Breaking News

গল্পঃ পুতুলের বিয়ে । পর্ব -০২

 

কবে বিয়ে?

পরের সপ্তাহে।

এতো তারাতাড়ি??

মা কিছু বললেন না রান্নাঘরে চলে গেলেন।
আমি ওখানে কিছুক্ষণ হাবার মতো দাঁড়িয়ে থেকে রুমে চলে আসলাম।
মেঘ ভাইয়াকে দেখেও না দেখার ভান করে কাপড় নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।
শাওয়ার শেষে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি মেঘ ভাইয়া আমার খাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখছে।
আমি ভেজা কাপড় ছাদে মেলে দিয়ে ডাইনিং টেবিলে গেলাম।
খুব ক্ষুধা লাগছে।নিচে যেয়ে দেখি সব চেয়ার দখলে।শুধু মেঘ ভাইয়ার পাশের চেয়ার ফাঁকা।
—আম্মু আমার খাবার রুমে দেও।আমি এখানে খাবো না।
—একটা থাপ্পড় খাবি।খাবার সবার সাথে খেতে হয়।এখানে বসে খা।
আম্মুর ঝাড়ি খেয়ে মেঘ ভাইয়ার পাশেই বসলাম।
বেটা দেখি আমাকে দেখে হাঁসছে।ইচ্ছা তো করতিছে দাঁত গুলা হাতুড়ি দিয়ে ভেংগে দিই!
কোনো রকমে খেয়ে রুমে আসি।কিছুক্ষণ পর প্রাইভেট টিউটর এসে পড়িয়ে যায়।
ঘুম পাচ্ছিলো তাই ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
চোখ খুলে দেখি মেঘ ভাইয়া চেয়ারে বসে গালে হাত দিয়ে মুগ্ধ নয়নে আমাকে দেখছে।
আমি কিছুটা অসস্তিতে উঠে বসি।ভাইয়া কেমন করে যেন হাসছে।
ফ্রেশ হয়ে নিচে নামি।সবাই গোল হয়ে বসে আমার বিয়ের প্লানিং করছে।
আমি এক কাপ চা নিয়ে ছাদে উঠলাম।অন্ধকারে সব কিছু আবছা আবছা লাগছে।
—আমার সাথে এখনো কথা বলবি না?
হঠাত্ কারো কণ্ঠস্বর শুনে আমি চমকে পিছনে তাকাই।
আবছা আলোতে মেঘ ভাইয়ার অবয়ব আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
মেঘ ভাইয়ার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তারা ভরা আকাশে দৃষ্টি স্থির করলাম।
ও আমার কাছে এসে হাত থেকে খালি চায়ের কাপ নিয়ে রিলিং এর উপর রেখে দিল।
আমার হাত ওর হাতের মুঠোয় বন্দী করে চুমু খেল।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com