Breaking News

ঘুরতে গিয়ে প্রেম । পর্ব -০৭



আমি ফোন ধরলাম,কি আজ আবার ভুল করে ফোন দিয়েছেন..?

জেরিন --আমি কি আপনার কাছে ফোন দিতে পারি না।
আমি --সেটা পারেন।
জেরিন --তা আপনি কেমন আছেন..?
আমি -- আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি..?
জেরিন --জি আমি ও ভালো আছি। আমার মনে হচ্ছে আপনি এখন পড়ছেন..?
আমি --না, আমি মাত্র শুয়ে পড়লাম। আচ্ছা আপনি কিসের পড়েন..?
জেরিন --আমি টেনে পড়ি, আপনি কিসে পড়েন..?
আমি --আমিও।
জেরিন --তাহলে আমরা দুজনে সমবয়সী।
আমি --হুম।এর পর আমি আর জেরিন কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন স্কুলে এসে বসলাম।
বেস্টি--কি রে তোর রাতে ব্যস্ত থাকে কেন..?
আমি --কথা বলছিলাম তাই ব্যস্ত ছিলো।
নিশান --কি রে গার্লফ্রেন্ড জুটেছে নাকি..?
আমি --এমা আমার গার্লফ্রেন্ড হতে যাবে কেন,এটা রং নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল।
আমার গার্লফ্রেন্ড তো আনিকা..
আনিকা --দেখেন আমি আপনার মোটেও গার্লফ্রেন্ড নয়। আপনার জন্য আমার কোনো শান্তি নেই..
আমি --আমি কি তোমার শান্তি কেড়ে নিয়েছি।
আনিকা --আপনার জন্য ক্লাসমেটরা সবাই আমাকে ভাবি বলে ডাকে।
আমি --হি হি,
আনিকা --একদম হাসবেন না।
আফরিন --ভাবি..
আনিকা --উফ সবাই আমার পিছনে লেগেছে।
আমি --এই এই চুপ কর স্যার আসছে। এই ভাবে কেটে গেল কয়েক মাস।
এসএসসি পরীক্ষা চলে এল। আমি আনিকা কে কিছুতেই রাজি করাতে পারলাম না।
আর রাতে জেরিন সাথে ভালোই কথা হয়। বিদায়ের অনুষ্ঠানে দিন আমি পাঞ্জাবী পরে এলাম..
আবির --কিরে তুই হঠাৎ পাঞ্জাবী পরে আসছিলি কেন..?
আমি --এমনি,
মামুন --আনিকা কে দেখলাম শাড়ি পরে এসেছে।
আমি --ওহ তাই না কি..! তাহলে তো আনিকার কাছে যেতে হয়।
সাগর --ভাবি কাছে গিয়ে একটু ঘুরে আয়। আমি আনিকা কে খুঁজতে খুঁজতে একটা রুমে পেলাম।
আমি --তুমি এখানে কি করছো..?
আনিকা --আমি আমার চাচাতো বোনের সাথে কথা বলতে এসেছিলাম।একি আপনি আমার সাথে মিল রেখে পাঞ্জাবি পরে আসছেন।
আমি --তোমার কোনো সমস্যা আছে নাকি..?
আনিকা --সবাই আমাকে আপনার জন্য ভাবি বলে ডাকে এখন দেখে আপনি পাঞ্জাবী আর আমি শাড়ি পরে এসেছি তাহলে সবাই শিওর হবে।
আমি --ভাবি ডাকা সত্যি করে দেওয়া যায় না..?
আনিকা --না যাই না। আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
আমি --সত্যি.. আনিকা মুখ ভেংচি কেটে চলে গেল।উফ মেয়েটা হ্যা বা না কিছু না চলে গেল। এরপর বিদায় অনুষ্ঠান শুরু হলো।
আলামিন --দেখ মেয়েরা কাঁদছে কেমন করে মনে হচ্ছে শ্বশুর বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
আমি --তা ঠিক বলছিস,এই নানি একটু মুখ বন্ধ কর। এখন এতো কাঁদলে বিয়ের সময় আর কাঁদবি কি..?
নানি --উফ তুই না..!
আমি --কি আমি হি হি..
নানি --আমি কিন্তু নাতনি দিবো না।
আমি --আচ্ছা থাক আমি কিছু বলবো না,
নানি --এই তো ভালো ছেলের মত কথা। অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে ছবি তুললাম। আমি আনিকার কাছে এলাম..
আনিকা --আমি আপনার সাথে ছবি তুলতে পারবোনা।
বেস্টি--ভাবি ভাইয়ের সাথে একটা ছবি তুলেন না.!
কাজল --আপনি না আমাদের ভাবি..
