গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০৩
আমিঃ না...(বলে একটা চিল্লানি দিলাম)
রিয়াঃ আল্লাহ ঘার থেকে রক্ত বের হচ্ছে তো। কে এমন করতিছে তোর সাথে বুঝতেছিনা আমি কে এই আগন্তুক যে এমন নির্মম ভাবে কষ্ট দেয়।
আমিঃ আমি কেমনে বলবো তুই নাকি ধরবি কই নাক ডেকে তো ঘুমালি সারারাত শালি সর এখান থেকে(লাত্তি মেরে)
রিয়াঃ রাগিস না কতো রাত জাগবো তুই বল ২ টার পর ঘুমাইছি,
আমিঃ হুম(মন খারাপ করে)
রিয়াঃ আয় আগে মলম দিয়ে দেই
এরপর রিয়া ও ফ্রেস হতে গেল আর আমি ভাবতেছি কি হচ্ছে আমার সাথে এসব কে এমন করতিছে শালা সাইকো একটা
রিয়াঃ কিরে কি ভাবিস(খাটে বসতে বসতে)
আমিঃ কি আর বুঝতেই পারতেছিস
রিয়াঃ শোন আমার একটা কথা
আমিঃ হুম বল
রিয়াঃ আমার মনে হয় এটা কোনো মানুষ এর কাজ না
আমিঃ মানে কি বলতে চাচ্ছিস ঠিক ভাবে বল হেয়ালি না করে
রিয়াঃ দেখ আমি তোর সাথে ছিলাম একটা মানুষ তোর রুমে আসবে এমন করবে আবার পালায় যাবে আমরা কি কেও জানতে পারবো না তুই বল
আমিঃ হুম সেটাও একটা কথা কিন্তু কে এমন করবে সেটা বল(বিরক্ত হয়ে)
রিয়াঃ না মানে বলছিলাম কি তুই তো জানিস জ্বিন আছে তো মনে হয় খারাপ জ্বিন এর নজর পরছে
আমিঃ কি বলিস আমার ভয় লাগতিছে(ভয়ে ভয়ে)
রিয়াঃ হুম তাছাড়া আর কি হবে তুই বল। এক কাজ করি আমার সাথে চল আমাদের বাড়ির পাশে একটা কবিরাজ আছে ওদের দেখাবো
আমিঃ আচ্ছা নিচে চল খুধা লাগছে আমার।
নিচে নেমে সবার সাথে একটু আড্ডা দিলাম।একটু পর ভাইয়া বললো
ভাইয়াঃ ফারিহা তোর ঘারে এটা কিসের দাগ
আমিঃ আসলে ভাইয়া(না কাওকে বলবো না কেও বিশ্বাস করে না বলে কি হবে)
ফারহান ভাইয়াঃ কিরে বল কি হয়ছে(হালকা রেগে)
আমিঃ কি জানি কেমনে কি হয়ছে কে জানে
ভাইয়াঃ চুপ সারারাত তোরা মারামারি করিস আর বাচ্চাদের মতো কামড়া কামড়ি করিস এটা রিয়ার কাজ আর কার হবে তোরা তো কামড়াতে ভালই পারিস(ধমক দিয়ে)
রিয়াঃ না আমি কামড় দেই নি জ্বিন হয়তো এমন করছে তোমাদের বাসায় জ্বিন আছে ভাইয়া(জোরে জোরে)
ফারহানা ভাইয়াঃ (সবাই হাসতে হাসতে) কি জ্বিন হাহাহা জ্বিন কই পাবি দিব একটা গাল এ চড় মারামারি করিস আর বেচারা জ্বিন এর দোষ দেস তোরা(রেগে)
রিয়া আবাল এর মতো আমার দিকে তাকায় আছে আর আমাক চোখের ইশারায় বলতিছে কিরে এরা তো বিশ্বাস করে না আমি ও বোঝালাম কেও বিশ্বাস করবে না এদের বলে লাভ নাই।তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে আবার বসায় পরলাম আড্ডা দিতে এমন সময় ছোট আব্বু আসলো এসে বলতে শুরু করলো।
ছোট আব্বুঃ ফারহান
ফারহান ভাইয়াঃ জ্বী আব্বু বলো
ছোট আব্বুঃ বিয়ে কবে করবা বয়েস কি তোমার হয়নাই নাকি বলো তো কতো দিন থেকে বলতেছি বিয়ের কথা আর তুমি কিছু বলতিছ না এসব এর মানে কি(রেগে)
ছোট আম্মুঃ ওর কথা শুনে কি লাভ আছে ঐ রাজি হবে না জানা আছে আমরা মেয়ে দেখবো আর তোক বিয়ে করতে হবে আমি বেশি কিছু বুঝি না ওকে(বিরক্ত হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ ওফ বালের* বিয়ে বিয়ে আমি এখন ও বাচ্চা একটা সবে মাস্টার্স কমপ্লিট করলাম এখন কিসের বিয়ে
