Breaking News

ওসির অহংকারী মেয়ে । পর্ব -০৬

আকাশ,হেনা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি,শুধু ভালোবাসি না নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি,হেনা তুমি কি দেবে আমায় একটা সুযোগ তোমায় ভালোবাসার মত..?

কথা দিলাম তোমার এই দু'টো হাত আমি কখনোই ছাড়বো না..
হেনা,পা থেকে জুতোটা খুলে ঠাসসস করে জুতোর বাড়ি বসিয়ে দেয় আকাশের গালে...
আকাশ,তো পুরো অবাক,
কলেজের সবাই আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,
হেনা,কিরে ফকিন্নির বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় আমাকে প্রপোজ করার...?
নিজের চেহারাটা ভালো করে কখনো আয়নায় দেখেছিস..?
ছোটলোকের বাচ্চা চলে এসেছিস আমাকে প্রপোজ করতে
আকাশ,হেনা তুমি আমার সাথে মজা করছো তাই না,কলিজা আমি জানি তুমি আমার সাথে মজা করছো,
হেনা,জুতোটা দিয়ে আরেকটা বাড়ি লাগিয়ে দেয় আকাশের গালে,এই ছোটলোক মজা করবো মানি?
কিসের মজা তোর সাথে,বলে ছিলাম না ঐদিন তোকে আমি দেখে ছাড়বো,আমাকে অপমান করা,তার উপরে আমাকে লোকের কাছে থাপ্পড় খাওয়ানো,কি ভেবেছিস আমি এত সহযে সব ভুলে যাবো আর তোকে ছেড়ে দিব,
ছোটলোক তোর নিজেকে নিজে ভালোবাসার মত পয়সা নাই,কি সব কমদামী জামা কাপড় পরিধান করেছিস,আর চলে এসেছিস আমাকে ভালোবাসতে খ্যাত গাইয়া কোথাকার,
আকাশ,মাটির দিকে চেয়ে আছে আর চোখ দিয়ে জ্বল ঝড়াচ্ছে,
চোখের জ্বলে যেন আশপাশের মাটি ভিজে কাঁদা হয়ে গেছে,আকাশের বিশ্বাস এই হচ্ছে না যে হেনা তার সাথে এইরূপ আচরণ করেছে,কি দোষ ছিলো তার যাস্ট সামান্য একটু বন্ধুর থেকে কথা শুনেছে,আর নিজের দোষে নিজে মার খেয়েছে,এই জন্য এত ক্ষোভ আমার উপরে,
কিন্তু সে যে আমায় বিনাদোষে সারারাত মাইর খাইয়েছে,সারারাত ননস্টপ দুইটা মানুষ আমায় মেরেছে সেইটা কি কিছুই না🙂
চোখের পানি যেন বৃষ্টির পানিতে পরিণত হয়ে গেছে...
হেনা,এই ছোটলোক শোন তোকে একটা পরামর্শ দেই,আগে নিজেকে ঠিক কর,তোর যে স্টাটাস তোর জন্য আমরা না তোর জন্য তো গ্রামের ছকিনা পারফেক্ট,আর শোন আমি কে সেটা চিনে রাখবি,
ফকিন্নি গাইয়া কোথাকার থাক চললাম....
হেনা,আর ওর বান্ধবী যারা ছিলো সবাই চলে গেলো,মীম ও আছে হেনার সাথে,আই মিন এটা ওদের প্লানিং ছিলো আমাকে এই ভাবে অপমান করবে🙂
সকলেই হাসাহাসি করছে আমাকে নিয়ে,দুই এক জন তো চেঁচিয়ে ও বলছে কিরে খ্যাত আর মেয়ে খুজে পেলি না,শেষ মেষ ওসির মেয়েকে ধরেছিস,বাহ ভালোই তো ফন্দী এঁটেছিস ওর বাবার টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য,
--শরমে মথা উঠাতে পারছি না,সবাই টিটকারি করছে😓
হটাৎ এমহ সময় কোথাথেকে জানি আরু আসে,
আরু,এই কার কি সমস্যা এবার আমাকে বল..?
তোদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ নাই হা..?
ওর যাকে মনে হয় তাকে প্রপোজ করবে,তোরা ওকে নিয়ে কটুক্তি করার কে...?
আরুকে দেখে সবাই চলে যায়,
আরু,এই হাঁদারাম ছেলে মাটি থেকে উঠে দাঁড়া,
আকাশ,এখনো মাটিতে বসে বসে কান্না করছে,
আরু,এই আর কত কাঁদবি,আরু আকাশকে ধরে উঠায় মাটি থেকে,
এই তোকে বলেছিলাম না যে এই মেয়ের মতিগতি ভালো না,সে যে কোন সময় তার রং পরিবর্তন করতে পারে,কিন্তু তুই কি বলেছিলি অতিজোর গেলে মরে যাবি,কিন্তু এখন ভেবে দেখতো এটা মরে যাওয়া না এই চাইতেও বেশি কষ্টের..?
