শূন্য থেকে শুরু । পর্ব -০১
--কি করছো এটা তুমি? তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? এমন পাগলামি কেউ করে?
--হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি। এজন্যই আমি আর বেচে থাকতে চাই না।
--এদিকে আসো, বসো এখানে। একটু পর ছেলেপক্ষ আসবে। বাড়িতে একপ্রকার অনুষ্ঠানই হচ্ছে। এর মাঝে তুমি পাগলামো করতেছো। কি হয়েছে তোমার? আমায় অন্তত খুলে বলো।
--মামুন, এই বিয়ে আমি করতে পারবো না।
--সেটা নয়, আমি আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি।
--তো সেটা মামাকে বলেছো?
--কি বলবো আমি? শেষ ২ মাস যাবত আমি তার কোনো খবর পাচ্ছি না। এদিকে আমি ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট।
--কিহ? কি বলছো এসব।
--ঠিকই বলছি। এখন বল, কি করে আমি বাবাকে ওর কথা বলবো? ২ মাস আগে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে গ্রামের বাড়ি গেছে। এরপর থেকে ওর ফোন বন্ধ, সব দিকে খোজ নিয়েছি, কেউ জানেনা ও কোথায়, ওর গ্রামের বাড়ি কোথায়। এখন আমি বাবাকে কি বলবো?
--প্রেম করলেই কি আকাম করতে হয়? ছাগল কোথাকার(বিড়বিড় করে)
--এখন আমি কি করবো বল, আমার যে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমি যে প্রেগন্যান্ট।
--আচ্ছা, এত তাড়াহুড়ো করো না, ওরা দেখতে আসছে, বিয়ে যে এখনই হয়ে যাবে এমন তো নয়, তুমি রেডি হয়ে যাও। কিছু সময় তো হাতে পাবো। আমি বরং ওকে খুজে বের করবো।
--তুই পারবি?
.
--চেষ্টা তো করি। না পারলে নাহয় আমি এসে তোমায় ফাঁসি দিয়ে যাবো।
--প্লিজ মামুন, খুজে দে ওকে।
--ওর নাম,নাম্বার, ঠিকানা সব দাও আমাকে। আমি আজ থেকেই ওকে খুজতে নামবো।
--আচ্ছা, নে।
.
হঠ্যাৎ মামুনের মা আর প্রিয়ার মা একসাথে রুমে ঢুকে পড়ে।
প্রিয়া হচ্ছে মামুন এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছিলো সে,
প্রিয়া মামুনের মামাতো বোন এবং ২ বছরের বড়।
প্রিয়াকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে তাই প্রিয়ার বাবা বোনকে দাওয়াত দিয়েছে। মায়ের সাথে মামুনও নানুর বাড়িতে বেড়াতে আসে।
প্রিয়ার রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মজা করেই দরজায় ধাক্কা দিয়েছিলো।
ওমনি দরজাটা খুলে যায়। প্রিয়াকে এভাবে গলায় রশি লাগিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মামুন দৌড়ে এসে জাপটে ধরে গলা থেকে রশি খুলে।
তাড়াহুড়োয় প্রিয়া দরজা লক করতেই ভুলে গেছিলো
তাই প্রিয়া এই যাত্রায় বেচে যায়।
.
প্রিয়ার মা আর মামুনের মা প্রিয়ার রুমে ঢুকেই দেখে প্রিয়ার হাতে ফাঁসির দড়ি, যা ফ্যানের সাথে বাঁধা।
মামুনের মা এগিয়ে গিয়ে মামুনকে সজোরে একটা চড় বসিয়ে দেয়।
চড়টা এতটাই জোরে ছিলো যে পুরুষ মানুষ হয়েও মামুনের চোখ দুটো পানিতে ভরে ওঠে।
মামুন গালে হাত দিয়ে হতভম্ব হয়ে মায়ের দিয়ে তাকিয়ে আছে। বলা নেই, কওয়া নেই এসেই চড় মেরে বসলো।
চড় কি জন্য খেলো মামুন নিজেই জানে না।
এদিকে প্রিয়াও ফুফুর এমন আচরনে বেশ অবাক হয়।
--ভাবি, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমার ছেলের হয়ে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।(মামুনের মা)
--আফা, ক্ষমা চেয়ে কি হবে? এখন এর একটা বিহিত করতে হবে। আমার সমাধান চাই।(প্রিয়ার মা)
--কি করতে হবে বলেন, আপনি যা বলবেন আমি রাজি।
--বাহিরে আসেন। এই বলে প্রিয়ার মা এবং মামুনের মা দুজনই বাহিরে চলে যায়।
এদিকে প্রিয়া আর মামুন দুজন হ্যা হয়ে মায়েদের চলে যাওয়া দেখছে।
--ভাই তোর লেগেছে? কি করেছিস তুই? ফুফু কেনো মারলো তোকে?
