সিনিয়র লেডি ডন বউ। পর্ব - ০১
আজ ২দিন ধরে আমায় একটা রুমে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।।
কেন রাখা হয়েছে আর কে রেখেছে এটাও আমি জানি।।
কারণটা শুনলে আপনারাও হয়তো অবাক হবেন।।
তাহলে আপনাদের আগে কারণটা বলে দেই।। কারণটা হলোঃ
মিম আপুর প্রপোজাল একচেপ্ট না করার জন্য।।
এখন আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসছে এই মিম আবার কে,
আর ও কেন আমায় প্রপোজ করেছে তাই তু..? তাহলে আগে উনার পরিচয়টা দিয়ে দেই।।
তার আগে আমার পরিচয় পর্বটা শেষ করে নেই।।
বাকিটা গল্প পড়লে জানতে পারবেন।।
.
এদিকে মিম আপু হলেন এই শহরের মালিক চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে মিম চৌধুরী।।
আর উনার বাবা মালিক চৌধরী হলেন এই শহরের নামকরা ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একজন।।
আর মিম আপু অনার্স ৩র্থ বর্ষে পড়েন।।
একদিকে উনি আমার সিনিয়র আর আরেক দিকে আমি যে ভার্সিটিতে পড়ি উনিও সেই ভার্সিটিতেই পড়েন।।
এখন আপনাদের প্রশ্ন উনি আমায় কেন প্রপোজ করলেন আর এইখানেই বা কেন আটকিয়ে রাখলেন।। তাহলে চলুন একটু ফ্লেশব্যাক থেকে ঘুরে আসি।।
ইন্টার পরিক্ষায় পাস করে নতুন একটা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।।
তু ভার্সিটির প্রথম দিন ভার্সিটিতে ঢুকতেই একটা মেয়ে আমায় ডাক দিল।।
ওই ছেলে এদিকে আয় (মেয়েটা)
প্রথমে বুঝতে পারি নি যে মেয়েটা আমায় ডাকছে।।
তাই কোনোদিকে না তাকিয়েই আগের মতো হাটতে লাগলাম।।
.
ওই ব্লেক শার্ট আর কালো পেন্ট তোকেই ডাকছি এদিকে আয় (আবার মেয়েটা ডাক দিল)।।
এখন দাড়িয়ে পরলাম আর বুঝে গেলাম মেয়েটা আমাকেই ডাকছে।।
কারণ আজ আমি ব্লেক শার্ট আর কালো পেন্ট পরেই এসেছি।।
আশেপাশে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি কে আমায় ডাকছে।।
তখন একদল ছেলে টাইপের মেয়েদের দিকে চোখ পরতেই ওদের মধ্যে একটা মেয়ে আমায় আঙুল ইশারা করে ওদের কাছে আসতে বলল।।
আমিও বুঝে গেলাম যে এরাই আমায় ডাকছে।। তাই মাথা নিচু করে ওদের পাশে গিয়ে দাড়ালাম।।
আমিঃ জি আপু আমায় ডাকছেন..? (মাথা নিচু করে)
এইখানে তু তুই ছাড়া অন্য কাউকে দেখছি না তাহলে কাকে ডাকব..?
(ওদের মধ্যে একটা মেয়ে বলল কথাটা)
আমিঃ মাথাটা তুলে একটু আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সত্যিই কেউ নেই।।
জি বলেন আমায় কেন ডেকেছেন..?
মেয়েটাঃ এতক্ষণ ধরে যে ডাকছি শুনতে পাস না..?
আমিঃ সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নি যে আপনারা আমায় ডাকছেন।।
মেয়েটাঃ কিরে মিম এ তু দেখছি পুরা আবুলের মতো কথা বলছে (ওর পাশের একটা মেয়েকে বলল কথাটা)।।
মিমঃ ওই তোর নাম কিরে..?
.
আমিঃ জি আমার নাম তামিম আর আপনার..?
মেয়েটাঃ এখন যে আমি ওর নাম ধরে ডাকলাম শুনতে পাস নাই,
তাহলে আবার নাম জিজ্ঞেস করছিস কেন..?
