ওসির অহংকারী মেয়ে । পর্ব -০১
মেলায় ঘুরতে গিয়ে একটা মেয়ের উপরে নজর আটকে গেলো,মেয়েটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি,মেয়েটার হাসিটা যেন কলিজা ছিদ্র করে অপরপ্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে গেছে,এমন সুন্দরী ললনা এর আগে আমি কখনো দেখিনি,এক কথায় বলতে গেছে হুর-পরী
এমন সময় তিশান ডাক দিয়ে বলে আরে দোস্ত মেয়েটাতো চলে যাচ্ছে,তিশানের কথায় হুশ ফিরে আসলো,হা তাইতো মেয়েটা তো চলে যাচ্ছে,এখন কি করা যায় বন্ধু....
মেয়েটাতো কলিজায় দাগ লাগিয়ে দিয়েছে,
তিশান,চল একটা কাজ করি মেয়েটার পিছু নেই..?
ওকেহ চল....
আমি আর তিশান মেয়েটার পিছু নিলাম,মেয়েটা মেলায় ওর বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে,কলিজাটা বারবার খালি মোচড় দিচ্ছে,ইচ্ছে করছে এখনি গিয়ে ভরা মজলিসে সবার সামনে প্রপোজ করি,কিন্তু নাহ তা করা যাবে না,
এভাবে প্রায় ত্রিশ মিনিট মেয়েটার পিছু নিলাম,মেয়েটাও হয়তো কিছু টের পেয়ে গেছে,হটাৎ দেখি মেয়েটা আমার দিকেই আসছে,বন্ধু এখন কি করবো মেয়েটাতো আমার দিকেই আসছে
কিন্তু তিশানের কোন সাড়া শব্দ নাই,পাশে ফিরে দেখি বেটা পালিয়েছে,এখন তো বুক ধুপধুপ ধুপধুপ করছে,সালা কি স্বার্থপর বন্ধুরে বিপদের সময় লেজ গুটে পালিয়েছে,মামুর বেটা একবার সুযোগে পাই তোমাকে,স্বার্থপর বন্ধুর পরিচয় আমিও দিব..
মেয়েটা একদম আমার কাছে চলে আসে,এই ছেলে কি সমস্যা তোমার...?
আমি,কোথায় কি সমস্যা...?
মেয়েটা,এই কথা ঘুরাচ্ছিস কেন রে তুই....?
সমস্যা যদি নাই থাকে তাহলে আমার পিছু কেন নিচ্ছিস...?
আমি,আকাশ চুপ করে থাকে,
মেয়েটা,কিরে কথা বলছিস না কেনো...?
এত সময় তো আমার পিছু পিছু ঠিকই ঘুরঘুর করেছিস,এখন কথা বলতে সমস্যা কোথায়...?
আমি,আসলে সত্যি বলতে কি প্রথম দেখায় আপনাকে ভালো লেগে গেছে,আই মিন ভালোবেসে ফেলেছি,তাই আপনার পিছু নিয়েছি,
মেয়েটা,এই ছোটলোকের বাচ্চা কি বললি তুই বলে গালের মধ্যে ঠাসসসসস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়....?
আমি,তো পুরা থ মেয়েটার কান্ড দেখে,মেলার অনেক মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে,লজ্জায় একদম মাথা কাটা যাচ্ছে,
মেয়েটা,এই তোর কত্ত বড় সাহস যে তুই আমাকে ভালোবাসার কথা বলিস..?দেখতে তো পুরা ফকিন্নির মত লাগে,তোর কোনো যোগ্যতা আছে আমাকে ভালোবাসার ? আমার বাবা কি করে জানিস ?
আমার বাবা হচ্ছে ওসি,আর তোকে দেখতে তো মনে হয় কৃষকের ছেলে,গাইয়া কোথাকার দ্বারা তোর ব্যবস্থা করছি পাপাকে এখনি ফোন দিচ্ছি,লকাপে ঢুকিয়ে যখন কোষে কয়েকটা দিবে এমনি প্রেমের ভুত মাথা থেকে চলে যাবে,মেয়েটা ওর বাবাকে ফোন করে আসতে বলে,
আমি,কি করবো কিছুই মাথায় কাজ করছে না,লোকজন জড়ো হয়ে গেছে অনেক,মানুষজন সবাই আমাকে চিড়িয়াখানার পশুর মত ঘুরে ঘুরে দেখছে,মাথা নিচে নামিয়ে রেখেছি,এমন সময় একটা পুলিশের গাড়ি আসে,আর তার থেকে মোটামুটি একটা বয়স্ক লোক নেমে আসে,যতটুকু সম্ভব উনি মেয়েটার বাবা,
মেয়েটা,দৌড়ে ওর বাবার কাছে চলে যায়,পাপা ঐ ছেলেটা আমার সাথে অসভ্যতামো করেছে,আমার দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়,
মেয়েটার বাবা,এসে এই ছেলে আমার মেয়ের সাথে অসভ্যতামো করা,চল বেটা তোকে থাকায় নিয়ে তোর খাতির যত্ন করছি,লোকটা আমার কলার ধরে টানতে টানতে গাড়িয়ে গাড়ির দিকে নিয়ে যায়,
আমি,স্যার আপনি প্লিজ একটা বার আমার কথাটা শুনুন ?
