Breaking News

ভালোবাসার পরীক্ষা



মেয়ে- এই যে শুনুন

ছেলে- কী
মেয়ে - সমস্যা কী?
ছেলে - কিছু না।
মেয়ে - সত্যি কিছু না!
ছেলে - হ্যা
মেয়ে - তাহলে আমার বাসা,কলেজ,শপিং এবং আমার
পিছন পিছন ঘুরো কেন?
ছেলে - আপনি ক্যাটরিনা কাইফ তো সেলফি তুলার
জন্য ঘুরি।
মেয়ে - রাখেন আপনার ফাইজলামি। ছেলে -
হাহাহাহাহা আচ্ছা আপনি জোড় না বিজোড়। মেয়ে -
মানে?
ছেলে - মানে আপনি কী সিংগেল। মেয়ে -
সেটা দিয়ে কি করবেন? ছেলে - না, আমার
বাইকের পিছন সিট খালি ছিল তাই বলছিলাম।
মেয়ে - তো আমি কি করব?
ছেলে - আমার বাইকে পিছন সিট টা আপনার নামে করতে চাইছলাম।
মেয়ে - এই শুনুন এত পেচিয়ে না বলে সরাসরি বলুন না কি বলতে চান।
ছেলে - বলব? ভয় করছে
মেয়ে - আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে এত ভয় কিসের
ছেলে - আচ্ছা আপনি চোখ বন্ধ করে থাকেন।
বলার আাগ পর্যন্ত খুলবেন না শেষ হলে খুলবেন।
মেয়ে - আচ্ছা চোখ বন্ধ করলাম ছেলে আমি
আপনাকে খুব বেশী ভালবাসি আজ ২ মাস ধরে
আপনার পিছন পিছন ঘুরছি আপনি আমাকে পাত্তাই
দিচ্ছেন না। I Love You I Love you I Love You.
ছেলেটা এসব বলে দিল এক দৌর আর পিছন
তাকালো না এদিকে মেয়ে চোখ খুলে দেখল
ছেলেটা বলেও পালিয়ে গেছে। তবে তারা দুজন
দুজনকে ভালবাসে কিন্ত কেউ বলতে পারে না।
ছেলেটা last ২ মাস ধরে মেয়েটার পিছন পিছন
ঘুরছে। অবশ্য মেয়েটার ভালো লাগে ওকে পিছন পিছন ঘুরাতে
একদিন ছেলেটা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা
দিচ্ছে প্রায় ওখানে বসে থাকে এদিকদিয়ে
মেয়েটা যে বাড়ি আসে তখন মেয়েটা
ছেলেকে ডাক দেয়।
মেয়ে - এই যে মি. ভিতু
ছেলে - এই আপনি আমাকে ভিতু বলবেন না। আমার
লজ্জা লাগে
মেয়ে - তাহলে ঐ দিন এভাবে বলে চলে
গেলে কেন।
ছেলে - তখন আমার ভয় করছিল মেয়ে - আমি কি
তুমাকে মারতাম যে বলে পালালে ছেলে - হ্যা
মারতে ও ত পারতে তুমি কি গুন্ডি মেয়ে।
মেয়ে - কি বললে আবার বলত আমি গুন্ডি?
ছেলে - হ্যা
মেয়ে -মারব না একটা ভিতু কোথাকার।
নিজের মনের কথা বলতে পারেনা দৌরে পালিয়ে যায় আবার ভালোবাসে।
ছেলে - এই ভিতু বলবে না বললাম মেয়ে -
তাহলে আবার আমার দিকে তাকিয়ে হাটু গেরে প্রপোজ কর।
ছেলে - কি!!!! সত্যি মারবে না তো মেয়ে - এখন
না করলে মারব কর ছেলে -আচ্ছা আমি তোমাকে
খুব বেশি ভালোবাসি আমার প্রাণের চেয়ে ও
ভালোবাসি I Love You( হাটু গেরে)
.
মেয়ে - ওটো I Love you too শুন তুমি আমাকে
কাদাবে না, কাদলে খুশি করবা, রাগ করলে রাগ ভাংগাবা,
কোন মেয়েদের দিকে তাকালে চোখ
গেতে দিব তারপর অন্ধ তাকবে তারপর ও ভালবাসব
কারন তুমি কোন মেয়ের দিকে তাকাবা না। আমার
প্রতি জন্মদিনে সবার আগে তুমি Wish করবা বুজছ।
ছেলে - হুম বুজছি। তুমি যা বলেছ সেই একি কাজ তুমাকে ও করতে হবে।
এভাবে কেটে যায় তাদের রিলেশনশিপ। একে
অন্যকে প্রাণের চেয়ে ভালবাসত ২ জন সারাক্ষন
ফনে কথা বলত মেসেঞ্জারে চেট করত,
সাপ্তাহে ৪ দিন তারা ঘুড়ে বেড়াত। একে অপরকে
না দেখে তাকতে পারে না। ১বছর পর
কাল মেয়েটার জন্মদিন তাই ক্যাম্পাসে বসে
বান্ধবী দের সাথে ছেলেটা কে নিয়ে কথা
বলছে ছেলেট অনেক ভালো, তাকে অনেক
বেশি ভালবাসে এক পর্যায় তার বান্ধবী বলে ওটলো
বান্ধবী - শুন দীপা ছেলেরা প্রথম প্রথম এরকম
