Breaking News

সে আমার আপন জন । পর্ব -০১



কি ভেবেছিলে তুমি? আমার কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে?" এমন একটি চিরকুট পেয়ে প্রচণ্ড ভয় পেলো মেয়েটি।

তার এই মুহূর্তে বিবাহ বহির্ভূত,,, ভালোবাসা'র সম্পর্কে জড়ানো সবচেয়ে বড় অপরাধ৷ বলে মনে হচ্ছে।।।।
মেয়ে কে এতো টা চুপচাপ দেখে স্বপ্নীল সাহেব এসে তার পাশে বসে জিজ্ঞেস করলেন,
- "কি ব্যপার মা? কি হয়েছে?" মেয়েটা পুরো বিষয় টি এড়িয়ে গেলো। এরিমধ্যে,,,, তার এক বন্ধু ফোন করে বললো,
- "কি রে নৃত্যশিল্পী? বের হবি না কি আজ আমাদের সাথে?" সে হাসতে হাসতে বললো,
- "জ্বি অবশ্যই, আমি আসছি, পারলে আমাকে দয়া করে পিক আপ করেনি'স ধানমন্ডি থেকে।" তারা দু'জনেই অপর পাশ থেকে হাসতে হাসতে বললো,
- "ওকে ম্যাম, তবে পাঁচ মিনিট লেট হলে কিন্তু তুমি বকুনি দিতে পারবে না আমাকে।" সে হাসতে হাসতে বললো,
- "ওকে ডান,,,,, সে তো সময় বলে দেবে।" মেয়েকে এতো তাড়াহুড়ায় বেড়িয়ে যেতে দেখে স্বপ্নীল সাহেব তার স্ত্রী কে ডেকে বললেন,
- "তুমি কিছু খাইয়ে দিতে পারলে না। মেয়ে টা কে?"
স্বামী'র কথা শুনে মেহেরিমা হাসতে হাসতে বললেন,
- "সারাক্ষণ,,, আমি'ই তো মেয়েটা'র পিছনে ঘুরঘুর করি। আজ ছুটি'র দিনে, তুমি বাড়িতে আছো কি করতে?"
- "আমি আমার মেয়ে কে সকাল সকাল উঠে,,, নাস্তা খাইয়ে দিয়েছি। আমি তো সামান্য ভারী'ই খাবার খাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছিলাম তাকে।" তিনি মৃদু হেসে স্বামী কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
- "আরেহ..! বাদদেও সে সব কথা,,,,, মেয়ে খেতে না চাইলে কি জোর-জবরদস্তি করব তার সাথে? মেয়ে এখন বড় হ'য়েছে। দয়া করে এখন,,,,,,,,
ওর টা ভালো-মন্দ বুঝে নিতে দাও ওকে।" তিনি স্ত্রী'র কথা শুনে মুচকি হেসে বললেন,
- "তোমারো মায়ের মন,আমার বাবার মন। জানি না, তুমি এতো সাহস পাও কোথা থেকে? মেয়ে টা চোখে
-র পলকেই যেন বড় হ'য়ে যাচ্ছে। ক'দিন পর,,,, পরের বাড়ি চলে যাবে। তখন, আমরা কি করে ছেড়ে থাকবো মেয়ে টা কে?" এদিকে মিম পথে'র ধারে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল, হঠাৎ সে খেয়াল করে দেখল কিছু দূরে অনেক লোক জড়ো হ'য়েছে।
মিম কৌতুহল বশত সেদিকে এগিয়ে গেলো, লোকের কথোপকথন শুনে,,,,,,,, সে বুঝতে পারলো যে কারো একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। ও ব্যস্ত-ব্যস্ত তা দেখে ভিড় ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো।