আমি কিচ্ছু করিনি,আমি যাস্ট উনার পিছু নিয়েছিলাম,প্লিজ স্যার আমায় ছেড়ে দিন,
ওসি স্যার,এই ছেলে তোর সাহস তো কম না,আমার মুখের উপরে কথা বলিস,নাহ তোকে এভাবে হবে না,লাথি খাওয়া মানুষ কখনো কথায় শুধরাবে না,এই সেলিম গাড়ি থেকে মোটা রোলারটা নিয়ে আয় তো...?
স্যারের কথা মতো সে মোটা রোলারটা নিয়ে এসে স্যারের হাতে দিলো,স্যার সোজা লাঠিটা হাতে নিয়ে আমায় হাটুর মধ্যে সেজোরে একটা বাড়ি মারে,
আমি,তো বাড়ি খেয়ে মনে হয় এখনি উপরে চলে যাবো,ব্যথায় মাটিতে বসে পড়লাম,চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে পড়ছে,এদিকে মানুষ চেয়ে চেয়ে হাসছে আর বলছে একদম ঠিক হয়েছে বেটার সাথে,ফ্লাট করা মেয়েদের সাথে,একদম উচিৎ শিক্ষা দেওয়া উচিৎ বেটাকে,
ওসি স্যার,চুপচাপ গাড়িতে উঠ,না হয় লোকজনের সামনে এমন উদুম কেলানি কেলাবো মানসম্মান তো যাবে যাবেই প্লাস শরীরের একটা হাড় ও ঠিক ঠাক জায়গা মত খুজে পাবি না
আমি,না না স্যার প্লিজ আমি উঠছি,আকাশ মাটি থেকে উঠে দাঁড়ায় কিন্তু মাগো বলে চিৎকার দিয়ে আবার মাটিতে বসে যায়,ব্যথার চোটে উঠে দাঁড়াতেও পারছে না সে,
ওসি স্যার রেগে গিয়ে আমাকে টেনে হেঁচড়ে গাড়িয়ে তুলে,বেটা অনেক ঢং ধরেছিস,এসব ঢং আমার সামনে ধরে কোন কাজ হবে না,
এদিকে ব্যথায় আমার কলিজা বের হয়ে যাবে মনে হচ্ছে,কিন্তু কিছুই বলতে পারছি না,আমাকে থানায় নিয়ে গিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে,
ওসি স্যার,এই বেটাকে নিয়ে গিয়ে লকাপে ঢুকা,আমার মেয়ের সাথে অসভ্যতামো করে ওর কত্ত বড় সাহস,ওকে মেরে ওর হাড্ডি গুড্ডি এক করে দে,কাল সকালের আগে যেন বেটা কোন রকমে ছাড়া না পায়..?
সকালে আমি এসে যেন দেখি বেটা আধমরা হয়ে আছে,না হয় কিন্তু তোদের কপালেও শনি আছে..?
সেলিম,স্যার আপনি টেনশন নিবেন না,ওর মাথা থেকে এইসব দুই নাম্বারি চিন্তা একদম বের করে ফেলে দিব,
তারপর ওসি স্যার চলে যায়,আর আমাকে লকাপে ঢুকিয়ে সারারাত
মারধোর করে,আমার রুহু যেন এখনি বের হয়ে যাবে,সকাল বেলা ওসি স্যার আসে,আর আমাকে লকাপ থেকে বের করে উনার সামনে নিয়ে যায়,
ওসি স্যার,বেটা এখন কেমন লাগছে...?
তুই জানিস না কার মেয়ের দিকে নজর দিয়েছিস,সামনের থেকে এসব করার আগে দেখে নিবি ঐ মেয়ের বাবাও আমার মত বড় অফিসার কিনা,এবারের মত ছেড়ে দিলাম যাহ বাড়ি যা?
