পিচ্চি মামাতো বোন । পর্ব -০১
ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ করেই অনুভব করলাম কে জেন আমার ঠোটে চুমু খাচ্ছে আর আমার চুল গুলো আলতো করে বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি অনুভব কে স্বপ্ন মনে করে আমি ওকে আমার ঠোঁটের সাথে চেপে ধরি আর ঠোটে একটা কামর বসিয়ে দেই।
কামর বসানোর পর উহ শব্দ পেলাম,পেয়ে চোখ খুলতেই দেখি আমার মামাতো বোন এর ঠৌট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, আর ওহ আমার দিকে লজ্জা লজ্জা চোখে তাকিয়ে আছে।
আমি তখন বুঝতে পারলাম আমার অনুভব গুলো স্বপ্ন ছিল না সব গুলোই সত্যি ছিল।
আমি থমকের সুরে বললাম তুমি এই খানে কী কর আর ঠৌট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে কেন?
সেতু : তুমিই তো কামর দিলে আবার তুমি বলতেছ রক্ত বের হচ্ছে কেন?
আমি : তার মানে তুমি এতক্ষণ এই রকম করলা ছী ছী ছী। তোমাকে আমি বউ সরি বোনের চোখে দেখি আর তুমি কিনা এসব। তুমি জানো তুমি আর আমি অনেক বছরের ছোট বড়। তোমার বয়সের পার্থক্য অনেক।
আর তুমি তো পিচ্চি একটা মেয়ে, তোমার সাথে তো আমার যাই নাহ। তুমি এখনও ছোট মানুষ।
সেতু: আমি ওতকিছু বুজি না আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকেই বিয়ে করব
এই কথা বলার সাথেই একটা থাপ্পর মারলাম আর বললাম। ছোট মানুষ এত বড় বড় কথা বল কেন কেবল পড় দশম শ্রেনিতে আর এখনি প্রেমে পরেছো।
এর সেতু রুম থেকে চলে গেল। থাপ্পর টা জোরেই দীয়েছিলাম চোখ দিয়ে পানি বের হইতাছে। যদিও মারার পর আফছোস করতেছি। কারন আমারো কিছুটা ভালো লাগে সেতুকে। কিন্তু ও আমার অনেক ছোট ওকে তো অনেক কুলেও নিয়ে থাকছি।
আসুন এখন পরিচয় দেই। আমার নাম মো ফররুখ আহমেদ শুভ। আমি অনার্স ৪ র্থ বর্ষে পড়ি। আর গল্পের নায়িকা হলো আমার মামাতো বোন। আর টুকু উপরে পরছেন।
সেতু চলে যাওয়ার পর আবার ঘুম। বুঝেনি মামার বাড়ি আসছি। ঘুম থেকে উঠে কী করব। রাতের সময় মামার বাড়ি আসছি তাই সেতুর সাথে দেখা হয় নাই। আর ঐ সব ঘঠনা ঘটল সকালে।
আসলে আমার ৫ টা মামা আর তারা সবাই এক বাড়িতেই থাকে জয়েন্ট ফ্যামিলি।
.