--আমি কিছুই জানি না। মা কখনো আমার গায়ে হাত তোলে নি। আমি হয়তো বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি। কিন্তু জানি না আমি কি করেছি।
--আমিও বুঝতে পারলাম না কি হলো!
--মামি মাকে কিসের সমাধান করার কথা বললো?
--জানি না রে, কিছু হয়নি তো?
--কিছু একটা তো হয়েছে।
--তুই বরং বাহিরে গিয়ে দেখ কি হয়েছে।
--আচ্ছা।
.
মামুন বাহিরে এসে দেখে সব কিছুই স্বাভাবিক। সবাই সবার মতো কাজ করতেছে। অতিরিক্ত কোনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
ধীরেধীরে সন্ধ্যা হয়ে আসে। মামুন বেশ অবাক হয়। কারন আজ ছেলেপক্ষ প্রিয়াকে দেখতে আসার কথা।
কিন্তু কেউই আসলো না আজ।
সন্ধ্যায় হঠ্যাৎ নানুর বাড়িতে বাবা এসে হাজির।
মামুন বাবাকে দেখে সামনে এগিয়ে আসে, কিন্তু বাবা মামুনকে পাশ কাটিয়ে ঘরে চলে যায়।
সবার এমন অদ্ভুত আচরণে মামুন বেশ অবাক হয়।
কেউ মামুনের সাথে তেমন একটা কথা বলছে না।
রাতের তখন প্রায় ৮টা।
মা এসে মামুনকে একটা পাঞ্জাবি দিয়ে বলে তৈরী হতে।
সকালে মায়ের হাতে চড় খেয়ে এখনো ভয়ে থাকায় মাকে ২য় বার প্রশ্ন করার সাহস হয়নি যে পাঞ্জাবিটা এখন কেনো পড়তে হবে।
ভয়ে ভয়ে মায়ের সামনেই মামুন তৈরী হয়ে যায়।
হঠ্যাৎ প্রিয়াও বউয়ের সাজে এসে মামুনের পাশে বসে।
মামুন বেশ অবাক হয়।
প্রিয়ারও মামুনে দেখে একই অবস্থা।
একটুপর দুজনই বুঝতে পারে যে তাদের বিয়ে হতে চলেছে।
সবার সামনেই মামুন রেগে যায়।
--সেই সকাল থেকে দেখে আসতেছি তোমরা সবাই আমার সাথে অদ্ভুত আচরন করতেছো। এখন আবার ওনার সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছো। কি হচ্ছে এসব?
--কি হচ্ছে? আমার মেয়ের এই অবস্থা করার আগে সেটা ভেবে দেখোনি?(প্রিয়ার মা)
--মানে?
.
--আমি সব শুনেছি বাহির থেকে। তোমার জন্য আমার মেয়ে আজ মরতে গিয়েছিলো।
--মামি, কি সব বলছেন?
--আমি অন্ধ নই, তোমাকে আমি কতটা বিশ্বাস করতাম। এবাড়িতে আসলে সব সময় প্রিয়া প্রিয়া করতে, সারাক্ষণ ওর রুমেই থাকতে। তখনতো আর বুঝিনি যে পিঠে ছুরি মেরে বসবে।
মায়ের এমন কথা শুনে প্রিয়া দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়, এবং বেশ শব্দ করেই দরজাটা লাগিয়ে দেয়।
মামুন ভালো করেই বুঝতে পারে যে প্রিয়া কিছু একটা করে ফেলতে পারে। তাই সবার সামনেই মামুন প্রিয়ার পেছনে দৌড় দেয়।
মামুনের দৌড় দেখে মামুনের মা ও যাওয়ার জন্য উঠে দাড়ায়।
--থাক ভাবি, আপনি যাইয়েন না, ওদেরকে ওদের ব্যাপারটা বুঝে নিতে দিন। একটু সময় দিন।
প্রিয়াী মায়ের এমন কথায় মামুনের মা আবার বসে পড়ে।
.
--দেখো আপু, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। ওনাদের হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।(মামুন)
--আমি সবই বুঝতে পারছি। ওনারা এটাই ভেবেছে যে এই বাচ্চার বাবা তুই।
--কি বলছো এসব?
