Breaking News

শূন্য থেকে শুরু । পর্ব -০২



একটা কথা বলবো, শুনবি?

--কি?
--বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেল।
--ফুফু, কি বলছো এসব?
--দেখ, সবে মাত্র এর ৩ মাস। বাচ্চা এখনো বড় না, বেশি দেরি হয়ে গেলে আর কিছুই করা সম্ভব না।
--না না, এটা ঠিক না। বাচ্চা আমি নষ্ট করবো না।
--তাহলে কি অন্যের পাপের দেখভাল আমাদের করতে হবে? তোর বাবার মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তোকে আমার ঘরের বউ করে নিয়ে এসেছি। কিন্তু কিভাবে অন্যের বাচ্চাকে সহ তোকে গ্রহন করবো? এটা কি আমার ছেলের সাথে অন্যায় হয়ে যাবে না?
--তুমিও এভাবে বলতে পারলে?
--দেখ মা, তুই আমার পর না। আমার রক্তের মানুষ, আমার আপনজন। তোর খারাপ হোক তা আমি চাই না।
--তুমি যাই বলো, আমি আমার বাচ্চা নষ্ট করবো না।
--তোর সংসার, তাই সেটা তোর ওপর নির্ভর, আমার বলার ছিলো বলেছি। এই বাচ্চার জন্য এই সংসারে শান্তি আসবে না। মনে রাখিস।
--প্লিজ ফুফু, আমায় জোর করো না।
--মামুন কোথায়?
--জানি না, ঘুম থেকে উঠে দেখি ও রুমে নাই।
--মনে হয় মসজিদে গেছে। কিন্তু সকাল হয়ে গেলো, এখনো আসলো না?
--তা তো জানি না।
--ও ফিরে আসলে বলিস আমি ডেকেছি।
--আচ্ছা।
.
পুরোদিন পার হয়ে যায়, কিন্তু মামুন বাড়ি ফেরেনি। এদিকে মামুনের চিন্তায় বাড়ির সবাই অস্থির।
বের হওয়ার সময় নিজের ফোনটাও নিয়ে যায়নি। রাতের তখন প্রায় ১২টা।
দরজায় টোকা পড়লে মা এসে দরজা খুলে দেয়।
মামুন সোজা নিজের রুমের দিকে চলে যায়।
মা ও পেছন পেছন হাটা দেয়।
--কোথায় ছিলি সারাদিন?
--(মামুন কোনো জবাব না দিয়ে সোজা নিজের রুমে)
মা ও মামুনের পেছন পেছন মামুনের রুমে চলে আসে। প্রিয়া বিছানার এক কোনায় বসে ছিলো।
মামুনকে দেখে প্রিয়াও একটু এগিয়ে আসে।
--কি হলো? জবাব দিচ্ছিস না কেনো? কোথায় ছিলি সারাদিন? বাড়ির সবাই তোর জন্য কত চিন্তা করছিলো।(মা)
--আচ্ছা! আমার জন্য তাহলে সবাই চিন্তাও করে? জানতাম নাতো।
--কই গিয়েছিলি?
--সেটা কারো জানার প্রয়োজন নেই। আমার ব্যাপারে কারো কিছু জানার প্রয়োজন নেই।
--কি হয়েছে তোর?
--কিছুই হয়নি। ঘুম পাচ্ছে, একটু ঘুমাতে দাও।
--খাবি না?
--এখানকার খাবার আর আমার গলা দিয়ে নামবে না। তোমরাই খাও তোমাদের খাবার।
--কি বলছিস এসব?
--মা প্লিজ, ঘুমাবো আমি।
--আচ্ছা ঘুমা।
--সাথে করে যাকে এখানে নিয়ে এসেছো, তাকেও নিয়ে যাও।
প্রিয়া মামুনের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ২ দিন আগেও মামুন প্রিয়ার সাথে কত সুন্দর করে কথা বলতো, কতোটা সম্মান করতো।
আজ যেনো সব কিছু ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
--নিয়ে যাবো মানে? ও তোর বউ।
--মা প্লিজ, আমার বউ না সে। এই বিয়েতো আমি মানিই না। জোর করে আমার বিয়ে দিয়েছো। আমার সাথে যেই অন্যায় তোমরা করেছো তার জন্য আমি কখনো তোমাদের ক্ষমা করবো না। আমার লাইফটা একপ্রকার ধ্বংস করে দিয়েছো তোমরা। একটা নষ্টা মেয়ের সাথে আমায় বিয়ে দিয়েছো।
সাথে সাথে মা মামুনের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয়।
মামুন রাগি চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়াও অবাক দৃষ্টিতে মামুনের দিকে তাকিয়ে আছে। মামুনের এমন কথা যেন তার কলিজায় গিয়ে লাগে।
--বাবা, এমন করিস না, মেয়েটা কই যাবে বল। ও নাহয় একটা ভুল করে ফেলেছে। ওকে একটা সুযোগ দিয়েতো দেখ।
--ওকে তুমি নিয়ে যাও এখান থেকে, না হয় আমি চলে যাবো এই বাড়ি ছেড়ে। আর কখনো আসবো না তোমার বাড়ির সীমানায়।
--কি সব বলে যাচ্ছিস তুই?
