Breaking News

গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ১০



পিছন থেকে ফারিহা কে শক্ত করে জরায় ধরলাম, ফারিহা তখন ও জেগে ছিল হয়তো, আমার স্পর্শ পেয়ে ও নড়তিছে,

আমিঃ ঐ কেরে এমনে জরায় ধরছিস কেন মেরে ফেলবি নাকি, ওমম নিশ্বাস ও নেওয়া যাচ্ছে না।
ফারহান ভাইয়াঃ ওফ ফারি জানু, এমন করো না তো ঘুমাতে দেও(অসহায় ভাবে)
আমিঃ ভাইয়া তুমি এ্যা এগুলো কি কি বল তুমি, (বোকা হয়ে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ হুম কি আবার আমার বউটাক এততো গুলা ভালোবাসি হিহিহি, তুই আমার বউ তুই আমার বউ হিহিহি(মজা করে বললাম, আমাক পাগল ভাবা এবার বুঝবি মজা)
আমিঃ ভাইয়া তুমি ঔষধ খাওনাই নাকি(কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ খাইছি তো সোনা, এখন তোরে আদব দিব আর ঘুমাবো হিহিহি(বাচ্চার মতো করে বললাম)
আমিঃ ভ্যাঁ করে কান্না করে দিলাম আমি, যে ভাইয়া তো আর ও বেশি পাগল হয়ছে,
ফারহান ভাইয়াঃ ঐ সোনা আমাক ঘুম পারায় দে নয়তো কান্না করব(ফিস ফিস করে বললাম)
আমিঃ ওকে আমাক ছাড় ঝরায় ধরছ কেন(অসহায় মুখ করে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ না এমনেই থাকবো নয়তো গিয়ে আম্মুক বলবো তুই বকা দিছিস আমাক(ঠোঁট উলটে বললাম)
আমিঃ কি কি না না না আস আমি ঘুম পারায় দিতাছি,(কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম)
এরপর ফারহান ভাইয়া বুকে আমাক জরায় নিয়ে শুয়ে পরলো, আর আমি মাথায় হাত বুলায় দিতে লাগলাম,
ফারহান ভাইয়াঃ নে এখন মজা বোঝ উফ এখন থেকে শান্তি মতো ঘুম হবে আমার,
আমিঃ এভাবে ২০ মিনিট থাকার পর ভাইয়ার দিকে তাকায় দেখি ভাইয়া ঘুমাইছে, তাই আমি ও সুন্দর মতো ভাইয়ার বুকে মাথা রাখলাম, আর বিরবির করে বলতেছি, আগন্তুক যদি আসে তাহলে কি হবে, ভাইয়ার আবার কিছু করবে না তো, আগন্তুক তো আবার আমার পাশে কাওকে সহ্য করে না, আল্লাহ ভাইয়ার যেন কিছু না করে।
ফারহান ভাইয়াঃ (আমি ঘুমের ভান করে শুয়ে ছিলাম, তখন দেখি ফারিহা এসব বিরবির করতিছে, ও তো আর জানে না যে আমি সেই আগন্তুক, হা আমি সেই আগন্তুক যে কিনা ফারিহাকে জালাতো, আজ থেকে আর কোনো আগন্তুক আসবে না রে সোনা, তোর কাছেই তোর আগন্তুক আছে, এখন থেকে তোর পাশে থেকে রক্ষা করবো তোকে, তারপর ফারিহার দিকে তাকাই দেখি ও ঘুমাইছে, তাই আমি ও গায়ে চাদর জরায় দিয়ে, ওকে জরায় নিয়ে ঘুমাই পরলাম)
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার পাশে কেও নাই, আমি ভাবতে লাগলাম রাতে তো ভাইয়া ছিল কই গেল, নাকি স্বপ্ন দেখছিলাম আমি, ওফ ভাইয়া তো রুম এ ও যেতে পারে দেখে আসি, আগে সময় দেখলাম ও মা গো ৯ টা বাজে কলেজ আছে কাল কে আবার অনুষ্ঠান, তারপর ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখি ভাইয়া রেডি হচ্ছে,
আমিঃ ভাইয়া কই যাবা,
ফারহান ভাইয়াঃ কলেজ এ যাব কই আবার, আর এখন ঘুম থেকে উঠলি কেন, কখন রেডি হবি শুনি, আমি একটু পরই যাব তারাতাড়ি রেডি হো,
আমিঃ আচ্ছা (এরপর নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বের হব তখন)
আম্মুঃ ফারিহা ফারহান এর সাথে যা কলেজ এ, রাস্তায় নাকি ছেলেরা বিরক্ত করে ফারহান এর সাথে যা, সাবধানে যাবি।
ফারহান ভাইয়াঃ (এ কি বাবা মেঘ না চাইতে জল আমাক অনুমতি দিয়া দিল বাহ বাহ)
আমিঃ আচ্ছা
ফারহান ভাইয়াঃ (বাইক এর আয়নাতে দেখতেছি ফারিহা মুখটা কেমন যানি করে রাখছে, তাই প্রশ্ন করেই বসলাম) ফারিহা কি হয়ছে,
