গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ৮
আম্মু : তুমি তো বললা অনেক রান্না করছ। তাহলে শিখিয়ে দিব কেন,
আম্মু : ঠিক আছে মা। তুমি বস আমি রান্না করি।
সেতু : আনটি এমনি এমনি বসে থাকতে ভালো লাগবে বল। একটু কাজ দেও করি।
আম্মু : কী দিব আবার তোমায়। এতই যখন কাজ করার ইচ্ছা তাহলে পিয়াজ গুলো কেটে দেও
সেতু : ঠিক আছে আনটি।
পিয়াজ কাটতে গিয়ে তো সেতুর অবস্থা একবারেই খারাপ। চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে। তাও পিয়াজ কাটা বাদ দিতাছে না।
আম্মু : মা তুমি পিয়াজ কাটা বাদ দেও তো। আর কাটাও লাগবে নাহ।
সেতু : ঠিক আছে। এই নেন
আম্মু : তোমার তো গরমে অবস্থা খারাপ। ঘরে গিয়ে ফ্যান এর নিচে রেষ্ট নেও।
সেতু : না লাগবে নাহ। আপনি যখন বের হবেন তখনি আমি বের হবো।
.
আম্মু : পাগলামি করছ কেন মা। তোমরা পড়াশোনা ওয়ালা মেয়ে। তোমরা কী আর এরকম গরম সৈয্য করতে পারবা বল। আর তোমাদের বিয়ে হবে বড় বড় ঘরে। তোমাদের তো রান্না ঘরেও যেতে হবে।
সেতু : আনটি আপনি কিন্তূ আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতেছেন। আমি রাগ করলাম
আম্মু : আচ্ছা মা রাগ করতে হবে নাহ। তুমি থাকো আমার সাথে
সেতু : ঠিক আছে (আম্মু )সরি সরি আনটি।
ঘুরাঘুরি করার সময় শুধু সেতুর কথা মনে পরছিল । হঠাৎ করে কী হলো।
আমি : কেরে সেতুর কী হয়ছে। ওহ আসল কেন
রিফাত : আসার সময় তো ভালোই ছিল। হঠাৎ করেই কী হলো কে জানে।
আমি : একটু কল দিয়ে জিগ্যেস কর। বেশি সমস্যা হলে মেডিসিন নিয়ে যাই।
হেলাল : ভালোবাসা কী উতলায়া পরে নাকী।
ওর বেশি ওষুবিধা হলে ওহ নিজেই কল দিয়ে বলত মেডিসিন নিয়ে যাইতে।
আমি : আরে ভালোবাসা না। ওহ আমার বাড়িতে আসছে। ওর ভালো খারাপের দায়িত্ব তো আমারি।
এরপর ঘুরতৃ গুরতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই বাড়ি চলে আসলাম।
এসে হাত মূখ ধুয়ে সবাই আমার বসে আছি। এর মধ্যেই। সেতুর বান্ধবী খাদিজা
খাদিজা : কীরে সেতু তুই ঘুরতে গেলি না কেন। তোর শরীর তো ভালোই আছে।
আর কোনোদিন দেখতে পাবি না,,না পাবি
সেতূ : আরে আমার এলাকা হবে কয়েকদিন পর। আর আমাকেই বলিস আমি দেখতে পাবো না পাব।
খাদিজা : এতক্ষণ কী করলি তাহলে
সেতু : শ্বাশরী একলা একলা ছয় সাত মানুষের খাবার রান্না করবে এতে শ্বাসুরীর কষ্ট হবে না বুজি। তাই শ্বাশুরীকে রান্নার কাজে সাহায্য করলাম
আমি : তোমার শ্বশুরী মানে কী হ্যা। ঘুরতে আসছো ঘুরে ফিরে চলে যাও।
সেতু : আমরা ঘুরতে আসি নাই। আমি আইছি তোমার কাছে।
আমি : বুঝলাম না তুমি আমার কাছে আসবা কেন?