স্বর্ণা--তুমি না আমার বউমা ছেলের সাথে একটা ছবি তুলে কিছু হবে না।
আনিকা --তোরাই ওনার দিকে আমার দিকে না। আসুন..
আমি --ওকে বাবুনী.. আমি আনিকার সাথে কয়েকটা ছবি তুললাম।
অনুষ্ঠান শেষে যার যার বাড়িতে ফিরে চলে এলাম। রাতে জেরিন ফোন দিলো..
জেরিন --এই কি করো.?
আমি --এই তো বই পড়ছি, তুমি বই পড়ছো না..?
জেরিন --হুম,আজ আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল..?
আমি --আমাদের ও
জেরিন --শুনো আমাদের পরীক্ষার সময় তোমার সাথে কথা হবে না।
আমি --ওহ আচ্ছা।
জেরিন --আপনার জিএফ কেমন আছে..?
আমি --আমার কোনো জিএফ নেই কিন্তু একটা মেয়ে সাথে ট্রাই করছি কিন্তু পারছি না..
জেরিন --হি হি হি, তোমার দ্বারা কিছুই হবে না।
আমি --সেটা ঠিক। আমি আরও কিছু সময় কথা বলে ফোন কেটে দিলাম।
পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরেরদিন সকালে বই পড়ছি তখন কয়েকটা হারামি গুলো হাজির হলো।
সাগর--দে না আমাদের কিছু সাজেশন..?
আমি--সাজেশন পুরো বই।
মিঠুন--না তুই একটুও সাজেশন দে আমরা পড়বো।
আমি --উফ কি জ্বালা, আচ্ছা আমি কিছু দাগিয়ে দিচ্ছি সেই গুলো পড়তে থাক।
আলামিন --তাই দে। আমি ওদের কে কিছু কিছু করে দাগিয়ে দিলাম।ওরা আমার সাথে পড়তে শুরু করলো। বিকেলে দিকে একটুও ঘুরতে বের হলাম।
মামুন --আমরা কিন্তু রাতে পড়তে আসছি।
আমি --আচ্ছা আসিস, তবে সবাই আস্তে আস্তে পড়িস।
আলামিন --ঠিক আছে।
আমি --চল চা খাই, এরপর আমরা চা খেতে বসে পড়লাম।চা খাওয়া শেষ করে বাড়িতে চলে এলাম।
এরপর পড়তে শুরু করলাম। রাতে পড়া শেষ করে আমি মিঠুন প্রান্ত আর সাগর এক বেডে শুয়ে পড়লাম। আলামিন আর মামুন বাড়িতে চলে গেল।
সাগর --আস্তে আস্তে নড়াচড়া কর।
আমি --তোদের জন্য আমার বেড ভেঙে না পরলে হয়।
জেএসসি পরীক্ষার সময় তোরা আমার বেডের নাট বল্টু ঢিলা করে দিয়ে গিয়েছিলি।
রাতে কেউ আবার শিয়ালের ভয়ে বের হোস না জালানা দিয়ে কাজ শারিস।
সাগর --এদের জন্য আর শান্তি নেই।
আমি --তুই চুপ থাক মোষের মতো ঘুমাস। তোদের জন্য আমি নিজেই ঘুমাতে পারি না।
তিনজন মিলে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরিস।
এরপর ঘুমিয়ে পড়লাম পরেরদিন পরীক্ষা দিতে এলাম।আনিকা আমাকে সাহায্য করো..
আনিকা --বউ কে বলেন..?
আমি --তাকেই তো বললাম..
আনিকা --বদমাইশ একটা।
.
লামিয়া --তোর কি কোনো কাজ নেই পরীক্ষার হলে এসেও ওর সাথে ফাজলামি করছিস।
আমি --হি হি.. এরপর পরীক্ষা শুরু হলো।
এভাবে এক এক পরীক্ষা শেষ হলো।ব্যবহারিক পরীক্ষার শেষের দিনে আমরা ঘুরতে বের হলাম।
নিশান --দেখ তোরা দুজনে আবার যেনো ঝগড়া করিস না।
আমি --ঠিক আছে।
লাবুনি--আনিকা এখন জ্বালাতন করবি না,এক কাজ কর..
আমি --কি কাজ..
আফরিন --ভাবি কে নিয়ে একটুও সামনে থেকে ঘুরে আয়।
আনিকা --উফ অসহ্য সবাই আমাকে ভাবি বলছে এটা শুধু আপনার জন্য হয়েছে।
আব্বু যেদিন জানতে পারবে সেদিন আপনাকে আর আমাকে গাছে ঝুলিয়ে রাখবে।
আমি --তা না হয় রাখলো।
কাজল --তোরা কথা বাদ দিয়ে সামনে নৌকা আছে চল নৌকায় উঠি।
এরপর আমরা নৌকায় উঠে বসলাম কিন্তু কি এখানে আমি ছাড়া কেউ নৌকায় বাইতে পারে না।
আমি বাইতে শুরু করলাম..
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com