পিচ্চি মামাতো বোন । পর্ব -০৪
মেছেজ এ লেখা ছিল শুভ সাহেব এতো ভেবে লাভ নাই সব কিছু আমি ডিলেট করে দিছি। তোমার চ্যাট লিষ্ট এ শুধূ আমিই থাকবে। তোমার চ্যাট লিষ্টে এ প্রথম ব্যাক্তি আমি আর শেষ ব্যাক্তিও আমি। আর কোনো মেয়ে দের সাথে কথা বলবা না কথা বললে কীন্তু প্রবলেম হয়ে যাবে ।
আমি : তুমি কে। আর তুমি আমাকে চিন কীভাবে।মেয়েটি : আমি চিনি তোমাকে।আর তুমিও আমাকে চিন। তোমার আশে পাশেই আছি।
আমি : আমি চিনতে পারছি। তুমি আর কেঊ না আমার কিউট বোন সেতু
সেতু : ঐ সালা বোন বলা বাদ দিয়া বউ বললেও তো পারিস
আমি ;সবাই কে কী বউ বানানো যাই।
সেতু : সবাই কে বলতৃ হবে কেন শুধু আমাকে বলবা।
আমি : তোমাকে বলব কীভাবে তুমি তো আমার আদরের ছোট বোন
সেতু : তোকে কয়বার বলব যে আমাকে আর বোন বলবি না। এর পরে বোন বললে তোর বারো টা বাজিয়ে দিব ।
আমি : আচ্ছা বাদ দেও। অনেক রাত হয়ছে ঘুমিয়ে পর।
সেতু : ওকে
আমিও ঘুমালাম সকালে উঠে বাড়িতে চলে আসব। ঘুম থেকে ঊঠে দেখি সেতু আমাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে আছে।
আমি : এই সেতূ এভাবে ধরে আছো কেন? মামী অথবা অন্য কেউ দেখলে কী ভাববে।
সেতু : কেবলি তো এসে একটু জরিয়ে ধরলাম। আর এই রকম করছো কেন?
সেতু ছারতে চাইনি আমিই জোর করে ছারিয়ে নিলাম। আর বললাম তুমি এখানে কী কর হ্যা।
সেতু : আম্মু ডাকতে পাঠাইলো। তাই আসছি
আমি :তুমি যাও আমি আসতেছি।
সেতু মুখটা বেকিয়ে চলে গেল। আর ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে মামির কাছে গেলাম দৈখি মামি অনেক কিছু রান্না করছে। মামি এত কিছু রান্না করছেন কেঊ আসবে নাকি।
মামি : ফাজলামি করা বন্ধ কর। তুই আসোস আসার পর যখন চলে যাবি তখন তোর জন্য প্রতিবারই রান্না করি।
আমি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে খাবার টেবিলে বসলাম । পাশে সেতুও ছিল তাই। সেতুর দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা মলিন হয়ে গেছে।
মুখ মলিন হয়ছে হইতো আমার যাওয়ার কথা শুনে।
আমি থাকলে হইতো কিছুদিন মজা করতে পারত আমার সাথে।
মামি : রংপুর কবে চলে যাবা কবে।
আমি মজা করার জন্য) বিয়ে না করে যাব না মামি। আব্বু পাএী দেখতেছে।
মামি : ওমা তাই নাকি
সেতু : চোখের সামনে পাএী থাকতে আবার পাএী খুজা লাগে
মামি : কীরে সেতু মনে মনে কী বলিস। আসলেই বিয়া করবা
আমি :আপনিও না মামি বিয়ে করলে আপনারা জানবেন তো
খাবার খেয়ে রুমে এসে কাপর গুলো ব্যাগ এ তুলছি। তখনি সেতু আসলো আর বলল তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আমি : আমি শুনতেছি বল
আমার হাত ধরে নীয়ে গিয়ে খাটের উপর বসাল আর সেতুর আমার সামনে দারিয়ে আছে। কিছু সেকেন্ড দারিয়ে থাকার পর সরাসরি আমার ঠোট দুটো লেপ্টে নিল ওর ঠৌটের সাথে।
কিছুক্ষণ পর ছেরে দিল আর বলল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছারা আমি বাচবো না i love you shuvo
আমি স্তব্দ হয়ে আছি। কি উওর দিব ভাবতে পারছি। আমিও সেতুকে ভালোবাসি। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা অনেক কঠিন। আমার মামারা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে।
সেতু : উওর দেও কী হলো
আমি............
