Breaking News

গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০৯



এরপর ২য় ক্লাস এ যে আসে তাকে দেখে এবার আমি হয়তো হার্ট অ্যাটাক করার মতো হয়ে গেছি।

কারন এবার ফারহান ভাইয়া আসসে, সবাই ভাইয়ার দিকে হা হয়ে তাকাই আছে পড়নে সাদা সার্ট,

কালো জিন্স, হাতে ঘড়ি, চুল স্পাইক করা, মনে হয় কোনো হিরো সামনে দারায় আছে।

সবার মতো আমি ও হাহয়ে আছি, যে ভাইয়া এখানে কেন। রিয়া তো আর ও অবাক।

ফারহান ভাইয়াঃ হালো স্টুডেন্ট আমি ফারহানা চৌধুরী, তোমাদের ইংরেজি নিউ টিচার,
এবার তোমরা এক এক করে পরিচয় দেও(ফারিহার দিকে তাকাই মুচকি হাসি দিয়ে বললাম)
এরপর সবাই আবার পুনরায় পরিচয় দিল, ভাইয়া ক্লাস থেকে বের হওয়া মাএ আমি ভাইয়ার পিছনে দৌড় মারলাম, গিয়ে ভাইয়ার হাত টেনে ধরলাম।
আমিঃ ভাইয়া তুমি কলেজ এ জব করবা এসব এর মানে কি বলো তো।
তোমার এতো বড় অফিস রেখে কলেজ এ ঝামালার মাঝে কি করবা হুম(ভ্রু উচে)
তোমার নাকি ঝামালা ভালো লাগে না,(ঠোঁট উল্টে)
ফারহান ভাইয়াঃ কেন তোর কোনো সমস্যা নাকি, আর আমাক তো ১ বছর পর ধরে পাকরে বিয়ে দিবে
সে জন্য এই ১ বছর একটু ইন্জয় করবো বুঝলি, এর জন্য ২ বন্ধু মিলে কলেজ এ জয়েন্টে করলাম,
(ফারিহার নাক টিপে বললাম)
আমিঃ আরে নাহ আমার আবার কিসের সমস্যা হবে,
আর ও ভালো হবে তো তোমার সাথে আসবো, খাবো কেন্টিনে হিহি।
ফারহান ভাইয়াঃ কিহ খাওয়ার ধান্দা।
আমিঃ কিছু না চলো কেন্টিনে যাব আর ক্লাস হবে না৷ কাল দিন পর নবিন বরন অনুষ্ঠান হবে।
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা চল
এরপর আমি রিয়াকে ডেকে নিয়ে কেন্টিনে গেলাম।
ভাইয়া আর আমি এক পাশে বসলাম, আর রিয়া এক পাশে, ভাইয়া খাবার অর্ডার করলো,
তারপর জমিয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম আমরা, ২ টার দিকে বাসায় চলে আসলাম,
দুপুর এ খাওয়া দাওয়া করে রুমে ঘুমানোর জন্য এসে শুয়ে পরলাম তখন
হুট করে ভাইয়া এসে পিছন থেকে জরায় ধরছে।
আমিঃ ভাইয়া কি হচ্ছে কি ছাড়ো কি করতিছ।
ফারহান ভাইয়াঃ চুপ কথা বলিস না ঘুমাবো তোর রুমে আজ কে।
আমিঃ কি(অবাক হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ অবাক হওয়ার কিছু নাই ঘুমাতে দে চুপ থাক।
আমিঃ আমাক জরায় ধরছ কেনো, নিজের রুমে ঘুমাও গিয়ে এসব কি ভাইয়া,
আমি ছোট না যে যখন তখন জরায় ধরবা, সব কিছুর একটা লিমিট আছে ভাইয়া,
ছাড় নয়তো আম্মুক ডাকবো (রেগে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ ফারি আমি তো তোকে কিছু করতেছি না শুধু..(আমাক বলতে না দিয়ে)
আমিঃ আমি কিছু শুনতে চাই না গেট আউট (রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ ফারি শোন প্লিজ,(অসহায় ভাবে)
