Breaking News

বাড়িওয়ালার দুষ্টু মেয়ে । পর্ব - ০৪



আমি কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক তাকিয়ে

হাটতে হাটতে ছাদে গেলাম। ছাদে গিয়ে তো একদম হা হয়ে গেলাম.!
কি সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ.!
চারিদিক ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে.!
আমি চোখ বন্ধ করে ফুলের সুভাস নিতে লাগলাম।
.
হটাৎ কারা যেন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলো। আমি চমকে উঠলাম.!
চিৎকার-চেঁচামেচিগুলো সব নিচে থেকে আসছিল।
.
কারা চিৎকার করছে সেটা দেখার জন্য আমি ধীরে ধীরে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
ছাদের রেলিং ঘেষে দাঁড়ালাম।
.
নিচে তাকিয়ে দেখলাম, ছোট ছোট বাচ্চারা বাড়ির ভিতর ক্রিকেট খেলছে।
দেখলাম, তাদের মধ্যে একটা বড় মেয়েও আছে।
মেয়েটার বয়স আনুমানিক ১৭-১৮ হবে। সেই বড় মেয়েটা ব্যাটিং করছে আর
ছোট বাচ্চাগুলো বল করছে।
.
ছোট বাচ্চাদের আস্তে আস্তে বল পেয়ে মেয়েটা ব্যাট দিয়ে জোরে
জোরে বলকে মারছে, আর ছোট বাচ্চাগুলো দৌঁড়ে বলটা কুড়িয়ে আনছে।
.
হটাৎ মেয়েটা আউট হয়ে গেল কিন্তু মেয়েটা সেটা মানতে নারাজ। সে উল্টো ভাব দেখিয়ে বলছে, "এটা নাকি নো বল ছিল।"
.
এদিকে ছোট বাচ্চাগুলোও কম না। ওরাও জোর গলায়, "আউট আউট" বলে চিল্লাচ্ছে।
এবার মেয়েটা দিলো একটা ধমক.!
এক ধমকেই সবাই চুপ।
একেবারে পিনপাতন নীরবতা।
মেয়েটা ধমক দিয়ে চিৎকার
করে বলল,
.
-- বেশি আউট আউট করলে ব্যাট ভেঙে গুড়ো-গুড়ো করে দিব।
চুপচাপ বল কর।
.
আমি মেয়েটার এমন কর্মকান্ড দেখে হাসতে লাগলাম। কি শয়তান মেয়ে রে বাবা.!
ছোট বাচ্চাগুলোর সাথে এভাবে চিটিং করলো.!
একেই বলে জোর যার মুল্লুক তার.!
.
এদিকে ছোট বাচ্চাগুলো আর কোনো উপায় না পেয়ে শেষে হার মানলো।
ওরা চুপচাপ বল করতে লাগলো
আর মেয়েটা ব্যাটিং।
.
ব্যাট করতে করতে হটাৎ মেয়েটার চোখ আমার দিকে পড়লো।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
খানিকটা ঘাবড়েও গেলাম।
আমি সেখানে আর না দাঁড়িয়ে ছাদের অন্য পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।
তারপর গুনগুন করে গান গাইতে লাগলাম।
.
কিছুক্ষণ পর হটাৎ খেয়াল
করলাম, আমার পিছে কে যেন দাড়িয়ে আছে।
আমি সাথে সাথে পিছনে ঘুরে তাকালাম।
দেখলাম সেই মেয়েটা যে, একটু আগে নিচে ছোট বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলছিলো।
.
মেয়েটার হুট করে এভাবে ছাদে আসাতে আমি চরম অবাক হলাম।
একরাশ বিস্ময় নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কি সুন্দর দেখতে মেয়েটা.!
দূর থেকে বুঝতেই পারি নি।
.
কি সুন্দর সরু বাঁশির মত নাক, আর সেই
নাকের উপর বিন্দু বিন্দু ঘাম।
গায়ের রঙ দুধে-আলতা, লম্বায় আমার কাঁধ বরাবর, পরণে গোলাপি সালোয়ার কামিজ।
ইশশশ.! কি সুন্দর লাগছে.!
