Breaking News

ওসির অহংকারী মেয়ে । পর্ব -০৯

আকাশ,আজ একদম পুরো ভিন্ন গেটাপে,ল্যাম্বারঘিনিটা নিয়ে সে নিজে ড্রাইভ করে কলেজের সামনে গিয়ে পার্ক করে..

তারপর সে গাড়িটার ভিতর থেকে নেমে আসে,পুরো কলেজের সবাই তো গাড়িটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,,
আকাশকে দেখে তো সবাই অবাক,ওকে দেখে কেউ চোখ ফিরাতে পারছে না,এক কথায় রাজপুত্র লাগছে,
এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন এসে আকাশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,আর আকাশের ঘাড়ের মধ্যে কয়েকটা চুমু বসিয়ে দেয়....
আকাশ,তো ভেভাচাকা খেয়ে যায়,সে পিছনে ঘুরে দেখে হেনা,
আকাশের মেজাজ তো পুরা গরম হয়ে গেছে,সে হেনার গালের মধ্যে ঠাসসসস ঠাসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়,
এই তোর কত্ত বড় সাহস যে তুই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস...?
হেনা,সাহসের কি আছে আমার বিএফ কে আমি জড়িয়ে ধরেছি,
আকাশ,এই মেয়ে সেটআপ মুখ সামলে কথা বল,তোর সাথে আমার কোন কালেই কোন কিছু ছিলো না,হটাৎ কোথা থেকে উড়ে এসে বিএফ দাবী করছিস...?
হেনা,প্লিজ আকাশ আমায় এভাবে অস্বীকার করো না,আমি যা করেছি ভুল করেছি,প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিয়ে নিজের করে নাও😓
হেনা মনে হয় যে সে এখনি কান্না করে দিবে...
আকাশ,এই ড্রামাবাজ মেয়ে অনেক হইছে তোমার ছলনা,এবার আর নাহ আমি আমার মত ভালোই আছি,আর এইসবের প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই,বিশেষ করে তো তোমার সাথে একদম এই নাই,ছলনাময়ী মেয়ে নিজের রাস্তা মাপো,আর আমি তো খ্যাত আমার সাথে কি করে কথা বলছো ঘৃণা হচ্ছে না এখন....?
হেনা,মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,কি বলবে সে কিছুই বলার মত নাই,কারন সে এমন বিহেভিয়ার আগে দেখিয়ে এসেছে আকাশকে,আজ তা ফেরত পাচ্ছে একক দশকে
আকাশ,এই মেয়ে সরো তোমার মত মেয়ের সাথে আমার কোন কিছুই নাই,আর নিজের স্টাটাস দেখেছো তুমি...?
সাধারণ একটা ওসির মেয়ে,আর আমি কার ছেলে সেটা তো হয়তো জেনেই গেছো,তাহলে এবার ভাগো,আমার লেভেলের না তুমি....
হেনা,ছোট বাচ্চার মত কান্না করে দেয় আকাশের কথা শুনে,
আকাশ,হেনাকে ফেলে রেখে ক্লাসে চলে যায়,
হেনার নিজের দোষেই সবটা হয়েছে,অহংকার পতনের মূল আসলেই কথাটা সত্যি....
হেনা,কান্না করতে করতে বাসায় চলে যায় ক্লাস না করে...
আকাশ,ক্লাস রুমে ঢুকতেই সবাই ওর সাথে কথা বলতে এগিয়ে আসে,বিশেষ করে মীম...
আসলে সরি আকাশ হেনার সাথে মিলে তোমায় কষ্ট দিয়েছি,প্লিজ আমাকে তোমার বন্ধু বানাবে..?
আকাশ,মীম শুনো সরির কিছু নাই,নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও,
কেন এতদিন আমি খ্যাত ছিলাম,কিন্তু এখন কি এমন হলো যে মাফ চাচ্ছো..?
শুনো তোমরা হচ্ছো স্বার্থপর কাতারের মানুষ,তোমার সাথে বন্ধুত্ব তো দূরের কথা,তোমার ছায়া পর্যন্ত আমার ধারে কাছে আসতে পারবে না...
লেভেল আছে তোমার যে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আসছো,আমার বাসার পশুপাখি ও তো তোমার থেকে বেশি যোগ্যতা সম্পূর্ণ,হাহ আসছে বন্ধুত্ব করতে...
আকাশের কথা শুনে মীম মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে যায়,
