গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ০৮
সকালেঃ
ভাইয়াঃ আম্মু ফারিহা কই, খাবে কখোন আর কলেজ যাবে কখোন ৩ দিন পর নাকি ওদের নবিন বরন অনুষ্ঠান,
আম্মুঃ ফারিহার গায়ে জ্বর আসসে তাই এখন ও সুয়ে আছে।
ফারহান ভাইয়াঃ কিহ কখন থেকে জ্বর।(অবাক হয়ে)
আম্মুঃ সকাল থেকে।
ছোট আম্মুঃ আমি ওর খাবার নিয়ে যাচ্ছি, আর খাওয়াই দিয়ে ওষুধ খাওয়াই দিয়ে আসতেছি, নিলয় (ফারিহার ভাইয়া) তুই খেয়ে ওঠে একটু রুমে আয় দেখিস একটু কি অবস্থা ওর।
ভাইয়াঃ আচ্ছা যাও।
বড় আব্বুঃ ফারহান কি ব্যাপার তুই এই সকাল এ একদম রেডি হয়ে আছিস কই যাবি।
ছোট আব্বুঃ হুম সেটা কই যাবি তুই তো প্রতিদিন অফিস এ ও যাস না তাহলে।
ফারহান ভাইয়াঃ ওফ কে বললো অফিস যাব, আমি একটা জব পাইছি সেটাই করবো।
ছোট আব্বুঃ কি তুই অফিস রেখে জব করবি কিসের শুনি
ফারহান ভাইয়াঃ ফারিহাদের কলেজ এর ইংলিশ টিচার হয়ে আর সাথে আকাশ(আমাদের অফিস এই ম্যানাজার এর পদে কাজ করে) ও জয়েন হবে ও অফিস ও সামলাবে তোমাক চিন্তা করা লাগবে না আকাশ শুধু একটা করে ক্লাস নিবে, আর আমি ফুল্লি জব করবো কলেজ এ।
বড় আম্মুঃ ফারহান এসব এর কি দরকার আর ফারিহার কলেজ এই কেন, আর কি কলেজ নাই নাকি, তোক বলা হয়ছে কি সেটা ভুলে যাস না।(বিরক্ত হয়ে)
ভাইয়াঃ খাওয়ার সময় এতো কিসের কথা, আর আব্বু আর ছোট বাবা তো অফিস সামলাচ্ছে ফারহান একটু বাহিয়ে ঘুরুক পরে অফিস এ একবারে জয়েন করবে তাহলেই তো হয়। বিয়ের পর থেকে অফিস এ বসবে, এখন মজা করুক বন্ধুদের সাথে, ১বছর তো সময় নিছে, তার পর যা বলার বলো, এখন ওর মতো থাকতে দেও।
ছোট আব্বুঃ ঠিক আছে তোরা যা ভালো বুঝিস।
ভাইয়াঃ ফারিহার থেকে দূরে থাকিস। তুই যা চাস সম্ভব না ফারহান মাথায় রাখিস।(কিছুটা ধমক দিয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ হুম আচ্ছা আমি গেলাম তাহলে, এরপর বাহিরে এসে আকাশ কে ফোন দিলাম, তরপর কিছুক্ষণ পর একসাথে কলেজ এ এসে আকাশ এর বাবার সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিলাম কাল থেকে ক্লাস নেওয়া শুরু করব, আকাশ বাংলা ক্লাস নিবে আর আমি ইংরেজি ১ বছর এর জন্য আমরা এই কাজ টা করবো, মানে মিশন চলবে ১ বছর, হিহিহি
ফারহান ভাইয়াঃ দূর বাল* ভালো লাগে না বাড়ির সবাই বারন করছে ফারিহার কাছে যেন না যাই, হুম যাব না আমি ও নিজে আসবে।(রেগে)
আকাশঃ চিন্তা করিস না ঠিক হবে সব, অফিস যাবি নাকি, আমাক তো যাইতে হবে ম্যানাজার বানাইছিস।
ফারহান ভাইয়াঃ হুম চল।
আকাশঃ আহা সোনা বন্ধু আমার চিন্তায় মরে(মজা করে)
ফারহান ভাইয়াঃ শালা মজা নিস তুই তোর জিএফ রি নিয়া ভাইগা যামু।
আকাশঃ যা না যা কে বারন করছে, আমি ফারিহা রে নিয়া ভাইগা যামু, তখন(হাসতে হাসতে)
ফারহান ভাইয়াঃ একদম ওর দিকে নজর দিবি না ওকে(একটা গাট্টি মরে)
রাতে সবাই খাওয়া দাওয়া করে হালকা আড্ডা দিয়ে যে যার মতো ঘুমাতে গেল আমি ও নিজের রুমে এসে দরজা লাগায় দিয়ে একটু ফোন নিয়ে ফেবুতে গেলাম, রিয়ার সাথে কথা বলতে লাগলাম, ঘড়ির দিকে তাকায় দেখি ১২ টা বাজে তাই ফোন রেখে ঘুমানোর জন্যই টেডিবিয়ার জরায় নিয়ে চোখ বন্ধ করলাম,
কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম কেও পিছন থেকে জরায় ধরতিছে আমি তো মনে মনে ভাবতেছি এটা হয়তো আগন্তক, আজ কে হাতে নাতে ধরবো, তাই হুট করে উঠে নাইট অন করলাম, এমা একি এটা তো ফারহান ভাইয়া।
আমিঃ ভাইয়া তার মানে তুমি প্রতিদিন আমার রুমে আস তাই না, এবার বুঝলাম (রেগে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ আস্তে কথা বল, আর কিসব বলিস সারাদিন তোর সাথে কথা বলা হয়নি তাই আসলাম রুমে, আজ কে প্রথম আসলাম রাতে তোর রুমে আর তুই কিনা বলিস যে প্রতিদিন আসি, (রেগে)
