গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০৪
কবিরাজ এর কাছে গিয়ে,
আমিঃ যা যা হয়ছে এতো দিন সব খুলে বললাম তারপর কবিরাজ বললো যে এটা হয়তো কোনো বদ জ্বিন এর কাজ ১০০০ টাকা নিল এক দিনেই, একটা পানির বোতল দিল কি জানি ঝার ফু দিল আর তাবিজ দিল একটা বলছে কোমড় এ বাধায় বাখতে, তারপর রিয়া ওর বাসায় আর আমি আমার বাসায় আসলাম, বাসায় আসার পর দুপুরে ছোট আব্বু বল্লো
ছোট আব্বুঃ ফারিহা
আমিঃ হুম বলো ছোট আব্বু
ছোট আব্বুঃ তোর ছোট মা ডাকতিছে যা শুনে আয়
আমিঃ আচ্ছা (বলে ছোট আম্মুর কাছে গেলাম) কি হয়ছে ছোট আম্মু বলো তোমারে কিতা হেল্প করতে পারি হুকুম করো মেরি মা(মজা করে)
ছোট আম্মুঃ সয়তান মেয়ে বাঁদরামি করতেছিস এখানে এই টিফিন টা তোর ফারহান ভাইয়াকে দিয়ে আয় অফিস এ গিয়ে যা, ফোন করছিল নিয়ে যেতে বলছে তোরে
আমিঃ দেও(সালা হুনুমান আর কাওরে পাসনি আমাক হুকুম করিস তোর খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য তোর বউ হবে না দেখিস গন্ডার)
আফিসেঃ-
আমিঃ অফিসে গিয়ে ভাইয়ার রুম এ যাব এমন সময় এটা মেয়ে আমাকে ভাইয়ার রুম এ ঢুকতে বাধা দেয়
মেয়েটাঃ ঐ মেয়ে কে তুমি স্যার এর অনুমতি সারা ভিতরে ঢোকা যাবে না ওনি মিটিং এর কাজ করতিছে
আমিঃ ঐ কেরে তুই আমারে রুমে যেতে দিচ্ছিস না কেনো সর সামনে তে নয়তো খারাপ হবে
মেয়েটাঃ ভদ্র ভাবে কথা বলুন বললাম তো যাওয়া যাবে না ওনি ভিতরে মিটিং করতিছে মিটিং শেষ হওয়ার আগে কাওকে যেতে বারন করছে
আমিঃ কে তুমি(ভ্রু ওচে)
মেয়েটাঃ আমি স্যার এর পিএ(ভাব নিয়ে)
আমিঃ ওহ, ওকে দরজা ছাড় ভিতরে যাব
আমি কোনো কথা না শুনে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম গিয়ে দেখি ৪ জন মিলে কি জানি আলোচনা করতিছে আমার পিছন পিছন মেয়েটা (ভাইয়ার পিএ) ও ভিতরে চলে আসসে
মেয়েটাঃ স্যার এই মেয়েটা জোর করে ভেতরে আসসে কত কথা শুনালাম তাও শুনে নাই
ফারহান ভাইয়াঃ তুমি ওকে ভিতরে আসতে বারন করছে(রেগে)
মেয়েটাঃ জ্বী স্যার তাও জোর করে আসসে
ফারহান ভাইয়াঃ গেট আউট
মেয়েটাঃ স্যার মানে
ফারহান ভাইয়াঃ গো এখনই বের হও আমার রুম থেকে
তারপর মেয়েটা চলে গেল আর আমি দৌরে গিয়ে ভাইয়ারে জরায় ধরে বলতে শুরু করি
আমিঃ ভাইয়া ঐ মেয়েট আমাক কতো কথা শুনাইছে আমি নাকি খারাপ সুন্দর ছেলে দেখলে নাকি গায়ে পরি মারতে ও চাইছে(নেকা কান্না করে)
ফারহান ভাইয়াঃ (ওফ মানুষের সামনে কি করে এই মেয়ে সবাই তাকায় আছে তো ) কি বললি তোরে এসব বলছে
আমিঃ হুমমমম(মন খারাপ করে)
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা পড়ে শুনি আগে মিটিং টা শেষ করি সোনা বোন আমার প্লিজ
আমিঃ আচ্ছা
ভাইয়া মিটিং করতিছে আর আমি ওখানে দেখি আপেল আছে নিয়ে চাবাইতে লাগলাম মাঝে মাঝে সবাই আর চোখে দেখতিছে, ভইয়া মিটিং শেষে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে আমাক টান দিয়ে ভাইয়ার কোলে বসায়।
ফারহান ভাইয়াঃ এখন বল কি হয়ছে কে কি বলছে আমার পেত্নিটাক(গলার চুল পড়ে আসে সরাতে সরাতে বললাম)
