জ্বিন বর । পর্ব -০১
আজকে বাবা ছেলেকে দেখে এসেছে। বাবা যেন আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি বিয়ে করতে চাই না লেখাপড়া করতে চাই বাবাকে বলেছি।
কিন্তু বাবা আমার কোন কথাই শুনলেন না। বাবা চান এই বছরের মধ্যে বিয়ে দিতে।
আমিও বাবাকে বলে দিয়েছি
আর আমাদের গ্রামে আমিই ভাল ছাত্রী।
বাবা আমাকে বলল
-পরী মা, তোকে ১৯বছরের আগে বিয়ে দিতে চাই তাতেই তোর সুখ।
-মোটেও না।বিয়েতে আমার সুখ না আমার সুখ হল লেখাপড়ায়।
বাবা এই কথায় বলল
-তার জন্য এমন ছেলে খুজছি যে তোকে বিয়ের পর পড়াবে।
আমি আর কোন কথাই বললাম না।
আমার মা মারা গেছে যখন আমার বয়স ১০বছর।
আমার বাবা এরপর আর কোন বিয়ে করে নেই।
আমার চাচারা অনেক বলেছিল তাও করেন নি।
আমাকে আর আমার ছোট ভাই নুহাশকে নিয়েই সে জীবন কাটিয়েছে।
আমার বাবা একটু ধার্মিক।
উনি মসজিদের মাওলানা আর গ্রামের হুজুর।
গ্রামে আমার বাবার সম্মান অনেক বেশি।
আর আমাকে বাবা খুব বেশি ভালবাসে কখনো আমি কিছু চেয়েছি
আর বাবা দেন নি এমন টা হয় নি।
কিন্তু কেন যে বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য এমন করছে তা আমি নিজে জানি না।
তাই অবশেষে বাবার কথা ভেবে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।
আমার বিয়ে আমার ১৯বছর হওয়ার ১দিন আগে হয়েছে। ছেলের নাম তাঈফ।
ছেলে শহরের তাই আমি একটুও রাজি ছিলাম না।
আমি গ্রামের মেয়ে বাবাকে ছেড়ে এতদুরে এসেছি তাও বিয়ে করে মন
টা জানি কেমন করছিল।
তাইফ আর আমি বিয়ের গাড়ীতে বসে আছি।
তাইফ আমার থেকে এক্টু দূরে বসে আছে আমার কান্না দেখছে তাও কোন কথা বলছে না।
বিয়ে করে আসার সময় বাবা আমাকে এক্টা তাবিজ দিয়েছে আর বলেছে
-পরী মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তোর কাছে রাখবি, মা।
আর তাইফকে যেন কানে কানে কি বলেছে ।
বিয়ের গাড়ি একবারে শহরে যাচ্ছে।
এখনো গ্রামের সীমান্ত ছাড়ী নেই
যখন গ্রামের সীমান্ত ছাড়তে যাব তখনি গাড়ি টা যেন ধাক্কা খেল খুব জোড়ে।
মনে হচ্ছিল কেউ যেন গাড়ীটাকে পিছন থেকে ধরে রেখেছে।
রাত্রের সময় আমি একটু নাড়া খেয়ে গাড়ি থেকে পড়ে যেতে নিচ্ছিলাম তখনি তাইফ আমাকে ধ রল।
কিন্তু দুভাগ্যবশত বাবার দেওয়া তাবিজ হাত থেকে পড়ে গেল। গাড়ি অনেক স্পিডে চলছে
তাইফকে যে বলব গাড়ি থামাতে সেই সাহসটুকু আমার ছিল না লজ্জা করছিল।
তখনি বাবার কথা
মনে আসছিল তাই চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। তখনি তাইফ বলল
-পরী ঠিক আছ??
আমি আমার মাথা নাড়িয়ে বললাম
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com