আমিঃ যাও রুম এ গিয়ে রেডি হও একটা জায়গায় যাব(বিরক্ত হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ কই যাবি(অবাক হয়ে)
আমিঃ সেটা শোনা লাগবে না যাব মানে যাব যাও(রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ যাচ্ছি তো রাগিস কেন,
তারপর ভাইয়া রুম এ গেলো আমি ও ঝটপট রেডি হয়ে নিলাম, ভাইয়াক নিয়ে ক্লিনিকে যাব
ভাইয়ার হয়তো মাথার সমস্যা, ছোট মা জানলে কষ্ট পাবে, তাই কাওকে না বলে নিয়ে যাব,
এরপর ভাইয়া আসলো ভাইয়াক নিয়ে নিচে গেলাম, আম্মুক বলে বের হলাম,
আম্মু তো হাজার প্রশ্ন করতিছে কই যাব হেন তেন,
গাড়িতেঃ
ফারহান ভাইয়াঃ কই যাবি সেটা তো বল,
আমিঃ আকাশ ভাইয়ারে ফোন দেও তো ভাইয়া, তোমাক একা নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না,
ফারহান ভাইয়াঃ মানে কই যাবি(কিছুটা রেগে)
আমিঃ ক্লিনিক যাব,
ফারহান ভাইয়াঃ কি হয়ছে তোর সোনা বললি না কেন, কই কি হয়ছে বল আমাক(অস্থির হয়ে)
আমিঃ ওফ আমার কিছু হয়নি, সামনে থেকে আকাশ ভাইয়ারে ডোপ করে নিয়ে যাব,
ফোন দিয়ে রেডি হতে বলো,
.
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা (এর কিছু হয়নি তো ক্লিনিকে যাবে কেন পাগল হলো নাকি)
তারপর আকাশ ভাইয়ার বাসা থেকে তাক নিয়ে চলে আসলাম, ভাইয়ার ও এক কথা কই যাব আমি কিছু বললাম না আর,একটু পর ক্লিনিক এর সামনে চলে আসলাম, ভাইয়াক নিয়ে ভিতরে বসলাম এসে, সাথে আকাশ ভাইয়া ও আছে পরিচিত হওয়ার জন্য আমরা আগে যাব ডাক্তার আসতে আর ও ১০ মিনিট সময়,
আকাশঃ ফারিহা মানসিক ক্লিনিক এ আসসো কেন কার মাথার সমস্যা, (অবাক হয়ে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ বুঝছি ওর মাথার সমস্যা হয়ছে তাই আসসে, তা কি সমস্যা ঐ জ্বিন এর জন্য কি তোর মাথার সমস্যা হয়ছে,
আমিঃ চুপ কেও কথা বলবা না ঐ তো ডাক্তার আসসে চলো।
এরপর ভাইয়ার সাথে আকাশ ভাইয়ারে ও সাথে নিলাম রুমে, নয়তো ভাইয়া যদি পাগলামি করে আবার, যে পাগল ছাগল ঠিক নাই।
.
ডাক্তারঃ ফারিহা কেমন আছো
আমিঃ জ্বি ভাইয়া ভালো আপনি
ডাক্তারঃ আলহামদুলিল্লাহ, তোমার ভাইয়া ফোন দিয়ে বললো তুমি নাকি এখানে আসবা, তা কার আবার মাথার সমস্যা হলো(অবাক হয়ে)
আমিঃ এই যে ভাইয়া, ফারহানা ভাইয়ার মাথার সমস্যা হয়ছে,(আমার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে, একবার ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছে,)
ফারহান ভাইয়াঃ পাগল নাকি আমার আবার কিসের সমস্যা থাকবো না আমি গেলাম,
আমিঃ আকাশ ভাইয়া তারাতাড়ি ভাইয়াক ধর এর জন্য তোমাক নিয়ে আসসি যাতে পালাতে না পারে,
আকাশঃ আচ্ছা কিন্তু ফারহান কে তোমার পাগল মনে হলো কেন(অনেকটা অবাক হয়ে)
ডাক্তারঃ কি সমস্যা খুলে বল, নাহয় বুঝবো কেমন করে, কেন মানসিক রুগি মনে হয় তোমার ফারহান কে