ওদিকে,,,,, অনেক ছেলে এবং মেয়েরা ছবি তোলার জন্য মিম কে তার চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে। মিম তখন খেয়াল করে দেখতে পেলো,,,,, একজন বয়স্ক ভদ্রলোক আহত অবস্থায় রাস্তা'র ডান পাশে পরে ব্যাথায় ছট-ফট করছে।
আশে-পাশে সকলে'ই আহত ব্যক্তি'র ছবি তুলতে ব্যস্ত,,,,,,,, অনেকে আবার তাদের দু'জন কে ঘিরে লাইভ ও করছে।
মিম বিরক্ত হয়ে একজন কে ধাক্কা মে'রে ভিড় ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো,
তারপর,,,,, সে দ্রুত ছুটে গিয়ে ডেকে আনলো তার এক পরিচিত অটোরিকশা ড্রাইভার কে.......! সেই অটো- রিকশা ড্রাইভার কয়েকজন কে সাথে নিয়ে আহত ব্যক্তি কে তার রিকশায় নিয়ে তুললো,,,,, মিম ভদ্রলোক কে আশ্বস্ত করে বললো,
- "একদম টেনশন করবেন না, ভয় পাবেন না৷ আমি আছি আপনার সাথে।" আহত ভদ্রলোক শান্ত ভাবে মেয়েটি'র চোখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
তার রক্তে মিমের পরনের শাড়ি ভিজে গিয়েছে,,, সে আটো ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
- "রহমত আঙ্কেল, তাড়াতাড়ি চলো। ওনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।" আধঘন্টা'র মধ্যে তারা দু'জনে অহত ভদ্রলোক কে সাথে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে পোঁছে গেলো। মিম তাকে ভর্তি করিয়ে দিলো ইমার্জেন্সি ওয়ার'ডে। ডক্টর,
ভদ্রলোকে'র চেক-আপ শেষে ডক্টর আহনাফ নাবিল বেড়িয়ে এলেন, তিনি মিম কে ডেকে বললেন,
- "এ.বি পজিটিভ ব্লাডের ব্যবস্থা করুণ, পেসেন্ট কে ইমিডিয়েটলি এ.বি পজিটিভ ব্লাড দিতে হবে।" মিম একটু ভেবে বললো,
- "এ.বি পজিটিভ? তাহলে কোনো সমস্যা নেই, আমি ব্লাড ডোনেট করতেন পারবো ওনাকে।" সাথে সাথে মিম কে অন্য একটি কেবিনে নিয়ে যাওয়া হল
। মিম তখন ডক্টর কে জিজ্ঞেস করলো,
- "ওনার মাথায় কি, খুব গুরুতর আঘাত লেগেছে?" তিনি বললেন,
- "এটা তেমন কোনো মারাত্মক ইঞ্জুরি না, তবে তার কপাল কেটে যাওয়ার জন্য তার এক্সেসিভ ব্লাড লস হয়েছে।"
এদিকে,,, বাহিরে আহত ভদ্রলোক কে নিয়ে লাইভ হওয়ার পর হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে গেছে।
সেখানে হঠাৎ করে'ই বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক এবং ঢাকা জেলার ভাইস চেয়ারম্যান
ওয়াহিদ ইমান খান এসে হাজির হ'য়েছে। তিনি ব্যস্ত-
ব্যস্ত ছুটে এসে ডক্টর আহনাফ নাবিল কে জিজ্ঞেস করলেন,
- "ডক্টর, এই মুহূর্তে আমার বাবা কেমন আছেন?"
তিনি বললেন,
- "আগের থেকে অনেক টাই বেটার, তবে ওনাকে এক্সেসিভ ব্লাড লসের জন্য ব্লাড দেওয়া হ'য়েছে।" তিনি চিন্তিত মুখে ডক্টরের কাছে জানতে চাইলেন,
- "ডক্টর, আমার বাবাকে কে এখানে নিয়ে এসেছে?"