ছোট আম্মুঃ তোর কথা রাখ আর কতো সময় দিব আমরা কি নাতি নাতনির মুখ দেখবো না
আমিঃ ও ভাইয়া একটা বিয়ে করো না কেনো বিয়ে খাব অনেক মজা করবো বিয়ে করো প্লিজ
ফারহান ভাইয়াঃ চুপ এতো সখ নিজে বিয়ে করে বিয়ে খা
ভাইয়াঃ ওফ থাম তোরা একটা সময় বল কবে বিয়ে করবি তাহলেই হয়
ফারহান ভাইয়াঃ ওম(ফারিহার দিকপ তাকায়) ওকে ১ বছর সময় দেও তার পর প্রেগন্যান্ট মাইয়া নিয়ে আসলে ও বিয়ে করবো চিন্তা করো না
ফারহান ভাইয়ার কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলাম। আর ছোট মা তো সেই খুশি যে ফারহান ভাইয়া বিয়ে করতে রাজি হয়ছে আর কি লাগে ছোট আম্মুর, তারপর আব্বু এসে টিভি চালু করলো আমরা সবাই টিভির দিকে তাকালাম, আমি আর রিয়া টিভিতে একটা খবর দেখে একসাথে জোরে চিল্লানি দিয়ে ওঠলাম। আমি আবার খুন খারাপি রক্ত দেখতে পাইনা তাই সেন্সলেস হয়ে পরলাম
আমিঃ আয়য়য়য়য়......
কিছুক্ষন পর যখন চোখ খুলে ভয়ে ভয়ে রিয়ার দিকে তাকায় তার পর ঝট করে রিয়া কে জরায় ধরি,আম্মু আব্বু ও কিছুটা ভয় এ আছে যে কে এভাবে কাওকে খুন করতে পাড়ে সাইকো ছাড়া এটা কারো কাজ না একটা সাভাবিক মানুষ কখোনও এভাবে কাওকে খুন করতে পারে না
একটু আকে নিউজ এ দেখাচ্ছিল
আজকের সকালের টাজা খবর চার মাথার মোরে ৩ টি লাশ পাওয়া গেছে লাশ এর হাত জিভা ইত্যাদি কেটে ফেলা হয়ছে, পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করতিছে, তবে সবার মনে ধারনা হয়তো এরা কারো সত্রু ছিল আর এদের ওপর প্রচুর পরিমানের ঘৃনা ছিলা যার কারনে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ আর ও জানিয়েছেন যে এরা মাদক ব্যাবসায় নিয়োজিত ছিল এদের গ্যাংক কে পুলিশ খুজতেছিল এখন তাদের লাশ পাওয়া গেল, পরবর্তী খবর পেতে আমাদের চ্যালেন এ নজর রাখুন।
আমিঃ আব্বু আমি ওদেরকে চিনি
আব্বুঃ কেমনে চিনো মা
রিয়াঃ আঙ্কেল কালকে ওরাই বিরক্ত করতেছিল আমাদের (যারা যারা গল্প পড়তে ভালোবাস তারা তারা আমার পেইজ এ লাইক দিয়ে পাশে থাকো পেইজ এ আর ও একটা সকল পর্বের গল্প দেওয়া আছে। পেইজ এর লিংক ফারহানা জান্নাত ツ )
ভাইয়াঃ তাহলে ভালই হয়ছে কে খুন করছে আমার সামনে আসতে বল তার গালে একটা চুম্মা দিমু
ফারহান ভাইয়াঃ দে আমাক ই একটা চুম্মা দে
ফারহান ভাইয়ার কথা শুনে সবাই তার দিকে তাকায় সন্দেহের নজর এ,
ভাইয়াঃ ব্যাপার কি(ভ্রু জগল ওচে)
ফারহান ভাইয়াঃ আজব তো কে খুন করছে সে কি তোর কাছে আসবে নাকি ধরা দিতে তাই বললাম, তার হয়ে আমাকই একটা চুম্মা দে কেও তো আমাক চুম্মা দেয় না আজ জিএফ নাই বলে(ঢং করে)
ফারহান ভাইয়ার কথা শুনে আমরা সবাই হাসতে লাগলাম। তারপর সবাই সবার মতো কাজ এ গেলো আমি ও রিয়ার সাথে কবিরাজ এর কাছে গেলাম, সেখানে গিয়ে...
.
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com