গল্পঃ পুতুলের বিয়ে । পর্ব -০৫
টেবিল থেকে পানির জগ হাতে নিলাম।অর্ধেকের মতো পানি আছে।
পানি ফেলে দিয়ে খালি জগ নিয়ে নিচে নামলাম।
নিচে নেমে দেখি বাবা আর ভাইয়া আত্নীয় স্বজনদের লিস্ট করছে।
কাদের কাদের বিয়েতে নিমণ্ত্রন করা হবে এই বিষয়ে।
পুরো বাড়ি একবার ঘুরে কিচেনে গেলাম।কৈ কৈ কোথাও তো মেঘ ভাইয়াকে দেখলাম না!
তাহলে কি ও চলে গেল?এক বার আমাকে বলে গেলে কি হতো?
রুমে জগ রেখে মায়ের রুমে গেলাম।মা কাপড় গোছাচ্ছিল।
—কিছু বলবি?
—আ..... মা মেঘ ভাইয়া কি চলে গেছে?
—হ্যাঁ।ছেলেটার সাথে ক দিন বাদে তোর বিয়ে হবে আর তুই এখনো ওকে ভাইয়া বলে ডাকছিস?
—ভুলে বলে ফেলেছি।তুমি কি ফ্রি আছো?
—কেনো বল তো?
—না মানে শাড়ি পড়া শিখতাম আর কি।
মা মুচকি হেঁসে আলমারি থেকে শাড়ি বের করে আমাকে শাড়ি পড়া শিখিয়ে দিল।
—থ্যাংস আম্মু!উম্মাহ্
মা হাঁসলেন।আমি রুমে চলে আসলাম।কে যেন ফোন দিল।অচেনা নম্বর।
সাধারনত অচেনা নম্বর থেকে কল আসলে আমি রিসিভ করি না।এবারো করলাম না।
৭-৮ বার রিং হওয়ার পর একরাশ বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করলাম।
—শুরুতেই বলছি আমি তোকে সরি বলবো না।
মেঘ ভাইয়ার গলার আওয়াজ শুনে আমি চমকে গেলাম।
—আমার ফোন নাম্বার কোথায় পেলে?
—তোর ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছি।
—তুমি আমাকে না বলে চলে গিয়েছো কেনো?
—ইচ্ছে হয়েছিল তাই।আর তুই তো আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলিস না।
তাই তোকে বলে আসিনি।
—সরি বলো!
—নাহ্
—কেনো?
—বলার ইচ্ছে নেই তাই বলবো না।কি করছিস?
—তেমন কিছু না বসে আছি তুমি?
ফোনের ওপাশ থেকে হাঁসির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
—হাঁসছো কেনো?
—আমি ভেবেছিলাম তুই আমার সাথে কথা বলবি না।এই শোন কল কাটবি না
বলে দিলাম!যদি কল কাটিস তাহলে তোর কাছে যেয়ে.........
উফফফ...গোলাপ তোর ঠোঁটের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে।এতো মিষ্টি কেনো বল তো?
—মেঘ ভাইয়া(দাঁতে দাঁত চেপে)
—সত্তি কথা শুনলে সবারি রাগ হয়।তুই যে সত্তি কথা শুনে এতোটা রাগবি তা জানতাম না।
আমি বড় একটা হাই তুলে বললাম,
—আমার খুব ঘুম পেয়েছে।বাই।
—কেবল তো ১০ টা ৩৪ বাজে এতো তাড়াতাড়ি ঘুমাবি?বিকালেই তো কতোক্ষণ ঘুমালি।
—হুম
কল ডিসকানেক্ট করে বেলকনিতে এসে দাঁড়ালাম।সামনে একটা বড় পুকুর।
তারপর কিছুদূর গেলেই মেঘ ভাইয়াদের বাসা।ফোন হাতে নিয়ে মেঘ ভাইয়াকে একটা টেক্সট করলাম।
.
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com