Breaking News

ধর্ষিতা যখন বউ । পর্ব -০২



মুক্তার যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন খেয়াল করে দেখে শুভর এক হাত তার তলপেটে আর মুক্তার উপুর হয়ে এক পা শুভর শরীরে রাখা।মুক্তার তখন কেমন যেনো অদ্ভুত ভালো লাগছিলো,

মুক্তা তখন শুভর হাতে হাত ধরে হাতটা তার তল পেট থেকে নামিয়ে দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে।
মুক্তা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে নাস্তা রেডি করে আয়নার সামনে বসে বসে সাজছে। শুভর তখন ঘুম ভাঙ্গে।
শুভ তখন চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে যেনো একটা পরী তার রুমের আয়নার সামনে বসে আছে। এভাবে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরে,
-এভাবে কি দেখছেন?(মুক্তা)
-নাহ কিছু না
-হুমম এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে আসুন।
শুভ তখন বিছানা ছেড়ে নাস্তা করে তার কাজে যায়।
রাতের দিকে শুভ আসার পরে ....
-খাবার খেয়ে শুয়ে পরেন(মুক্তা)
-একটু পরে খাবো,আপনি খাইছেন?
-নাহ
.
-কেনো?
-আপনার জন্য অপেক্ষা করতেছি
-খেয়ে নিন
-আগে আপনাকে খাওয়াবো তারপরে আমি খাবো।
শুভ তখন মুক্তাকে সাথে করে নিয়ে টেবিলে বসে দুজনে খাওয়া-দাওয়া করার পরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে যায়।
শুভ মাঝরাতে সজাগ হওয়ার পরে দেখে মুক্তাকে সে কোল বালিশের মতো জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। শুভ তখন সাথে সাথে নিজকে ছাড়িয়ে নেয়।
শুভ তখন মুক্তাকে খেয়াল করে দেখে সে অঘোরে ঘুমাচ্ছে।
ঘুমের মধ্যে কাউকে এত সুন্দর লাগে সে জানতো না।
শুভ এসব ভেবে অপর পাশ হয়ে শুয়ে পরে।
প্রতিদিনের মতো নাস্তা রেডি করার পরে মুক্তা শুভকে ডেকে ঘুম থেকে উঠায়।
শুভ নাস্তা করে সে তার কাজের উদ্দেশ্যে বেড় হয়ে যায়।
রাতে ১২.৩০ বেজে গেছে শুভ এখনো আসছে না,মুক্তার খুব ভয় আর চিন্তা হচ্ছে।
রাত ১ টার সময় দরজায় নক করার পরে মুক্তা দৌড়ে এসে দরজা খুলে দেখে শুভ হাতে ব্যান্ডেজ করা।
-হাতে কি হয়ছে?(মুক্তা)
-কেটে গেছে
-কিভাবে?
-গাড়ির ধাক্কা লাগছিলো
-সাবধানে থাকতে পারেন না?
-সাবধানেই ছিলাম
.
-সাবধানে থাকলে এসব কিভাবে হলো
-গাড়ির ড্রাইভারের চোখে হয়ত ঘুম এসে পরছে।
মুক্তা তখন শুভকে দুই হাত দিয়ে ধরে বিছানায় বসায়।বিছানায় বসানোর পরে একটা ভেজা গামছা দিয়ে শুভর সারা শরীর মুছে দিচ্ছে।শুভর কাছে মনে হচ্ছে যেনো এটা তার বউ।
-হয়ছে তো আর মুছতে হবে না
-এখানে বসেন আমি খাবার নিয়ে আসছি
-খেতে মন চাইছে না
-না খেলে ঔষধ কিভাবে খাবেন?
-শুভ চুপ হয়ে থাকে।
মুক্তা তখন প্লেটে সবকিছু নিয়ে এসে নিজের হাতে মেখে শুভকে খাইয়ে দিচ্ছে।
শুভ প্রথম না করছিলো কিন্তু এখন মনে চাইছে শুধু আজকের জন্য না সারাজীবনের জন্য মুক্তার হাতে খেতে।
শুভকে খাইয়ে দেওয়ার পরে মুক্তা ও খেয়ে শুভকে সাথে করে নিয়ে শুয়ে পরে।
এভাবে কয়েকদিন চলার পরে একদিন শুভ মুক্তাকে বলে...
- আমার সাথে এক জায়গায় যেতে পারবেন?(শুভ)
-কোথায়?
-একটা বিয়ের অনুষ্টানে
-আমি যাবো কেনো?
-ওরা বলছিলো যেনো তোমাকে নিয়ে যায়।
-আমি যে আপনার সাথে থাকি এটা কি ওরা সবাই জানে?
-হ্যা
-মুক্তা তখন শুভর দিকে রাগি চোখে তাকায়
-কি হয়ছে?
-কিছু না বলে মুক্তা রান্না ঘরের দিকে যেতে থাকে এমন সময় শুভ একটু জোরে বলে কালকে দুপুরের দিকে সময়মত রেডি হয়ে নিয়েন বলে শুভ কাজে চলে যায়।
দুপুরের দিকে শুভ বাসায় এসে দেখে মুক্তা শাড়ি পরে সেজে বসে আছে।
নীল শাড়িতে মুক্তাকে একদম অপ্সরীর মতো লাগছিলো।
-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?
-না এমনি
-ওহহ
-ওখানে গিয়ে আমাকে তুমি করে বলতে হবে
-কেনো?
.
-তুমি করে বলবা
-আচ্ছা।
বিয়েতে যাওয়ার পরে
শুভর ফ্রেন্ড এসে
-ভাবি কেমন আছেন?
মুক্তাকে ভাবি বলে ডাকার পরে মুক্তা শুভর দিকে তাকায়।
শুভ তখন অন্যদিকে চেয়ে থাকে
-হ্যা ভালো, আপনি কেমন আছেন?
-হ্যা ভালো।
শুভর বন্ধু শুভ আর মুক্তাকে একটা রুমে নিয়ে যায়।রুমে নিয়ে যাওয়ার পরে...
-শুভ ভাবিরে নিয়ে এখানে বসে গল্প কর, বলে শুভর বন্ধু শুভ আর মুক্তাকে রুমে রেখে চলে যায়।।
-এই আমি আপনার কি হয়?
-শুভ তখন চুপ হয়ে আছে।
-কথা বলেননা কেনো?
-কি বলবো?
-আমার পরিচয় ওদের কাছে কি বলছেন?
-এখন চুপ করো প্লিজ
-না না আগে বলেন
-বাসায় গিয়ে বলবো
-না এখন বলতে হবে না হলে আমি কিছু খাবো না বলে ঠোট বাকিয়ে অন্য দিকে চেয়ে থাকে
-ওরা জানে তুমি আমার............
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com