আকাশের মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছে না,
আরু,আচ্ছা হয়েছে এবার আমার সাথে চল বলে আরু আকাশকে ধরে ধরে কেন্টিনে নিয়ে যায়,তারপর একটা ঠান্ডা পানির বতল কিনে কিছুটা পানি আকাশের মাথায় ঢালে আর কিছুটা ওকে খেতে দেয়,
আকাশ,খাপপপ করে আরুকে কেন্টিনের মধ্যে জড়িয়ে ধরে,
আরু,তো অবাক,কিন্তু সে কিছুই বলছে না,
আকাশ,সত্যি আমার সাত জন্মের ভাগ্যরে যে আমি তোর মত একটা ফ্রেন্ড পেয়েছি,প্লিজ আমাকে কখনো ছেড়ে যাবি না তো?
আরু,আরে পাগল নাকি কি বলছিস?
তোদের কেন ছাড়তে যাবো,শোন সবার মত আমি না রে,আমার বাবার ও কম নাই কোন কিছু,কিন্তু গরিমা শব্দটা আমার কাছে নাই,আরে বাবার টাকায় অহংকার করে ফায়দা কি,আর অহংকার করা কি ভালো জিনিস নাকি,কিন্তু হেনা যা করলো তার জন্য তাকে পস্তাতে হবে🙂
আমার বন্ধুকে সে কষ্ট দিয়েছে আমি তার সাথে কড়া গন্ডায় হিসাব করবো সব...
আকাশ,সত্যি আমি লাকি যে তোর মত একটা ফ্রেন্ড পেয়েছি,আমার আর কাউকে চাই না,
আরু,হয়েছে এবার থাম,ক্লাস তো আজ আর করা হবে না,তুই এখানে বস আমি নাস্তা নিয়ে আসছি,
আকাশ,বসে বসে ভাবছে নাহ এবার আসল রূপ দেখাতেই হবে,মানুষের মন বলতে কিছুই নেই,কার বাবার কতটুকু আছে সেটা নিয়েই দুনিয়া চলে এখন,আরে হেনা তোর বাপ মাত্র একটা থানার ওসি,তোর বাবার মত দশটা ওসিকে আমি আকাশ পেন্টের পকেটে রাখি,আর আমার বাবার কথা না হয় বাদ এই দিলাম,
আর একটু ধৈর্য ধরো তারপর বুঝতে পারবে এই ছেছড়া খ্যাত আকাশ মাহমুদ কে🙂
আরু,নাস্তা নিয়ে আসে,আকাশের খাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই কিন্তু আরুর জোড়াজুড়িতে খেতে হচ্ছে,আর মরার তিশান একদিন ক্লাসে আসলে দশদিন আসে না,কি ভাবে যে ওরা কি করবে আল্লাহ জানে,
আকাশ,আচ্ছা দোস্ত হেনা এমনটা কেন করলো,ছোট একটা কারনে সে আমাকে এত বড় শাস্তি দিলো,
আরু,শোন ওদের কাছে ছোট বড় নাই,বাবার টাকা আছে দেখে নিজেকে এলিটক্লাস মনে করে,আর বাকি সবাই খ্যাত,আর সে তোকে কখনোই ভালোবাসে নি,সে তোকে মুরগা বানিয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য,এটার মূর্খ কারন,এটা আমি অনেক আগেই বুঝেছি,কিন্তু কিছু বলিনি কারন তুই আমায় খারাপ ভাববি😊
আকাশ,দোস্ত আমি এখন কি করবো..?
হেনা,কি করবি জানিস না?
অপমানের প্রতিশোধ নিবি,যেমন কুকুর তেমন মুগুর,
আকাশ,আরু কি বলিস ওর বাবা থানার ওসি,আর তার চেয়ে বড় কথা ওর থেকে অপমানের প্রতিশোধ কি ভাবে নিব..?
আরু,তাহলে শোন মেয়েদের মন গলাতে দুই মিনিট ও লাগে না,সে তোকে যতই ফেক লাভ করুক না কেন,এখন তুই তাকে রিয়েলাইজ করাবি দূর থেকে...
আকাশ,সেটা আবার কি ভাবে..?