আমিঃ যেহেতু উনার নাম জিজ্ঞেস করেছি সেহেতু নামটা উনার মুখেই শুনতে চাই।।
এইখানে আপনার কথা না বললেও হবে।।
মেয়েটাঃ কিহহ তোর এতো বড় সাহস তুই আমার মুখে মুখে তর্ক করিস।। এই মিম তুই চুপ কেন কিছু বলছিস না কেন একে।।
মিমঃ আমার নাম মিম এখন হয়েছে..? (আমার দিকে তাকিয়ে)
আমিঃ এতক্ষণ ধরে উনি আমার বিপরীত দিকে মুখ করে বসে ছিলেন
তাই ঠিকমতো চেহারা দেখতে পারি নি।।
কিন্তু উনি যখন আমার দিকে ফিরলেন সাথে সাথে আমি হা করে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।।
কারণ একটা মেয়ে এতো সুন্দর হতে পারে তা আগে জানতাম না।।
শুধু হা করে উনার দিকে তাকিয়েই আছে কোনো কথা বলছি না।।
.
মিমঃ এই ছেলে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন তোকে কিছু জিজ্ঞেস করছি কথা কানে যায় না
..?
আমিঃ উনার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কোথায় যে হারিয়ে যাই খেয়ালই নেই।।
হঠাৎ উনার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।। জি আমায় কিছু বলছেন..?
মিমঃ কোন ইয়ারে পড়িস জিজ্ঞেস করেছি।।
আমিঃ জি আমি এইবার অনার্স ১ম বর্ষে উঠেছি আপনি..?
মিমঃ আমি ৩র্থ বর্ষে, এখন শুন প্রতিদিন ভার্সিটিতে আসার পর
আমাদের এসে সালাম দিয়ে যাবি মনে থাকে যেন।। এখন ক্লাসে যা।।
আমিঃ জি আর একটা কথা ছিল (যেতে গিয়েও ফিরে আসলাম)।।
মিমঃ আবার কি..?
আমিঃ আসলে আমি তু এই ভার্সিটিতে নতুন তাই ঠিকমতো কিছু ছিনি না।।
আমার ক্লাস রুমটা কোথায় যদি একটু দেখিয়ে দিতেন।
মিমঃ ওই ২য় তলার বামের রুমটা (আঙুল দিয়ে ইশারা করে)।।
আমিঃ ধন্যবাদ, আচ্ছা তাহলে আমি এখন যাই..?
মিমঃ হুম যা।।
.
তারপর আর কথা না বলে উনার দেখানো ক্লাস রুমটায় চলে আসলাম।।
ক্লাসে ঢুকতে যাব তখনই ভিতরে তাকিয়ে দেখি ক্লাসের সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে
।। বুঝলাম না এদের আবার কি হলো যার জন্য এইভাবে হা করে তাকিয়ে আছে।।
এইসব বিষয়ে লক্ষ না করে ক্লাসে ঢুকে একটা ব্রেঞ্চে গিয়ে বসে পরলাম।।
একা একা বসে আছি কারণ আমার বন্ধুরা এখনও ভার্সিটিতে আসেনি।।
অনেক্ষণ ধরে বসে আছি আর এদিকে ক্লাসের সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়েই আছে।।
মনে হয় আমি কোনো এলিয়েন।।
সব মিলিয়ে আর ক্লাসে বসে থাকতে ভালোই লাগছে না তবুও দৈর্য নিয়ে বসে আছি।।
এমন সময় হঠাৎ একটা ছেলে এসে আমার পাশে বসলো।।
ছেলেটাঃ হাই আমি রনি তুমি..? (হাত বাড়িয়ে)
আমিঃ আমি তামিম (হাত মিলিয়ে)।।
রনিঃ আচ্ছা মিম আপুর সাথে তুমি এতো কিসের কথা বললা এতো সময়..?
.
আমিঃ আসলে আমি ইচ্ছা করে বলি নি।।
উনার একটা ফ্রেন্ডই প্রথমে আমায় ওদের কাছে ডেকে নিয়ে যায়।।
রনিঃ আচ্ছা এখন ক্লাসের সব ছেলে মেয়েরা যে তোমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছে এটার মানে বুঝতেছ..?
আমিঃ না তু আচ্ছা ওরা আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন..?
