে চলে আসলাম চায়ের দোকানে।
শালী মনে হয় ঠিক মতোই ভয় পাইছে।
যে চিৎকার টা দিছে আর যে ভাবে দৌড় টা দিলো।অনেক ভালো লাগছে আমার।
থাপ্পড় দেয়ার প্রতিশোধ টা নেওয়া হয়ে গেছে।
ফিল্মে নায়িকাদের পেছনে যখন ভিলেন রা তাড়া করে আর তখন নায়িকারা যেভাবে দৌড়ায়, 
অবন্তিকাও সেভাবেই দৌড়াচ্ছিলো আমার রকির তাড়া খেয়ে।
অবন্তিকার এই অবস্থা দেখে আমি থাপ্পড় খাওয়ার কথা ভুলে গেছি।
থাপ্পড় এর প্রতিশোধ টা ভালো ভাবেই নিলাম।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষে বাসায় চলে আসলাম।
ঠাসসস👋👋👋👋
ঠাসসসস👋👋👋👋
ঠাসসসসস👋👋👋👋
---না আর এমন করবো না এবারের মতো ছেড়ে দেন।
---আরো করবি এমন।
ঠাসসসসসসসসস
----না আর করবো না।এবারের মতো মাফ করে দেন।
----আজ থাপ্পড় দিতে দিতে তর ৩২ টা দাত আমি খুলে ফেলবো।
ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসস 👋👋
----এই হৃদয় কি হয়ছে তর ঘুমের মধ্যে কি সব বলছিস এসব।.....(মা)
হঠাৎ মায়ের ডাকে আমার ঘুম ভেঙে গেলো।আমি বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে পরলাম।
----কি হয়ছে মা সকাল সকাল চিৎকার করে ডাকছো কেন।.....(আমি)
---ঐ তুই ঘুমের মধ্যে কি সব বলছিস।.....(মা)
---না মা কিছু না।.....(আমি)
---তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় খাবার টেবিলে।.....(মা)
-----আচ্ছা যায়তাছি।......(আমি)
.
উফফফফফফফফ কি বাজে একটা স্বপ্ন দেখলাম।
আমি স্বপ্নে দেখলাম অবন্তিকা আমায় ইচ্ছে মতো থাপ্পড় দিতাছে।
আর বলতাছে আরো কুকুর লাগিয়ে দিবি আমার পিছনে।
এই গুলো বলছে আর ইচ্ছা মতো থাপ্পড় দিতাছে।
ভাগ্যিস মা ডাক দিয়ে স্বপ্ন টা ভেঙে দিয়েছিলো, তা হলে আরো কত থাপ্পড় খাইতাম।
 এহহ স্বপ্ন টা তো আবার সত্যি হবে না তো।ধুর আমি কি সব ভাবছি।
অবন্তিকা যদি এবার থাপ্পড় দিতে আসে তাহলে মুচড় দিয়ে তার হাত ভেঙে দিবো।
আমি খেয়ে দেয়ে বাসা থেকে বের হলাম। 
আমার সেই কলিজার টুকরা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য।
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি এমন সময় কে যেন পিছন থেকে বলে উঠলো।
---ঐ দাড়ান.....
আমি পিছন ফিরে দেখতে পেলাম অবন্তিকা আমায় ডাকছে।
অবন্তিকা কে দেখেই আমার আজ স্বপ্ন টার কথা মনে পরে গেলো।
এই রে স্বপ্ন টা তো আবার বাস্তবে রুপ নিবে না তো।
ধ্যাত কি সব ভাবছি আমি।আজ যদি অবন্তিকা ওরকম কিছু করে তাহলে 
আমি যে কত টা খারাপ তা আজ ভালো করে বুঝিয়ে দিবো।
আমি একটু ভাব নিয়ে বললাম।
----কাকে দাড়াতে বললেন।...(আমি)
---আশেপাশে তো আপনি ছাড়া আর কেও নেই। আপনাকেই ডেকেছি।.....(অবন্তিকা)
আমি এবার একটু অন্য রকম ভাব নিয়ে বললাম।
---কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন আমার কাজ আছে।।.....(আমি)
---কি কাজ যে আছে সেটা ভালো করেই জানি।
বখাটেদের তো কাজ একটাই সারা দিন আড্ডা দেয়া আর  মানুষ কে বিরক্ত করা।.....(অবন্তিকা)
😡😡😡😡😡
মন টা চাইতাছে শালীরে তুইলা আছাড় দিতে।
----তো আপনার কি।.....(আমি)
----আপনি কি ঐ দিনের থাপ্পড় এর কথা ভুলে গেছেন।......(অনবন্তিকা)
---আমার স্মৃতি শক্তি কম তাই আমি প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া আর অন্য কিছু মনে রাখিনা।.......(আমি)
আমি খেয়াল,করলাম অবন্তিকার মুখ টা লাল হয়ে যাচ্ছে।
-----আপনাকে না ইচ্ছা মতো থাপ্পড় দেয়া উচিৎ। কাল আমার পিছে কুকুর লাগিয়ে দিয়েছিলো কে?.....(অবন্তিকা)
.
