গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ৬
শুভ তো আমাকেই ভালোবাসে। তাহলে মাপ করবে না কেন?
দেখি শুভ এর নাম্বারে কল দেই।
ডুকবেই বা কী করে ঐ ছিম তো চালান নি বাদ দিয়ে দিতেছি।
ছিম ফোন থেকে খুলে ফৈলে রাখছি।
অনেকবার চেষ্টা করল কিন্তু কল ডুকল না।
পরে অনলাইন দেখার চেষ্টা করল আমি একটিভ আছি কিনা।
কিন্তু আমার আইডি ডিজেবল দেখে সেতুর মন খারাপ আরো বেশি হয়ে গেল।
হঠাৎ করেই সেতুর মনে পরল আমি যাদের সাথে সব সময় ঘূরাঘুরি করেছি সেই ফেন্ড দের কথা।
তখনি সেতূ রিফাত কে কল দিল। আর বলল আমার সাথে দেখা করতে পারবি।
একই ভাবে তামিম জাহিন হেলাল কেউ কল দিয়ে দেখা করতে বলল।
প্রথম অবস্থায় সেতুর সাথে কেউ দেখা করতে চাই নি।
সেতুর এক রকম জোরাজোরিতে দেখা করতে রাজী হয়।
সেতু আগেই এসে আমার বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছে।
কারো জন্য অপেক্ষা করলে সময় মনে আগায় না ঠিক তেমনি মনে হয়তাছে সেতুর।
কিছুক্ষণ পর সেতুর সাথে দেখা করতে আসল সব বন্ধুরা।
এসে বলল কী হয়ছে রে। একম ভাবে দেখা করতে বলছিস কেন?
সেতু : আসলে দোস্ত আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। আমাকে তোরা ক্ষমা করে দে।
রিফাত : তুই আবার কী ভুল করলি আমাদের কাছে। আর এরকম ভাবে মাপ চাসছিস কেন?
সেতু : আমি শুভকে ছারা থাকতে পারছি নাহ। ওর সাথে কথা না বললে ভালো লাগতেছে না।
ওকে কল দিছি ফোন বন্ধ অনলাইন এ খুজেছি আইডি ডিজেবল।
জাহিন : এসব বলে আমাদের লাভ নেই। আর তুই শুভর মন নিয়ে খেলা করেছিস।
তাকে ধোকা দিয়েছিস ।তুই আবার এসব বলছিস কেন?
সেতু : দয়া করে তোরা এরকম করিস না। আমি আমার ভুল টা বুজতে পারছি।
রিফাত :হুম বুজলাম। কিন্তু শুভ এর সাথে আমাদের ওহ যোগাযোগ হয় না।
আমরা না হয় তোকে বুঝতে পারলাম কিন্তু শুভ যে তোকে বিশ্বাস করবে এমন কোনো কথা নেই।
সেতু : পিলিজ দোস্ত কিছূ একটা কর ।
আমি শুভকে না পেলে কিছু একটা করে ফেলব।
তামিম : তোরে তো মনে হয়তাছে চরাইতে চরাইতে শেষ করে দেই।
যখন শুভ ছিল তখন তুই কদর দিলি নাহ। আর এখন সু সাইট করতে চাস।
হেলাল : বাল তোরা চুপ কর তো। শুভ এর তো কোনো খোজ পাইতাছি নাহ।
ও কী আবার কোনো কিছু করে ফেললো নাকী
সেতু : এসব কথা মুখে আনিস না। ওর কিছু হলে নিজেকে কন্টোল করতে পারব নাহ ।
রিফাত : ওর সাথে যোগাযোগ করার একটা মাধ্যম আছে তা হলো ওর বাড়িতে যাওয়া।
তামিম: তুই কী বাড়ি চিনোস নাকী
রিফাত :হুম
হেলাল :তাহলে চল যাই ঘুরে আসাও হবে আর শুভ খবরও পাওয়া যাবে।
সেতু : তাহলে আমিও যাব তোদের সাথে।
রিফাত :তুই একলা মেয়ে মানুষ যাবি কেমনে।
সেতু :দরকার হয় দুকলা জুগার করব।
আমি আমার বান্ধুবী কে নিয়ে যাব তোরা কী সবাই যাবি নাকী
তামিম আর জাহিন না করল ওদের নাকী কী দরকার আছে তাই আসবে না।
সেতু :তাহলে তোরা দুজন যাবি আমি সাথে করে দুইটা ফেন্ডকে নিয়ে যাব।
মোট পাচ জন যাব। তাহলে কবে যাচ্ছি আমরা
রিফাত :দুইদিন পরে যাচ্ছি। আসলে আমার একটা কাছ আছে।
সেতু : ঠিক আছে আজকে তাহলে চলি।
কথা বলা শেষ করে সবাই চলে গেল। সেতুর অনেক খুশি খুশি লাগছে।
দুই দিন পর শুভ এর সাথে দেখা করতে পারবে।
আমি অনেক দিন পরে বাড়ি এসেছি তাই নানী কল দিছিলো যাওয়ার জন্য।
আম্মুই বলল যাও গিয়ে ঘুরেও আসো আর তোমার নানীকে দেখেও আসো।
আমিও চলে গেলাম নানীর বাড়ি। দুই বছর পর নানীর বাড়ি যাইতাছি।।
বাপের গাড়ি টা নিয়ে রওনা দিলাম নানীর বাড়ি।
পথে মধ্যে একটা মেয়েকে দেখে গাড়ি দার করালাম। করে জিগ্যেস করলাম তুমি ফাহমিদা না।
মেয়েটি : হুম।আর তুমি শুভ ভাইয়া তাই নাহ
আমি :হুম। বাড়ি যাবা কখন। আর দুই বছরে অনেক পরিবর্তন এবং সুন্দর হয়ে গেছ।
ফাহমিদা :তুমিও তো অনেক সুন্দর। আর তুমি তো আমার কাছে আগের থেকেই সুন্দর।
আমি ; আচ্ছা তারাতারি উঠ। নানী অপেক্ষা করতেছে।
ফাহমিদা ওর বান্ধবীদের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাইকে উঠল।
জীবনে প্রথম বউ বয়সি বাইকে উঠল।যদিও আমার সেরকম ফিলিংস কাজ কর না।
যত টুকু করে ঐ টূকু বোন হিসেবে করে। গাড়িতে উঠার পর। বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে নামার সাথে সাথে মামা মামি অনেক খুশি।
আর নানীর কথা তো বলে প্রকাশ করতে পারব না।
পরে এসে নানীর ঘরে বসলাম। পরে আমাকে খাবার খাইতে দেওয়া হলো।
আমি সবার সাথে কথা বললাম। রাতে আমি নানীর বিছানায় শুয়ে থেকে ফোনে গেইম খেলতেছি।
তখন ফাহমিদা আসল। এসে বলল ভাইয়া কী কর ।
আমি : গেইম খেলি ।
ফাহমিদা : তোমাকে একটা কথা বলতে চাই আরো অনেক আগের থেকেই।
কিন্তু বলার শাহস হয়ে উঠেনি
আমি : বলে ফেল
ফাহমিদা :ভাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি। ছোট থেকেই।
কিন্তু বলার শাহস হয়ে উঠেনি
আমি : আমিও তো তোকে ভালোবাসি বোন হয় হিসেবে।
আর তুই আমাকে ভাই হিসেবে ভালোবাসো এটা আমি জানিই।
এখানে নতুন ভাবে বলার কী হলো।
সেতু :......
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com