রনিঃ তাহলে শুন, মিম আপু হলেন এই শহরের নাম করা ব্যাবসায়ী মালিক চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে।।
উনাকে এই ভার্সিটির সব ছেলেরাই জমের মতো ভয় পায়।।
কারণ উনার উপরে কেউই কথা বলতে পারে না উনার বাবার জন্য।।
কেউ কিছু বললেই উনার বাবাকে দিয়ে উচিৎ শিক্ষা দেয়।।
আর ভার্সিটিতে প্রতিদিন একটা না একটা নতুন ছেলেকে দেখলেই ওরা সবাই মিলে ওকে রেগিং করে।।
আর এইসবের জন্য ভার্সিটির সবাই উনাকে লেডি ডন নামেই চিনে।।
তোমাকেও ভার্সিটিতে নতুন মনে হচ্ছে, কিন্তু তোমাকে ওরা কিছুই করে নি
এটা দেখেই আমিসহ ভার্সিটির সব ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক।।
তাহলে এখন বুঝেছ কেন ওরা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে..?
আমিঃ মিমের ব্যাপারে রনির মুখ থেকে এতো কথা শুনে ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল।।
এতো ডেঞ্জারাস মেয়ে আর আমি কিনা ওর সাথে এমন ব্যাবহার করলাম।।
না জানি আমায় পেলে আবার কি করে।।
রনিঃ কি হলো তুমি ভয় পাচ্ছ নাকি..?
আমিঃ না না আমি ভয় পাব কেন কিসের ভয় আমার।।
রনিঃ সেটা সময় হলেই বুঝতে পারবা।।
আচ্ছা আমরা যেহেতু ক্লাস মিট তাহলে একে অপরকে তুই করে বলি..? আর আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড।।
আমিঃ আচ্ছা।।
এইভাবে আমি আর রনি টুকটাক কিছু কথা বলতে লাগলাম।।
কথা বলছি এমন সময় আমার ২ হারামি বন্ধুগুলা ক্লাসে চলে আসলো।।
শুভঃ কিরে তুই কখন এলি..?
আমিঃ অনেক আগেই এসেছি কিন্তু তোরা আসতে দেড়ি করলি কেন..?
জানিস আজ একটুকের জন্য আমার খেলা শেষ হয়ে যেত।।
শুভঃ মানে কি তুই আমাদেরকে না বলেই খেলায় নেমে পরলি, কাজটা একদম ঠিক করলি না।।
আমিঃ আরে বেটা আমি সেই খেলার কথা বলছি না।।
আচ্ছা তাহলে শুন (এরপর ওদেরকেও সব ঘটনা বললাম)।।
রহিমঃ কি বলছিস এইসব শুনে তু বিশ্বাসই হচ্ছে না যে মিম আপু তোকে কিছু না করেই ছেড়ে দিয়েছে।।
আমিঃ এখন আমার কি হবে ওই মিম আপু যদি আমায় একা পেলে কিছু করে ফেলে।।
শুভঃ আরে কিছু করবে না আমরা আছি তু তোর সাথে।।
কিছুক্ষণ পর ক্লাসে স্যার চলে আসলেন।।
আর কথা না বলে যার যার সিটে গিয়ে সবাই বসে পরলাম।।
তারপর এক এক করে সবকটা ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।।
ভার্সিটির ভিতর দিয়ে হাটছি আর আশেপাশে তাকাচ্ছি।।
দেখলাম মিম আপুকে কোথাউ দেখা যাচ্ছে না।।
রনিঃ কিরে কাকে খুজছিস..?
আমিঃ হে না মানে মিম আপু কোথায় রে উনাকে দেখছি না তু কোথাউ।।
রনিঃ আরে উনি হয়তো বাসায় চলে গেছেন।।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।।
তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে আমিও বাসায় চলে আসলাম।।
বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলেন।।
আম্মুঃ কিরে আজ তোর ভার্সিটির প্রথম দিন কেমন কাটলো..?
আমিঃ হে আম্মু ভালোই।।
আম্মুঃ আচ্ছা তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আমি তোর জন্য টেবিলে খাবার দিচ্ছি।।
আমিঃ আচ্ছা বলে রুমে চলে আসলাম।।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এলাম।।
এসে দেখি আম্মু আগে থেকেই টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন।।
তাই চুপচাপ একটা চেয়ার টেনে গিয়ে টেবিলে বসে পরলাম।।
খাবারটা খেয়ে আবার রুমে চলে এলাম।।
রুমে এসে কিছুক্ষণ ফেসবুকিং করার পর একটু ঘুমিয়ে পরলাম কারণ
আজ ভার্সিটিত জন্য অনেক সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম।।
এইভাবে ঘরে বসে দিনটা কেটে গেল।।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ভার্সিটিতে গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখার পর মিমের প্রতি আমার ভয়টা আরও বেড়ে গেল।।
কারণ আমি দেখলাম যে মিম একটা ছেলেকে ধরে ইচ্ছামতো হকি স্টিক দিয়ে মারছে।।
.
