গল্পঃ অজানা স্পর্শ । পর্ব - ১১
রাত ১১ টা আমি তখন ও ঘুমাই নাই, চোখ বন্ধ করে ভাবতেছি কই ভাইয়া তো তেমন
রিয়াকশন দেখালো না, তাহলে কি ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না, আমি কি একাই ভালোবাসি,
তাহলে এসব এর মানে কি, রিয়া যে বললো ভালোবাসে, উফ আর ভালো লাগে না,
এসব ভাবতে ভাবতে মাথা ব্যাথা উঠে গেল আমার, কি করে যে ভাইয়ার মনের কথা বের করবো,
জানি না আর পাড়ব না এসব ভাবতে, ঘুমাই এখন,
মাথা হেং হয়ে আছে, রাগে শরীর কাপতিছে, আমার সাথে পাগলামি করে আর মানুষ
এর সাথে ফোনে কথা বলে, রুমে না থেকে ছাদে চলে আসলাম, ছাঁদে এসে আকাশ
এর সাথে কাথা বলতে বলতে ১২ টা বেজে গেছে তাই রুমে আসলাম, রুমে এসে ফারিহার কথা
মনে হলো, তাই দেরি না করে বেলকনি দিয়ে ওর রুমে গেলাম, গিয়ে দেখি শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে,
মন চাচ্ছে গলা টিপে মারি,
তারপর অনেক ক্ষন এসব ভাবনার পর মনে হলো হাত ধরছিল ছেলেটা তাহলে হাত টা
কেটে দিলে কেমন হয়, হাহাহাহা তোর হাত ধরার অধিকার শুধু আমার, ওর মুখে ক্লো ফ্রম
মারলাম নয়তো চিল্লাবে, তারপর ব্লেট দিয়ে ওর হাতে কয়টা দাগ করলাম, খুব সখ হাত ধরার
এবার ধর, তার পর নিজেই বেন্ডিস করে দিলাম, ওর পড়ার টেবিল থেকে খাতা নিয়ে একটা
চিঠি লিখলাম, লিখে নিজের রুমে গেলাম,
সকালেঃ
আমিঃ ঘুম থেকে উঠে দেখি হাত দিয়ে চোখ কচলাতে গিয়ে হাতে ব্যাথা অনুভব করলাম,
হাল্কা মুখ দিয়ে আহ শব্দ বের হয়ে আসলো, তারপর হাতের দিকে তাকাই দেখি হাতে বেন্ডেজ,
কিছুটা ভয় লাগলো পরে বালিশ এর কাছে একটা চিরকুট দেখতে পেলাম
হাতে নিয়ে খুলে পড়তে শুরু করলাম।
প্রিয় বউ,
হ্যা তোকে বউ বলেই ডাকবো, তুই তো আমার বোকা বউ, কিছু বুঝিস না, তোর বাচ্চামি গুলো বাদ দিস,
মানুষ কে বোঝার চেষ্টা করিস বুঝলি, তোর সাহস হয় কি করে, আমি ছাড়া অন্য কারো হাত
ধরে ঘোড়ার, হাসি তামাশা করে কথা বলাড, তুই আমার বুঝলি, কেও তোকে স্পর্শ করবে কেন
সেটা আমি সহ্য করতে পারবো হা, এরপর যেন এমন ভুল করিস না, না হলে আজকে
তো কম কাটছি তোর হাত এর পর পুরু হাত কেটে দিব,
ইতি
তোর সাইকো আগন্তুক
আমি চিঠিটা পড়ে মুচকি হাসলাম আমার বুঝতে বাকি রইলো না আসলে এই আগন্তুক টা কে, এই আগন্তুক হচ্ছে ভাইয়া, কিন্তু এর আগে এমন শরীর এ হাত দেওয়া এতো কেমন ব্যাবহার, ভাইয়া চায়টা কি, আজ কে রাতেই শুনবো, আর বেশি দেরি করা যাবে না, কলেজ এ আজ অনুষ্ঠান যাই রেডি হয় সময় নাই, আজ আর খাওয়া হবে না আমার, এই হাত কাওকে দেখানো ও যাবে না, এরপর নিচে নেমে শুনি ভাইয়া চলে গেছে, আমাক খাইতে বললো আমি আর খেলাম না তবে দেখলাম ভাইয়া আমার দিকে কেমন করে তাকাই আছে আমি কিছু না বলে চলে আসলাম, রিয়ার বাসায় গেলাম, ওকে সাথে করে নিয়ে আমি কলেজ আসলাম, ও আর আমি সেম গ্রাউন পরছি, ওরটা নিল কালার, আমার টা সাদা, সাদা কালার টা বড্ড ভালো লাগে আমার,
কলেজ এ এসে ও ভাইয়ার সাথে দেখা হলো না আমার কই যে গেছে কে জানে, হয়ত অনুষ্ঠানে ব্যাস্হ আছে, অনুষ্ঠান শেষে বসে আছি মাঠে যে একটু আড্ডা দিব তারপর বাসায় যাব, তখন একটা ছেলে আসলো, এসেই বলতে লাগলো,