সকালের মিষ্টি রোদের আলো, মেয়েটার সৌন্দর্য যেন আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমি হা করে এক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
মনে মনে বললাম, "এই মেয়েটা এখানে কেন.?"
হটাৎ মেয়েটা বলে উঠলো,
.
-- এই যে মশাই, এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন.? মুখে মশা ঢুকবে তো.!
.
মেয়েটার কথা শুনে থতমত খেয়ে গেলাম।
তার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে অন্য দিকে তাকালাম।
জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে একটু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম।
তারপর আমতা আমতা করে মেয়েটাকে বললাম,
.
-- না মানে, এমনিই দেখছিলাম।
.
-- এমনি দেখার কি আছে.?
আগে কখনো মেয়ে দেখেন নি.?
.
-- জ্বি, দেখেছি।
.
-- তাহলে ওভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন.?
কি দেখছিলেন, হ্যা.?
.
আমি তারাহুরোয় মুখ ফসকে বলে ফেললাম,
.
-- আপনাকে।
.
আমার কথা শুনে মেয়েটা চোখ গরম করে তাকালো। রাগী গলায় বললো,
.
-- What..?? কি বললেন আপনি.?
.
আমি নিজেকে সামলে
নিয়ে বললাম,
.
-- কই.? কি বললাম.?
.
-- এই যে বললেন, আমাকে দেখছিলেন।
.
-- আজ্ঞে না, আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আপনাকে কেন দেখবো.?
.
-- ওহ্। না, দেখে থাকলেই ভালো।
.
কথাটা বলে মেয়েটা আমার কাছে
এগিয়ে আসলো।
একদম আমার কাছাকাছি এসে দাঁড়ালো।
আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম।
ভয় পেয়ে কয়েক পা পিছনে সরে
দাঁড়ালাম।
মেয়েটা আমার আরেকটু কাছে এসে, চোখ পাকিয়ে বলল,
.
-- তা মহাশয়, আপনি কে বলুন তো.?
আর এই বাড়িতে কি করছেন.?
আগে তো আপনাকে কখনো দেখিনি।
.
আমি মেয়েটার কথার উত্তর না দিয়ে, উল্টো ভাব নিয়ে বললাম,
.
-- সেটা জেনে আপনি কি করবেন.?
আপনার কি দরকার.?
.
আমার কথা শুনে মেয়েটা চোখ লাল করে আমার দিকে তাকালো।
ভ্রু-কুঁচকে বলল,
.
-- আমার কথার জবাব দেন
আগে, কে আপনি.?
.
-- আপনাকে কেন বলবো.?
আপনি কে.?
দেখে তো বাড়ির কাজের মেয়ে মনে হচ্ছে।
কাজের মেয়ের কাছে এত কৈফিয়ত দিতে হবে কেন.?
.
আমি মেয়েটাকে মজা করে কাজের মেয়ে বললাম কিন্তু কাজের
মেয়ে বলাতে মেয়েটা প্রচন্ড রেগে গেল।
রাগে চোখ-মুখ লাল করে ফেললো।
চোখ দিয়ে মনে হয় আগুনের ফুলকি বের হবে।
আমি সেদিকে তোয়াক্কা না করে দুষ্টু একটা হাসি দিলাম।
মেয়েটার রাগ যেন আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল। সাথে মেয়েটার সৌন্দর্যও।
আমি অবাক হলাম.!
রেগে গেলে মেয়েটাকে তো দারুণ লাগে.!
একদম পরীর মতো.!
.
এদিকে মেয়েটা আমার দিকে কিছু সময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ভয়ংকর রাগী গলায় বলল,
.
-- What.? কি বললেন আপনি.?
আমি কাজের মেয়ে.?
.
-- তা নয় তো কি। (সামান্য হেসে)
.
-- আপনার সাহস হলো কি করে আমাকে কাজের মেয়ে বলার.! (রেগে)
.
আমি মজা করে বললাম,
.
-- এখানে সাহসের কি আছে.?
কাজের মেয়েকে কাজের মেয়ে বলবো না তো কি বলবো.?
.
-- আপনি আবার আমাকে কাজের মেয়ে বললেন.?
