গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ৯
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা করে সবাই বসে আছি।
থখন সেতু আবার বলল আমাকে মাপ করে দিছ
আমি : তুমি তো ভুল করনি যে তোমাকে মাপ করে দিব।
ভুল তো করেছি আমি তাও তোমাকে ভালোবেসে।
সেতু : ঐ রকম ভাবে বল না।
আমি আমার ভুল গুলো বুঝতে পারছি সেই জন্যাই তোমার কাছে ছুটে এসেছি।।
বন্ধুরা : দোস্ত মাপ করে দেনা সেতুরে ওহ তো ভুল গুলো বুঝতে পেরেছে।
আর সেতুর তোর জন্য অনেক কান্নাকাটিও করছে।
মেয়েরা : হ্যা ভাইয়া সেতূকে মাপ করে দেন। ওহ আপনাকে অনেক ভালোবাসে।
আমি : আমি মাপ করলাম কিন্তু আমি আর এখন মেছেজ কল এসবে কথা বলব না
সেতু : তাহলে কথা বলব কীভাবে।
আমি : বিয়ে করে পাশে বসে কথা বলব।
সেতু : তাহলে আমি আব্বুকে আসতে বলি আর তুমি তোমার আব্বূকে বল।
আমাদের বিয়ের ব্যাপারে।
.
আমি : আমি বলতে পারব না। আমার বাবা খুব রাগী মানুষ।
তুমি যদি এতোই ভালোবাস তাহলে আমার বাবা মা কে ইমপ্রেস করে।
যেন তোমার সাথেই আমার আব্বু আম্মু বিয়ে দিতে রাজী
সেতু : তাহলে তো থাকতে হবে।
আমি : তুমি কীভাবে করবে সেটা তুমিও জানো। আর এটা হলো তোমার বেইমানি করার শাস্তি
সেতু :
আমি : ঐরকম করে তাকিয়ে থেকে লাভ নাই ।যেটা বলেছি ঐইটাই কর
বন্ধুরা : তাহলে চলে যাব কাজ আছে।
আমি : আরেক দিন থাক।
হেলাল : নারে আরেক সময় থাকিরো। তোদের বিয়ের পর তো আসব
আমি : আগে বিয়ে হোক তারপর দেখা যাবে।
সেতু : আমাকে বিয়ে করার ইচ্ছা নায় বুজি।
আমি : বিয়ে করার ইচ্ছা থাকবে না কেন গো
পরে সবাই খাবার খেলাম। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ রেষ্ট নিল।
রেষ্ট নিয়ে সবাই বের হওয়া ধরল।।
কিন্তু সেতু যেতে পারছে নাহ। সেতু থাকবে।
আমরা সবাই বাস স্টেশনে গেলাম আগায়া দিতে।
ওরা চলে যাওয়ার পর আমরা ব্যাক আসতেছি
তখন একটা স্কুল ও কলেজ ফেন্ড এর সাথে দেখা হয়।
বন্ধু : দোস্ত কী অবস্থা
আমি : এই তো ভালো। তোর অবস্থা কী রকম।
বন্ধু : মেয়েটা কে তোর কাজিন নাকি। দেখতে অনেক সুন্দরী রে
আমি : তোর লুচ্চামী এর স্বভাব টা গেল না।
সেতু একটু লজ্জা ভাব নিয়ে দারিয়ে আছে
আমি : আমার কাজিন হলে তাই কী করতি
বন্ধু : তোর কাজিন তাহলে। তোমাকে প্রথম দেখেই ভালো লেগে গেছে।
হবে কী তুমি আমার ঘরের রাধুনী।
.
এটা বলার সাথে সাথে সেতু রাগ উঠে গেল।
আর আমাকে কিল মারতে মারতে বলল আমি তোর কৌন কালের কাজিন লাগিরে।
আর বন্ধুকে গালে থাপ্পড় মেরে বলল। ঐ সালা মেয়ে দেখলেই লুচ্চামি করার ইচ্ছা যাগে। আমি ওর কাজিন না আমি শুভ এর বউ লাগি বউ
বন্ধু আমার দিকে অভাক হয়ে তাকিয়ে আছে হা করে
আমি : কী হলো বন্ধু
বন্ধু : তুমি কী আমার সাথে এটা করতে পারলে
আমি : কী করছি বন্ধু
বন্ধু : এই যে আমাকে মার খাওয়ালে। আর তুমি বিয়ে করা করছ এটাও বলনি।
বিয়ের সময় বললে গিফ্ট নিয়েই খেতে গেতাম। এমনি এমনি যেতাম না
ভাবী আমাকে মাপ করে দেন। প্রপোজ করার জন্য আমি দুঃখিত।
আমি :বন্ধু আসলে
বন্ধু : তোর কথা আমি শুনতে চাই নাহ। রাগ করলাম।
থাক বেশি সময় দেরি করলে গার্লফ্রেন্ড মারবে
আমি : সালা লুচ্চা কোথাকার
এরপর সেতু আর আমিও চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি ফাহমিদা এসেছে।
আমি বাড়িতে এসে নামার সাথে সাথেই ফাহমিদা এসে আমাকে বলতে লাগল।
এই মেয়ে এখানে কী করে
আমি : আস্তে কথা বল। ওহ আমাদের মেহমান।
সেতু মেয়েটার কথা শুনে বলল মেয়েটা কে।
আমি : আমার মামাতো বোন
.
সেতু : তাই বলে এরকম গায়ের উপর এসে পরা লাগবে না কী
আমি কোনো রকম কথা না বলে। ঘরে চলে গেলাম।
দুপুরে খাবার খাইতে গেছি তখন ফাহমিদা আমার পাশে বসে আছে।
চেয়ারে বসে খাবার খাইতেছী
আম্মু একটু ফাকে গেল। ফাহমিদা তখন বলল ভাইয়া আমি আপনাক খাওয়া দেই।
একটু কাশি দিলাম তখন সেতু কীছু বলার আগেই ফাহমিদা আমাকে খাওয়াই দিতে আসল পানি।
ফাহমিদা :কী হয়ছে তোমার ।
খাইতে বসে কাশি দিতেছো কেন।
সেতুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেতুর চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।
আর ভাত খাওয়া বাদ চলে গেল
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com