Breaking News

গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ৭


ফাহমিদা : আরে গাধা আমি তোমাকে প্রপোজ করছি।

আমি : মজা রাখ তো। ভাইয়া বলে কেউ কী প্রপোজ করে নাকী।
ফাহমিদা : আসলেই প্রেপোজ করছি।
আমি : আরে পাগল হয়ছো নাকি। তূমি আমাকে প্রপোজ করবে কেন।
আর যদিও তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে ভুলে যাও কারন।
আমি একজনের সাথে সম্পর্ক আছে। সে আমাকে ছারা বাচবে না।
ফাহমিদা : আমি বিশ্বাস করি নাহ। তাহলে তোমাদের পিক দেখিও
আমি সেতু আমার ডুয়েট পিক দেখালাম।
পিকটা দেখিয়ে ফাহমিদাল চোখে জল চলে এসেছে। ফাহমিদা চলে গেল।
আপনারা হইতো ভাবছেন সেতু এর সাথে তো ব্রেক আপ হয়েছে
তাহলে ফাহমিদা কে মিথ্যা বললাম কেন।
ফাহমিদা আর সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না আরেক টি কথা হলো সেতুকে আমি অনেক ভালোবেসি।
সেতুর যে যায়গায় বসেছে ঐ যায়গায় আর কাউকে বসাতে চাই না।
এখন আর আমি প্রেমে বিশ্বাসী না। এখন সরাসরি যা করব তা হলো বিয়ে।
তাও বিয়ে করব তখন যখন সেতু মন থেকে উঠে যাবে।
পরেরদিন চলে আসি বাড়িতে। আব্বু কল দিছিল।সেই জন্য তারাতারি চলে।
কাজ করতৃ হবে সেই জন্য। এসে কাজে লেগে যায়।
দুইদিন পর সেতু আর বন্ধুরা রওনা দেই আমাদের বাড়ির দিকে।
দুপুরের ঐদিক কাজ করতেছি। প্রচুর রোদ উঠছে তবুও কাজ করতে হচ্ছে।
কাজ করলে শরীর ও মন উভয় ভালো থাকে।
তখন দেখতে পেলাম একটা মাইক্রো আসতেছে রাস্তা দিয়ে।
ভাবলাম এই সময় আবার মাইক্রো দিয়ে কে আসে। রাস্তার সাথে আমাদের জমি।
রিফাত :ঐ দেখ শুভকে কে পাইছি
সেতু : কই শুভ।
রিফাত জানালা দিয়ে দেখিয়ে দিল। আর বলল গাড়ি থামাতে।
আমি কাজ করতেছি কানে শব্দ আসল কে জেন আমাকে ডাকে।
মাথা উচু করে দেখি রিফাত হেলাল সেতু আর দুইটা মেয়ে দারিয়ে আছে।
আমি ওদের দেখে ক্ষেত থেকে উঠে এসে দেখা করলাম।
আমি : কী রে কেমন আসিছ তোরা
সবাই : ভালো তুই
আমি : ভালো। তোরা আসবি একটা কল দিবি তো।
রিফাত :সালা তোর নাম্বারে তো কল ডুকেই না। আর তুই বলছিস কল দিয়ে আসতে।
আমি : হুম হয়ছে। চল এবার বাড়িতে যাই।
বন্ধরা : তোর বাড়ি কী চিনি নাকী
আমি : আমি তো চিনি চল। আর আমরা গরিব মানুষ থাকার সমস্যা হতেই পারে।
পরে বাড়িতে আসলাম। আমাদের বাড়িটা হাফ বিল্ডিং।
বাড়ির ভিতর ডুকার পর আম্মু এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।
আম্মু খুশিউ হলো আমি মুখ ধুয়ে এসে আমার রুমে নিয়ে গেলাম।
আমার রুম দেখে সবাই অভাক। আর অভাক হওয়ার ওহ কারন আছে।
কারন হলো আমার ঘরটা অনেক সুন্দর করে সাজীয়ে রেখেছি।