আরু,শোন ওকে এক কথায় জেলাস করাবি,সে যখন দেখবে তুই অন্যের সাথে রিলেশন করছিস তখন তার ভিতরে নাড়া দিয়ে উঠবে,আর সে তো তোকে সহ্য করতে পারে না,তাহলে তুই যে রিলেশন করিস সেটা যদি সে জানে তাহলে বুঝ ওর কতটা ফাটবে😀
আকাশ,সবই ঠিক আছে কিন্তু আমার সাথে রিলেশন কে করবে..?
আরু,কেন আমি করবো...
আকাশ,আরে কি বলছিস কি উল্টো-পাল্টা..?
আরু,আরে এত সেন্টি খাচ্ছিস কেন?
রিয়েল তো করবো না যাস্ট ওকে বাজানোর জন্য করাবো,দেখিস ওর কতটা ফাটে,আর শোন তুই দুই তিনদিন কলেজে আসবি না,
তারপর আমরা আমাদের রোল প্লে করবো..
আকাশ,ওকেহ তাহলে..
সেদিন তারপর দুজন দুজনের মত বাসায় চলে যায়,সময় কাটতে থাকে আকাশ টানা এক সাপ্তাহ কলেজে যায় না,
এদিকে
হেনার কেন জানি খুব খারাপ লাগছে,কাকে যেন সে খুব মিস করছে,সব সময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকে সে,কোন কিছুতেই যেন আগের মত আর শান্তি নাই,সে রাতের বেলায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে,যে আকাশকে সেদিন এই ভাবে অপমান না করলেও পারতো,ছেলেটা যেমন এই হোক মনটা অনেক ভালো,সেদিন যখন কেউ বন্ধু বানায় নি,আরু তিশান সবাই বলেছে আমি ওর বিপদ ডেকে আনবো কিন্তু সে বলেছে অতিজোর গেলে মরে যাবে,তাও সে আমাকে ওদের মত ফিরিয়ে দেয় নি,
ধুর কি সব ভাবছি আমি,আমার মাথা একদম নষ্ট হয়ে গেছে ঐ খ্যাত ছেলেটার জন্য,নাহ ছেলেটার কাছে মাফ চাওয়া উচিৎ,
কিন্তু ছেলেটা তো আজ এক সাপ্তাহ ক্লাসে আসে না,ওর কাছে মাফ চাইবো কি ভাবে,নাহ কাল দেখি কলেজে আসে কিনা,
হেনা সকালে উঠে নাস্তা করে আগেভাগে কলেজে চলে যায়,
আরুর,প্লান মোতাবেক আজ আকাশ ও কলেজে যায়,সবাই আকাশকে বাঁকা চোখে দেখছে,
আরু আর আকাশ দুজনে একটা জায়গায় বসে আছে,ক্লাসের এখনো ঘন্টা খানিক বাকি,
এদিকে হেনা কার কাছ থেকে যেন জানতে পারে আকাশ এসেছে কলেজে,সে আকাশের খোজ করতে করতে এসে দেখে আকাশ আর আরু একটা গাছের নিছে বসে আছে,আকাশের কাঁধের মধ্যে আরু মাথা হেলান দিয়ে রেখেছে,আরু লক্ষ্য করে যে হেনা ওদেরকে খেয়াল করছে,আরুও অভিনয় শুরু করে দেয়,কলিজা তোমাকে ঐ হেনা কথা শুনিয়েছে অপমান করেছে,কিন্তু আমি কখনো তোমার সাথে এমনটা করবো না,কারন আমি তোমায় খুব ভালোবাসি...
হেনার তো রাগে মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে,সালা শাঁকচুন্নি তুই ভালোবাসলেই কি হবে নাকি,আকাশ ও তো তোকে ভালোবাসতে হবে,আর তোর যা খুশি কর না,কিন্তু আমার নামটা কেন বেঁচে খাচ্ছিস,
আকাশের তো আগা মাথা কিছুই বুঝে আসছে না,আরু কি পাগল হয়ে গেলো নাকি🙄
হেনা,রাগে গজগজ করতে করতে সেখান থেকে চলে যায়,
আরু,আরে পাগল হেনা এসেছিলো,
আকাশ,ওহ বুঝেছি😆
হেনার মাথা তো ফুল গরম সে ক্লাস না করে বাসায় চলে যায়,সালা লুইচ্চা পোলা😤
তোরা যা করবি কর তাতে আমার কি..