মার খেয়ে ছেলেটার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে তবুও ছেলেটাকে মিম ছাড়ার নাম নিচ্ছে না।।
মারতে মারতে এক পর্যায়ে ছেলেটা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে গেল।।
এরপর মিম কাকে যেন ফোন করে আসতে বলল।।
কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু ছেলে এসে মার খাওয়া ছেলেটাকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল।।
এইসব দেখে আমি আর থাকতে পারলাম না ভয়ে হাত পা কাপতে লাগলো।।
না এইখানে আর থাকা যাবে না নাহলে পরে আমাকেও এমন মাইর দিতে পারে।।
তাই মাথাটা নিচু করে ক্লাসের দিকে হাটা ধরলাম।।
কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলাম না, কারণ এর আগেই মিম আমায় ডাক দিয়ে বসলো।।
এই রে মনে হয় দেখে ফেলেছে এখন আমার কি হবে।।
এখন যদি উনার কাছে যাই না জানি আমার কি হাল করে।।
এর চেয়ে ভালো কোনো রকমে এইখান থেকে পালাই, পরে যা হবে দেখা যাবে।।
আর কোনোদিকে না তাকিয়ে দিলাম ক্লাসের দিকে এক দৌড়।।
এক দৌড়েই ক্লাসে চলে আসলাম।।
ক্লাসে এসে হাপাচ্ছি আর ভাবছি পরে যদি আমায় ধরতে পারে না জানি কি হাল করে।।
হাপাচ্ছি আর নানান কথা ভাবছি এমন সময় বন্ধুরা এসে আমার পাশে দাড়ালো।।
শুভঃ কিরে তোর কি হলো, এইভাবে হাপাচ্ছিস কেন..?
আমিঃ আর বলিস না (এরপর ওদেরকে সব বললাম)।।
রহিমঃ দোষ যেহেতু করেছে তাহলে শাস্তি তু পাবেই।।
আমিঃ মানে..?
রহিমঃ মানে আবার কি ছেলেটা মিম আপুকে প্রপোজ করেছিল তাই মিম আপু ওকে জন্মের শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে।।
আমিঃ কি বলিস এইসব।।
শুভঃ হুম ও ঠিকই বলেছে।। আজ পর্যন্ত ভয়ে কেউ উনার সাথে ঠিকমতো কথাই বলতে পারে নি আর ছেলেটা নাকি উনাকে প্রপোজ করে বসেছে।।
আর কিছু বলতে যাব তার আগেই ক্লাসে স্যার চলে আসলেন।।
তারপর সবাই যার যার সিটে গিয়ে বসে পরলাম আর স্যার ক্লাস করাতে লাগলেন।।
দেখতে দেখতে সবকটা ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে আসলাম।।
বাহিরে এসে দেখি মিম আপু উনার দলবল সহ হাতে একটা করে হকি স্টিক নিয়ে
গুন্ডিদের মতো দাড়িয়ে আছেন।। আল্লাহ এরা এইভাবে দাড়িয়ে আছে কেন..?
এখন আবার কাকে মারবে, আমাকে নয়তো।।
না এখন ভয় পেলে হবে না যে করেই হোক আমাকে গেইটের কাছে যেতে হবে
নাহলে এরা কি যে করবে আল্লাহয় জানেন।।
বন্ধুদের নিয়ে মাথা নিচু করে হেটে হেটে মিম আপুদের ক্রস করে গেইটের কাছে আসার আগেই পিছন থেকে মিম আপু ডাক দিয়ে বসলেন।।
মিমঃ ওই এদিকে আয়।।
জানি এখন পালালে আর রক্ষা নেই।।
তাই বন্ধুদের বললাম তোরা এইখানে থাক আমি শুনে আসছি কি বলে।।
এরপর ওদেরকে রেখে মিম আপুর কাছে চলে আসলাম।।
আমিঃ জি আপু আমায় ডেকেছেন..? (মাথা নিচু করে)
এরপর মিম আপু যা বললেন তা শুনে তু আমি অবাক।।
কারণ মিম আপু বললেন,,
.
.চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com