--তুই দাঁড়িয়ে কি দেখছিস? বের হ আমার রুম থেকে।(প্রিয়াকে উদ্দেশ্য করে)
প্রিয়ার চোখের পানি টুপটুপ করে পড়েই যাচ্ছে।
--মা, তুই আমার সাথে আয়, এই গোলামের সাথে এখানে থাকা লাগবে না। গোলামের ঘর থেকে গোলামই হইছে, একদম বাপের মত ব্যবহার। তুই আমার সাথে থাকবি, চল।
.
প্রিয়া হাত ধরে ফুফু তাকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়।
প্রিয়া ফুফুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
--কেনো এমন একটা ভুল করলি?
--আমি বুঝতে পারিনি ফুফু, খুব বিশ্বাস করেছিলাম তাকে। সে এভাবে আমাকে রেখে পালাবে তা কখনো কল্পনাও করিনি।
--এই বয়সে কাউকে ভালো লাগতেই পারে, তাই বলে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিবি? এটা খুব বড় একটা বোকামি।
--মামুন আমায় কতটা সম্মান করতো, আজ তার চোখে আমি পাপি, আমি নষ্টা, আমার যে আর সহ্য হচ্ছে না ফুফু। আমি আর পারছি না।
--তুই বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেল, দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে।
--প্রয়োজনে আমায় মেরে ফেলো, তবুও আমি এই বাচ্চা নষ্ট করবো না। কাউকে খুন করার ক্ষমতা আমার নেই।
--কেনো তুই বোঝার চেষ্টা করছিস না? এই বাচ্চাকে কেউই মেনে নিবে না। আমিও না।
--ফুফু, আমায় ছেড়ে দাও, আমি দুরে কোথাও চলে যাবো। এই বাচ্চা নিয়ে আমি বাকি জীবনটা একাই কাটিয়ে দিবো।
--আমার আর কিছুই বলার নেই। তোর লাইফ, ডিসিশন তোর।
.
মামুন আর এখন প্রিয়ার সাথে তেমন কোনো কথাই বলে না।
প্রিয়াও মামুনের সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যায় না। এভাবেই দিনগুলো পার হতে থাকে।
আর প্রিয়ার পেটের বাচ্চাটাও ধীরেধীরে বড় হতে থাকে। এরপর বাচ্চা নষ্ট করার জন্য প্রিয়াকে আর কেউ কখনো জোর করেনি। প্রিয়াও ধীরেধীরে এই পরিবারটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়।
মামুন যখন বাহিরে যায় তখন প্রিয়া এসে তার রুমটা গুছিয়ে দেয়, কাপড় গুলো ধুয়ে দেয়। খাবারটা টেবিলে রেখে দেয়। অর্থাৎ মামুন যখন বাহিরে থাকে প্রিয়া তখন মামুনের প্রয়োজনীয় সব কাজই করে দিয়ে যায়।
মামুন একদিন দুপুরবেলা কলেজ থেকে ফিরে দেখে প্রিয়া তার রুমের মেঝেতে পড়ে আছে।
মামুন মাকে ডেকে প্রিয়াকে বিছানায় শোয়ায়।
মা দৌড়ে এসে দেখে প্রিয়া অজ্ঞান হয়ে মামুনের বিছানায় শুয়ে আছে।
--কি হয়েছে ওর?
