Breaking News

জেলাসবতী বউ । পর্ব -০৫



শার্ট খুলব কেনো?

- আমার খুব ইচ্ছে করছে আপনার লোমশ বুকখানা দেখতে। একবার ছোয়ে দিতে।
আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম তিথির দিকে। তিথি ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
- তিথিমনি, এখন তো আমি বাইরে যাবো। রাতে দেখে নিও কেমন?
- না, আমি এখন দেখতে চাই।
- পরে দেখলে হয় না।
- না।
তিথি জেদ ধরে বসল। কি আর করা শার্ট খুলে সেন্টো গেঞ্জিটাও খুললাম। তিথি এগিয়ে আসল আমার দিকে। নেশাগ্রস্ত চোখে তাকিয়ে আছে।
উনাকে শার্ট খুলতে বলতে আমার একটুও লজ্জা করল না? বিষয়টা আমারও কেমন জানি লাগছে। জানি না কি হচ্ছে আমার? আমার শুধু উনার লোমশ বুকটা একবার ছোয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে।
- শুধু তাকিয়েই থাকবে? নাকি অন্যকিছুও করবে।
মিটমিট করে হেসে বলপেন উনি।
জানিনা কেনো তখনও আমার লজ্জা লাগেনি। তিথি একটু একটু করে এগিয়ে এলো আমার দিকে। বুকে হাত বুলাতে লাগল। আমি তাকিয়ে দেখছি আমার পিচ্ছি বউটার দিকে।
দিনদিন বেশ রোমান্টিক আর পাকনা হয়ে যাচ্ছে।
তিথি বুকে হাতাতে হাতাতে হঠাৎ করেই চুমু দিয়ে বসল। ঘটনার দ্রুততায় আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। বুঝতে পারিনি তিথি এমন করবে।
তিথি ভাবছে, হায় হায় একি করে বসলাম? বুঝতেই পারিনি এমন কিছু করে ফেলব। আর আমি বুঝব কি করে? আমিতো উনার উপর নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ঘোর লেগে গিয়েছিল আমার। এখন উনার দিকে তাকাব কি করে? উফফ কি লজ্জাটাই না করছে।
আমি তাকিয়ে দেখলাম তিথি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। গাল দুটো রক্তিম হয়ে গেছে।
তিথি দৌড় দিবে তার আগেই আমি হাত ধরে নিলাম। ঠান মেরে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলাম। কোমড়ে ধরে জরিয়ে রাখলাম। তাকিয়ে থাকলাম তিথির দিকে।
- কি করছেন? ছাড়ুন না। ( লজ্জা পেয়ে বলল।)
- উহু, ছাড়ব কেনো?
- ছাড়ুন না। আম্মু এসে পড়বে...।
- আসুক।
তিথির ঘারের দিকে মুখ এগিয়ে নিলাম। বাম কাধে চুমু একে দিলাম। তিথি কেপে উঠল। নিশ্বাস ঘন হয়ে আসল তিথির।
- একটা আগে যেটা করলে সেটা আবার করো না।
- কি?
তিথি চোখ বুজা অবস্থায় বলল।
- কেনো? মনে নেই একটু আগে কি করেছিল?
তিথির একটু আগের কথা মনে পড়ল। উনি বুকে চুমু দেয়ার কথা বলছেন না তো। ইশ কি লজ্জা করছে আমার? কথাটা মনে হলেই তিথি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
- কি হল মনে নেই? আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি। আমার বুকে কিস কর...
- পারব না।
- কেনো? আগেতো ঠিকই পেরেছিলে।
তিথির নাকে নাক ঘসে বললাম।
- আগেতো আমি এমনিই করে ফেলেছিলাম..।
- তোমার নিজের ইচ্ছেতে করোনি?
- না, হ্যা, না মানে আসলে..
- হয়েছে বলতে হবে না। বুঝে গেছি।
- তা, আমার বুকে কি এমন আছে যে তুমি দেখার জন্য উতলা হয়ে গেলে?
- জানিনা..।
ব্লাশিং হয়ে বলল তিথি।
- বলোনা..।
মিনতি করে বললাম তিথিকে। কোমড়ে ধরে আরেকটু নিজের কাছে নিয়ে এলাম। শক্ত করে ধরলাম,
- ভালো লাগে।
- কি?