--ঠিকই বলছি, এই ভুল ভেবেই তোর সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছে।
--না না, এটা হতে পারে না। আমি এক্ষুনি সবাইকে সব খুলে বলবো। এই বিয়ে আমি কিছুতেই করতে পারবো না। আমি কেনো তোমার এই পাপের ভাগ নেবো? এটা কিছুতেই হতে পারে না।
--তোর সাথে বিয়ে হয়ে গেলে হয়তো বিষয়টা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সবাই যদি এটা জানে যে এই বাচ্চার বাবা অন্য কেউ। বিষয়টা আর চাপা থাকবে না, সবাই জেনে যাবে। আমার মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
--তোমার জন্য আমি আমার লাইফটা নষ্ট করতে পারবো না। তোমার মা আমাকে আর আমার মাকে যেই কটু কথা বলেছে, তার মুখের ওপরই এখন আমি সেই জবাব দিবো।
--এমনটা করিস না, আমি শেষ হয়ে যাবো।
--আরে ভাই, তার জন্য আমাকে কেনো? আমি কি করেছি? কোন ছেলের সাথে গিয়ে নষ্টামি করে পেট বাধিয়ে এসেছো। এখন সেটার দায়িত্ব কি আমাকে নিতে হবে নাকি?
--এভাবে বলতে পারলি?
--তো কিভাবে বলবো? সবাই মিলে অন্যের পাপ আমার ওপর চাপাচ্ছে। আমি কি মুখ বুঝে সহ্য করবো?
--সবাই এখন এটাই জানে যে এই বাচ্চার বাবা তুই, আমি এখন কোথাও পালিয়ে গেলে, বা আত্মহত্যা করলেও সবাই তোকে সন্দেহ করবে।
--ভয় দেখাচ্ছো?
--ভয় না, এটাই সত্য।
--এসব বলে আমাকে কাবু করতে পারবে না। আমি গেলাম।
মামুন এটা বলেই হাটা দেয়, এবং দরজার সামনে গিয়ে দরজা খোলার সময় একবার পেছনের দিকে ফিরে তাকায়।
তাকিয়ে দেখে প্রিয়া টেবিলের ওপর রাখা ফল কাটার ছুরিটা হাতে নিচ্ছে।
মামুন আবার দৌড়ে গিয়ে প্রিয়ার হাত থেকে ছুরিটা কেড়ে নেয়।
--তুমি কি আসলেই পাগল হয়ে গেছো? কি করছো?
--আমার আর বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই। কি নিয়ে বাচবো আমি? যাকে বিশ্বাস করে ভালোবেসেছিলাম, তাকে সেই ভালোবাসার প্রমান দিতে গিয়ে নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। আজ আমার এই সময়ে সে আমার পাশে নেই। জানি না সে ফিরে আসবে কিনা। আবার এই বাচ্চাটা জন্ম নিলেতো সে তার বাবার পরিচয় পাবে না। আমি যে একদম শেষ হয়ে গেছিরে। কি করবো আমি? এর চেয়ে ভালো নিজেকেই শেষ করে দেবো।
--ছাড়ো এটা, কি করছো?
--না, ছুরিটা আমাকে দে। তুই বাবা মাকে সবটা খুলে বল। আর নাহয় চল, আমিই সবটা খুলে বলছি।
--কি বলবে?
--পুরো সত্যটা খুলে বলবো।
--এরপর তোমার কি হবে? যদি তোমার প্রেমিক আর কখনো ফিরে না আসে। তাহলে এই বাচ্চা নিয়ে কই যাবে?
--জানি না।
.
মামুন প্রিয়ার হাত ছেড়ে দিয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে।
--জানো? কখনো কাউকে ভালোবাসিনি আমি। বিয়ের পর সবটা উজাড় করে বউকে ভালোবাসবো বলে। নিজের দিক থেকে বউয়ের হক নষ্ট করিনি। আর আজ আমার ভাগ্যে তুমি। যে কিনা বিয়ের আগেই.....।
প্রিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে।
--আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবে?
--বল।
--এই বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলবে?
--কক্ষনো না। জন্মদানের ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু কাউকে খুন করার অধিকার আমার নেই। প্রয়োজনে আমি নিজেকে শেষ করতে রাজি, বাচ্চা না।
--আমি পারবো না তোমাকে বিয়ে করতে। যে কিনা বিয়ের আগেই স্বামীর হক নষ্ট করে আসছে। চলো মামা মামিকে তুমি নিজেই সব বলবে।
--ঠিক আছে। চল.....।
.
প্রিয়া এসে সবার সামনে সবটা খুলে বলে।
প্রিয়ার বাবা সবার সামনেই প্রিয়াকে মারতে শুরু করে।
ওমনি মামুনের মা ভাইয়ের সামনে এসে দাড়ায়।
--ভাইয়া ছাড়ো, এভাবে কেউ কাউকে মারে?
