জুনিয়র হাজবেন্ড । পর্ব - ০৬
রাহাত: কে বলছেন,,,,,,
মেয়েটা: আমি মিথিলা,,,,,,,,
রাহাত ফোনটা কান থেকে সরিয়ে নেয়,,,,,,
ও ভাবতে পারতেছে না কি হচ্ছে এসব,,,, ওর বিশ্বাস হচ্ছে না ,,, মিথিলা ফোন দিছে,,,,,,
রাহাত ফোনটা আবার কানে নেয়,,,,
কিন্তু ওপাশ থেকে আর কোন আওয়াজ আসে না,,,,,
হঠাৎই ফোনটা কেটে যায়,,,,,
তারপর রাহাদ অনেকবার চেষ্টা করে,,,,, কিন্তু ফোন সুইচড অফ,,,,,
রাহাত গাড়ি থামিয়ে,,,, কিছুক্ষণ বসে থাকে,,,,,
কিছুক্ষণ আগে যা ঘটলো,,,, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না রাহাদের,,,,,
তখনই সৌরভ ফোন দেয়,,,,,,
.
সৌরভ: কইরে তুই,,,, কখন থেকে বসে আছি,,,, আসবিনা নাকি আজ,,,,
রাহাত: আসতেছি রাস্তায় আছি,,,,,
বলেই ফোনটা কেটে দিলো ,,,,,,
রাহাত আবার গাড়ি নিয়ে,,,,, সৌরভের বাড়ির দিকে গেল,,,,,,
সৌরভ: এতো দেরী করলি কেন,,,, রাস্তা জ্যাম ছিল নাকি,,,
রাহাত: নাহ,,,, এমনি (অন্যমনস্ক হয়ে বলল)
সৌরভ: কি হয়েছে রে,,, ওরকম দেখাচ্ছে কেন তোকে,,,,,,
রাহাদ: নাহ কই না,,,, চল তো দেরি হয়ে গেছে এমনি,,,,,,
সৌরভ: ওকে চল,,,,,
রাহাত ই গাড়ি চালাচ্ছিলো,,,,,,
কিন্তু রাস্তায়,,, দুইজন ই নিরব,,,, রাহাত কোন কথাই বলতেছে না,,,
বারবার শুধু মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছে,,,,,
সৌরভ: এরকম করছিস কেন,,,, সত্যি করে বলতো কি হয়েছে,,,,,,
রাহাত: কি হবে,,,, বললাম তো কিছু হয়নি,,,,
সৌরভ: শোন মিথ্যা বলবি না,,,, আগে তো এরকম করতি না,,,,, কিছু হয়েছে কি,,,,,
রাহাত: হুম,,,
সৌরভ: কি হয়েছে,,,,,,
রাহাত সৌরভ কে সবকিছু খুলে বলে,,,,,,
.
সৌরভ: কি বলছিস,,,,, মিথিলা তোকে কিভাবে ফোন দিবে,,,,
রাহাত: দিয়েছিলো রে,,,,,আমি কি মিথ্যা বলতেছি নাকি,,,,, এই দেখ নাম্বার,,,,,
সৌরভ: কি বলছে তোকে,,,,,,
রাহাত: কিছুই না,,,, শুধু বললো মিথিলা আমি,,,,,,
সৌরভ : ওহহহ,,,, তুই কিছু বলিস নি,,,,
রাহাত: নারে,,,,, আমি বলার আগে তো ফোনটা কেটে দিলো,,,,
অনেকবার ফোন দিলাম,,,, সুইচড অফ,,,,
সৌরভ: বাদ দে,,,,, মনে হয় কেউ মজা করছে তোর সাথে,,,,,
মিথিলা কোথা থেকে আসবে,,,,,
রাহাত: কি বলছিস এগুলা,,,,, মিথিলা কি ফোন দিতে পারেনা,,, নাকি,,,,,
সৌরভ: যে মেয়ে বাসর রাতে,,,, তার স্বামীকে রেখে পালিয়ে যায়,,,,
সে মেয়ে কিভাবে আবার ফোন দেয়,,,,,,
রাহাত: সেটা তোকে বুঝতে হবে না,,,, মিথিলার বিষয়ে তুই নাক গলাবি না,,,,,,
ওর বিষয়ে শুধু আমি কথা বলবো,,,,,
সৌরভ: ওকে,,,, তোর যা মন চায় তাই কর,,,,,
রাহাত: হুম,,,,,
.