- আপনার বুকটা দেখতে...।
- কেনো? দেখো তাহলে।
তিথি কোনো কথা বলল না। আমি তিথিকে ঘুরিয়ে নিলাম। আলতো করে কোমড়ে জরিয়ে ধরলাম। ঘাড়ে মুখ গুজে দিলাম। কানের লতিতে কামড় দিলাম আস্তে করে।
নিজেকে কন্ট্রোল করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়। নেশাগ্রস্ত হয়ে পরছিলাম তিথি চুলের অতিব সু-ঘ্রানে।
তিথি হাত-পা শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। বুকের ভিতর ধিরিম ধিরিম করে হাতুড়ি পিটাচ্ছে তিথির। লজ্জায় মুখ তুলে তাকাতে পারছে না। আবার স্পর্শ অনুভুতিতে সরে যেতেও পারছে না।
,
মোবাইল বেজে উঠল। দুজনেই বাস্তবে ফিরে এলাম। আমি ছেড়ে দিলাম তিথিকে। তিথি এক দৌড়ে চলে গেলো রুম থেকে। আমি বসে পড়লাম। কি করছিলাম এটা?
আমি এতোটা কন্ট্রোললেস কি করে হতে পারি? একবারও মনে পড়ল না তিথির কথা। তিথি এখনো পিচ্ছি। ওও এসবের জন্য প্রস্তুত না এখনো। তিথি পড়াশুনা করছে এখনো। ওর ক্যারিয়ার পড়ে রয়েছে। রয়েছে অনেক স্বপ্ন। আর সবচেয়ে বড় কথা তিথি এখনো পিচ্ছি। আর আমি কি না? উফফ কি করছিলাম এটা?
ফোনটা অনবরত বেজেই চলছে। হাতে নিয়ে দেখলাম রিয়ে ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করলাম,
- কিরে, এসব কি শুনছি আর দেখছি?
- ঠিক দেখছিস, ঠিক শুনছিস।
- মেয়েটাতো দেখতে যেমন পিচ্ছি স্বভাবেও পিচ্ছি।
- হুম। দেখলিই তো..।
- হ্যা, দেখলাম।আর সব কিছুও বুঝলাম।
- আচ্ছা, এখন রাখি।
- হুম। বাই।
- বাই।
তিথি এক দৌড়ে মিসেস সাবিনার রুমে গেলো। গিয়েই কোলে শুয়ে পড়ল। বারবার অজান্তেই হাসতে লাগল।
- কিরে কি হয়েছে?
তিথি শাশু মা বললেন।
- জানো, কি হয়েছে? উনি আমাকে জরিয়ে ধরে...
- আরে থাম, থাম। এতো পিচ্ছি কি করে হতে পারিস তুই?
- মানে!
- মানে! বুঝিস না। এসব তোদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার। এসব কাউকে বলতে নেই বুঝলি।
- কিন্তু, আমিতো তোমাকেই বলছি। তুমি তো আর পর নও।
- ইশ! বোকা মেয়ে। এসব নিজ পরের বিষয় না। তুই এগুলো কাউকে বলবি না। এসব নিজেদের ব্যাপার বুঝলি। একটু লজ্জাও নেইরে বাবা।
- আচ্ছা, বলব না। কিন্তু..
- কোনো কিন্তু না। এখন রুমে যা।
- না, আমি পারব না।
- কেনো?
- উনিতো জরিয়ে ধরলে আমার দম আঠকে আসে। কেমন যেনো লাগে?
- এটা অনুভুতি বুঝলি। এটা তোর স্বামীর প্রতি টান।
- ওও। কিসের টান?
- ভালোবাসার।
- কিন্তু, উনিতো আমায় ভালোবাসেন না।
- কে বলল? তাহলে একটু আগে কি করল এটা? ভালোবেসেই তোকে জরিয়ে ধরেছে বুঝলি।
- তাহলে, আমিতো বলেছিলাম আমার একটা বাবু চাই। উনি এনে দেননি কেনো?
- তুইতো এখনো পিচ্ছি তাই।
- না, আমি পিচ্ছি না। পরের বার কিন্তু, আমি উনার কাছে এটাই চাইবই চাইব।
- আচ্ছা, চেয়ে নিস। এখন রুমে যা।
তিথি আনমনা হয়ে রুম থেকে বের হচ্ছিলো তখনই আমি গিয়ে রুমে উপস্থিত হচ্ছিলাম। আমার সাথে ধাক্কা খেলো। পড়ে যাচ্ছিলো ধরে ফেললাম।
- আউউ..