আমিঃ হুম আমি পেত্নি না তোমার বউ পেত্নি ছাড় আমাক ভাইয়া(হাত ঝারাতে ঝারাতে)
ফারহান ভাইয়াঃ ওফ এতো নরিস না চুপ চাপ থাক আমি পিএ কে ডাকতেছি দারা যা মন চায় ওকে বল(পিছন থেকে জরায় ধরে)
আমিঃ ভাইয়া কি করতিছ ছাড়(ঠোঁট ওল্টে বললাম)
একটু পর মেয়েটা আসলো আমাক ভাইয়ার কোলে দেখে হা হয়ে তাকাই আছে,
ফারহান ভাইয়াঃ কি সমস্যা তোমার ওরে আসতে দেওনি কেন(বিরক্ত হয়ে)
মেয়েটাঃ সরি স্যার জানতাম না ওনি আপনার ওয়াইফ
মেয়েটার কথা শুনে আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম এ মাইয়া বলে কি আমি নাকি এই হনুমান এর বউ ওর কি মাথা খারাপ হয়ছে না কি, তবে ভাইয়া তো অনেক কিউট ওফ আমি কি ভাবতেছি এসব আমার মাথা গেছে গা
ফারহান ভাইয়াঃ হুম এখন তো জানলে এর পর যেনো আর ওকে আসতে বাঁধা না দেও ওকে মনে থাকবে তো
মেয়েটাঃ জ্বি স্যার
ফারহান ভাইয়াঃ এখন যাও দরজা লাগায় দিও
আমি আনমনে ভাইয়া দিকে ঘুরে ভাইয়ার কলার ধরে বলতে লাগলাম
আমিঃ ঐ ভাইয়া পিএ মেয়ে কেন লুচ্চা মাইয়া কেমন করে তাকাই আছে তোমার দিকে দেখ মনে হয় গিলে খাবে মেয়েটাক বাদ দিও কেমন, ভালোনা মেয়েটা তোমাক নিয়ে যাবে পচা মাইয়া
আমার এমন কান্ড দেখে ভাইয়া হা হয়ে তাকাই আছে আর মুচকি হাসতিসে
ফারহান ভাইয়াঃ তাই নাকি সোনা(ঘারে মুখ দিয়ে)
আমিঃ হুম বলে ধরফর করে ওঠছি ছি ছি এতোক্ষণ আমি কি বললাম এসব আল্লাহ ভাইয়া কি ভাবছে কে জানে।
ফারহান ভাইয়াঃ কিরে হিংসে হয় নাকি হুম হুম বল বল ব্যাপার কি তোর
আমিঃ না না ভাইয়া কিছু না সরি(মাথা নিচু করে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা এখানে আয় বস খুধা লাগছে খাব আয় তো
তারপর ভাইয়া টিফিন বাটি খুলে প্লেট এ ভাত নিয়ে মেখে প্রথম এ আমার মুখে দেয় আমি ভাইয়ার দিকে তাকায় আছি আজ ভাইয়ার হয়ছে কি এমন করে কেনো
ফারহান ভাইয়াঃ হা করে কি দেখিস তারাতারি খেয়ে নে তোক নিয়ে একটা যায়গাতে যাব সন্ধায় ফাস্ট খা কাজ আছে আমার
আমিঃ সত্যি ভাইয়া
ফারহান ভাইয়াঃ হুম নে
তারপর খাওয়া দাওয়া করে আমি বাসায় আসব ভাইয়া আসতে দেয়নি সন্ধায় এক সাথে বাসায় আসলাম তারপর রেডি হবো তখোন ভাইয়া আমার রুমে আসে
আমিঃ ভাইয়া তুমি এখানে কেন আমি রেডি হবো
ফারহান ভাইয়াঃ কি পড়ে যাবি সেটা বল তো(ভ্রু উচে)
আমিঃ কেনো এইতো গ্রাওন(হাতের জামা দেখায় বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ না শাড়ি পর, যা বললাম তাই কর, আর একটা কথা না, নাহয় নিয়ে যাব না কিন্তু(কিছুটা জোরে বললাম)
আমিঃ আমি শাড়ি পরতে পারি না তো(বিরক্ত হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ যা শাড়ি ছাড়া বাকি কি লাগে পড়ে আয় আমি বড় আম্মুক নয়তো তোর ছোট মাক আসতে বলতেছি।
আমিঃ আচ্ছা বলে ওয়াশরুম এ ঢুকলাম।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে যা দেখলাম আমার মাথায় বাস....
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com