গল্পঃ কিশোরী বউ । পর্ব -০২
- এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে? রাতে তো মনে হয় একটু ও ঘুমাসনি
-মিফতাহ তখন ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে
-এই বোস এখানে
মিফতাহ বসার পরে
-কেমন কাটলো তোদের নতুন জীবনের প্রথম রাত?
-খুবই খারাপ(আয়াশ)
এই কথা শোনে মিফতাহ আয়াশের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকায়
-খারাপ কেন?(দাদী)
-প্রথম না? একটু কষ্ট হয়ছে বলে আয়াশ ঠোট চেপে হেসে দেয়
-এটা তো হবেই, তোর দাদা ও আমাকে ব্যাথা দিছিলো যার কারনে ১০-১২ দিন কাছেই আসতে দেয়নি।
-তুমি দাদাকে এমন কষ্ট দিতে পারলে?
-হিহিহি এখন চল,সবাই নাস্তা নিয়ে বসে আছে আর এই তুই মুখটা ভালোভাবে ধুয়ে নে নাহলে সবাই হাসবে বলে দাদী চলে যায়।
দাদী যাওয়ার পরে
-ঐ মিয়া আপনে আমার মুখে লিপস্টিক দিছেন সবার কাছে হাসির পাত্র বানানোর জন্য?
-আরে তা না
-বুঝি বুঝি, কাছে আসতে দেই নাই বলে প্রতিশোধ নিয়েছেন আর কি
-যতটুকু বুঝার ক্ষমতা আছে ততটুকুনই বুঝছো
-আচ্ছা বায় দ্য ওয়ে প্রথম প্রথম যে ব্যথা পায় এটা কি করে জানেন?
-না মানে বন্ধুরা তো বিয়ে করছে তাদের থেকে জেনেছি
-কিহহ? আপনার বন্ধুরা এত্তো খারাপ?
-ধূর বাদ দাও তো, এখন চলো সবাই অপেক্ষা করতেছে
-হুম চলেন বলে দুজন ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নেয়।
রাতে আয়াশ ল্যাপটপ টা নিয়ে অফিশিয়ালি কিছু কাজ করতেছ এমন সময় মিফতাহ আয়াশের পিছনে এসে
-ঘুমাবেন কখন?
-এইতো কাজটা শেষ হওয়ার পরে
-ওকে আমি তাহলে ঘুমালাম
-এত সকালে?
-এখন কি সকাল নাকি? এখন তো রাত ৯টা বাজে
-হুম রাত নয়টার দিকেই ঘুমিয়ে যাবে?
-হ্যা অনেক ঘুম পাচ্ছে
-ওকে তুমি ঘুমিয়ে যাও বলে আয়াশ তার কাজে মনযোগ দেয়।
যদি নতুন নতুন গল্প পড়তে চাও friend request দিয়ে সাথে থাকুন,,,,,, বা message করেন।
ঘন্টাখানেক পরে কাজ শেষ হওয়ার পরে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে মিফতাহর দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা ঘুমে বিভোর হয়ে আছে,নাক মুখ হালকা ঘেমে লাইটের আলোয় চিকচিক করছে আর ঠোট দুইটা তিরতির করে কাঁপছে এমন সময় আয়াশ নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেড়ে মিফতার দিকে এগিয়ে ঠোটে ঠোট রেখে কিছুক্ষণের জন্য হাড়িয়ে যায়।
মিফতাহ ঘুমের মধ্যে নড়ে উঠার সাথে সাথে আয়াশ.........
.
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com