তিনি বললেন,
- "উনি এখন, দুইশো বারো নম্বর কেবিনে আছেন।আসলে ওনার ব্লাডগ্রুপে'র সাথে আপনার বাবার ব্লাডগ্রুপ মিলে গেছে।"
- "আমি কি দেখা করতে পারি তার সাথে?" ডক্টর বললেন,
- "জ্বি অবশ্য...!" তখন একজন নার্স এসে বললেন,
- "সরি ডক্টর, উনার একটু ইমার্জেন্সি থাকায় উনি এখুনি বেড়িয়ে গেলেন হাসপাতাল থেকে।" ইমান নার্স কে জিজ্ঞেস করলেন,
- "উনি একদম সুস্থ আছেন তো?? ওনার কোনো অসুবিধে হচ্ছে না তো ব্লাড দেওয়া'র পর থেকে?" নার্স বললেন,
- "না স্যার, মেয়েটি ভালো আছে৷ তবে, সে বিকেলে এসে দেখা,, করা'র কথা বলেছে আপনার বাবা'র সাথে।"
ইমান মনে মনে তাকে ধন্যবাদ জানালো,,,, মিম বাড়িতে ফিরে এসে বন্ধুদে'র ফোন করে সব টা জানানের পর, রাত্রি তাকে বললো,
- "আরে তুই জানিস? আমাদের অর্ক এবং আহানের নানুভাই আজ ধানমন্ডিতে এক্সিডেন্ট করেছে?" মিম বললো,
- "নাহ! তার ব্যাপারে তো কিছু জানি না, তবে আমি ফোন করে কথা বলে নিচ্ছি ওদের সাথে।" মিম অর্ক এবং আহানের কাছে ফোন করলো,,,,,, তখন আহান তাকে বললো,
- "পারলে বিকেলে এসে,,,,,, একবার দেখা করে যাস নানুভাইয়ের সাথে।" মিম বললো,
- "আচ্ছা আসবো,,,, তুই ঠিকানা টা মেইল করে দিস আমাকে।"
বিকেলে, মেয়েকে তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে বেরুতে দেখে স্বপ্নীল সাহেব এসে বললেন,
- "মা, আমি আসবো না কি তোমার সাথে?" মিম মৃদু হেসে বললো,
- "আমি পারবো বাবা,,, তুমি বরং আজ কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করো মায়ের সাথে।" মেয়ের কথা শুনে তিনি হাসতে হাসতে স্ত্রী মেহেরিমা কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
- "আমাদের মেয়ে টা দেখছি,,,,,,,, বড্ড বেশি পেকে গেছে? শোনো মা,
তুমি বর্তমানে একজন রাইজিং স্টার, তোমার এভাবে কোনো প্রটেকশন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়া মানায় না ঠিক আছে?" মিম হাসতে হাসতে বললো,
- "আমি একজন সাধারণ মানুষ বাবা। আসছি,,,,,,,, দয়া দুঃশ্চিন্তা করে,,,,,,,, বারবার করে ফোন করো না আমাকে।" মেয়ের কথা শুনে হেসে ফেললেন দু'জনে তারপর, তারা ড্রাইভার কে ডেকে গাড়িতে তুলে দিলে
-ন মেয়ে কে।
মিম হাসপাতালে এসে জানতে পারলো,,,,,, ভদ্রলোক সেখানে নেই, তিনি গুরুতর আহত না হওয়ার তার বাড়ির লোক তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। তখন ডক্টর আহনাফ নাবিল এসে মিমের সঙ্গে কথা বললেন এবং একটি কার্ড তার হাতে দিয়ে বললেন,
- "এটা পেসেন্টে'র ছেলে,,,,,,,,,,, আপনার জন্য রেখে গেছে।" কার্ডের ঠিকানা টা দেখে হঠাৎ করে'ই তার অর্ক এবং আহানের কথা মনে পরে গেলো,,,
কিন্তু,,,,,,,, সে বুঝতে পারলো না যে তাদের মাঝে কি যোগসাজশ আছে????? সে বিকেল পাঁচ টা নাগাদ 'স্বপ্ননীড়' ম্যানশনে এসে পৌঁছালো,
অর্ক এবং আহান দু'জনে'ই আগে থেকে গেইটে দাঁড়িয়ে ছিলো,,,, মিম কে রিসিভ করতে। ওকে দেখা মাঐ দু'জনে এগিয়ে এসে ফুল-ফ্রুটসে'র ব্যাগ গুলো
নিজেদের হাতে তুলে নিলো, তারপর হাসি-মুখে জিজ্ঞেস করলো,
- "তোর কোনো কষ্ট হয়নি তো???? বাড়ি খুঁজে বের করতে?" মিম হাসতে হাসতে বললো,
- "আরে না,,,,,,,,,,,,, নানুভাই কেমন আছেন?" অর্ক বললো,
- "আলহামদুলিল্লাহ্, আগে চল। সে তো দিব্যি ভালো
-'ই আছে।"
মিম ওদের সাথে গিয়ে "স্বপ্ননীড়" ম্যানশনে পা রাখল
আর হঠাৎ করে'ই বেখেয়ালে ধাক্কা খেলো কারো'র সাথে,
ও সঙ্গে সঙ্গে'ই নিজেকে সামলে নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে সরি বললো,,,,,,,,,, তিনি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন তার দু'ই ভাগ্নের মুখের দিকে। ওরা মুচকি হেসে বললো,
- "ছোটো মামা, ও আমাদের বেস্টি। দেখতে এসেছে নানুভাই কে।" মিম তাকে সালাম দিলো, তিনি সালাম নিয়ে বললো,
- "তোমরা ভেতরে যাও,,,,, আমি একটু ঘুসে আসছি বাহির থেকে।" তখন মানাফ সাহেব মিম কে দেখে খুশি হ'য়ে বললেন,
- "আরেহ! এই মেয়ে এখানে কেন?