.
-- হুমম, বললাম।
কি করবেন.?
.
-- দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা.!
আমাদের বাড়িতে এসে আমাকেই কাজের মেয়ে বলা.!
আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি.!
.
মেয়েটার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। বলে কি.?
এটা মেয়েটার বাড়ি মানে.?
তাহলে কি এটাই আঙ্কেলের মেয়ে.?
আমার ছাত্রী.?
কথাটা ভেবেই আমার গলা শুকিয়ে গেল।
পুরো শরীর শিউরে উঠলো।
আমি সংশয় নিয়ে মেয়েটাকে বললাম,
.
-- কি বললেন, এটা আপনার বাড়ি.?
.
-- আজ্ঞে হ্যা, দাঁড়ান প্রমাণ দেখাচ্ছি।
তারপর আপনাকে মজা দেখাবো।
আমাকে কাজের মেয়ে বলা তাইনা.!
আপনি আমাকে চেনেন না.!
দেখেন আপনার আমি কি অবস্থা করি.!
.
কথাটা শেষ করেই মেয়েটা "মা, মা" বলে চিৎকার করতে লাগলো।
আর এদিকে আমি ভয়ে একদম জড়সড় হয়ে গেলাম। কি করলাম এটা.?
মজা করতে গিয়ে মেয়েটাকে রাগিয়ে দিলাম.! এখন আমার কি হবে.?
.
মেয়েটার ডাক শুনে মিনিট দু'য়েক পর দেখলাম, আন্টি তাড়াহুরো করে
ছাদে আসলো।
বিরক্তির সুরে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল,
.
-- কি হয়েছে, ডাকছিস কেন.?
.
মেয়েটা আমার দিকে ইশারা করে আন্টিকে বলল,
.
-- মা, এই ছেলেটা কে.?
আর আমাদের বাড়িতে কি করছে.?
.
মেয়েটার ককথা শুনে আন্টি আমার দিকে একবার তাকালো।
তারপর বলল,
.
-- ওর নাম শাহিন। গতকাল রাতে আমাদের বাড়িতে এসেছে।
এখন থেকে এখানেই থাকবে।
.
আন্টির কথা শুনে মেয়েটা চরম অবাক হলো।
আমি তার মুখ দেখেই সেটা বুঝে ফেললাম।
তারপর অবাক-বিস্ময়ের স্বরে আন্টিকে বলল,
.
-- কি বললে তুমি.! এই ছেলেটা আমাদের বাড়িতে থাকবে.?
.
-- হ্যা।
.
-- কিন্তু কেন.?
.
-- তোকে পড়াবে.! ও তোর টিচার.!
আজ থেকে আমাদের বাড়িতে থাকবে আর তোকে পড়াবে।
.
-- What..?? আমাকে পড়াবে.?
.
-- হুমম।
.
-- তা এই ছেলেটাকে কে নিয়ে
এসেছে শুনি.?
.
-- তোর বাবা.!
.
মেয়েটা বিরক্তির স্বরে বলল,
.
-- বাবার কি এসব ছাড়া আর কোনো কাজ-কাম নেই নাকি.?
.
-- কেন, ভুল কি করেছে
শুনি.?
.
-- অবশ্যই ভুল করেছে। আমাকে পড়ানোর জন্য টিচার রাখতে হবে কেন.?
আমি কি পড়াশুনা করি না নাকি.?
.
-- কত যে পড়িস তা আমার ভালো করেই
জানা আছে। সারাদিন তো শুধু দুষ্টুমি করিস আর এদিক-সেদিক টো-টো করে ঘুরে বেড়াস।
বইটা তো হাতেই নিস না, কি আর পড়বি।
.
আন্টির এসব কথা শুনে মেয়েটা কিছু বলল না। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো।
আমি খেয়াল করলাম, মেয়েটার চেহেরা কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে।
রাগে মেয়েটার চেহেরা রক্তবর্ণ ধারণ করছে.!
আমি মেয়েটার দিকে একবার আড় চোখে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিলাম।
আন্টি কিছু সময় চুপ থেকে আবার বলা শুরু করলেন,
.