আমিঃ ভাইয়া তুমি কখন আমার রুম থেকে গেছিলা,
ফারহান ভাইয়াঃ মানে,
আমিঃ ঐ যে রাতে আমার রুমে ছিল কখন গেছিলা তোমার রুমে,
ফারহান ভাইয়াঃ (ওহ এই বেপার নিশ্চয় ও কন্ফিউশনে আছে যে আমি ওর রুমে গেছিলাম কিনা, আহা ওয়েট তাহলে আবার মজা নেয়) না তো তোর রুমেই তো গেছিলাম না আমি,
আমিঃ মানে কি বলো(ভয়ে ভয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ হা তোর রুমে যাব কেন পাগল নাকি তুই, তুই একটা মেয়ে মানুষ আমি একটা ছেলে হয়ে রাতে তোর রুমে যাব পাগল নাকি যদি কিছু হয়ে যা (বিরক্ত ভাব করে)
আমিঃ ভাইয়া সত্যি বলতিস তাহলে কে ছিল, আমি তো তোমাকই দেখলাম, জরায় ধরে(এ্যা এ্যা এ্যা কাঁদতে লাগলম)
ফারহান ভাইয়াঃ ছি কি বলিস তোক জরায় ধরবো কেন তুই আমার বোন হস, এসব ভাবিস না আল্লাহ পাপ দিবে(মজা করে বললাম)
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া (তাহলে কে ছিল, আমি কি ভুল দেখলাম, নাকি স্বপ্ন দেখছিলাম, হবে হয়তো, ভাইয়াক তো কাল কে ডাক্তার দেখাইছি, ঔষধ খাচ্ছে তো, হুস এসব ভাবনা রাখি এখন)
কলেজ এঃ
এসব ভাবতে ভাবতেই কলেজ এ চলে আসলাম, ভাইয়া অফিস রুমে গেল আর আমি রিয়ার কাছে গেলাম, তারপর রিয়ার সাথে গল্প করতে লাগলাম, এখন তো আর ক্লাস হবে না কাল কে অনুষ্ঠান, কলেজ সাজাতে শুরু করছে, হঠাৎ রিয়াক বলে বসলাম,
আমিঃ রিয়া শোন,
রিয়াঃ কি বল, কি হয়ছে,
আমিঃ ভাইয়ার সাথে যা যা হয়ছে সব খুলে বললাম,
রিয়াঃ কি বলিস সত্যি নাকি,
আমিঃ হা, তবে ভাইয়া বলতিছে, আমার রুমে নাকি ভাইয়া গেছিল না,
রিয়াঃ হাহাহাহা বুঝলাম আসল ব্যাপার পাগলি আসলেই তুই, এসব কিসের লক্ষন বুঝিস ন,
আমিঃ কি হলো হাসিস কেন, আর কিসের লক্ষন(ভ্রু উচে)
রিয়াঃ ফারহান ভাইয়া তোকে লাভ করে পাগলি, আর তুই কিনা ডাক্তার এর কাছে ও নিয়ে গেছিস, পাগলি একটা,
আমিঃ কিহ (জোরে বলে উঠলাম)
রিয়াঃ উফ আসতে মানুষ দেখতিছে আর হা সত্যি,
আমিঃ সত্যি নাকি আমি ও তো ভাইয়াক ভালোবাসি,
রিয়াঃ কি বললি (চোখ বড় বড় করে বললাম)
আমিঃ হুম, বাট ভয়ে কিছু বলি নাই ভাইয়াক, যদি রাজি না হয় তাই (কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম)
রিয়াঃ শোন একটা বুদ্ধি আছে তুই কোনো ছেলের সাথে মিশতে লাগ দেখবি এমনি ভাইয়া তোক বলবে, যদি সত্যি তোকে লাভ করে,
আমিঃ কোন ছেলের সাথে মিশবো, আমাদের তো ছেলে ফেন্ড নাই,
রিয়াঃ আরে সেদিন একটা ছেলে ফেন্ড হতে আসসিল ওই যে দেখ এই দিকেই আসতিছে, ওর ফেন্ডশিপ এক্সেপ্ট করে নেই চল।
আমিঃ হিহিহি আচ্ছা
রিদয়ঃ হাই
আমিঃ হিলু
রিয়াঃ হাই
রিদয়ঃ আমি এখানে নতুন, আমরা কি ফেন্ড হতে পারি না (মন খারাপ করে)
আমিঃ হুম ফেন্ড ডান,
রিদয়ঃ সত্যি
রিয়াঃ হুম তবে একটা সর্ত আছে,
রিদয়ঃ এখানে আবার কিসের সর্ত,
রিয়াঃ এই এই ব্যাপার বুঝলি (সব বললাম)
রিদয়ঃ ওকে ওকে, তাহলে ফেন্ড যেহেতু তুই করে বলি,
আমিঃ হুম অবশ্যই
রিয়াঃ দোস্ত তোরে দেখে ক্রাশ খাইছি,
রিয়ার কথা শুনে আমি আর রিদয় হাসতে লাগলান, রিদয় মজা হিসাবে নিলে ও আমি যানি সেদিন থেকেই রিয়া পছন্দ কর যে দিন প্রথন দেখা হয়।
সবাই আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম, ভাইয়ার সামনে হাত ধরে ঘুরলাম অনেক, ভাইয়ার কোনো রিয়াকশন দেখলাম না, কিন্তু এর মাশুল আমাক এভাবে রাতে পেতে হবে কে জানতো, রাতে আমি কথা ও বলছি ভাইয়াক দেখাই দেখাই রিদয় এর সাথে,
রাত ১১ টা...
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com