এভাবেই দিন কাটতে থাকে,আকাশ আর আরু এমন অভিনয় করে যে তারা দুইজন লাভার,অন্যদিকে হেনা তো দিনদিন পাগল হয়ে যেতে থাকে আকাশ আর আরুকে একসাথে দেখে,হেনাকে দেখলেই দুজনের অভিনয় শুরু,হেনার শুরুতে শুরুতে খারাপ না লাগলেও পরে হেনা দূর্বল হয়ে পড়ে আকাশের প্রতি,আরুর সাথে আকাশকে দেখলে তার ভিতরে কেন জানি মোচড়ে উঠে,
হেনা,বুঝে উঠতে পারছে না সে কি করবে,খ্যাত ছেলেটার জন্য তার ভিতরটা কুঁকড়ে যাচ্ছে,হয়তো সে আকাশকে ভালোবেসে ফেলেছে,
আকাশের সাথে আরুকে সে যেন একদম এই সহ্য করতে পারে না,
নাহ আকাশ শুধু আমার আর কারোর না,কিন্তু আরু আর আকাশের ঘনিষ্ঠতা দেখে হেনার কেন জানি মনে হয় ওদের দুজনের ভিতরে প্রেমের গভীর শিকড় গজিয়ে গেছে,যা কখনো আলাদা হবে না,
কিন্তু হেনাও নাছোড়বান্দা নাহ আমিও হার মানবো না,বেটা যদি আমার না হয় তাহলে আর কারোর হতে দিব না,ওকে মেরে ফেলবো,
আকাশ,তো হাসতে হাসতে শেষ,তার এখন খুব শান্তি লাগছে,ভিতর থেকে যেই শান্তিটা অনুভব করছে অপমানের প্রতিশোধ নিয়ে,তা কখনো বলে বুঝানো যাবে না,তবে সে লক্ষ্য করেছে যে হেনা তার কাছে আবার ফিরে আসতে চায়,কারন হেনার চোখের চাহনি দেখলেই বুঝা যায়,কিন্তু সে আর কখনোই ফিরাবে না,এবং সে নিজেও পড়বে না,এই ছলনাময়ীর সাথে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না,
হেনা,মনে মনে ঠিক করে আকাশকে সে খতম করে দিবে,সে শহরের নাম করা কিলার যে আছে তার কাছে কন্টাক্ট দেয় আকাশকে মেরে ফেলার,ফকিন্নি খ্যাত এবার যাবি কই,তুই আমার ভালোবাসার ও যোগ্য না,কিন্তু তোকে নিয়ে মনের মধ্যে একটা সংশয় কাজ করে তাই তোকে খতম করে দিব,আর এতদিন মানুষিক অনেক অত্যাচার করেছিস তোরা দুইটা আমাকে,তোদের ঘনিষ্ঠতা আমার দুই চোখের বিষ,তুই কি মনে করেছিস তোকে আমি ছেড়ে দিব বলে পৈচাশিক একটা হাসি দেয়..
পরেরদিন সকাল বেলা,
আকাশ রেডি হয়ে কলেজে আসে,ঘন্টা পড়ে গেছে তাই সবাই ক্লাস করছে,এমন সময় ১০-১৫ টা গাড়ি আসে যার সব কয়টার মধ্যে ছেলেপেলে দিয়ে ভর্তি,সবার হাতে চাকু চেইন ছুরি বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র,ওরা এসে কলেজে ভাংচুর শুরু করে এই আকাশ মাহমুদ কে..?
হেনা,তো সেই খুশি আকাশ এবার যাবি কই.?
তোর জম এসে গেছে,তোকে এবার মেরে কুঁচিকুঁচি করবে,
সবাই তো ভয়ে শেষ,যাকে সামনে পাচ্ছে সবাইকে মারধর শুরু করছে,এই বল আকাশ কে..?
ছেলে একটা দেখিয়ে দেয়,আকাশের ক্লাসরুম টা,ঐ যে ঐ দিকে সে আছে,প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন..
লিডার,যে ছিলো সে অর্ডার করে এই তোরা যা বেটাকে তুলে নিয়ে আয়,দুই জনকে পাঠায় আকাশকে তুলে আনার জন্য,আকাশের মুখে মাক্স লাগনো,আরুর তো চোখে পানি চলে আসে,মনে হয় সে এখনি কান্না করে দিবে,
ছেলে দুইটা আকাশকে তুলে নিয়ে যায়,
ভাই এইযে মাল টারে তুইলা নিয়া আসছি,লিডার অর্ডার করে সবাই ইচ্ছা তরফে মার ওরে,মারতে মারতে ওরে মেরেই ফেলবি একদম,সবাই আকাশকে মারতে শুরু করে,
সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখছে কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না,সবাই ইচ্ছা তরফে মারতেছে আকাশকে,হটাৎ আকশের মুখ থেকে মাক্সটা খুলে যায়,লিডার আকাশের চেহারাটা দেখে আকাশ ভাই বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে ঝুকে পড়ে...
.
চলবে..?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com