Breaking News

গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০৬



ফারিহাকে না ডেকে কোলে নিয়ে বাসায় ঢুকে দেখি বড় মা (ফারিহার আম্মু) ড্রইং রুমে বসে আছে,

আমাকে দেখে আমার সামনে এসে দাড়াল, আর বলতে শুরু করলো।

ফারিহার আম্মুঃ ফারহান এসব এর মানে কি বল তো আমাক(কিছুটা রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ কই বড় মা আমি কি করলাম তোমার মেয়ে ঘুমাইছে তাই
ঘুম না ভাঙ্গাই কোলে করে নিয়ে আসলাম এতে কি খুব খারাপ করছি আমি।
ফারিহার আম্মুঃ আমি সেটা বলি নাই তো, যা বলছি তার উওর দে।(রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ কই কি বুঝলাম না (না বোঝার ভান করে বললাম)
ফারিহার আম্মুঃ ফারিহার সাথে তোক মিশতে বারন করছি আমি,
তাও ওর সাথে মিশিতেছিস কেন।
ফারহান ভাইয়াঃ আমি তোমার মেয়ের আসে পাশে থাকি না ভালোভাবে দেখে নিও,
ফেন্ড এর এগ্রেজমেন্ট ছিল ফারিহাক নিয়ে যেতে বলছিল সে জন্য আর অন্য কিছু না।
আম্মু আর কিছু বলল না ভাইয়াকে, ভাইয়া রুমে গিয়ে আমাক শুয়ে দিয়ে কপালে
একটা কিচ করে নিজের রুম এ চলে গেল,একটু পড় আগন্তুক এর আগমন।
আগন্তুকঃ উফ শাড়িতে যে কতো কিউট লাগে তোকে কেমনে বুঝবি,
ঘুমের মাঝে শাড়ির কি অবস্থা করছে এটা, এ্যা এটা কি কমড়ে, ভালোভাবে কমড়ে হাত
দিয়ে দেখি একটা তাবিজ, ওমাইগোড এ কি জ্বীন এর ভয়ে তাবিজ লাগাইছে
নাকি,(হাসতে হাসতে বললাম)
উফ কি ঘুম, এতো ঘুম কই থেকে আসে তোর, আর আমি তোর চিন্তায় দিন-রাত ঘুমাতে পাড়ি না।
কিছুক্ষণ ফারিহার দিকে তাকায় থেকে ওর গলায় মুখ ডুবাই দিলাম,
এই মেয়ের মাঝে কি আছে আল্লাহ জানে, সব সময় কাছে টানে,
নিজের করে পেতে ইচ্ছে করে তা আর হয়ে উঠে না,
ফারিহা ঘুমাইছে এতো ঘুম গভীর যে কেও ওঠায় নিয়ে গেলে ও টের পারে না।
আমি ও ওরে আসটে পিসটে জরায় নিয়ে ঘুমাই পরলাম।
সকাল ৬ টা--
আমিঃ ঘুমের মাঝে নড়তে পারতেছিনা, মনে হয় কেও আসটে পিসটে জরায় নিয়ে সুয়ে আছে,
হাত পা কিছু নাড়াতে পাড়তেছি না। মাথা উচু করে দেখবো তাও পারতেছিনা।
আয় হায় এটা আবার জ্বীন টা নয় তো,
আমি তো তাবিজ দিছি তাও আসলো নাকি ভন্ড কবিরাজ ১০০০ টাকা মেরে দিল
আমার এ্যা... এ্যা.........এ্যা (কাঁদতে কাঁদতে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ (এই মেয়ে আবার কি সব ভাবতে লাগছে কিছু বুঝতে দেওয়া যাবে না এরে) ওমম ফারি ঘুমাতে দে বিরক্ত করিস না(হাত আলগা করে বললাম।
আমিঃ ভাইয়া তুমি এখানে কি করতিছ(অবাক হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ ওফ শান্তি নাই, কাল কে তুই গাড়িত ঘুমায় পরছিলিস তাই কোলে করে
নিয়ে এসে তোরে শুয়ে দিলাম তুই তো আমাক ঘুমের মাঝে জরায় নিছিস তাই আমি ও
এখানেই ঘুমাই পরছি আর এখন শান্তি মতো ঘুমাতে ও দিলি না(ওঠে বিরক্ত
হয়ে বললাম)
আমিঃ সরি ভাইয়া বুঝতে পাড়ি নি তুমি রুমে গিয়ে ঘুমাও (মাথা নিচু করে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা তুই ও ঘুমা টাটা
তারপর ভাইয়া তার রুমে গেল আর আমি না ঘুমাই বেলকনি গেলাম,
আমার আর ভাইয়ার রুমের বেলকনি একটাই লাগা লাগি বেলকনি দিয়ে সহজে রুমে
যাতায়াত করা যাবে, এই রুম থেকে ঐ রুম। তারপর ওয়াশরুম এ গিয়ে গোসল করলাম,
এই শরীর নিয়ে না থাকাই ভালো, শাড়ি ও এলোমেলো হয়ে আছে,
তারপর ঠিকঠাক ভাবে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে এক কাপ কফি বানায় গিয়ে
বেলকনিতে এসে বসে পড়লাম।
বেশ কিছুক্ষন পড় আমি আসতে আসতে বেলকনি দিয়ে ভাইয়ার রুমে গেলাম
বেলকনি রুমের দরজা খোলায় আছে, ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখি ভাইয়া বাচ্চাদের