সে'ই তো আমাকে এক্সিডেন্টে'র পর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেছে।" বাবার কথা শুনে,,,,,, যেন থেমে গেলো ইমানের পা, সে দাঁড়িয়ে গেলো দরজার কাছে।
আর্যা এসে মিম কে নিয়ে বসালো, হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন,
- "মা তোমার আব্বু-আম্মু কেন আছে?" মিম বলল,
- "আলহামদুলিল্লাহ্,
ভালো আছে আন্টি৷ আমি আসলে বুঝতে পারিনি যে তোমাদের সাথে এভাবে দেখা হ'য়ে যাবে?" মানাফ সাহেব তখন হাসতে হাসতে বললেন,
- "কোনো ব্যাপার না মা,,,,,,,,, কিন্তু তোমাকে আমার ছোটো ছেলের জন্য আমার খুব পছন্দ হ'য়েছে।"কথা টা শুনে'ই যেন তব্দা খেলো মিম,,,,,,,,,, ইমান এদিক-
- সেদিক তাকাচ্ছে।
অর্ক এবং আহান পরিস্থিতি সামাল দিতে বললো,
- "উফফ,,,,,,, তুমি থামো না নানুভাই, কেন লজ্জায় ফেলছ মেয়ে টা কে?"
তখন তিনি হাসতে শুরু করলেন, বাড়ির সকলে গল্পে মেতে উঠলেন মিমে'র সাথে। মিম মানাফ সাহেব কে জিজ্ঞেস করলো,
- "আপনি ভালো আছেন এখন? আপনার ডান পায়ে কি খুব লেগেছে?" তিনি বললেন,
- "আরে না না মা, একদম ঠিক আছি। তুমি এসেছ বলে আমার খুব ভালো লাগছে।" তখন অরুণিমা এসে মিমের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বললেন,
- "তুমি অনেক লক্ষী মেয়ে মা। যখন কেউ এগিয়ে এলো না, তখন তুমি এগিয়ে গিয়েছিলে ওনার কাছে। আল্লাহ তায়ালা তোমার মঙ্গল করুক,
সবসময় ভালো রাখুক তোমাকে।" মিম মুচকি হেসে বলল,
- "আপনি এভাবে বলবেন না প্লিজ,'মানুষের বিপদে আর একজন মানুষ'ই তো এগিয়ে আসবে।' এটা আমার বাবা-মায়ের কথা।
অন্তত কারো উপকারে না আসি, আমার দ্বারা কারো ক্ষতি না হোক, কেউ কষ্ট না পাক। এটা'ই সেট করে নিয়েছি মাথার মধ্যে।" মিমের কথা শুনে খুশি হলো সবাই, অর্ক জিজ্ঞেস করলো,
- "আচ্ছা মিম, তুই আমার ছোটো মামুর নাম শুনি'স -নি এর আগে?" সে বললো,
- "নাম শুনেছি,
তোরাই বলেছিলি আর তাছাড়া,,,,,, আমি তো বছর খানেক ছিলাম না এই দেশে। আর তাছাড়া, আমি দেশীয় মুভির ফ্যান নই।
তোরা ভালো করেই জানি'স যে আমার হান্ড্রেড টাইম
'স এ্যাভেঞ্চার'স দেখা হ'য়ে গেছে।।।।। আই লাভ জাস্টিস লিগ,,,,,,, দ্যা ম্যান অব স্টিল, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, ওয়ান্ডার উইমেন, ক্যাপ্টেন আমেরিকা সব অলরেডি গিলে খাওয়া হ'য়ে গেছে।
তার মানে এই নয় যে,,,,,, আমি আমার দেশের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রি কে আমি ছোটো করছি৷ তবে, আমার দেশীয় ওয়েব সিরিজ এবং কিছু কিছু নাটক অনেক ভালো লাগে। লাইক, পুনর্জন্ম। রাফসান হক তথা আফরান নিশো ভাইয়াকে সামনাসামনি দেখলে,,,,,,,,,, আমার নিশ্চিত ভয়ে'র চোটে'ই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে।"
মিমের কথা শুনে হেসে ফেললেন সকলে, অরুণিমা বললেন,