--জানি না, এসে দেখি মেঝেতে পড়ে আছে।
--মেয়েটার তো একটু খেয়ালও রাখতে পারিস, জানিস যে ওর শরীরটা খারাপ।
--ওকে দেখে রাখা আমার কাজ না।
--এই শরীর নিয়েও মেয়েটা সারাদিন কাজ করে যাচ্ছে। আমি বাধা দিলেও আমার কথা শুনে না, তোর মন পাওয়ার জন্য সারাদিন তোর আশেপাশে থাকে, তোর প্রয়োজনের আগেই তোর সব কাজ ও করে ফেলে। কিন্তু তুই মেয়েটা কেমন আছে সেটাও একবার জানতে চাস না। এতটা কঠোর কি করে হলিরে? তুই তো এমন ছিলি না।
--তোমরা আমায় এমন বানিয়েছো, এর জন্য তোমরা দায়ি।
--দেখ বাবা, সব মানুষ পারফেক্ট হয় না। সবার জীবনেই কমতি আছে। আমরা তো মানুষ তাই না? আর মানুষ ভুল করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
--মা, কেনো এতো কথা বলতেছো?
--মেয়েটার জন্য কি তোর একটুও মায়া হয় না?
--না হয় না।
হঠ্যাৎ প্রিয়া জ্ঞান ফেরে।
মা ছেলেকে কথা বলতে দেখে প্রিয়া বিছানা থেকে উঠে দাড়ায়।
--কেমন আছিস মা?
--ভালো আছি।
--কি হয়েছিলো তোর?
--জানি না ফুফু, হঠ্যাৎ মাথাটা কেমন যেনো করছিলো। এরপর আর মনে নেই।
--তোকে কতবার নিষেধ করলাম এত কাজ করা লাগবে না। কেনো করিস?
--ওমা, এটা তো আমারই সংসার, আমি কাজ না করলে কে করবে?
--কিসের তোমার সংসার? এটা তোমার সংসার না। তুমি উড়ে এসে জুড়ে বসেছো এখানে।(মামুন)
--কি যা তা বলছিস?(মা)
--ভুল কি বলছি?
--শোন, তোর এমন ব্যবহার আমি অনেক সহ্য করেছি, আর না। অনেক বেশি বেড়ে গেছিস তুই।
--মোটেও বাড়িনি আমি। ওকে ওর বাপের বাড়ি দিয়ে আসো।
--বাপের বাড়ি? প্রিয়া আজ থেকে এই রুমেই থাকবে।
--মানে?
--মানে আজ থেকে এটা প্রিয়ার রুম।
--তো আমি কই থাকবো?
--এই রুমেই যদি প্রিয়ার সাথে থাকতে পারিস, তাহলে থাক। নাহলে যেখানে মন চায় সেখানে চলে যা। আর বাঁধা দিবো না।
বলেই মা হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে যান।
.
মামুন রাগি চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
মামুনকে এভাবে তাকাতে দেখে প্রিয়া মাথা নিচু করে নেয়।
--এখন আমার মাকেও আমার থেকে দুরে সরিয়ে দিলে! আমার ঘরটাও আমার থেকে নিয়ে নিলে।
--আমায় ক্ষমা করে দে, আমি জানতাম না ফুফু এমটা বলবে।
--তোমার বয়ফ্রেন্ডের সব ঠিকানা আমায় দাও।
--কিসের বয়ফ্রেন্ড?
--তোমার বাচ্চার বাবার ঠিকানা।
--আমি জানি না।
--আমি চাই না তোমার এই বাচ্চা বাবার পরিচয় ছাড়া বড় হোক, আমি তোমাকে তার কাছে পৌছে দেবো।
--লাগবে না, যেই মানুষটা আমার এই অবস্থা করে কাপুরুষের মত পালিয়ে গেছে, আমি আর তার কাছে ফিরবো না।
--তো কি করবে? আমার ঘাড়ে চাপাবে সব?
--আমি আমার বাচ্চাকে কারো ঘাড়ে চাপাবো না। আমায় এই ঘরের এক কোনায় কোনো রকম পড়ে থাকতে দে। আমারযে যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। আমি তো ঘরের সব কাজ করে দেই। নাহয় আরেকটু বেশি করে করবো। আমি কথা দিচ্ছি, আমি কখনো তোর কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইবো না। অন্তত আমার বাচ্চাটাকে দুনিয়ার মুখ দেখতে দে।
--রেগে নয়, সুন্দর করে তোমায় বোঝাই, বসো এখানে। এই সন্তানের ভবিষ্যৎ কি? ওর বাবার পরিচয় কি? তুমি কি চাও এই বাচ্চাটা বড় হয়ে তোমার দিকেই আঙুল তুলুক? যার বাবার পরিচয় সে নিজেই জানতে পারবে না কখনো। সমাজে পদে পদে ওকে কটু কথা শুনতে হবে। বুঝতে পারছো আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি?