আরো সাত দিন কেটে গেল,,,,
এই সাতদিনে,,,, কেয়ার সাথে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে রাহাতের,,,,,
এখন আর দেখা হলেই ঝগড়া হয় না ওদের মধ্যে,,,,,
কেয়া কাজে ও অনেক পারদর্শী,,,,, সেটাই রাহাদকে আরো বেশি মুগ্ধ করেছে,,,,,
এই সাতদিনে,,,, আর একবার ও ফোন আসেনি সেই নাম্বার থেকে,,,,,,
রাহাত যে কতবার ফোন দিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই,,,, কিন্তু সুইচড অফ,,,,
নতুন প্রজেক্ট এর জন্য,,,,, আজকে একটা জরুরী মিটিং আছে রাহাতের,,,,,,,,
তাই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ে অফিসে,,,,,,
কেয়া সৌরভ রা আগেই এসেছে,,,,,,,
প্রজেক্টটা খুব ইম্পর্টেন্ট ,,,প্রজেক্টা যদি রাহাতের কোম্পানি পায়,,,,
তাহলে অনেক কোটি টাকা লাভ হবে,,,,, তাই সবারই গুরুত্ব টা একটু বেশি,,,,
কিছুক্ষণের মধ্যে,,, রাহাদ পৌঁছে যায় অফিসে,,,,,,,,
সোজা রুমে চলে যায়,,,,, অনেক কাগজপত্র রেডি করা বাকি আছে,,,,,
একটু পর,,,, কেয়া আর সৌরভ যায়,,,,
রাহাত: কাগজপত্র সব রেডি করছিস কি,,,,,
সৌরভ: হুম সব রেডি,,,,,,
রাহাত: হুম ভালো,,,, তোমার কি অবস্থা কেয়া,,,,,,
সবকিছু রেডি করছো তো,,,,
কেয়া: হুম স্যার,,,,,,
.
সৌরভ: কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা কিন্তু চলে আসবে,,,,,,
ফোন দিয়েছিল,,,,
রাহাত: ওকে তোরা বাহিরে যা ,, আমি আসতেছি একটু পরে,,,,,
কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা এসে গেছে,,,,,
আর মিটিং শুরু হয়েছে,,,,,
সবশেষে ওরা রাজি হয়েছে প্রজেক্টা সাইন করতে,,,,,,
তারমানে ডিল ফাইনাল,,,,,
অফিসের সবাই অনেক খুশি,,,, এত বড় প্রজেক্ট হাতে পেয়েছে,,,,,
প্রেজেন্টেশন টা কেয়া দিয়েছে,,,,
আর ওর প্রেজেন্টেশনটা অনেক পছন্দ হয়েছে ওদের,,,,,,
সবাই তো কেয়াকে উইস করতেছে,,,,,,,
রাহাত তো খুব খুশি হয়েছে,,,,,,
রাহাত: থ্যাংকস,,,,, অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে,,,,,
তোমার জন্যই আজকে প্রজেক্টটা পেলাম
কেয়া: ইটস ওকে স্যার,,,, এ অফিস তো আমাদেরই,,,,,,,
সবার প্রচেষ্টায় তো আমরা সফল হয়েছি,,,,,, ধন্যবাদ তো সবারই পাওয়া উচিৎ,,,,,,
রাহাত: হুম,,,, ঠিক বলছো,,,, একটা কথা বলি,,,,
কেয়া: হুম বলেন,,,,,,
রাহাত: আমরা কি,,,, কোথাও গিয়ে একটা কফি খেতে পারি,,,,,,
কেয়া: হুম,,,, চলেন,,,, কোথায় যাবেন,,,,,
রাহাত: এখন না সন্ধ্যায় যাবো,,,,,,
আজকে অফিস আপাতত এখানেই বন্ধ,,,,,,
যে যার মত বাড়িতে চলে গেল,,,,
রাহাত ও বাড়িতে গেল,,,,
.