বলে তারপর ভুলে যায় তখন যখন তাদের তৃপ্তি মিটে যায়
মেয়ে- রিয়ান সে রকম ছেলে নয়। আজ ওর
সাথে ১ বছর রিলেশন করছি খারাপ মতলব দেখি নি একবার ও।
বান্ধবী - তা দেখিস নি সেটা ত ভালো লক্ষন।
তবে চল একবার পরিক্ষা করে দেখি সে কতটুকু ভালোবাসে।
মেয়ে - ওকে হয়ে যাক তাহলে একটা কাজ করি বান্ধবী - কি কাজ
মেয়ে - তুই আমার ফন থেকে ফন দিয়ে বল যে
দীপা খুব অসুস্ত তুমাকে দেখতে চায় সে এখন
মেডিকেলে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে।
just তার কতটুকু ভালোবাসে আর কেমন রিয়েক্ট
করে। জানা যাবে।
বান্ধবী - ওকে তাহলে
.
এদিকে ছেলেটা বাইক চালাচ্ছিল হটাৎ ফন আসে
ছেলে - Hello কি ব্যাপার কাল তার তুমার জন্মদিনের
গিফট পেয়ে যাবে।
বান্ধবী - আরে রিয়ান ভাই আমি দীপার বান্ধবী
বলছি।
ছেলে - ওহ কি হয়েছে দীপা কোথায়??
বান্ধবী - দীপা তো খুব অসুস্ত ঢাকা
মেডিকেলে ভর্তি আছে। আপনি চলে আসুন?
ভালবাসার মানুষ এর খবর শুনে ছেলেটা নিস্তব্দ
হয়ে গেছে চারিদিকে অন্ধকার আকাশ দেখতে
পারছে না। এটা শুনার পর ফন হাত থেকে পরে যায়
আর কোন উত্তর দিল না তার বন্ধবী কে।সে খুব
দ্রুতগতি তে বাইক চালিয়ে আসছে হঠাৎ করে যে
একটা ট্রাক এর সাথে ধক্ষা খেয়ে কোথায় যেন
হারিয়ে ফেলেছে আকাশটা ঠিক মত দেখতে
পারছে না দিনের বেলা তার কাছে অন্ধকার লাগছে
একটু পরে দেখে অনেক মানুষ থাকে নিয়ে
যেন কোথায় যাচ্ছেে তার পরে আর কোন কিছু মনে নেই।
এদিকে মেয়েটার কাছে ফন আসে যে রিয়ান
মারাত্তক ভাবে এক্সিডেন্ট করেছে তার অবস্তা আশংকাজনক।
.
মেয়ে এসব শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে
জ্ঞান ফিরে আসার পর কোন কদাতে কাদতে
চলে গেলো ছেলেটার কাছে। ছেলে - তুমি
কেন আমাকে মিথ্যা বললে দেখেছ মিথ্যা কী
রকম সত্যি হয়ে গেলো। এখন আমি ঢাকা
মেডিকেল ভর্তি আছি। মেয়ে - আমও আসলে
দেখতে চাইছলাম তুমি কতটুকু ভালোবাস।
ছেলে - দেখলে তো তুমি আমি কতটুকু
ভালোবাসি।
মেয়ে - আমি তুমাকে চাই শুধু ছেলে - আমি
তুমাকে বড্ড বেশি ভালোবেসেছিলাম, এমন কি
আমি আমার মায়ের সাথে তুমার ব্যাপারে কথা বলছিলাম
মা -বাবা রাজি হয়েগেছে দেখ ভাগ্যর কি নির্মম
পরিহাস আমাদের বোধহয় মিলন হবে না।
মেয়ে - চুপ কর তুমার সব সপ্ন পূরন হবে।
আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি আর এরকম কাজ করব
না একবার তুমি ফিরে এসো ছেলে - আমি যে আর
পারব না ওই যে আমার ডাক চলে আসছে। যাবার
আগে একটা কথা বলে যাই আমার প্রতি জন্মদিনে
কবরে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল দিবে
.
আর মেয়েটা পেলো কালকে জন্মদিনের সেরা
গিফট তার ভালোবাসা মানুষের রিয়ানের লাশ ,,,,,,
এই বলে ছেলেটা মারা যায়। মেয়েটা অনেক
কাদছে কিন্ত ফিরে পায়নি আর রিয়ান কে ছেলেটার
আত্মা মেয়েটাকে বলে প্রতি জন্মদিনে আমার
গোলাপ ফুল কই ১০ বছর পর ,,,,,,
মেয়েটা বিয়ে করে তার একপুত্র সন্তান হয়
মেয়েটার সন্তানের নাম রাখল রিয়ান হারিয়ে যাওয়া
ভালবাসার নাম। প্রতি মাসে এপ্রিলের ১২ তারিখ
রিয়ানের জন্মদিন মেয়েটা তার কবরে এসে ফুল
দিয়ে যায় এটা দেখে তার সন্তান জিজ্ঞাসা করল
সন্তান - মা তিনি কে প্রতি মাসের এপ্রিলে ১২ তারিখ
দেখি কবরে ফুল দাও
মেয়ে- সে হল এক অমর প্রেমিক।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com