কারোর মুখে কোন কথা নাই,কারন আকাশের আসল পরিচয় জানার পর সবাই বুঝে গেছে আকাশের লেভেল কোথায়,সবাই ওকে অপমান করতো,কিন্তু কেউ জানতো না সে যে এই শহরের নাম করা কোটিপতির ছেলে,আকাশের কাছে তারা কিছুই না....
একটু পর আরু আসে ক্লাসে,তিশান ও আজ ক্লাসে এসেছে,তিশান তো আকাশের ব্যাপারটা শুনে পুরা থথথথথ..
ক্লাস শুরু হয়ে যাবে,তাই সবাই নিজের জায়গা ঠিক করে নেয়,
আকাশ,আজো সামনে বসেছে,পাশেই সিটেই আরু আর তার থেকে এক বেঞ্চ দূরে তিশান,স্যার ক্লাস নিতে এসে দেখে আকাশ সবার সামনে বসেছে,আজ ওর কাপড় চোপড় দেখে স্যারের হুশ এই উড়ে যায়,
স্যার,ভিতরে ভিতরে নিজেকে নিজে ধিৎকার দিচ্ছে,কারন তিনিও আকাশকে কথা শুনিয়েছেন,স্যার চুপচাপ ক্লাস করে চলে যায়,একটু পর কেউ একজন এসে বলে ওকে হেডস্যার আমায় ডাকছে,
আকাশ,হেডস্যারের কাছে যায়,
হেডস্যার,আকাশ তোমায় নিয়ে প্রাউড করি যে তুমি আমাদের কলেজে পড়ছো,ইয়াকুব সাহেবের ছেলে আমাদের কলেজে পড়ে আমার সেটা বিশ্বাস এই হচ্ছে না,প্লিজ কখনো কোনকিছু দরকার হলে আমায় বলবে,
আকাশ,ওকেহ স্যার....
তারপর আরো কিছু কথা বলে স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে আসে,আর মনে মনে ভাবতেছে দুনিয়ার নেজাম পাল্টে গেছে,ভালো মন দিয়ে কোন কিছুই যায় আসে না মানুষের,একটাই জিনিস দিয়ে বিবেচনা করা হয় টাকা পয়সা পাওয়ার...
আগে যখন ভেসভোসা ধরে ছিলমা হেডস্যার কেন,একটা কুকুর পর্যন্ত মুখ ফিরে তাকায়নি,আর আজ আসল পরিচয় জানার পর পুরো কলেজ পিছনে পড়ে গেছে,
ক্লাস শেষ করে আরু তিশান আকাশ সবাই কেন্টিনে বসে গল্প করছে,এমন সময় একটা মেয়ে এসে আকাশকে প্রপোজ করে,মেয়েটা অন্য ডিপার্টমেন্ট এর,মেয়েটা দেখতে হেব্বি মাশাল্লাহ,কিন্তু আকাশ সোজা জানিয়ে দেয় সে রিলেশন করবে না,কিন্তু মেয়েটা নাছোড়বান্দা সেও আকাশকে ছাড়বে না,
আরু আর তিশানের তো সেই হাসি পাচ্ছে,
আকাশের এদিকে মেজাজ খারাপ হচ্ছে,
মেয়েটা,এই আকাশ রিলেশন করলে কি হয়...?
এমন করে তাড়িয়ে দিচ্ছো কেন..?
আকাশ,এই মেয়ে তুমি আমার চোখের সামনে থেকে যাও তো, না হয় মাথায় তুলে আছাড় দিব,একটু গরম হয়ে বলে,
মেয়েটা,ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়,
আকাশের মেজাজ একদম খারাপ করে দিছে মেয়েটা,এ তোরা থাক আমি যাচ্ছি...
আরু,সে কি রে একটু গল্প করি আয় না,
আকাশ,না রে আমার ইচ্ছা করছে না গল্প করতে,
থাক তোরা আমি যাই,
আরু,এই থাম আমরাও চলে যাবো তাহলে,তুই না থাকলে দুইজন গল্প করে কি করবো,তারপর সবাই সবার বাসায় চলে যায়,
আকাশ,বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নেয়,পরে একটা ঘুম দেয়, বিকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে,পরে আবার পড়তে বসে কারন একদম নিকটে চলে আসছে পরিক্ষা,এখন ধুমিয়ে পড়তে হবে,
অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে,সমস্ত পড়া কমপ্লিট করে ঘুমিয়ে পড়ে,
পরেরদিন
সকাল বেলা ঘুম থেকে রেডি হয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে যায়,
কিন্তু কলেজে গিয়ে যা দেখে তার তো হুঁশ এই উড়ে যায়,
গতকাল যেই মেয়েটা আমাকে প্রপোজ করেছিলো সেই মেয়েটাকে হেনা উদুম কেলানি....
.
চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com