কিন্তু কেয়া বাড়িতে গেলো না,,,,
ও সৌরভের সাথে এক জায়গায় ঘুরতে গেল,,,,,,
রাহাতকে না জানিয়েই,,,,,,
রাহাত বাড়িতে গিয়ে দেখলো,,,,, অনেক লোকজন আসছে,,, কেন আসছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না,,,,,
রাহাদ ভেতরে যেতেই ওর মা এগিয়ে আসলো,,,,,,
রাহাত: কি হচ্ছে মা এসব,,,, এত লোকজন কেন,,,,,
রাহাতের মা: তোকে দেখতে আসছে,,,,মেয়ে অনেক সুন্দর,,,,,
বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছে,,,,,
তোকে ওদের পছন্দ হয়েছে,,, এখন তুই শুধু হ্যাঁ বলার পালা,,,,,
রাহাত: কতবার বললাম মা তোমাকে,,,, আমি বিয়ে করবো না এখন,,,,,
তাও থামতেছো না,,,, কিভাবে বললে শুনবে,,,,
ওদেরকে এখনই যেতে বল,,,,
না হলে কিন্তু আমি গিয়ে তাড়িয়ে দিবো,,,,,,
রাহাতের মা: হুম তাই কর,,,, আমরা মরে যাই,,, তারপর বিয়ে করিস,,,,
আমাদের দিকে তো দেখবি না একটুও,,,,,, সব সময় শুধু স্বার্থপরের মত নিজের কথা ভাবিস,,,, বলবো না আর কোনদিন,,,,,, থাক তোর মত
কথাগুলো বলে রাহাতের মা চলে যেতে লাগলো,,,,,,,
রাহাত: ওদেরকে থাকতে বলো আমি ফ্রেশ হয়ে আসি,,,,,,
রাহাদের মা: সত্যি এই বিয়েতে রাজি তুই,,,,,
রাহাত: জ্বি না,,, আগে পছন্দ হোক,,,, তারপরে,,,,
রাহাতের মা: পছন্দ হবেই,,,,, মেয়েটা অনেক সুন্দর,,,,,, পরীর মত দেখতে,,,, তোর সাথে খুব মানাবে,,,,
রাহাদ উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো,,,,,,,
বিষয়টা আজব লাগছে ওর কাছে,,,, ছেলেরা যায় মেয়ে দেখতে,,,,,
আর মেয়ের বাড়ি আসছি ছেলেকে দেখতে
.
রাহাত সবাইকে সালাম দিয়ে বসে পড়ে,,,,,,,
কিছুক্ষণ কথা বলে ওদের সাথে,,,,,
মেয়েটার নাম,,, নিঝুম,,,,,, দেখতে মাশাল্লাহ সত্যি অনেক সুন্দর,,,,,,,
রাহাত:যদি কিছু না মনে করেন,,, আমি কি আলাদা ভাবে নিঝুমের সাথে কথা বলতে পারি,,,,,,,
মেয়ের মা: হুম,,, কেন পারবে না,,,,,, দুদিন পর তো একসাথে থাকবে,,, যাও(নিঝুম কে ইশারা করে বললো)
নিঝুমকে সাথে করে,,,, রুমে নিয়ে যায় রাহাত,,,,,
রুমে গিয়ে রাহাত দরজা লাগিয়ে দেয়,,,,
সেটা দেখে নিঝুম ভয় পেয়ে যায় অনেক,
নিঝুম: কি করতেছেন,,,, দরজা কেন লাগাচ্ছেন,,,,,,
রাহাত মুচকি হেসে বলে,,,,
রাহাত: কেন লাগাচ্ছি বোঝেন না
নিঝুম: আরে আজব তো,,,, আমি কিন্তু চিৎকার দেবো,,,,, বলে দিচ্ছি,,,,
.
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com