জ্বিন বর । পর্ব -০৩
আমি নিজেকে সামলিয়ে পরে মেয়েটার হাত বেন্ডেজ করলাম।
মেয়েটাকে এত জিজ্ঞেস করলাম কি করে ওর হাত পুড়ল???
মেয়েটা শুধু কান্না করল আর বলছে-
গরম পানিতে চুবিয়ে দিল। আফা অনেক জলতাসে গো।
আমার ওর মুখে বাতাসের কথা শুনে শরীরের লোম খাড়া হয়ে গেল।কাল্কেও ত এইরকম বাতাস
আমি অনুভব করেছি। সেই বাতাস নাকি??
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে???
আমি এম্নেই ভীতু তার উপর দিয়ে এইগুলো আমার কলিজা যেন ছটফট করছে।
মেয়েটার কাজ শে ষ করে চলে যেত নিছিল আমি ওকে ধরে রাখলাম বলললাম
পরবর্তী অংশ পেতে রিকুয়েষ্ট দিয়ে ইনবক্সে একটা নক দিয়ে রাখেন
-আইরিন, আপু তুমি যেও না তাইফ আসুক তারপর যেয়েও প্লিজ।
নতুন বউ ত একা কিভাবে থাকব??প্লিজ থাক।
মেয়েটা লক্ষি ছিল তাই আমার কথা শুনে থেকে গেল।
আসলে ওকে রাখার অন্য কারন ছিল। আমি এই বাড়িতে একা কিছুতেই থাকব না।
এই বাড়ির মধ্যে কিছু একটা আছে।
কিন্তু যত হোক এই বাড়ির ই ত বউ এই বাড়ি সর্ম্পকে কিভাবে এগুলো বাহিরের মানুষের কাছে বলব।
তাইফ বিকেল হয়ে গেছে এখনো আসছে না।
এদিকে আইরিনেও চলে গেল ওর আম্মা নাকি টেনশন
করবে। আমিও ধরে রাখি নেই ছোট মানুষ তো।
কিন্তু আমার প্রচুর ভয় করছে মনে হচ্ছিল যে আমি মারাই যাব।
রাত হয়ে গেল এখনো তাইফ আসে নেই
তাইফ কিভাবে এক নতুন বউ রেখে যেতে পারল আমার বিষয়টা অদ্ভুত লাগছিল।
হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল। পুরো বাড়ি অন্ধকার হয়ে গেল।
আমার যেন মনে হচ্ছে আমি আজ মরেই যাব।
আমি চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আর আয়তুল কুরসি বেশি বেশী পড়তে লাগল।
হঠাৎ গত রাত্রের মত একটা বাতাস অনুভব করলাম।
যেন সে আমার কানে কানে কিছু একটা বলছে।
তখনি কেউ একজন আমার হাতটা ধরল আমি ট চিৎকার দিয়ে উঠলাম-"বাচাও,বা
চাও"
তখনি একজন বলল
-শুভ জন্মদিন আমার নতুন বউ
কন্ঠটা পরিচিত চোখ খুলে দেখলাম তাইফ,
হ্যা তাইফ কেক নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগ্লাম।অভিমানের কন্ঠে বললাম
-তাইফ, তুমি আমাকে ছেড়ে কোথায় গেছিলে??আমি একা একা অনেক ভয় পাচ্ছিলাম
-সরি,লক্ষিটি আমার একটা কাজ ছিল। আর আজ তোমার জন্মদিন।
কান্না ছেড়ে কেক্টা কাটত।
আমি তাইফের কথায় একটু স্বস্তি পেলাম। আজ আমার ১৯বছর হয়েছে।
এত ভয়ে আতংকে আমি সব ভুলে গেছি।
অবশেষে আমি কেক কাটলাম। তাইফ আমাকে একটা লকেট উপহার দিল।
তাইফ বলেছে-যখন তুমি ভয় পাবে তখনি এই লকেট টা ধরে আমাকে স্মরন করবে।
আমি তাইফের কথায় হেসে দিলাম.বললাম
-তুমি কি সুপারম্যান নাকি উড়তে উড়তে আমাকে বাচাতে আসবে
-ধরে নেও তাই
তাইফের প্রতি যেন আমার ভালবাসা বেড়েছে
ওর আর আমার যে আরেঞ্জ মেরেঞ্জ যে মনেই হয় না।
অইদিন আমি আর তাইফ আমাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করেছি।কিন্তু
রাত্রে আমি সেই আগের দিনের মত সপ্ন দেখলাম।
কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখতাম তাইফ আমার পাশে। এই রকম ৪দিন এই সপ্ন দেখলাম।
ওইদিন আমি ঘুম থেকে উঠে বেল্কুনিতে দাড়ালাম।
তখনি মননে হ ল অইরকম এক বাতাস যেন আমার কোমড় ধরল।
আমি এটা অনুভব করতে পারছি।
কিন্তু কেন জানি কথা বলতে পারছি না।
আমি আবার মনে সাহস করে তাইফ বললে চিৎকার দিলাম।
তাইফ ছুটে আসল আমার কাছে। তাইফ ছুটে আসতেই মনে হলল
অই বাতাস আমার কোমড় ছেড়ে দিল।
আমি তাইফকে ঘটনাটা বললাম।কিন্তু তাইফ কিছুতেই বিশ্বাস করল না।
ও আরো আমায় বলল আমি নাকি সপ্ন দেখছি। ও আমাকে বলল
ঘুমাতে। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম
কিন্তু কিছুক্ষণ পর টের পেলাম
কেউ আমাকে বলছে কানে
-পরী,তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি।
আমি কথাটা শুনে উঠে বস্লাম। ওই রাত্রে আমার আর ঘুম হল না।
সারা রাত কোরআন শরিফ পড়েছি।
সকালে তাইফ কাজে গেল।
পরে আইরিন অসুস্থ তাই ওর দাদি কাজে আসল।
ওর দাদী কাজ করছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছিল ওর দাদী কিছু বলতে চায়।
আবার দেখলাম ওর দাদি আমার দিকে তাকিয়ে কাজ করছে ওনার
চোখ দেখে মনে হচ্ছিল কিছু বলতে চায়।
তখন আমি নিজেই উক্তি করে ওর দাদির কাছে গেলাম। আর জিজ্ঞেস করলাম
-দাদি, কিছু বলবেন
-শুন মা, তুমি একবার তোমার বাবার সাথে এই বিষয়ে কথা বলল
-কোন বিষয় দাদি?
-তুমি তা নিজে ভাল জান। বেশি দেরী হোয়ার আগে
উনি পরে চলে গেল। আমার আশ্চার্য লাগল উনি কিভাবে বুঝলেন
আর হ্যা বাবার কথায় বলায় মনে প ড়ল আমার বাবা তো হজুর আর উনি সপ্নের কথা বলতে পারেন।
গ্রামের অনেকেই সাহায্য করেছে বাবা।
বাবাকে এমন ই অনেকদিন হয়েছে দেখি না, ছোট ভাইকেও দেখি না।
তাইফ রাত্রে আসার পর তাইফকে গ্রামে যাওয়ার কথা বল্লাম।
তাইফ প্রথমে না বললেও পরে রাজি হয়ে গেল।
পরদিন বিকেলে আমরা যাত্রা শুরু করলাম।
যাত্রাপথে আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল তখন সন্ধ্যার সম য়
আমার বুক্টা যেন ধুকধুক করতে লাগল বাবার কাছে যত জলদি সম্ভব যেতেই হবে
.
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com