Breaking News

ম্যাম যখন বউ । পর্ব -৪



ম্যাম আপনার এই কথা শুনে মনে হলো আপনি পটে গেছেন।
আরে না,পটা কি এতো সহজ নাকি?
আচ্ছা। আসল কাজটাই তো হলো না।
ম্যাম আপনার নাম্বারটা দেন।
আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি। তোমার ফোনটা দাও আমি নাম্বার তুলে দেই।
এই নেন ম্যাম,আমার ফোন।
নাম্বার তুলে দিয়েছি আর হ্যাঁ যখন তখন ফোন দিবে না।
তো ম্যাম কখন ফোন দেওয়া যাবে আপনাকে?
সকাল (১০-১.০০)টা বিকালে আর সন্ধার পরে।
ওকে ম্যাম, ধন্যবাদ।
আচ্ছা আজকের মতো বাই।
ম্যাম আরেকটা কথা ছিল।
আবার কী কথা? আজকে না বললে হয় না?
হয় তবে আজকে শুনলে ভালো হতো।
ওকে বলো, দেখি।
আরে ম্যাম, দেখা যাবে না তো শুনতে হবে।
ওকে বলো তো শুনি।
ম্যাম যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনার সাথে একটা সেলফি তুলতে চাই।
.
আচ্ছা তুলো।
ম্যাম স্মাইল প্লিজ, স্মাইল এন্ড স্টাইল।
ক্লিক ক্লিক-ক্লিক...
ম্যাম দেখুনতো ছবিগুলো কি সুন্দর হয়েছে। দুজনকে দারুন মানিয়েছে।
সুন্দর হয়নিতো আরেকটুও মানায়নি।
হাহা ম্যাম, এটা আপনার মনের কথা না। মুখের যাই বলুন আমি আপনার মনের কথা বুঝেছি।
যাইহোক ম্যাম আমাকে একটা ভেংচি কেটে চলে গেল।
রিক্সায় উঠল। ম্যামের ভেংচি যে আমার অন্তরে শিহরণ জাগিয়ে দিল, তোলপাড় শুরু হল প্রতি শিরায়-উপশিরায়। এই এক ভেংচি যে আমার ঘুম না হওয়ার কারণ হবে তা বুঝার বাকি রইলোনা।
ম্যামের নাম্বারে কল দিলাম। প্রথমবার কল কেটে দিলো। আবার দিলাম এবার রিসিভ করলো।
.
কী হল ফোন দিলে কেন?
আপনাকে বাই বলার জন্য। আপনি তো আমাকে বাই বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলেন।
ঠিক আছে, এবার বায় বলো।
হ্যাঁ, বলব। তার আগে একটু কথা আছে।
বলো।
কেমন আছেন ম্যাম ওরফে হবু বউ।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
আচ্ছা আজ সারাদিন কেমন কাটলো, বিশেষ করে আমার সাথে কাটানো সময়টা?
হ্যাঁ, ভালোই লাগছে। আর কিছু বলার বা জানার আছে?

কত কথাই তো বললাম আর তাছাড়া অনেক কথাই বলা হয়নি সময়মতো বলবনি।

আজ যেই কথাগুলো বললাম রাতে ঘুমানোর সময় একটু গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।
ভাবার সময় নাই তো।
তাই? তো ম্যাম এত ব্যস্ততা কিসের যে ঘুমের সময়ও আমাকে একটু ভাবার সময় নাই?

তুমি তাহা বুঝিবে না।
না বুঝলাম, বুঝতেও চাইনা। আর হ্যাঁ, এখন থেকে আমাকে একটু সময় দিবেন, আমার কথা ভাববেন।
বললেই হলো?
হবেনা মনে? হতেই হবে।
তো ম্যাম, বাসায় যেয়ে কী করবেন?
যা করার তাই করবো।
সেটাই তো জানতে চেয়েছি কী করবেন?
আরে বাসায় যে তো কত কাজই করতে হবে। কোনটা রেখে কোনটা বলবো?