মতো করে ঘুমায় আছে, কোলবালিশ জরায় নিয়ে, কিছু জরায় না
ধরলে ভাইয়ার নাকি আবার ঘুম হয় না,
ভাইয়াক আরাম করে ঘুমাতে দেখে কেমন জানি আমার ভালো লাগলো না,
বিরক্ত করার জন্য আমি ও কোলবালিশ টান দিয়ে নিয়ে নিলাম, হাহাহা আমি
বিশ্বজয় করে ফেলেছি, ভাইয়ার দিকে তাকায় দেখি ভাইয়া ঘুমের মাঝে কোলবালিশ
খুজতিছে, ঘুমের মাঝে আমাক কোলবালিশ ভেবে শরীর এর উপর পা দিয়ে জরায় ধরে ঘুমায় পরছে।
আমিঃ আল্লাহ গো বাঁচাও আমাক, নিজে খাল কেটে কুমিড় আনলাম আমি,
কি দরকার ছিল ভাইয়াক বিরক্ত করার, এমন ভাবে জরায় নিছে আর নড়তে ও পারি না
ওপায় না পেয়ে চুপচাপ রইলাম আমি ও।
ফারহান ভাইয়াঃ(ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে নরম হাত পা আমার মুখের উপর,
ভালোভাবে তাকাই দেখি ফারিহা হাত পা উঠায় দিয়ে ঘুমায় আছে,) এ কখন আমার রুমে আসলো,
আর কোলবালিশ কই আমার, এই মেয়ে যে কি করে কে জানে,
কেও দেখলে কেলেংকারী হয়ে যাবে, ফারিহার গোলাপি ঠোঁট এ আলতো করে একটা
কিস করলাম, ফারিহা এবার নড়ে চড়ে ওঠলো, ফারিহা এই ফারিহা উঠ বেলা ৯ টা বাজে উঠ তারাতারি,
আমিঃ ওম আম্মু আর একটু ঘুমাতে দেও তো
ফারহান ভাইয়াঃ আমি তোর আম্মু না তোর ফারহান ভাইয়া ওঠ
আমিঃ আমি এবার ধড়ফড় করে ওঠায় পরলাম ওঠে দেখি আমি ভাইয়ার রুমে,
সকালের কথা মনে হতেই ভয়ে দৌড়ে আমার রুমে আসলাম নয়তো আমাক কাঁচা চাবাই খাবে।
ফারহান ভাইয়াঃ এর আবার কি হলো এমন দৌড়ায় কেন, পাগল একটা।
নিশ্চয়ই ভয়ে পালাইছে যদি বলি এখানে কি করতিছে তাই, হাহাহা পাগলি টা।
আমিঃ তারাতাড়ি করে কলেজ এ যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে আসলাম,
আম্মুর এক গাদা গালি শুনলাম, যে দরজা লাগায় দিয়ে ঘুমাইছি কেন,
সকাল থেকে ডাকতিছে উঠতেছিনা কেন, হেন তেন আর কতো কি সবাই তো যানয়,
মায়েরা আর কি বলতে পারে আমি আর নাই বললাম।
তারপর খাওয়া দাওয়া না করেই কলেজ এ চলে আসলাম,
এসে দেখি রিয়া চলে আসসে কলেজ এ আমি ওর কাছে গেলাম,
আমিঃ কিরে বান্দরনি কেমন আছিস
রিয়াঃ ভালো তুই, আর এতো দেরি করলি কেনো আজকে
আমিঃ ভালো, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়, চল ক্লাস এ যাই।
এরপর সব ক্লাস করে কেন্টিন এ বসে দুজন মিলে চিপ্স খাইতে লাগলাম তখোন একটা ছেলে আসলো আমাদের সিনিয়র এসেই বলতে লাগলো।
সিনিয়র রিমনঃ হাই রিয়া কেমন আছো
রিয়াঃ ভালো ভাইয়া আপনি
রিমনঃ আমি ও, রিয়া আই লাভ ইউ
এরপর রিয়া যা করলো আমি তো হা হয়ে তাকাই আছি ওর দিকে.
রিয়াঃ ঠাস ঠাস ঐ তোর লজ্জা করে না যাক তাক প্রপোজ করতে আমাদের সামনেই কতো মেয়েকে তুই প্রপোজ করলি এখন আইসে আমাক প্রপোজ করতে।
একদম দূরে দূরে থাকবি নয়তো মেরে পুতে রাখবো।(রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)
রিমনঃ (চারদিকে তাকাই দেখি সবাই হাসাহাসি করতিছে,
লজ্জায় মাথাটা নিচু করে নিলাম) আমাকে থাপ্পড় মারার প্রতিশোধ আমি নিবো,
মনে রাখিস, খুব ভালোভাবে জানিস আমার কথা কি করতে পারি আর কি পারি না।
(বলে চলে আসলাম) আমিঃ রিয়া প্লিজ চল এখান থেকে কি দরকার ছিল তোর রিমন
ভাইয়াক চড় মারার জানিসই বড়লোক এর বিগড়ে যাওয়া ছেলে।(ভয়ে ভয়ে বললাম)
রিয়াঃ চুপ প্রতিবাদ করতে শিখ এতো ভিতু হয়ে লাভ নাই জীবনে চলা কঠিন হয়ে দারাবে(রাগে বললাম)
আমি ও আর কোনো কথা বললাম না এই মাইয়া রেগে আছে মনে হয় আমাক গিলে খাবে,
আমি এসব এ একদম ভিতু রিয়া বলে সাহস করতে কিন্তু বললেই কি আর হয়,
এসব মারামারি একদম আমার সহ্য হয়না কেমন যেন ভয় করে,
তারপর রিয়ার সাথে হাঁটতে হাঁটতে কলেজ এর বাহিরে আসলাম এসে ধরাম করে কার সাথে জানি ধাক্কা খেলাম....
চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com