গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০২

রাত ২ টাঃ-

আমার মনে হচ্ছে কেও আমার দিকে তাকাই আছে। বাট চোখ খুলতে পারতেছিনা যে দেখবো। কিন্তু বুঝতে পারতেছি কেও আছে। আর কথা ও শুনতে পারতেছি।

আগন্তকঃ ইস কবে যে তোরে নিজের করে পাব আমি, তোকে অন্য কারো হতে দেব না, তোর কাছে যে আসবে তাকেই মেরে ফেলবো, যেমন করে তোর হবু জামাইকে আমি মেরে ফেলছি, হাহাহা

(এই বলে আমি ফারিহার পেট এ আর ঘারে এন্ড বুক এ একটা কামর বসায় দিলাম তার পরে চলে আসলাম)

আমিঃ আগন্তুক এর কথা শুনে ভয় পেয়ে চিল্লাই উঠছি

আমার চিল্লানী শুনে বাসার সবায় আমার রুমে এসে দরজা ধাক্কায় আম গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে আম্মু কে জরায় ধরি

ভাইয়াঃ কি হয়ছে স্বপ্ন দেখছিস?

আমিঃ (সব গোপন রেখে বল্লাম) হা

তার পর আম্মু আমাকে ঘুম পারায় দিয়ে চলে যায়,। আমার কথা কেও বিশ্বাস করে না সে জন্য গোপন ই রাখলাম।

সকালেঃ-

আমি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ভার্সিটির উদ্দেশ্য বের হলাম

ভার্সিটিতে ক্লাস শেষে -

আমিঃ দোস্ত বিশ্বাস কর ওই লোক না কি জানি কাল রাতে আবার আসছিল, দেখ(বলে ঘারের কামর এর দাগটা ওরে দেখাম)

রিয়াঃ সত্যি তো এটা তো কারো কামড় এর দাগ

আমিঃ শোন আমার খুব ভয় করতিছে(তার পর রাতে যা যা বলছিল আগন্তুক সব বললাম ওরে)

রিয়াঃ মানে ঐ যে তোর বিয়ে ঠিক হয়ছিল তার ২ দিন পর হবু জিজু এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে ঐটা তাহলে মাডার?

আমিঃ(ভয়ে ভয়ে) হ্যা রে

রিয়াঃ শোন আমার মনে হয় এটা কোনো মানুষ এর কাজ না কোনো জ্বিন এর কাজ

আমিঃ আমার খুব ভয় করতিছে

রিয়াঃ আচ্ছা আমি আজকে তোর সাথে থাকবো ওকে

আমিঃ হুম আচ্ছা

(আমরা যখন বাসায় আসবো এমন সময় এক সিনিয়র ভাই ধাক্কা দিয়ে ফেলায় দেয়) ঐ সুন্দরী কেমন আসো বেবি আহ কি ফিগার চলো একটা রাত ইন্জয় করি(এই বলে সবায় হাসতে লাগে আর চুল ধরে টানে ওরনায় হাত দেয়)

তার পর ওরা চলে যায়

আমি কান্না করতেছি রিয়া তখন শান্তনা দেয় পরে আমরা বাসায় চলে আমি আমি ভাইয়াকে কলেজ এর সব কথা বলি, ভাইয়া বলে কাল যাবো তোর সাথে চিন্তা করিস না।

রাত ১২ঃ-

এখোনো ঘুমাই নাই আগন্তুক কে ধরবো বলে

ঐ দিক এঃ-

কুত্তা* তোর কলিজায় কতো বড় পাঠা তুই আমার কলিজা রে অপমান করছোস ওর সাথে রাত কাটাবি তাই না

যে ছেলে ৩ জন গায়ে হাত দিছিলঃ ভাই কে কে কে আপনি ছেরে দেন প্লিজ আমরা কিছু করি নাই প্লিজ, আমাদের বেঁধে রেখেছেন কেনো খুলে দেন প্লিজ

আগন্তুকঃ আমার কলিজার কাছে যে আসবে তাকেই মেরে ফেলবো আর তুই তো গায়ে হাত দিছোস

ঃ-এই বলে আগন্তুক সবার ২ টা হাত ই কেটে ফেলে তার পর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে জিভ কেটে ফেলে তারপর লাশ গুলো রাস্তায় ফেলায় দিয়ে আসে

এদিকেঃ-

রিয়াঃ ২ টা বাজে কখোন তোর ঐ আগন্তুক আসবে বাল* ঘুম ধরছে তো আমার

আমিঃ কি জানি আমি কেমনে বলবো ১-২ টার ভিতর ই তো আসে আচ্ছা ঘুমাই চল

রিয়াঃ মনে হয় আমি আছি জানতে পারছে তোর জ্বীন প্রেমিক

আমিঃ (ওরে জরাই ধরছি জ্বীন কথা শুনে) এ্যা এসব বলিস না

রিয়াঃ আচ্ছা ঘুমা

(যারা যারা গল্প পড়তে ভালোবাস তারা তারা আমার পেইজ এ লাইক দিয়ে পাশে থাকো পেইজ এ আর ও একটা সকল পর্বের গল্প দেওয়া আছে। পেইজ এর লিংক ফারহানা জান্নাত ツ )

রাত ৩টাঃ-

আগন্তুকঃ আমি থাকতে তোর কিছু হতে দেব না রে কলিজা কিছু না, তোর দিকে যে তাকাবে তার চোখ উঠায় নিব আমি, কাওকে ছারবো না কাওকে না,

(ইস আমার পাগলিটা আজ কে আমাকে ধরার জন্য তার ফেন্ড রে নিয়া আস্সে আমাক ধরা কি এতো সহজ)

তার পর ফারিহার পেটে কপালে একটা কিস করলাম পরে কালকের কামরের জায়গাতে আবার একটা কামর বসায় দিলাম আসতে, ফারিহা একটু নরে চরে আবার ঘুমায় পরছে।

তারপর আগুন্তকঃ নিজের রুমে গিয়ে নিজে নিজে বলতে শুরু করেঃ-

আগন্তুকঃ আমি তোর সাথে এমন লুকোচুরি খেলতাম নারে পাগলি, আমি সরাসরি তোর বাবা-মাকে বলছি বিয়ের কথা কিন্তু তারা তো রাজি হয়নি তুই যে আমার নেশা তোকে ছাড়া আমার জীবনে চলা সম্ভব না, এখন একটাই উপায় যে করে হোক তোর পেটে আমার বাচ্চা দিব তার পর যখন সবাই জানবে তুই প্রেগন্যান্ট তখন আর কেও উপায় না পেয়ে আমাকেই বলবে বিয়ের কথা, হাহাহাহাহাহাহা

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে গিয়ে কালকের কামড় এর জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো......

আমিঃ না.......

.

চলবে....