আমিঃ হা বলতেছি আপনি মন দিয়ে শোনেন কেমন
ডাক্তারঃ হা হা তুমি বলো শুনতেছি,
আমিঃ আসলে ভাইয়া কয় দিন থেকে আমার সাথে কেমন অদ্ভুত আচরন করতিছে।
.
ফারহান ভাইয়াঃ (ওহ এবার বুঝলাম কেন আমাক এখানে আনছে, আল্লাহ এই মেয়ে কিছু বোঝে না এরে বোঝার তৌফিক দেন, এবার আমি সুন্দর হয়ে বসলাম, দেখি ও আর কি কি বলে)
ডাক্তারঃ তা কেমন ব্যবহার।
আমিঃ হুটহাট আমাক জরায় ধরে, কিস করে, মাঝে মাঝে আমার রুমে আসে, কখনো কখনো বেশি খেয়াল করে আমার,
আমার কথা শুনে আকাশ ভাইয়া ফিক করে হেসে দিল, আকাশ ভাইয়ার দেখা দেখি ফারহান ভাইয়া ও এবার জোরে জোরে হাসতিছে, আমি সবার দিকে বোকার মতো তাকাই আছি ডাক্তার এর দিকে তাকাই দেখি ওনি ও মুচকি মুচকি হাসতিছে।
আমিঃ দেখেন ভাইয়া ঐ যে পাগল এর মতো হাসতিছে,(আমার কথা শুনে সবাই হাসি থামাই দেয়)
ডাক্তারঃ ওহ তারপর তারপর আর কি করে(হাসিটা বজায় রেখে বললাম)
আমিঃ এই তো এসব হেন তেন বুঝায় নেন।
ডাক্তারঃ ওহ এটা তো অনেক বড় রোগ।(আমি দেখতেছি আমার কথা শুনে আকাশ আর ফারহান অবাক হয়ে তাকাই আছে)
আমিঃ বললাম না পাগল হয়ছে ওর চিকিৎসা দেন তারাতাড়ি ভাইয়া।
ডাক্তারঃ আচ্ছা আমি ঔষধ লিখে দিচ্ছি তুমি বাহিরে যাও আমি এদের সাথে কথা বলি কেমন(ফারিহা বাহিরে গেল, এরপর সবাই জোরে জোরে হাসতে শুরু করলাম, ফারহান এর অবস্থা তো আর ও খারাপ বেচারা হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলছে)
আকাশঃ ফারহার শেষমেশ কিনা ফারিহা তোরে পাগল এর ডাক্তার এর কাছে নিয়ে আসলো(হাসতে হাসতে বললাম)
.
ফারহান ভাইয়াঃ ভাইরে ভাই ওর মাথায় বুদ্ধি বলতে কি কিছু নাই ও কি কিছু বোঝে না নাকি(ঠোঁট উল্টো করে বললাম)
ডাক্তারঃ তা এই বেপার নাকি ফারহান,
ফারহান ভাইয়াঃ আসলে হুম ভাইয়া, ভাইয়া প্লিজ ওর বাসার কেও যেন জানে না, ওর বাসার কেও মানতে চায় না, ও বুঝতে পারে না যে ওরে কতোটা ভালোবাসি, দেখ না ও আমাক পাগল ভেবে এখানে আনছে(অসহায় হয়ে বললাম)
ডাক্তারঃ হুম বুঝলাম, এটা নেও(একা কাগজ হাতে দিয়ে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ এটা কি(অবাক হয়ে)
ডাক্তারঃ ফারিহা তো বলবে কি ঔষধ এর নাম লিখে দিল, তাই এটা নিয়ে যাও ওরে দিখি ও,
ফারহান ভাইয়াঃ আচ্ছা ভাইয়া ধন্যবাদ আসি।
ডাক্তারঃ হুম যাও
.
ফারহান ভাইয়াঃ বাহিরে এসে ফারিহার দিকে তাকাই মুচকি হাসলাম,
পাগলি একটা তারপর ওরে বাসায় পাঠাই দিয়ে, আকাশ এর সাথে গেলাম এসব বিষয়
নিয়ে কিছুটা মজা করলাম, তারপর রাত ১২ টার পর বাসায় আসলাম আমি,
এসে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ফারিহার রুমে গেলাম,
ও তো পাগল ভাবে একটু পাগলামি করা যাক, এটা ভেবেই শুরু করলাম....
.
চলবে..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com