গল্পঃ পুতুলের বিয়ে । পর্ব -০৩
তুই না তোর পুতুলের বিয়ে আমার সাথে দিবি?তা তোর পুতুল কৈ?
নিশ্চুপ হয়ে চোখের দৃষ্টি ফুলের টবে স্থির করলাম।হাসনাহেনা ফুল ফুটেছে।
চাঁদের আলোয় কি স্নিগ্ধ লাগছে!
তুই কথা বলবি না?কথা না বললে কিন্তু এমন কিছু করবো যাতে তুই আপনা আপনিই কথা বলবি।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেঘ ভাইয়া তার শীতল ঠোঁট জোড়া দিয়ে আমার উষ্ণ ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে নিলো।
আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু পেলাম না।
নখ দিয়ে ভাইয়ার গলা খাঁমচালে ভাইয়া আরো গভীর ভাবে চুম্বন করে।
কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়।আমি লজ্জায় আর রাগে ঠোঁট মুচ্ছি।
কথা বল!
.
কিছু না বলে ছাঁদ থেকে নামতে আসলে ভাইয়া হাতে হেঁচকা টান দিয়ে তার কাছে
আসে।আবারো ঠোঁটে গভীর ভাবে চুম্বন করতে থাকে।মনে হচ্ছে আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।
মেঘ ভাইয়া ছাড়ছে না দেখে গায়ের সর্ব শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলাম।
এতে ভাইয়া আমার থেকে এক হাতের মতো দূরে সরে গেল।
ইশ আর একটু আগে এই ধাক্কাটা দিতে পারলাম না কেন?রাগে মাথায় চিনচিনিয়ে রক্ত উঠে গেল।
—মেঘ ভাইয়া তুমি খুব খারাপ ।আমার সাথে এমন করলে কেনো?
প্রশ্নত্তুরে মেঘ ভাইয়া হাসলো।হাসি দেখে মনে হচ্ছে সে বিশ্ব জয় করে ফেলেছে।
ভাইয়ার হাসি দেখে আমি আমার বোকামি টের পেলাম।
এটা আমি কি করলাম?শেষ পর্যন্ত মেঘ ভাইয়ার সাথে কথা বললাম!
—আমি জানতাম তুই কথা না বলে থাকতে পারবি না।
১০ বছর পর তুই আমাকে মেঘ ভাইয়া বলে ডাকলি।
এতো বছর তোর মুখ থেকে মেঘ নামটা শোনার জন্য বহু বছর ছটফট করেছিলাম রে।
আমার খুব কাঁন্না পাচ্ছে।কেন পাচ্ছে জানি না।
.
তাই আর ছাঁদে না থেকে দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।
নিজেকে হালকা করে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে পড়তে বসলাম।
কিছুতেই পড়াতে মন বসাতে পারছি না।
ছোটবেলায় মেঘ ভাইয়ার সাথে কতো খেলতাম!কত্তো মজা করতাম!
সেই সব স্মৃতি খুব মনে পড়ছে।
বইয়ের উপর কারো ছায়া দেখে ঝট করে মাথা ঘুরালাম।মেঘ ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।
আমি আবার বইয়ের দিকে নজর দিলাম।ভাইয়া বিছানায় বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি আড় চোখে মেঘ ভাইয়াকে দেখছি।আগে ভালো করে খেয়াল করিনি।
মেঘ ভাইয়া আগের থেকে অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে।
মুখটাও ফ্যাকাশে ফ্যাকাশে লাগছে।চোখের নিচে সামান্য কালি দাগ।
যেটাকে নীল আকাশে কালো মেঘের মতো লাগছে।
—তুই যে পড়ছিস না সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।
এভাবে বসে না থেকে আমার পাশে বস তোর সাথে কিছু কথা আছে।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com