আমি,মনে মনে হাসছি আর বলছি হায়রে পাওয়ার,তুই সামান্য একটা থানার ওসি মাত্র,এটা নিয়েই এত অহংকার বাপ মেয়ের,আর আমি কে সেটা যদি তুই জানতি তাহলে মাটি ছিদ্র করে সেটার নিচে ঢুকে যেতি,যাক সমস্যা নেই সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকলাম,আমার ও সময় আসবে,একক,দশকে সব হিসাব করে নিব,কমদামি কাপড় আর নরমাল গেটাপ নিয়ে থাকি বলে চোখে পড়ে না
থানা থেকে বের হয়ে দুই কদম দিতেই ২০-২৫ টা দামি দামি গাড়ি আমার সামনে দাঁড় করায়,যেমন ল্যাম্বারঘিনি ভেনেনো,মার্সেডিজ বেঞ্চ মেব্যাক,ফেরারি পনিনফারিনা সের্জিও,মেবাক এক্সেলেরো ইত্যাদি এই টাইপের গাড়ি,সব কয়টার দরজা অটোমেটিক খুলে যায়, আমি একটাতে উঠে বসে গেলাম,তারপর সেটাতে করে বাসায় চলে যাই,
সেটা এক কনস্টেবল এর চোখ এড়ায়নি,সে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিলো,যেই ছেলে সারারাত লকাপে বন্দী থেকে মাইর খেলো,সেই ছেলে সকাল বেলা এত দামী গাড়ি,কনস্টেবল যেন কোনো মতেই হিসাব মিলাইতে পারতেছে না,সে গিয়ে ওসি স্যারকে সব বলে,
ওসি স্যার যেন বিশ্বাস এই করতে পারছে না,সে থানার সামনে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ গুলো চেক করে,তারপর সে নিজের চোখে দেখে,ওসির তো হুশ এই উড়ে গেছে,তার চোখ জোড়া বড় বড় হয়ে কপালে উঠে আছে....
এটা কি করে সম্ভব,যেই গাড়ি আমরা কয়েক বছর মেহনত করলেও কিনতে পারবো কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই,আর এমন খ্যাত মার্কা ছেলের কাছে এত দামী মডেলের গাড়ি তাও আবার বিভিন্ন ব্রান্ডের,যেই গাড়ি শহরের কোটিপতি রাও কিনার ক্ষমতা রাখে না....
আমি,আমার ভাড়া বাসায় চলে এলাম,গাড়ি গুলো আমায় নামিয়ে দিয়ে ওদের গন্তব্যে চলে গেলো,শরীরের ব্যথায় নড়াচড়া করতে পর্যন্ত অসুবিধে হচ্ছে আমার,নাহ আর রান্না করবো না,বাহির থেকে কিছু নিয়ে এসে খেয়ে নিব,কিন্তু হাঁটাচলা করতে পারছি না,মনে হচ্ছে যেন পায়ের হাড়টা ভেঙ্গে গেছে,ব্যথায় কাতর হয়ে যাচ্ছি,না পারতে ডক্টরের কাছে গেলাম,উনি আমার পা দেখেই বলে দিলো পায়ের ভিতরের হাড় ভেঙ্গে একটার উপরে একটা উঠে গিয়েছে,উনি রাতারাতি প্লাস্টার করে দিলো,
পরেরদিন
সকাল বেলা উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম,সারারাত পায়ের ব্যথায় ঘুম হয়নি,কিন্তু যত যাই হোক আমার ক্লাসে যেতে হবে,কারন কিছুদিন পর আমার পরিক্ষা,এখন ঠিকটাক মত ক্লাস না করলে পরিক্ষায় আন্ডা পাবো,তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ক্লাসের দিকে রওনা দিলাম,
মেইন রোডে ঐঠে রিক্সা নিয়ে কলেজের দিকে রওনা হয়েছে,ওর হা আপনাদের তো বলাই হয়নি আমার পরিচয়...