আমিঃ ওহ সরি আমি ভাব ছিলাম ঐ শালায় যে আমার কামড়ে টামড়ে এই অবস্থা করে,(ছি আমি ও কি ভাবছি ফারহান ভাইয়া কেমন করে হবে ভাইয়া কেন অযথা আমাক কষ্ট দিবে)
ফারহান ভাইয়াঃ তোর শরীর এ তো এখন জ্বর নাই,(কপাল এ হাত দিয়ে)
আমিঃ হা কমছে, আচ্ছা ভাইয়া এখন যাও আর কোন দিক দিয়ে আসসো রুম এ (ভ্রু উচে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ বারান্দা দিয়ে দরজা তো খোলায় আছে বারান্দার(বিরক্ত হয়ে)
আমিঃ আচ্ছা বুঝলাম ঘুমাব যাও।
ফারহান ভাইয়াঃ একটা কথা বলি ফারি(দুই হাত দিয়ে ফারিহার গালে হাত দিয়ে)
আমিঃ কি হয়ছে ভাইয়া এমন করতিছ কেন বলো কি বলবা।(অবাক হয়ে)
ফারহান ভাইয়াঃ তুই কি কাওকে ভালোবাসিস।(সিরিয়াস মুড এ)
আমিঃ হঠাৎ এ কথা যে(অবাক হয়ে বললাম)
ফারহান ভাইয়াঃ না এমনি বল সত্যি বল কিছু বলবো না।
আমিঃ না তো কাওকে ভালোবাসি না।
ফারহান ভাইয়াঃ ওম্মা(টুক করে গালে কিস করে নিজের রুমে আসলাম)
আমিঃ ভাইয়া কি পাগল হয়ছে,হুট হাট কখন কি করে বসে, নিচ্শয় মাথার তার ঢিলা হয়ছে, কাল কে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাব (গালে হাত দিয়ে বললাম)
রাত ৩ টাঃ--
ঘুমের মধ্যে কারো স্পর্শ অনুভব করলাম, মনে হচ্ছে কেও কমড়ে হাত দিচ্ছে তবে অতিরিক্ত ঘুমের কারনে আর চোখ খুললাম না, ভালোভাবে টেডিবিয়ার জরায় ধরে আবার ঘুমায় পরলাম।
আগুন্তকঃ এই মেয়েটা কি একটু নিজের যত্ন নিতে পারে না নাকি, কমড়ে ঠিক মতো মলম দেয়নাই, ইস লাগছে হয়তো, এভাবে জোরে টান দেওয়া উচিত হয়নি, কিন্তু কি করব পাগল এর মতো তাবিজ দিয়ে রাখছে, এসব তাজিব আমার একদম পছন্দ না, তাজিব দিলেই কি আর আমি আসতে পারবো না নাকি।(কপাল এ হাত দিয়ে) নিজে এতো সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে আর আমার ঘুম হয় না। যেদিন তোকে নিজের করে নিব সেদিনই থেকে আমার শান্তি মতো ঘুম হবে। এরপর ফারিহার কমড়ে মলম দিয়ে একটা ওয়ান টাইম বেন্ডিস করে দিলাম,তারপর কমড়ে আর কপালে কিস করে চলে আসলাম।
আমিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনো রকম ফ্রেশ হয়ে সকাল এর নাস্তা করে রুমে এসে জামা কাপর নিয়ে ওয়াশরুম এ গেলাম,কলেজ এ যাওয়ার জন্য রেডি হবো তাই, গেন্জি খুলে দেখি কমড়ে বেন্ডিস, মনে মনে ভাবলাম এই আগন্তুক এর বাচ্চা নিজে কষ্ট দেয় আবার নিজেই সেবা করে, এটা কে কেমনে বোঝব, কে জানে, আর কি বা চায় সে। এরপর রিয়ার কাছে ফোন দিয়ে বের হলাম, ওর সাথে কলেজ এ চলে আসলাম।
কলেজ এঃ-
ক্লাসের বেল পরার পর আমি আর রিয়া ক্লাস রুমে গেলাম, ক্লাসে তখন প্রিন্সিপাল স্যার আসে সাথে একজন কে দেখে আমি হা হয়ে তাকাই আছি... কারণ প্রিন্সিপাল স্যার এর সাথে আকাশ ভাইয়া রুমে ঢুকলো।
রিয়াঃ কিরে বস এভাবে দাড়ায় আছিস কেন স্যার তাকাই আছে।
আমিঃ (সামনে দেখি আকাশ ভাইয়া তাকাই আছে আর মুচকি হাসতিছে)
আমি ধরাম করে বসে পড়লাম।
আকাশঃ গুড মর্নিং স্টুডেন্ট, আমি তোমাদের বাংলা ক্লাস এর নতুন টিচার, আজ থেকে আমি তোমাদের সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস নিব।
এরপর সবার সাথে পরিচয় পর্ব শেরে ফেললো, আকাশ ভাইয়াক দেখে তো অর্ধেক মেয়ে হা হয়ে তাকাই আছে, মন হয়ে এখনই গিলে খাবে।
রিয়াঃ কিরে কি ভাবিস।
আমিঃ আকাশ ভাইয়া কলেজ এ কেন ভাইয়া তো জব করে।
রিয়াঃ তুই চিনিস নাকি আকাশ স্যার কে।
আমিঃ হুম ফারহান ভাইয়ার বন্ধু।
রিয়াঃ ওহ
এরপর ২য় ক্লাস এ যে আসে তাকে দেখে এবার আমি হয়তো হার্ট অ্যাটাক করার মতো হয়ে গেছি।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com