Breaking News

গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ১২ এবং শেষ



আস্তে সেতুর সবকিছু অবস হয়ে গেল।

সেতু হাত পা সম্পর্ন শরীর একবারই স্তদ্ব হয়ে গেল। অবশেষে ফাহমিদা দুনিয়া থেকেই চলে।

এটা দেখে নিজেকে আর আটকীয়ে রাখতে পারলাম।
ফাহমিদাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলাম। সবাই কান্না করতেছে।
সেতু সবাইকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে।
ফাহমিদা কে দাফন কাফন এর ব্যাবস্থা করা হলো। আস্তে আস্তে সব কার্যকলাপ শেষ।
করে এসে আমি মামা মামির পাশে বসে আছি।
তাদের কে শান্তনা দিচ্ছি। মেয়ে মারা গেল বাবা মা আর এই কষ্ট নিতে পারে।
আস্তে আস্তে মাস পেরিয়ে গেল। সেতু আবশ্য ওর আব্বু আম্মু এর সাথে বাসায় চলে গেছে।
ও যাইতে চাইনী আমিই জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছি।
মামার আরেকটা ছেলে কেবল অষ্টম শ্রেনিতে পরে। ছেলেটা না থাকলে
মামা মামি পাগল হয়ে যেত। এখন ফাহমিদা এর কথা প্রায় সবাই ভুলেই গেছে।
চোখের আড়াল হলে মানুষ আস্তে আস্তে মনেরও আড়াল হয়ে যাই।
ঠিক তেমনি ফাহমিদাও সবার মনের আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
এখন হইতো মনে পরছে সবারি কিন্তু আর কিছূদিন পর কারোও মনে থাকবে নাহ।
শুধু মনে ফাহমিদা এর মা বাবা এর।
অনেকদিন হয়ে গেছে ফাহমিদা এর মৃত্যুর। এখন সব আগের মতোই ঠিকঠাক।
দুই মাস যাওয়ার পর সেতু ওর বাবা মা আসছে আমাদের বাড়িতে।
আমার আর সেতুর বিয়ের কথা বলতে।
সেতুর আব্বু ; আমার মেয়ে আপনার ছেলেকে পছন্দ করে আপনারা হইতো জানেন।
আর তাদের বয়স হয়েছে। তাকে এখন আপনাদের হাতে তুলে দিতে চাই।
সেতুর আম্মু : আমাদের মেয়ে যা চেয়েছে তাই দিয়েছি।
অবশেষে সে আপনাদের ছেলেকে চেয়েছে। আর খোজ খবর নিয়ে দেখেছি।
আপনাদের কাছে আমার মেয়ে আমাদের কাছে থেকেও সুখি থাকবে
আম্মু : সেতুকে তো আমরা আগেই ফ্যামিলির একজন বানিয়ে নিয়েছে।
নতুন করে শুধু বিয়ে টা পরিয়ে দিতে হবে।
অবশেষে বিয়েটাও হয়ে গেল। বউ সেজে সেতু ঘরে বসে আছে আর আমি ঘরে ডুকলাম।
ঘরে ডুকে দেখি পিচ্চি বোনটা বসে থেকে সেতুর সাথে গল্প করছে।
আমি : ছিনহা তুমি এখানে কী কর
ছিনহা : আমি থাকব ভাবির সাথে। আমার ঘরে অন্য মানুষ শুয়ে আছে ।
সেতু : থাক না আজকে 🙊🙈
আমি : ছিনহা তুমি যাও আম্মু তোমাকে ডাকতেছে।
ছিনহা : যাবো না
আমি :চলে যাও কালকে তোমাকে বাজার থেকে খেলনা এনে দিব
ছিনহা : সত্যিই দিবা
আমি :হুম এবার যাও
এরপর ছিনহা চলে গেল।
আমি সেতুর পাশে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
তারপর সেতু আমাকে............

লজ্জা লাগে লিখতে আপনারা বিয়ে করে জেনে নিয়েন।

<>সমাপ্ত<>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com