(আমার নাম আকাশ সে তো সবাই জানেন,বাবা- মা ভাই বোন তাদের পরিচয় গল্পের সাথে থাকলে পেয়ে যাবে,আর আমি পড়ি হচ্ছে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে)
এবার গল্পে আসা যাক,
কোন ভাবে গিয়ে কলেজে পৌঁছালাম,পায়ে ব্যান্ডেজ প্লাস পড়নে কোন ভালো জামা কাপড় ও নেই,সবাই আমাকে দেখে হাসছে,কেউ কেউ তো টিটকারি করছে ঐ যে দেখ কলেজের নাম্বার ওয়ান খ্যাতটা যাচ্ছে,কি আর করবো লজ্জায় মাথা নামিয়ে হাটা দিলাম,মাথা নিচু করে হাটছি হটাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম,ব্যথায় মাগো বলে ষাঁড়ের মত চেঁচিয়ে উঠলাম,
ব্যথার উপরে ব্যথা পেয়েছি,রুহু যেন এখনি বের হয়ে যাবে,কিন্তু সব কিছু ফেলে কার সাথে ধাক্কা লাগলো সেটা দেখার জন্য মাথা উপরে তুলতেই দেখি কালকের মেয়েটা,যে আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে,
মেয়েটা,আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে,মনে হয় এখনি গিলে খেয়ে ফেলবে,
আকাশ,কিন্তু আমি কি করবো আমি তো ইচ্ছা করে এমন করিনি,
আমি মাটি থেকে উঠে দাঁড়ালাম,আসলে সরি আমি ইচ্ছা করে এমন করিনি,
মেয়েটা,আমার গালের মধ্যে কোষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো,
আকাশের চোখ দিয়ে টলমল করে পানি পড়ছে..
মেয়েটা,এই ছোটলোকের বাচ্চা তুই আমার পিছু করতে করতে এখানে পর্যন্ত চলে এসেছিস..?
কালকের মারে তোর কি শিক্ষা হয়নি...?
পাশে থেকেই একটা মেয়ে বলে উঠলো,আরে এই খ্যাতটা এখানেই পড়ে,
মেয়েটা,কিহহহ বলিস..?
আমি এই খ্যাতদের কলেজে ট্রান্সফার হয়ে এসেছি,ছিহহহ আমার ভাবতেও তো গা শিউরে উঠছে,
আকাশ,চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,আর ভাবছে পোশাক-আশাকে যদি মানুষকে খ্যাত আর ছোটলোক নির্বাচন করা হয়,তাহলে তোরা আমার কাছে এর থেকে বড় খ্যাত,তোরা যেই কাপড় পড়ে নিজেকে মর্ডান আর বড়লোক দাবি করছিস,সেই কাপড় দিয়ে আমার ঘরের ময়লা পরিষ্কার করে,
থাক আর নিজেকে মহান বলে পরিচয় দিব না,আমি খ্যাত তাই আমাকে সবাই খ্যাত বলে,
মেয়েটা,এই ছোটলোক তুই এখনো যাসনি...?
দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে,..?
সবাই আকাশকে দেখে হাসাহাসি করছে,কারন নতুন একটা মেয়ে আসলো সে পর্যন্ত কথা শুনাতে কমতি দিলো না,কলেজের সবাই তো কথা শুনায় শুনায় এই,বাকি আজকে নতুন একজন আসলো সেও কথা শুনিয়ে দিলো,
মন খারাপ করে ক্লাসে চলে গেলাম,ক্লাসে গিয়ে প্রথমের বেঞ্চে বসলাম,কিন্তু স্যার এসে আমায় অপমান করে উঠিয়ে দিলো,
স্যার,এই ছেলে তোমায় কতদিন বলেছি এমন নোংরা জামা কাপড় পরে কলেজে আসবে না,তাও আজ পড়ে এসেছো,যাও শেষ বেঞ্চে গিয়ে বসো,
আকাশ,তিশান,আজ কলেজে আসেনি,তাই মন খারাপ হলেও ভালো করার মত কেউ নেই
সবাই হাসাহাসি করছে আমাকে নিয়ে,সেটা রোজ এর একটা রুটিন,তবে সবার কথা শুনে নিজের কাছে নিজেকে খুব অপমান লাগে,আজ নিজের কিছু নেই বলে সবাই এমন খোটা দেয়,তবে আবার নিজেকে নিয়ে গর্ব ও করি,কারন ছেড়া নোংরা কাপড় পরিধান করলেও সেটা নিজের টাকায় কেনা,
ক্লাস শেষ করে ভাঙ্গা পা নিয়েই বাসার দিকে রওনা দিলাম,হেটেই যেতে হবে পকেটে টাকা নাই,আসার ভাড়াটা খালি ছিলো আমার কাছে দুপুরে বাসায় গিয়ে কি খাবো সেটার ও কোন ঠিক ঠিকানা নাই,কলেজের সীমানা পার হতেই কেউ একজন এসে পায়ের উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়লো,ভাই আপনি আমাদেরকে বাঁচান,আপনি ছাড়া আমাদের কোন অস্তিত্ব নাই,প্লিজ ভাই আপনি আবার আগের রূপে ফিরে আসেন..?
আকাশ,নাহ রে ভাই তা আর হবে না
তোদের ভাই মরে গেছে বলে মুচকি একটা হাসি দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম....
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com