--এই বাচ্চাটাকে আমায় মেরে ফেলতে হবে?
--এখন তোমার প্রায় ৮ মাস চলছে, কয়দিন পরই তোমার ডেলিভারি হবে। আগে তোমাকে অনেকবার বোঝানো হয়েছে, তখন তুমি কারো কথা শুনো নি। পাপ করেছো, এবং পাপ সাথে বয়ে বেড়াচ্ছো। এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়।
--আমি কি করে পারতাম নিজের গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলতে? এতটা পাষাণ আমি হতে পারিনি।
--জানো, আমি এমটা ছিলাম না, এতোটা রাগ আমার কখনো হয়নি। তোমরা সবাই আমাকে পাগল বানিয়ে দিয়েছো। আমি আর নিজের সাথে পেরে উঠছি না। চেয়েছিলাম অনেক দুরে চলে যেতে। কিন্তু বাবা মাকে ছেড়ে যেতে মনটা চাইলো না। যেই তোমাকে সবসময় নিজের বোনের চোখে দেখে এসেছি, সেই তুমিই আজ আমার স্ত্রী, আমার চেয়ে বড়, বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট। কি করে মেনে নেবো আমি? তোমার সাথে আমি এতটা বাজে ব্যবহার করছি, আমি মন থেকে চাচ্ছি না তোমায় এত কথা শুনাতে। তবুও এসব সহ্য করতে না পেরে তোমায় কত কথা বলে ফেলি। আমায় ক্ষমা করে দিও।
--কি বলছিস এসব? তোর কোনো দোষইতো নেই। তোর জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো আমার সাথে আরো খারাপ কিছুও হতে পারতো। আমি তোর ব্যাপারটা বুঝতে পারছি।
--আমি জানিনা কখনো তোমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারবো কিনা। তবে বাচ্চাটাকে আমি কখনোই মেনে নিবো না।
প্রিয়া মাথা নিচু করে মামুনের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে।
--মানবিক দিক থেকে তোমায় বলছি, এই শরীর নিয়ে এত কাজ করার প্রয়োজন নেই। আমার নিজের কাজ আমি করতে পারি। আর মা সংসারটা ভালোভাবেই সামলে নিতে পারে।তাই তোমাকে কিছুই করতে হবে না। এই কয়দিন একটু বিশ্রাম নাও।
আজ কতদিন পর মামুন প্রিয়ার সাথে কথা বলছে।
খুশিতে প্রিয়ার চোখে পানি চলে আসে।
.
প্রিয়ার চোখের পানি দেখে মামুন রুম থেকে বাহিরে চলে আসে।
এভাবেই দিনগুলো চলতে থাকে। মামুন প্রিয়ার সাথে এখন আর বাজে ব্যবহার করে না। আবার খুব বেশি কথাও বলে না।
যখন প্রয়োজন পড়ে, দৌড়ে এসে প্রিয়াকে সাহায্য করে।
প্রিয়ার শাশুড়িও প্রিয়াকে যথেষ্ট সাহায্য করে।
মামুন সোফায় বসে মোবাইল টিপতেছিলো। আর প্রিয়া বিছানায় শুয়ে ছিলো।
হঠ্যাৎই প্রিয়ার ব্যথা শুরু হয়।
মামুনকে ডাকলে মামুন প্রিয়ার কাছে ছুটে যায়।
এবং সাথে সাথেই প্রিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আর ৮-১০ টা স্বামীর মতো মামুনের মনে কোনো চিন্তা নেই, প্রিয়াকে নিয়ে মনে কোনো ভাবনা নেই। বাবা মায়ের পাশেই বাহিরে বসে আছে।
একটু পর ডাক্তার এসে জানায় একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়েছে।।
--মা, আমি বাসায় গেলাম, ঘুম পাচ্ছে। তোমরা তোমাদের বউকে নিয়ে এসো, আমি গেলাম।
মামুন প্রতিউত্তের অপেক্ষা না করে উল্টো পথে হাটা দেয়।
পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙলে মামুন তাকিয়ে দেখে প্রিয়া সাথে একটা বাচ্চা নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।
কৌতুহল বসত মামুন বাচ্চাটার দিকে উকি দেয়। প্রিয়া তখনো ঘুমে।
বাচ্চাটাকে দেখে মামুন ধীরেধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠ্যাৎ কি মনে করে যেনো বাচ্চাটার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
..
চলবে.........

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com