পরে 10 টার পর ঘুম থেকে ঊঠলাম উঠে ফ্রেস হয়ে বাইরে আসতেই ৫ টা
মামিই ডাকা শুরু করল শুভ আসো ভাত খেয়ে যাও।
আমি বললাম মামি আপনারা কী পাগল হলেন নাকী সবাই ডাকতেছেন সব ঘরে খাবো কেন।
এদের ভিতরে সেতু আম্মু যেটা ঐটা বেশি ডাকতেছে।
আমি ঐ মামির উদ্দেশ্যে করে বললাম এত নাম ধরে না ডেকে বললেই তো হয়
জামাই আসেন ভাত খায়া যান।
মামি : আহারে আমি তো আমি জামাই করে বলতেই চাই
কিন্তু আমার মেয়ে তো তোমাকে রিযেক্ট করে দিবে। তখন আবার তুমি কষ্ট পাবা তাই ডাকি না।
এই কথা বলার সাথে সাথেই সব মামি হাসা হাসী শুরু করল।
পরে নানী ডাক দিলো গেলাম গিয়ে দেখি নানী ঘরে ভাত নিয়া রাখছে। নানী খাইতে দিল আমি খাইতে বসলাম। খেয়ে উঠে সুয়ে থেকে ফোন চাপতেছি আর সকালের কথা ভাবতেছি তখন মামি ডাক দিল আমি গেলাম।
মামির কাছে যেতেই মামি বলল কেরে সকালে কী হয়ছিল সেতু এর চোখে জল নিয়ে বের হলো আর রাগ করেই না খেয়ে স্কুলে চলে গেল।
আমি : কিছু না মামি। ঘুমাইছি অনেক দেরি করে আর ওহ যায়া ডাক দিছে। ওর ডাক শুনে আমি জোরে ধমক দিছি। তাই হইতো
মামি : আমিই পাঠিয়েছিলাম ডাকতে ভাত খাবার আসার জন্য। আচ্ছা যা হইছে তোকে তোর মামা একটু স্কুলে পাশে গিয়ে ডাক দিতে বলছে, যা
আমি ভাবতে লাগলাম মামা কেন স্কুলে গিয়ে ডাকতে বলল কেন?? ( আমার মামা আসলে হাই স্কুলে মাস্টার )) । পরে গোসল করে রেডি হয়ে নানীর কাছে গেলাম। গিয়ে মিষ্টি সুরে সুরে বললাম ওহ নানী দেও, ও নানী দেও,
নানী : টাকা নাই আমার কাছে। আমি কী কামাই করি টাকা কই পাব।
( আরে ভাই ভাবছেন আমি ফকির না কিন্তু ফ্রিতে টাকা নিয়ে খরচ করলে দরদ ঠেকে নাহ। )
পরে অনেক কষ্ট করে টাকা নিলাম নিয়ে গেলাম মামার স্কুলের দিকে। বেশি দুরে না কাছেই মামার স্কুল।
পরে স্কুলের মাঠে গিয়ে মামাকে গিয়ে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে বললাম মামা আসতে বলেছিলেন
মামা : অফিস রুমে আছি, তুমি আসো
পরে গেলাম গিয়ে সালাম দিলাম। রুমের ভিতর গেলাম মামা বলেন।
মামা : একটা কাজ করে দিবা আমার হয়ে।
আমি : এই রকম ভাবে বলছেন কেন? কাজ দেন একটা দশটা করে দিব ।
মামা : তুমি তো জানো আমার মেয়ের রাগ কী রকম। সেতুকে বলেছিলাম ওকে আজকে শপিং করিয়ে দিব। কিন্তু স্কুলের একটা কাজের জন্য নিয়ে যেতে পারব না। তুমি একটু শপিং করিয়ে নিয়ে আসো।
আমি : ঠিক আছে মামা। (মনে মনে আমার টাকার বারোটা বাজবে আজকে।
মামা : এই নাও টাকা
আমি : লাগবে না মামা। আছে আমার কাছে
মামা : যেভাবে নিচ্ছি ঐ ভাবে নেও কথা বল কেন? বাইরে মনে সেতু আছে ডেকে শপিং এর কথা বল চলে যাবে।
পরে টাকা দেখি 5000 । পরে সেতুকে দেখলাম বান্ধবিধের সাথে গল্প করছে। আমি এই স্কুলে পড়াশোনা করছি তাই সবাই চিনে। কেউ কিছুই বলে না সরাসরি সেতুর কাছে গিয়ে ডাক দিলাম। প্রথম ডাকা দেওয়ার পর শুনল না। পরে বললাম মামা টাকা দিয়েছে তোমাকে শপিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য। না গেলে থাক টাকা মেরে দিব আর কমদামি ড্রেস এনে বলব এটা কীনেছে।
আমি এসব বলছি আর সেতুর বান্ধবী গুলো আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। পরে সেতু ওর বান্ধবীদের দিকে লক্ষ্য করে দেখল যে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
এটা দেখে সেতু রেগে ওর বান্ধবী দের কে বলল ওভাবে দেখে লাভ নাই ঔ চিকনা শুধু আমার। ওর আমার বিয়ে ঠিক হয়ছে।
বিয়ের কথা শুনে ওর এক বান্ধবী বললল......
.
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com