আমি : সেতু তুমি পাগলামি করছো কেন? তোমার আমাদের সাথে যাই না । আর আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না মাঝখান থেকে আমাদের যে মধুর একটা সম্পর্ক আছে এটা নষ্ট হয়ে যাবে। আর আমার মামা মামি দের ভালো বাসা থেকে বন্চিত হতে চাই নাহ। আর তোমাকে ভালোবেসে তোমাকে নিয়ে হইতো পালিয়ে গেলাম,পালিয়ে গেলে মামা মামিদের কাছে থেকে আগের মতো ভালোবাসা পাবো না। আর তোমরা উচ্চ ফ্যামিলির মেয়ে আর আমরা নিম্ন মধ্যবিও ফ্যামিলির ছেলে। তোমার আব্বুকে বললে সে কোনো কারনেই রাজী হবে না এর ভিতর একটা কারন হলো আমরা নিম্ন মধ্যবিও। আর আমার আরেকটা সমস্যা আছে যেটি কারনে আমি কোনো দিন হইতো বিয়ে করতেও পারব না। ঐ সমস্যার এর কারন শুনলে তোমার আব্বু আম্মু কেউ রাজী হবে নাহ।
আশা করি তুমি বুঝতে পারছো। তুমি এখনও অনেক ছোট আগে বড় তখন সবকিছু বুজতে পারবা,,তুমি যে আমাকে ভালোবাসি বলতেছো এটা তোমার আবেক জেটা বেশি দিন থাকবে নাহ। কিছুদিন পর এই ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে। তখন আর আমাকে ভালো লাগবে নাহ। তুমি তখন কলেজে যাবা তখন তোমার অনেক বন্ধু বান্ধবী হবে। আর তোমার বন্ধুরা সবাই গার্লফ্রেন্ড বয়ফেন্ড নিয়ে ঘুরতে যাবে। তুমি তো ঘুরতে পারবে নাহ। তখন মনে হবে কার সাথে প্রেম করি। যার সাথে একদিনও ঘুরতে পারি নাহ।
কলেজে যাবা আমার থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ছেলে দেখতে পাবা আর তোমাকে প্রপোজ করবে কারন তুমি অনেক সুন্দর। আর ঐ প্রপোজ পেয়ে মনে মনে বলবা কত সুন্দর সুন্দর ছেলে প্রপোজ করে আর আমি কীনা পরে আছি শ্যামলা একটা ছেলের কাছে।
তখন আর আমাকে ভালো লাগবে নাহ। আমাকে তোমার বোরিং মনে হবে।
সেতু : এই শুনো আমি আর এখন ছোট নাই। আমি সামনে এস এস সি পরিক্ষা দিব। আর যারা দশম শ্রেনিতে পড়ে তারা ছোট হয় না। আমি বড় হয়ছি আর আমি সব কিছুই বুজি । আর তোমাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি। এই ভালোবাসা কোনো আভেক না। আমি তোমাকে নবম শ্রেনি থেকে ভালোবাসি। i really love you
আমি : এটা কখনও সম্ভব না।
সেতু : কেন সম্ভব না বল
আমি : আমার অনেক বড় একটা প্রবলেম আছে।
সেতু কী সমস্যা আমাকে বল। আমি সব রকম সমস্যাই মেনে নিব।
আমি : তোমার মতো কত মেয়ে বলল শুভ তোমার সমস্যা থাকলেও আমি তোমাকে ভালোবাসব। আর শুনার পর সবাই চলে গেল।
সেতু : আমি যাব না বল।
আমি : আরেকটু বড় হও তখন বলব।ভালো থেকো আবার মনে হয় কবে আসি না আসি। দেখা হয় না হয়।
এই বলে ঘর থেকে বের হয়ে আসি। আর চলে যাই নানীর কাছে। সব মামা মামির সাথে দেখা করে বিদায় নিয়ে আসলাম।
সেতুকে একবার ভালো করে দেখলাম দেখি সেতূর চোখে জল এসে পরেছে।
পরে আমি বাড়িতে এসে সেতু সাথে ঘটনা গুলো সব বলি শুধু কিছ এর কথা বাদ দিয়ে
আসলে আমি আর আম্মু ফেন্ড এর মতো। আমি ছোট থেকেই আম্মুর সাথে শেয়ার করি।
পরে কিছুদিন পর রংপুর ভার্সিটিতে চলে যাই। এর মাঝে সেতু এর সাথে অনেক কথা। ভালো মন্দ এগুলোই জিগ্গেস করা হয়ছে।
একদিন ভার্সিটিতে গিয়ে একটা মেয়ে বন্ধুর সাথে সেলফী তুলি আর ফেসবুকে এ পোষ্ট করি সেই পোষ্ট সেতু দেখে inbox মাথায় তুলে ফেলে।
সেতু : ঐ মেয়েটি কে
আমি : আমার বান্ধবী
সেতু : বান্ধবী তাই কী হয়ছে হ্যা ওই রকম ভাবে কাছাকাছি বসে সেলফি তুলা লাগব নাকি। আমি তোমাকে কোনো মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারি নাহ।
এর পর যদি আবার মেয়েদের সাথে সেলফি তূলো তাহলে আমি কিছু করে ফেলব আর দোষ দিব তোমার ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে বলব না।
আমার অনার্স এ পরিক্ষা দেই আর সেতুও এস এসছি পরিক্ষা দেই। সেতুর সাথে আমার অনেক কথা হয় এক বছর। বলতে পারেন জিএফ বিএফ যেরকম করে কথা বলে আমরাও সেরকম ভাবেই কথা বলি।
এক বছর সেতু আমার কাছে আনেক বার শুনতে চাইছে আমার প্রবলেম। কিন্তু আমি বলি নাই।
এখন আমি চাকরি খুজছি আর সেতু ইন্টার এ পড়ে। সেদিন সেদিন শুধু জিগ্গেস করে তোমার সমস্যা টা বল।
আমার ও ধৈর্য এর বাদ ভেঙ্গে যাই। আর আমি বলি।
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com