-- শোন, আগে যা করেছিস ভুলে যা... এবার যদি তোর বিরুদ্ধে কোনো রকম নালিশ
আসে না, তাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না বলে রাখলাম।
তাই এসব দুষ্টুমি ছেড়ে দিয়ে ভালো মেয়ে হয়ে যা।
.
আন্টির কথায় মেয়েটা এবারও কোনো প্রত্ত্যুতর দিল না। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
আমি আন্টিকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই মেয়েটা আমার দিকে ভয়ংকর
রাগী লুক নিয়ে তাকালো।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
আন্টিকে আর কিছু বলতে পারলাম না।
মুখ দিয়ে কোনো কথাই বের হলো না।
.
মেয়েটা এখনো আমার দিকে একদৃষ্টিতে কিয়ে আছে।
হয়তো চোখের ভাষায় বলছে, "আমাকে সে পরে দেখে নিবে।"
আমি মেয়েটার থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম।
মেয়েটা আরো কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হনহন করে চলে গেল।
.
মেয়েটা চলে যেতেই আন্টি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।
তারপর বলল,
.
-- কি হয়েছে বাবা.?
আমার মেয়েকে দেখে মনে হলো, ও তোমার উপর খুব রেগে আছে।
কিছু হয়েছে নাকি.?
.
-- কিছু না, আন্টি।
আমরা এমনি কথা বলছিলাম।
.
-- ওহ্, ভালো।
.
-- হুমম। আন্টি একটা কথা বলবো.?
.
-- হ্যা, বলো। অনুমতি নেওয়ার কি আছে.?
.
আমি আমতা আমতা
করে বললাম,
.
-- ওটা কি আপনার মেয়ে.?
.
-- হুমম। কেন.?
.
-- কিছু না। আমি চিনতে পারি নি তো তাই বললাম।
.
-- ওহ্, ওটাই আমার মেয়ে.!
আর ওকেই তোমার পড়াতে হবে।
.
-- ওহ্... (একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
.
-- হুমম। এখন তাহলে নিচে চলো, বাবা।
অনেক বেলা হয়ে গেছে, আমি খাবার দিচ্ছি।
তোমার আঙ্কেল, তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
.
-- জ্বি আন্টি, চলেন।
.
অতঃপর আমি আর আন্টি নিচে আসলাম।
আন্টি রান্না ঘরে গেল আর আমি খাবার টেবিলের কাছে গেলাম।
খাবার টেবিলের কাছে গিয়ে দেখি আঙ্কেল আর উনার মেয়ে বসে আছে।
আমাকে দেখেই আঙ্কেল বললেন,
.
-- এসো বাবা, বসো এখানে।
.
-- জ্বি...
.
আমি আঙ্কেলের পাশে গিয়ে বসলাম।
আঙ্কেল আর আমি পাশাপাশি বসেছি আর মেয়েটা আমার সামনে।
আমি চেয়ার টেনে আঙ্কেলের পাশে বসতেই মেয়েটা আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো।
আমি সেদিকে খুব একটা পাত্তা দিলাম না। চুপ করে বসে থাকলাম।
একটু পর খেয়াল করলাম, মেয়েটা বসে থেকে মাথা নিচু করে কি যেন বিড়বিড় করছে।
আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না সে কি বলছে।
আর বোঝার চেষ্টাও করলাম না।
.
একটুপর আন্টি খাবার নিয়া আসলেন।
তারপর আমাদের খাবার বেড়ে দিলেন।
আমরা খাওয়া শুরু করলাম।
খেতে খেতে আঙ্কেল বললেন,
.
-- মা রিমি, তোকে একটা কথা বলার ছিল।
.
-- হ্যা, বলো।
.
আঙ্কেল আমাকে দেখিয়ে বললেন,
.
-- এ হলো শাহিন। তোর টিচার.!
আজ থেকে তোকে......??
.
আঙ্কেলের কথা শেষ হওয়ার আগেই মেয়েটা হাতের ইশারায় আঙ্কলকে থামিয়ে দিল।
তারপর গম্ভীর গলায় বলল,
.
-- থাক, আর বলতে হবে না।
আমি জানি।
.