রবিঃ হেই মিস তোমার নাম কি,
আমিঃ ফারিহা, কেন
রবিঃ মিস ফারিহা তোমাকে কিছু বলতে চাই,
আমিঃ হা বলেন কি বলবেন (বিরক্ত হয়ে)
রবিঃ অন্য কোথাও চলো এখানে না,
রিয়াঃ এখানে বললে বলেন নয়তো ভাগেন,
রবিঃ আসলে তোমাকে প্রথম দেখাই ভালো লাগছে,
ফারহান ভাইয়াঃ হা লাগতেই পারে তো কি হয়ছে, ওর জামাই জানলে তোমারে বাঁইচা রাখবো না বুঝছো, (রেগে)
রিদয়ঃ কই ওর তো বিয়ে,
ফারহান ভাইয়াঃ তোমাক কথা বলতে বলি নাই, ফারিহা যা এখন বাসায় যা, রাতে কথা হবে তোর সাথে,
এরপর আমি আকাশ আর রিয়া কলেজ থেকে বাহিরে আসলাম, আর দেখলাম ফারহান ভাইয়া রবি কে কি জানি বললো, হঠাৎ রিদয় বলে উঠলো,
রিদয়ঃ কিরে ফারহান স্যার তো জেলাসি,
রিয়াঃ হবে না নাকি ভালোবাসে যে এই বোকা ফারিহা কে(হিহিহি)
আমিঃ বাল বাসে,(রাতের সব খুলে বললাম)
রিয়াঃ কি আগন্তুক ফারহান ভাইয়া (অবাক হয়ে)
আমিঃ হুম
রিয়াঃ তাহলে তো হলই, যে ফারহান ভাইয়া তোকে ভালোবাসে, আজ কেই শুনিস সব,
আমিঃ হুম
ঐদিক এঃ
আকাশঃ কিরে ফারহান কি ভাবিস এতো,
ফারহান ভাইয়াঃ ভাবতেছি তো,
আকাশঃ কি সেটা বল(রেগে)
ফারহান ভাইয়াঃ আমি তো সব দিক দিয়ে পার্ফেক্ট তাহলে ফারিহার আম্মু-আব্বু রাজি হয়না কেন বিয়ে তে,
আকাশঃ আচ্ছা তুই তো বলছিলিস তো কি বলছে সেটা বল তো আমাক,
ফ্লাসব্যাকঃ
ফারহান ভাইয়াঃ বড় বাবা আসবো,
ফারিহার আম্মুঃ হুম আয়,
ফারহান ভাইয়াঃ কিছু কথা বলতে চাই তোমাদের,
ফারিহার আব্বুঃ হুম বল
ফারহান ভাইয়াঃ সবার সামনে বলতে চাই,
ফারিহার আম্মুঃ আচ্ছা সবাইকে ডেকে আন,
ফারহান ভাইয়াঃ ফারিহা বাদে,
ফারিহার আব্বুঃ আচ্ছা
এরপর সবাই আসলো রুমে ফারিহা বাদে তখন ফারিহা ঘুমাই পড়ছিল, এরপর সবাই বলতে লাগলো কি হয়ছে বল, তখন ফারহান ভাইয়া বলতে লাগলো,
ফারহান ভাইয়াঃ বড় বাবা আমি ফারিহা কে বিয়ে করতে চাই, তোমাদের আপত্তি না থাকলে,
ফারহান এর আব্বুঃ এটা তো ভালো কথা,
ফারিহার আব্বুঃ না এটা হবে না,
ফারিহার আম্মুঃ যা বলছিস এটাই অনেক ফারহান আমাদের ফারিহার থেকে দূরে থাক আজ থেকে, আর একটা কথা শুনবো না এখন সবাই রুম থেকে বের হও,
ফারহান ভাইয়াঃ কিন্তু
ফারিহার ভাইয়াঃ কোনো কিন্তু না যাও
বর্তমানঃ
আকাশঃ তো শুনিস নাই কেন বিয়ে দিবে না,
ফারহান ভাইয়াঃ না আর শুনা হয়নি,
আকাশঃ এক কাজ কর শোন কারন সব দিকে দিয়ে তুই ভালো তাহলে রাজি হবে না কেন,
ফারহান ভাইয়াঃ হ্যা আজ শুনবো, সব জানতে হবে আমাক মনে হয় বড় কোনো কারন আছে,
আকাশঃ চিন্তা করিস না যা বাসায় যা এখন।
ফারহান ভাইয়াঃ হুম বাই
এদিকে এখন রাত ১১ টা বাজে শরীর খারাপ লাগতিছে তাই তারাতারি খেয়ে আমি ঘুমাই পরলাম,
অন্যদিকে ফারহান ভাইয়া বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে,
নিজের রুমে কিছুক্ষণ পায়চারি করলো, আর ভাবতিছে কি হবে আজকে,
ওকে সব জানতে হবে সব, এরপর বর বাবার রুমে গেল তারপর যা শুনলো
আকাশ এর মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিল.
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com