শালী কথায় কথায় থাপ্পড় করে কেন।মন টা চাইতাছে কি যে করতে।নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করলাম।
----কুকুর টাকে আপনার পিছে লাগছিলো।আপনি কুকুর টা কে জিজ্ঞাসা না করে আমায় এসব জিজ্ঞাসা করছেন কেন।.....(আমি)
----আপনাকে কি যে করতে ইচ্ছে করতাছে।আর কোনো সময় যদি এমন করেন। তাহলে?.
...(অনবন্তিকা)
----দেখেন মিথ্যা অপবাদ দিবেন না।
আর আপনাদের স্বভাবের জন্যই কুকুর টা আপনার পিছে লাগছিলো।....(আমি)
---যত্তসব বাজে ছেলে। আপনাদের মতো ছেলেদের মুখটাই দেখতে ইচ্ছে করেনা।..... (অবন্তিকা)
---তো দেখতে বলেছে কে আপনাকে আমাদের মতো ছেলেদের মুখ।......(আমি)
অবন্তিকা আমার দিকে তাকিয়ে।
----উফফফফ যত্তসব ফালতু ছেলে।......(অবন্তিকা)
এই বলে অবন্তুকা চলে গেলো।শালী আজ আমার মেজাজ টাই খারাপ করে দিলো।
আমি কি তাকে বলেছি আমাদের মতো মুখ দেখতে।কথায় কথায় খালি থাপ্পড়।
 আজ থাপ্পড় দিয়ে দেখতি কি অবস্থা করতাম তর।
আড্ডা দেওয়ার আর কোনো মুড ই নাই।
.
প্রায় কিছুদিন পর।
আমি আমার বন্ধুরা বসে গল্প করছি।
এমন সময় দেখতে পেলাম অবন্তিকা এদিক দিয়ে কোথাই যেন যাচ্ছে।
অবন্তিকা কে দেখে আমাদের এলাকার আরো কিছু অতিরিক্ত বাজে ছেলেরা বলে উঠলো।
---ইসসসস কি জিনিস মাইরি।
---মামা কি মাল রে।মনে হয় এলাকাতে নতুন।
আমি খেয়াল করলাম অবন্তিকা এসব শুনে ঐ ছেলে গুলোর কাছে গেলো।
যেয়েই একটা ছেলে কে থাপ্পড় দিতে গেলো।কিন্তু ঐ ছেলেটা অবন্তিকার হাত ধরে ফেললো।
অবন্তিকা এবার তার হাত টা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ছেলেটা ছাড়ছে না।ছেলে গুলো বাজে বাজে কথা বলে যাচ্ছে।
.
ভালোই হয়ছে।মেয়ে মানুষের এতো রাগ ভালো না।এবার মজা বুঝো।
আমি মনে এসব বলছি।কিন্তু ছেলে গুলো তাদের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলো।
আমি আবার মেয়েদের অপমান সহ্য করতে পারিনা।মেজাজ টা এবার সত্যি খারাপ হয়ে গেলো।
আমি এবার ঐ গুলোর কাছে যেতে লাগলাম।আমার পিছনে পিছনে আমার বন্ধুরা আসতে লাগলো।
আমাকে দেখেই ছেলে গুলো অবন্তিকা কে ছেড়ে দিয়ে দৌড় দিলো।
এবার বন্ধু আবির অবন্তিকা কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলো।
---ঐ সালারা দৌড় দিলি কেন দাড়া।
সালারা রাস্তায় এই অবলা নিরীহ মেয়ে টারে একা পেয়ে ইভটিজিং করছ।......(আবির)
.
অবন্তিকা এবার আবিরের দিকে তাকালো।আবির এবার চুপ হয়ে গেলো।
এবার অবন্তিকা ঐ ছেলে গুলো কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো।
---বাজে ছেলে যত্তসব পরে বুঝাবো।....(অবন্তিকা)
---এই শুনেন মেয়ে মানুষের এতো রাগ ভালো না।.....(আমি)
---ঐ দিনের জন্য সরি।....(অবন্তিকা)
---কোন দিনের।....(আমি)
---ঐ যে যেদিন আপনাকে থাপ্পড় মারলাম সেই দিনের।....(অবন্তিকা)
---সে দিন থাপ্পড় টা না মারলেও পারতেন।
আসলে আমরা আপনাকে উদ্দেশ্য করে সেদিন গান গাইনি।
আমরা প্রতিদিন ই সেখানে বসে সেখানে গান গায়।......(আমি)
---ওওও আমি ভেবেছিলাম আপনি আমাকে উদ্দেশ্য করে গান 
গাইছিলেন তাই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিলো।......(অবন্তিকা)
---দেখেন আমরা কিন্তু তত টা খারাপ ছেলে না যত টা আপনি ভাবছিলেন।
আমরাও নারীদের সম্মান করি।
তাদের নিয়ে বাজে কিছু করার করার কোন মন মানসিকতা আমাদের নেই।.....(আমি)
---- ওওও আসলে আমি।...... (অবন্তিকা)
---থাক আর কিছু বলতে হবে না।আর যাকে তাকে থাপ্পড় দিতে যাবেন না।.....(আমি)
এই বলে আমরা চলে আসলাম সেখান থেকে।নিজেকে হিরো হিরো লাগতাছে।
আজ আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে একসাথে সিগারেট টানছি।
এমন সময় অবন্তিকা এসে যা করলো তা আমি বিশ্বাস ই করতে পারছি না।
অবন্তিকা এসে আমার.......
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com