গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ১২
ফারহান ভাইয়াঃ আমি বড় বাবার রুমে গেলাম গিয়েই বললাম বড় বাবা তোমার সাথে কিছু কথা আছে,
ফারহান ভাইয়াঃ মনে (বিশ্বময় হয়ে)
বড় আব্বুঃ যা বলতিছে কর,
ফারহান ভাইয়াঃ ওকে, বলে আম্মু আব্বু কে ডেকে আনলাম,
ছোট আম্মুঃ কি হয়ছে তোর আবার ডাকলি কেন,
বড় আম্মুঃ তোর ছেলে কি জানতে চায় শোন,
ছোট আব্বুঃ কি হয়ছে ফরহান কি শুনবি এই রাতে তুই আবার,
ফারহান ভাইয়াঃ আমি তো সব দিক দিয়ে পার্ফেক্ট তাহলে কেন তোমরা ফারিহার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছো না, সেটা আমায় খোলাসা ভাবে বল, এরপর আর প্রশ্ন করবো না আমি,
বড় আম্মুঃ তুই বলবি না আমি বলবো সব কিছু,
ছোট আব্বুঃ থাক না এসব, ফারহান জানতে হবে না নিজের রুমে যা,
ফারহান ভাইয়াঃ না আমি সব শুনবো আজ কে, নয়তো ফারিহার সাথে বিয়ে দেও আর কিছু লাগবে না,
বড় আব্বুঃ তোর মতো রাস্তার ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিব ভাবলি কি করো, (জোরে রেগে রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ বড় বাবার কথা শুনে মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে গেল, রাস্তার ছেলে মানে, তাহলে কি আমি তোমাদের সন্তান না বাবা, আমি তাহলে কে সত্যি করে বল (কাঁপা কাঁপা গলায়)
বাবা মা কথা বলতিছ না কেন, এন্সার মি প্লিজ,
বড় আম্মুঃ হা তুই যাকে বাবা মা বলে যানিস তারা তোর বাবা মা না, তোকে তো ওরা দয়া করে আনছে, আর তোর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিব ভাবলি কি করে তুই (হালকা রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ মা তুমি আমাক সব সত্যি বলো প্লিজ, আমার আর এসব সহ্য হচ্ছে বল না সব মিথ্যা, বল প্লিজ, আমি তোমাদের সন্তান বল না প্লিজ, (কাঁদো কাঁদো হয়ে)
ছোট আম্মুঃ হা সব সত্যি, বাদ দে চল রুমে চল আমার সাথে, ফারিহার থেকে ভালো মেয়ে এনে দিব তোকে চল বাবা,
ফারহান ভাইয়াঃ আমার বাবা মা কে (অসহায় হয়ে বললাম)
মার সাথে তাদের রুমে গেলাম, তারপর আমি বেডে বসে পরলাম,
ফারহান ভাইয়াঃ হুম এবার বলো, (আসতে আসতে বললাম)
ছোট আম্মুঃ থাক না বাবা এসব,
ফারহান ভাইয়াঃ বলবা নাকি সেটা বল, আমি রাস্তার ছেলে আর কি কি সত্যি আছে সব বল, আমি সব জানতে চাই, (চিল্লাতে চিল্লাতে)
ছোট আব্বুঃ আমি বলতেছি, রাতে চিল্লাচিল্লি অফ কর,
আমার এক কলেজ ফেন্ড ছিল ওর নাম ফাতেমা, কলেজ লাইফ এ ওরে আমার অনেক ভালো লাগতো, কিন্তু তখন ও আমার কোনো চাকরি হয়ছিল না, ফাতেমা ও আমাকে ভালো বাসতো, ও একদিন আমাক বলেই দিল,
ফাতেমাঃ রহমান(ফারহান এর আব্বু) শোন তোকে একটা কথা বলি,(লজ্জা মাখা মুখে)
রহমানঃ হা বল কি বলবি এমন লজ্জা পাওয়ার কি হলো, (অবাক হয়ে)