আর বিয়ের পর সংসার করার জন্য যে যাবতীয় জিনিস লাগে সব কিছু আমি কিনে রেখেছি।
যেন বিয়ের পর বউ এসে বলতে না পারে এটা কিনে ওটা কিনে আনো।
সব জিনিস গুলো সুন্দর করে সাজানো। ছোট বোন ঘরে এসে বলে ভাইয়া আম্মু তোকে ডাকে।
আমি : তোরা গল্প কর। আমি তোদের জন্য চা নাস্তার ব্যাবস্থা করি।
এটা বলে চলে আসি। সেতু একটা কথাও বলে নি সব শুধু চুপ করৃ শুনেছে।
সেতু আমার ঘরটা দেখে আরো অভাক।
আমার চলে যাওয়ার পর দেখতে পেল মালা চুরি অনেক গুলো। ঔগলো ওরা দেখছিল।
এর মধ‍‍্যেই আমি চলে আসি। আর ওদের কে খাইতে দেই।
হেলাল : তুই মালা চুড়ি দিয়ে কী করস আর ওখানে সাজিয়ে রেখে কী করস।
দেখতে সেই লাগে।
আমি : ওয়েট একটা জিনিস তোদের দেখায়।
মালা ছিল চারটা চুরি ছিল তিন ডজন ওগুলো বের করলাম । করে ওদের সামনে নিয়ে গেলাম।
গিয়ে জিগ্যেস করলাম দেখতো কোনটা সুন্দর দেখা যায়।ওরা সবাই একটাই দেখায় দিল।
আমি বললাম এটা কিনছি আমি যখন নবম শ্রেনিতে পড়ি তখন।
তখন তো গার্লফ্রেন্ড ছিল না তাই সাজিয়ে রেখেছি বীয়ের পর বউকে দিব বলে।
এই গুলো দেখতাছোস সব গুলো অনেক পছন্দের জিনিস।
সেই জন্য সাজিয়ে রেখে দিয়েছে বিয়ের পর বউকে দিব।
সর্বশেষ এই যে দেখতাছোস এটা আমারও পছন্দ ছিল এবং আমার Ex gf এর পছন্দ ছিল।
একদিন গার্লফ্রেন্ড রে নিয়ে মেলাই ঘুরতে গেছিলাম তখন গার্লফ্রেন্ড পছন্দ করছিল।
সে বলেছিল কিনে দিতে। আমি কিনেছিলাম। কিন্তু তাকে দেইনি।
কারন বিয়ের আগে গিফ্ট দিয়ে টাকা নষ্ট করার মতো মানুষ আমি না।
যদি আল্লাহ্ তাকে কপালে রাখে। যদি তাকে বিয়ে করতে পারতাম তাহলে তাকে দিতাম।
কিন্তূ বিয়ে তো দূরের কথা সে আমাকে ভালোইবাসি নি।
সেতু : আমি তোমাকে ভালোবাসি।তাই তোমার কাছে ছুটে আসছি। আমাকে ক্ষমা করে দেও।
তখনি আমার বোন এসে বলল আম্মু তোমাকে বাজারে যেতে বলল।
আমি আচ্ছা তুমি যাও আমি গোসল করে বাজারে যাব।
গোসল করে এসে হেলাল আর রিফাতকে নিয়ে বাজারে গেলাম।
বাজার করা শেষ করে এসে ওরা বলল গ্রাম টা ঘুরিয়ে দেখা।
সবাই গেলাম কিন্তু সেতু গেল না ওর বলে শরীর খারাপ।
আমার একটু চিন্তা হলো। আসতে না আসতেই এর আবার কী হলো
পরে আমরা সবাই ঘুরতে গেলাম।
সেতু এদিকে আম্মূ এর সাথে রান্না ঘরে গেছে আম্মুকে রান্নার কাজে হেল্প করতে।
আম্মু : মা তুমি এখানে আসছো কেন?
শহরের মানুষ এই রান্না ঘরে অনেক গরম। মনে তো হয় কোনোদিন রান্না ঘরে যাও নাই
সেতু : না আনটি অনেক রান্না করছি। আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।
.
চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com