তিথির মনে হলো এই বুঝি কোমড় ভেঙে গেলো। কিন্তু, পড়ার আগেই কেউ ধরে ফেলল। তাকিয়ে অবাক। আরে এতো আমার উনিই..
- দেখে চলতে পারো না। পড়েইতো যাচ্ছিলে।
- আমি কি করব? আপনার এতো বিশালদেহী শরীর। ( হাত দিয়ে দেখিয়ে)। তার উপর জিরাফের মতো লম্বা। ধাক্কা খেয়ে আমিতো মনে করেছিলাম দেয়াকের সাথে ধাক্কা খেয়েছি।
- কি বললে? আমি জিরাফের মতো লম্বা। দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
কিছু বলল তার আগেই তিথি দৌড়ে ডুকে গেলো। আমি ডুকেই দেখলাম আম্মু শুতে আছে।
- কি রে কি হলো?
- না, কিছুনা আম্মু। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। একটু পরেই ফিরে আসব।
- হুম, তাড়াতাড়ি ফিরিস।
- আচ্ছা, তিথি এদিকে এসো একটু।
- না, আসব না আমি।
- কেনো?
- আপনি গেলেই মারবেন।
আমি থতমত খেয়ে গেলাম।
- মারব কেনো?
- আপনার কাছে গেলেই আপনি জরিয়ে ধরবেন আমাকে। আর আপনি জরিয়ে ধরলে আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। কেমন কেম্ন জানি লাগে।
আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে আছি বড় বড় চোখ করে। আর আম্মুর ও একি অবস্থা। তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। মুখে মুচকি হাসি নিয়ে।
- আচ্ছা, আমি যাচ্ছি আম্মু।
আমি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। না হয় ইজ্জতের বারোটা বেজে যেতো। এই আমার বউটাও না। যেমন দেখতে পিচ্ছি স্বভাবেও পিচ্ছি।
,
রাতে এসে খেয়ে দেয়ে রুমে শুয়ে পড়লাম। তিথি আস্তে আস্তে করে হেটে পাশে শুয়ে পড়ল। আমি কোনো ভাবান্তর দেখালাম না। অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে থাকলাম।
,
ব্যাপারটা তিথির হজম হলো না। তিথি ভাবছে উনি কি রেগে আছেন? নাকি আমাকে দেখতে পাননি। দেখার তো কথা তাহলে আমার দিকে একবার তাকালেও না।
- এই, এই।
তিথি আমাকে ডাকতে লাগল।
- এই শুনুন না।
আমি কোনো কথা বললাম না। তিথির এবার কেঁদে ফেলার অবস্থা।
- এই তাকাননা আমার দিকে। এই..
- কি? আমি ঘুরে তাকালাম।
- আপনি রাগ করেছেন আমার উপর?
- নাহ।
বলে অন্যদিকে ঘুরে পড়লাম।
- প্লিজ ক্ষমা করে দিন আমায়। আমি জানি আপনি রেগে আছেন।
আমি কোনো কথা বললাম না।
তিথি পিছন থেকে জরিয়ে ধরল আমাকে। কেঁদে দিলো ।
- প্লিজ ক্ষমা করে দিন আমাকে। একবার বউ বলে ডাকেন না।
আমি মুচকি মুচকি হাসতে লাগলাম কোনো কথা বললাম না।
- আমিতো পিচ্ছি। একটা ভুলই না হয় করে ফেলেছি। ক্ষমা করে দিন প্লিজ।
- ওকে, ওকে। আর কাদতে হবে না।
ঘুরে তাকালাম আমি। চোখের পানি মুছে দিলাম তিথির। কপালে চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরলাম। তিথির কান্না থামল। চুপচাপ শুয়ে থাকল বুকে।
- আচ্ছা, একটা কথা বলি?
- হুম, বলো।
- আচ্ছা, আপনি আমাকে জরিয়ে ধরলে আমার এমন লাগে কেনো? এর আগেওতো সবসময় মেঘ আমাকে জরিয়ে ধরতো তখন এমন লাগেনি কেনো?
আমি হকচকিয়ে গেলাম।
- মেঘ মানে! কে মেঘ? ওও তোমাকে জরিয়ে ধরবে কেনো?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবে
.
চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com