ফাতেমাঃ আমি না তোকে ভালোবাসি রে চল না আমরা বিয়ে করি, আমার বাড়ি থেকে আমার বিয়ে ঠিক করছে, ৭ দিন পর বিয়ে আমি ঐ বিয়ে করবো না, চলনা রে বিয়ে করি, তুই ও তো আমাক পছন্দ করিস আমি যানি (কাঁদো কাঁদো হয়ে)
রহমানঃ না আমি তোকে পছন্দ করি না, এসব বাদ দি ছেলে কি করে সেটা বল আগে,
ফাতেমাঃ ছেলে নাকি পুলিশ অফিস্যার,
রহমানঃ তাহলে তো ভালো বিয়ে করে নি, (আমি যে তোকে ভালোবাসি কিন্তু কি লাভ বল, আমি তোকে কি করে খাওয়াব, চাকরি নাই, তুই ভালো থাকলেই আমার ভালোথাকা,)
ফাতেমাঃ তুই একটা বার ভেবে দেখ,(অসহায় ভাবে)
রহমানঃ কোনো ভাবাভাবি না যা সর এখান থেকে, (গম্ভীর হয়ে)
তারপর ফাতেমা সেদিন ঐ যে গেল আর দেখা হলো না আমাদের, দেখা হয়ছিল ১০ বছর পর
সেদিন তোর মা আর আমি ডক্টর এর কাছে গেছিলাম, জানতে পারি আমি কোনো দিন
বাবা হতে পারবো না, তখন আমরা বাসায় আসতেছিলাম সেই সময় রাস্তায় একটা গাড়ি
এক্সিডেন হয়, কৌতুহল বসতো আমি ও সামনে আগায় গিয়ে দেখি ফাতেমা সাথে একটা
ছেলে আর একটা ৭ বছর এর মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে ছিল, আমি কিছুক্ষণ
নিশ্চুপ হয়ে তাকাই ছিলাম, কথা বলার মতো ভাষা আমার ছিল না, তারপর ওখান থেকে
তারাতারি সবাই কে হসপিটালের নিয়ে যাই, ওখানে গিয়ে জানতে পারি তোর বাবা আর
ছোট বোন টা মারা গেছে, আর তোর মা তখন ও বেঁচে ছিল তখন তুই তোর মার গর্ভে ছিলিস
সেদিন তোর জন্ম হয়, তোর মা তোকে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে বলছিল তোকে নিজের
ছেলের মতো মানুষ করতে, আমাদের ও সন্তান ছিল না, আর তুই আমার ফাতেমার
একটা সৃতি সেই হিসাবে তোকে আনছিলাম আমি, সেদিন ঐ তোর মা ও মারা যা,
ঐ হলো তোর অতিত এর কাহিনি,
ফারহান ভাইয়াঃ এই বলে বাবা থেমে গেল, আমি নিশ্চুপ এ কান্না করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম, রুমে দরজা বন্ধ করে বিরবির করতে লাগলাম, আমার জীবন টা কি এমন
হওয়ার খুব দরকার ছিল, মা বাবা তোমরা কেন আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে
গেলে না কেনো, দেখো না তোমাদের ছেলেটা কষ্ট পাচ্ছে, কেও তোমার ছেলের কষ্ট
বুঝতিছে না, দেখ মা দেখ বাবা আজ আমি এতিম বলে, আমার ভালোবাসার মানুষ টাকে কাছে
পেলাম না, আমি আর এই বাড়িতে থাকবো না, এই বাড়ি থাকলে আমার মায়া জমবে,
ফারিহাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,
তারপর ৩ টা চিঠি লিখে, আম্মু-আব্বুর রুমে ২ টা রেখে আসলাম, আর ফারিহার রুমে একটা,
শেষ বারের মতো ওর কপালে একটা চুমু একেঁ দিয়ে চলে আসলাম বাড়ি থেকে,এই
গল্পটি আমার টাইম লাইণএ শেষএর দিকে
সকালেঃ ফারিহার চিৎকার চেচামেচি তে সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়.
...
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com