--ছেড়ে দে, ওর বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমাদের মান ইজ্জত সব ডুবিয়ে এসেছে। এতক্ষণ ভেবেছিলাম বিষয়টা ঘরের মধ্যেই আছে, যার সমাধান করতে পারবো। এখন কি হবে? আমার মান ইজ্জত কিছু থাকবে?
--শুধু নিজের কথাই ভাবছো। মেয়ের কথাতো একটু ভাবো।
--কি করবো আমি?
--ওই ছেলের খোজ খবর নাও।
প্রিয়ার বাবা ছেলের খোজ বর জানতে চায়। কিন্তু প্রিয়া কিছুই বলতে পারেনি। মোবাইল বন্ধ, আগের ঠিকানায় ও নেই, বন্ধু বান্ধবরাও কেউ তার খবর জানে না।
নিজের ভাইয়ের মেয়ে, তাই ভাইয়ের মান ইজ্জতের কথা ভেবে নিজের ছেলের সাথে এক প্রকার জোর করেই প্রিয়ার বিয়ে দেওয়া হয়।
মামুনের বাবা অবশ্য এতে অমত ছিলো। কিন্তু পরে মামুনের মায়ের জোরাজুরিতে তিনিও রাজি হয়ে যান।
.
সেই রাতেই মামুনের মা প্রিয়া আর মামুনকে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়।
রাতের ২ টায় মামুন নিজের রুমে ঢুকে দেখে প্রিয়া রুমে নেই। বারান্দায় গিয়ে দেখে প্রিয়া বারান্দার গ্রিল ধরে আকাশের দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে।
পায়ের শব্দের প্রিয়া পেছনে তাকায়। তাকিয়ে দেখে মামুন গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ছে।
প্রিয়া ধীরে পায়ে মামুনের পাশে বসে। ওমনি মামুন বিছানা থেকে নিজের বালিশ নিয়ে সোফায় এসে শুয়ে পড়ে।
--মামুন....
--(চুপ)
--মামুন
--(চুপ)
--আমি জানি তোর সাথে যা হয়েছে খুবই অন্যায় হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দে প্লিজ। আমি চাইনি এই বিয়েটা করতে, কিন্তু কিভাবে যে সব হয়ে গেলো।
--দয়া করে আমার সাথে আর কোনো কথা বলো না। মাথাটা খুবই খারাপ আছে, দুরে যাও। যে তোমায় বিয়ে করিয়ে নিয়ে এসেছে, তার কাছে গিয়ে দুঃখের কান্না কাঁদো। আমার সামনে না।
--(প্রিয়া মাথা নিচু করে আছে)
--লজ্জা করলো না আমার সব স্বপ্নগুলো এভাবে শেষ করে দিতে? কি অপরাধ করেছিলাম আমি?
--ওরা আমায় জোর করে তোর সাথে বিয়ে দিয়েছে। আমি কি করতাম বল।
--মরে যেতে। কেনো যে আমি ওই বাড়িতে গেলাম, আর কেনো যে ঐ সময় আমি বাচাতে গেলাম। আমারই ভুল হয়েছে।
--এভাবে বলতে পারলি? (মামুনের কাঁধে হাত রেখে)
--ছাড়, তোর ওই নোংরা হাতে আমাকে একদম স্পর্শ করবি না। যা এখান থেকে, আর কখনো আমার সাথে কথা বলবি না।
প্রিয়া চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।
কাঁদতে কাঁদতে ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ে প্রিয়া।
ভোরে প্রিয়ার ঘুম ভাঙলে তাকিয়ে দেখে মামুন ঘরে নেই।
তাই সে উঠে ফজরের নামাজটা সেরে নেয়। এবং নামাজের পাটিতে বসে কান্না করতে থাকে। মামুনের মা প্রিয়ার কান্নার শব্দ শুনে মামুনের রুমে আসে।
এসে দেখেন প্রিয়া নামাজে বসে কাঁদতেছে।
প্রিয়াকে এভাবে কাঁদতে দেখে উনি প্রিয়ার পাশে এসে বসেন।
--প্রিয়া, কি হয়েছে? কাঁদছিস কেনো এভাবে?
নিজের শাশুড়ি অর্থাৎ ফুফুকে নিজের ঘরে দেখে জাপটে ধরে আরো জোরে কান্না করতে থাকে।
--এই পাগলি, এভাবে কাঁদছিস কেনো?
--ফুফু, আমার এই পাপ গাড়ে নিয়ে যে আমি আর থাকতে পারছি না। আমার যে মরে যেতে ইচ্ছে করছে।
--দেখো কি বলে পাগলি মেয়ে। মরে গেলে কি সব কিছুর সমাধান হয়?
--কি করবো আমি? আমার আর সহ্য হচ্ছে না।
--একটা কথা বলবো, শুনবি?
--কি?
--বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেল.......
.
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com