আর তোমার আমার মাঝে যা ছিল তার সব আমি ভূলে গেছি।
আর আমি ব্রেক আপ ওহ করছি।আর আমি নাটক বাজ মেয়ে পছন্দ করি নাহ।
সেতু : তুমি করছ আমি করি নাই ব্রেক আপ।
আর আগে যা হয়ছে তার জন্য আমি দুঃখিত। আমাকে মাপ করে দেও
রিফাত : ওর কান্না কাটির জন্যই আমরা এখানে এসেছি।
আমি কিছু বলব তখনি আমার ছোট বোন এসে বলল আম্মু তোমাদের খাবার খেতে ডাকছে।
আর তারাতারি যাইতে বলল।
আমি : চল খেয়ে আসি।
সবাই খাবার খেতে চলে গেলাম।
খাবার খাওয়ার সময় তামিল মোভির নায়িকার মতো কে জেন পায়ে এর মধ্যে সুরসুরি দিতাছে।
আমি সেতুর মুখের দিকে তাকালাম। দেখি সেতু মিষ্টি মিষ্টি হাসতেছে।
পরে আমিও ওর পায়ে সুর সুরি দিতে গিয়ে জোরে দেই লাথী আর সেতু উহ করে উঠে।
আম্মু : কী হয়ছে তোমার। ঐ রকম করছ।
সেতু : কিছু না আনটি। আনটি তরকারি অনেক টেস্ট হয়ছে। মনে হয় শ্বশুরীর হাতের রান্না খাচ্ছি।
আম্মু : আমাকে শ্বাশুরী বানীয়ে ফেল তাই তো হয়
আমি একটু কেশে উঠলাম।
(আসলে আম্মু একটু অন্যরকম। সব সময় মজা এর ভিতর থাকে।। )
আম্মু : কী হলো কাশি দিলি যে।
আমি : ওমা কাশি আসলে কাশি দিব না।
.
সেতু :আনটি আপনার ছেলেতো বিয়েই করবে নাহ। তাহলে শ্বাশুরী বানাবো কীভাবে ।
আম্মু : আমি থাকতে চিন্তা কর কেন
আর আমার বন্ধুরা সবাই হাসতেছে।
আম্মু আর সেতুর কথা শূনে।
খাবার খায়া শেষ করে আবার রুমে আসলাম ওরা বলল ঘুমাবে।
সেতুর দুই বান্ধবীকে একটা রুম দেখিয়ে দিলাম।
আমার সাথে থাকবে রিফাত আর হেলাল। আর সেতু থাকবে আমার বোনের সাথে।
সবাই ক্লান্ত তাই সবারি ঘুম ধরছে। আমারো ঘুম ধরছে। সারাদিন কাজ করছি।
পরে সবাই শুয়ে পরলাম। সেতু আর ছিনহা (আমার বোন ) সুয়েছে।
সেতু : তোমার নাম কী
ছিনহা : মোছা ফারিয়া আকতার ছিন
সেতু : সুন্দর নাম
ছিনহা : ধন্যবাদ আপু।
.
সেতু : আমাকে আপু বলবা না। আমাকে ভাবি বলে ডাকবা।
ছিনহা : আপনাকে ভাবি ডাকলে আমার দুইটা ভাবি হবে
সেতু : তোমার ভাই বিয়ে করছে নাকি
ছিনহা : না।
আমার মামাতো বোন আছে ওহ তোমার সমান ওহ বলে আমাকে আমি যেন তাকে ভাবি ডাকি।
ওই আপু বলে ওহ হলো ভাইয়ার হবু বউ।
কিন্তু ভাইয়া ওকে দেখতেই পারে নাহ
সেতু একটা দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে বলল। তাও খানি শুভ তাকে দেখতে পারে নাহ।
তুমি তো আমাকে মেরেই ফেলেছিলে।
ছিনহা : মেরে ফেলেছিলাম মানে
সেতু : ওসব তুমি বুজবানা।
ছিনহা : ঐ আপূকে যতবার ভাবি ডাকি ততবারি চকলেট দেই।
সেতু : ওকে আর ভাবি বলে ডাকবানা। এখন থেকে আমাকে ডাকবা আমিও চকলেট দিব
ছিনহা : আসলেই দিবা
সেতু : রাত অনেক হয়েছে ঘুমাও।
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com