তাও তো ঠিক। বাসায় যে রান্না করবেন নাকি?
রান্না করতে হবেনা আমার মা রান্না করে রেখেছে।
ও ভালো।
আচ্ছা রাখি, আমি বাসার গেটে চলে এসেছি। বাই।
বাই অন্তরের অন্তঃস্থলের গহীনে অবস্থান করা ডিয়ার ম্যাম।
শুধু কি ম্যামই বলবে আর কিছু বলবে না?
বাই কলিজার ক্রাশ ময়না আপু সাবধানে, আরো সাবধানে এবং অনেক সাবধানে রিক্সা থেকে নামবেন যাতে আপনার শরীরের একটা পশমেরও আঁচর না লাগে। আপনার যদি কিছু হয়ে যায় তবে আমার কী হবে? কাকে নিয়ে বেঁচে থাকবো? কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো?
আরে রাখো তোমার আবেগী কথা রিক্সা থেকে পড়লে কিছু হবে না।
আচ্ছা বাই। ম্যামের থেকে বিদায় নিয়ে বন্ধুদের ফোন দিয়ে একত্র হলাম।
বন্ধু জনি বলে উঠলো, কী খবর বন্ধু ম্যাডামের সাথে তো অনেকক্ষণ কথা বললি। কী কী বললি?
আরে বলবো সবই ধৈর্য ধরে একটু বস না।
ধৈর্য ধরার সময় নেই, বাসায় যেতে হবে।
আচ্ছা বলি শুন...
ম্যামকে আমি আমার মনের সব কথাই বলেছিলাম। 
ম্যাম একটুও রাগ করিনি বরং অনেক মজা পেয়েছে।
তাহলে তোমার এত খুশি হয়ে লাভ নেই ম্যাম তোমার সাথে মজা করেছে।
মজা করুক বা যাই করুক না কেনো, ম্যামকে আমি পটাবই' আর বিয়েও করব।
পারলে করিস আর হ্যাঁ তোর বিয়েতে কিন্তু আমরা ইতিহাস রচনার করব।
কোন সমস্যা নাই, ইতিহাস পাতিহাঁস যা পারিস করিস।
আজকে আমি অনেক খুশি।
এই খুশিতে একটা পার্টি হয়ে যাক কি বলিস আবিদ?
তা তো হওয়াই উচিত।
হওয়া উচিত মানে? হতেই হবে।
.
আচ্ছা হবে।তবে আমাকে পার্টি দেওয়ার জন্য 1000 টাকা ধার দিতে হবে।
আরিফ বলে উঠল, আমরা ধার-টার দিতে পারবোনা। তোর কাছে যে টাকা আছে তা থেকেই পার্টি দিবি আর তোর কাছে যে টাকা আছে আমরা ভালো করেই জানি।
বিশ্বাস কর বন্ধু আমার কাছে টাকা নেই।
এই নেয় মানিব্যাগ চেক করে দেখ।
দে শালা তোর মানিব্যাগ। যদি টাকা পায় তাহলে তোর খবর আছে।
( মনে মনে বলতেছি টাকা তো ঠিকই আছে তোরা যে খুঁজে পাবি না কারণ টাকা রেখেছে কাগজের ভিতরে। ওরা তো আর কাগজের ভিতরটা খুঁজতে যাবে না।)
কিরে তোর মানিব্যাগে এত কাগজ কেনো রে?
রাখছি এমনিই আর কি।
খালি মানিব্যাগ কেমন দেখায় না।
.
টাকা মানিব্যাগে নাই তো কি হইছে বাড়িতে আছে। সেখানকার টাকা দিয়ে ট্রিট দিবি। 
এত কিপ্টামি করিস না।
ওরে আমার শালারা তখন তো আমাকে ম্যামের থেকে পিছাতে বলছো 
আর এখন ট্রিট খেতে চাও এটা কেমন কথা?
আচ্ছা যা হবার তাই হয়ে গেছে। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। তুই ট্রিট দিবি এটাই ফাইনাল।
ঠিক আছে, বিকেলে কলেজ মাঠে আসবি সবাই।
বাসায় আসলাম। মা আমার জন্য খাবার রেডি করে বসে আছে।
কিরে আবিদ, আজ কলেজ থেকে ফিরতে এত দেরী করলি কেন?
মা আজকে একটু কাজ ছিল তাই ফিরতে একটু দেরি হয়ে গেছে।
আচ্ছা, যা গোসল করে খাওয়ার জন্য আয়।সেই কখন থেকে খাবার রেডি করে তোর জন্য অপেক্ষা করতেছি।
হ্যাঁ, যাচ্ছি তবে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা না করে খেয়ে ফেললেই পারতে।
আরে বাবা তোকে ছাড়া আমার একা একা খাবার খেতে ভালো লাগেনা।
গোসল শেষ করে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিলাম।
বিকেলে বন্ধুদের কল দিয়ে কলেজ মাঠে জড়ো হলাম।
বন্ধু আরিফ বলে উঠলো, কিরে আবিদ সেই কথা মনে আছে তো?
কোন কথা যেন? আমার আবার মনে কম থাকে তো।
কানের নিচে ছোট করে একটা বসিয়ে দিব...
আমি ট্রিটের কথা বলছি।
আরে চল তোদের এক্ষুণি ট্রিট দিব, পরে আড্ডা দিবনি।

রাত 9 টা বাজে পড়তে বসেছি।

ধুর পড়ালেখা ভালো লাগে না। ইচ্ছা করছে তাহার সাথে কথা বলি। ভাবছি ফোন দিব কিনা?

ফোন দিলে ম্যাম যদি বিরক্ত বোধ করে।

হঠাৎ দেখি ম্যামের নাম্বার থেকে ফোন আসলো।

আমি তো পুরাই অবাক। মেঘ না চাইতে জল।

ম্যাম আমাকে ফোন করেছে।

ম্যাম ও কি আমাকে মিস করতেছে?

নাকি কোন দরকারে ফোন দিয়েছে?

নাকি ভালোবাসি টু বলার জন্য ফোন দিয়েছে?
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com