-- জানিস.?
.
-- হুমম।
.
-- কে বলল.?
.
-- মা।
.
-- ওহ্, ভালো।
.
-- হুমম।
.
তারপর আঙ্কেল আমার দিকে তাকিয়ে সামান্য হেসে বললেন,
.
-- বাবা শাহিন, আসো তোমাকে পরিচয় করিয়ে দেই... এ হলো আমার একমাত্র মেয়ে রিমি.!
একেই তোমার পড়াতে হবে।
.
-- জ্বি, আঙ্কেল।
.
তারপর আমি সৌজন্যতার খাতিরে রিমি মেয়েটাকে বললাম,
.
-- হ্যালো, রিমি.!
কেমন আছো.?
.
আমার কথার রিমি কোনো উত্তর দিলো না। আমার দিকে তাকালোনা পর্যন্ত।
সে চুপচাপ মাথা নিচু করে খাবার খেতেই থাকলো।
আমিও আর কিছু বললাম না।
চুপচাপ খাবার খেতে লাগলাম।
আঙ্কেল কিছু সময় চুপ থেকে রিমিকে বললেন,
.
-- রিমি, এবার যদি তুই তোর স্যারের সাথে কোনো বেয়াদবি বা তাকে
তাড়ানোর চেষ্টা করিস তাহলে পরিণাম কিন্তু খুব খারাপ হবে মনে রাখিস।
আমি জানি, এর আগের স্যারদের তুই তাড়িয়ে দিয়েছিস।
এবার আর সেই ভুলটা করিস না।
তাহলে তোকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবো, হু...
.
আঙ্কেলের কথা শুনে রিমি মুখে কিছু বললো না কিন্তু মনে মনে রাগে একদম
ফেটে গেল।
রিমি মনে মনে বলল, "এবার আর এই বাঁদরটাকে তাড়াবো না, সোজা জাহান্নামে পাঠাবো।"
.
-- কি হলো, রিমি কি ভাবছিস.?
.
আঙ্কেলের ডাকে রিমি চমকে উঠলো। তারপর দম নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বলল,
.
-- কিছু না।
.
-- আমার কথাগুলো মাথায় ঢুকেছে তো.?
.
-- হুমম। (রিমি গোমড়া মুখ করে বলল)
.
-- কথাগুলো মনে রাখিস।
.
তারপর আঙ্কেল আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
.
-- তা বাবা, এখন কোথায় ভর্তি হওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে.?
.
-- আশেপাশেই কোনো একটা কলেজে ভর্তি হবো।
.
-- তাহলে রিমি যে কলেজে পড়ে সেখানে ভর্তি হও।
বাড়ি থেকে কলেজ কাছেও হবে আবার তোমরা দু'জন একসাথে কলেজ
যাওয়া-আসাও করতে পারবে।
এমনিতেই রিমি রোজ একা একা কলেজ যায়।
কখন কি হয়ে যায়, না হয়ে যায় কে জানে। দিনকালের যা অবস্থা.!
তাই তুমি রিমির সাথে থাকলে কিছুটা ভরসা পেতাম।
.
-- ঠিক আছে, আঙ্কেল।
আপনি যেমনটা বলবেন।
.
-- ওকে। তাহলে আমি কলেজে ফোন করে তোমার ভর্তির ব্যবস্থা করি, কি বলো.?
.
-- আচ্ছা।
.
-- হুমম। আর রিমি কলেজে যাওয়ার সময় তোর স্যারকে নিয়ে যাইস.!
.
রিমি কোনো কথা না বলে শুধু মাথা নাড়ালো। "হা, হু" কিছুই বলল না।
এবার আমার একটু খারাপ লাগলো।
রিমি মেয়েটা আমার সাথে এমন করছে কেন.?
হয়তো তখনকার ঘটনাটার জন্য আমার উপর রেগে আছে।
.
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে বিশ্রাম নিচ্ছি তখন দেখলাম, রিমি আমার রুমে আসলো।
আমি বসা থেকে তাড়াহুরো করে উঠে দাঁড়ালাম।
রিমি আমার সামনে এসে বলল....???
..
চলবে.
..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com