হুজুরের বউ হবো। পর্ব - ০১
বাবার পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে। কিছু করার নেই।
বাবাকে বড্ড ভয় পাই আবার ভালোবাসিও অনেক।
হয় তো এই দুই জায়গা থেকেই না করতে পারিনি।
মাকে অবশ্য বলছিলাম কাজ হইনি । মা আরো এত্তগুলা কথা শুনাইলো ।
আমরা কি তোর খারাপ চাই, আমরা কি তোকে বানের জলে ভাসাই দিতাছি?
এই সেই আরো কত কথা। মার সাফ কথা একটাই।
তোর বাবা যে ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করবে তার সাথেই বিয়ে হবে।
ছেলে আমার পছন্দ না কারণ ছেলের দাড়ি আছে।
হুজুর ছেলে পছন্দ না আরেকটা কারণ হলো বেশিরভাগ হুজুররাই পান খায়।
কি একটা অবস্হা যে হয় দাত এর। দাত এর মধ্যে কালো দাগ পড়েই থাকে কিছু হুজুরদের।
শুনেছি ঐ বাড়িতে গেলে নাকি পুরোপুরি পর্দা করতে হবে।
হাতে পায়ে মুজা পড়ে বের হতে হবে।
দেবর, বাসর, চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাইদের সামনে নাকি একদম যাওয়া যাবে না।
এসব বাবাকে আগেই বলে দিছে।
এই বাবাটা আগে এসব তেমন বুঝতো না।
চাকরি থেকে অবসর হওয়ার পর থেকে তাবলীগে গিয়ে গিয়ে এসব শিখছে।
আমাকে নাকি কোন মাওলানার কাছে বিয়ে দিবে ।
এটা তার মনের একটা বড় ইচ্ছা। ঐ মাওলানা নাকি আরেক এলাকার তাবলীগ এর আমীর।
বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে হলেও ঐ হুজুরকেই বিয়ে করতে হবে ।
এখন কি আর করা বাবার কথা তো শুনতে হবে আর বিয়েটাও করতে হবে।
তবে নিজেকে মাঝে মাঝে এই বলে সান্তনা দেই মা-বাবা তো আর সন্তান এর খারাপ চায় না।
বিয়েতে নাকি গায়ে হলুদ তারপর গেট টাঙ্গিয়ে টাকা আদায়,
জামাই এর হাত ধোয়া এসব কিছু হবে না। এসব নাকি জায়েজ নাই।
যদি বাবা মেহমান খাওয়াতে চায় তাহলে নাকি পর্দার সহিত খাওয়াতে হবে মানে মেয়েদের আলাদা
প্যান্ডলে বা ঘরের ভিতর খাওয়াতে হবে। আর ছেলেদের বাহিরে বা প্যান্ডলে।
যেখানে কোন মেয়ে মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না।
আমি তো শুনে অবাক ! এলাকার কত মানুষের বিয়েতে এসব হচ্ছে
তাদের বিয়ে কি আটকে গেছে নাকি তাদের সংসার ভেঙ্গে গেছে।
বিয়েতে সবাই একটু আনন্দ ফূর্তি তো করবে নাকি? আর আনন্দ ফূর্তি তো এসবেই তাই না ?
এই ছেলেকে কে বুঝাবে ।
তাকে আবার বুঝানোও যাবে না কারণ
কোরআন হাদীস এর কোন মাইর প্যাচ এ আমারে ফালাইয়া বলদ বানাই দিবে কে জানে ।
মন চায় লজ্জা শরম রাইখা ফোন দিয়া বলি দুনিয়াতে এতো মাদ্রাসার মেয়ে
থাকতে আমি জেনারেল পড়ুয়া যে কুরআনটা সহীহ করে পড়তে পারে না
তাকে বিয়ে করতে হবে কেন ? দুনিয়াতে কি আর কোন মেয়ে নাই ?
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com