- "মা তুমি কিছু খাচ্ছ না যে?" মিম এক গ্লাস অরেঞ্জ জুস তুলে নিলো, রোজা বললো,
- "শুনেছি, তুমি একজন নৃত্য শিল্পী? আমি বোধ হ'য় বেশ কয়েক টা অনুষ্ঠানে ও দেখেছি,,,, তোমাকে?" মিম মৃদু হাসলো,আহান বললো,
- "প্লিজ খালামণি,,,,,,,,, তুমি আবার নাচতে বলো না ওকে। সন্ধ্যা হ'য়ে যাচ্ছে, এখন গিয়ে বাসায় পৌঁছে না দিয়ে আসলে আঙ্কেল আন্টি দু'জনেই খুব টেনশন করবে। কিন্তু আমি না অর্ক কেউ'ই ওর সাথে যেতে পারছিনা,
আবার একাও ছাড়তে পারছিনা ওকে।" হঠাৎ ইমান বলে উঠলো,
- "আমি ওনাকে বাসায় ছেড়ে আসবো,,,,, আমি ফ্রী আছি আজকে।" মিম বললো,
- "না না থাক, আপনাকে যেতে হবে না। আমি খুব পারবো, একা একা চলে যেতে।" ইমান গম্ভীর গলায় তাকে বললো,
- "আপনাকে একা ছেড়ে,,,, আমরা চিন্তায় ফেলতে চাইনা আপনার বাবা-মা কে।" মিম সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠলো, দু'জনে চুপ করে বসে আছে।
মিম ফেসবুকে স্ক্রল করছিল,,,, , তখন দেখলো কিছু ছেলে-মেয়ে দাবি করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রিতে কোনো কাজ করতে হলে মেয়েদে'র মুভি পাওয়ার জন্য রাত্রিবাস করতে হয় ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রি'র অন্যতম সুপারস্টার ওয়াহিদ ইমান খানের সাথে। এই কথা গুলো যেন ঠিক হজম হলো না মিমে'র, সে এক বার আড়চোখে তাকিয়ে ইমান কে দেখে ফিস-ফিস করে বলে উঠলো,
- "চেহারা দেখে মনে হ'য় যেন ভাঁজা মাছ উল্টে খেতে জানে না সে, অথচ! তলেতলে তার এতো?
বাবা, বাড়িতে কি সুন্দর ভেজা বেড়ল হ'য়ে থাকে?" তার কথার কিঞ্চিৎ অংশ ইমানের কানে আসতে'ই সে মুচকি হেসে বললো,
- "কারো সম্পর্কে,,,, ভালো ভাবে কোনো কিছু না জেনেই কি উল্টো- পাল্টা মত পোষণ করা উচিত তার সম্পর্কে?" মিম
কথা গুলো শুনে,,,,,, লজ্জায় পরে গেলো খুব। ইমান বলল,
- "নামুন! পৌঁছে গেছি আপনার বাড়িতে।" মিম গাড়ি থেকে নেমে, ইমান কে বাড়ির ভেতরে আসার জন্য অনুরোধ করলো, সে বললো,
- "আজ হবে না, একটু ব্যস্ত আছি। অন্য আরেকদিন আসবো অর্ক আহানের সাথে।" মিম,,,,,, মুচকি হেসে তাকে বিদায় জানালো, ইমান গাড়িতে উঠতে উঠতে তাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
- "আমার বাবাকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।" মিম বললো,
- "শুনুন, দেওয়ার মালিক শুধুমাত্র আল্লাহ তায়া'লা। তার সাথে তার সৃষ্টির তুলনা টেনে গুনাহগার হবেন না ঠিক আছে?
আমি তো শুধু নিমিত্তে মাএ, আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।" ইমান তার কথা শুনে মৃদু হাসলো, গাড়ি টা শো করে চলে গেলো মিমের পাশ থেকে।
মিমের হঠাৎ করেই খুব অস্থির অস্থির লাগতে শুরু করলো, তার মনে হতে লাগলো যেন দূর থেকে হয়তো কেউ একজন দেখছে তাকে?
.
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com