পুলিশ বরের রোমান্টিক অত্যাচার । পর্ব -১২

 

তারপর আমি ও ইমা ওদের ভেংচি উল্টো দিকে ফিরে হাসতে হাসতে রুমে চলে যাই,

!

রুমে যেতেই হাসতে হাসতে ইমা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,

!

ভাবি তো হ্যাট্রিক করেছ,

হা হা হা,

জানো এখন কি হবে?

!

কি হবে?

!

তোমার ছেলে তার বাপ কে দোষী করে তারি গলা ধরে কানবে,

হা হা হা,

!

রেয়ালি?

!

ইয়েস ভাবি,

!

আমার না ওদের খুবি দেখতে ইচ্ছে করে ইমা,

!

ওকে আমি এখনি দেখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাবি,

এই নাও ধরো খালি জাগে কিচেন থেকে পানি নিয়ে আসো,

!

ওক্কে সোনা,

হা হা হা,

তারপর আমি খালি জাগ টা নিয়ে কিচেনে চলে যাই,

সেখানে গিয়ে জাগে পানি ভরার সময় আড়চোখে সোয়ামী ছেলে দিকে তাকিয়ে দেখি,

অনাথের মতো বসে আছে তারা,

!

তখনি হঠাৎ করে ছেলের চোখে চোখ পরতেই আমার ছেলে আমাকে দেখে মিষ্টি করে হাসি দেয়,

আর আমি ওকে মুখ ভেংঙিয়ে সোজা জাগ টা নিয়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বাপ ছেলের চেহারা মনে করে হাসতে শুরু করি,

তার তখনি বাহিরে বাপ বেটার আওয়াজ পাই,

!

আর তাই আমি ও ইমা দরজায় কান পেতে থাকি আর তখনি শুনি পাই আমার ছেলে তার বাপ কে বলছে,

!

পাপা তুমি এতু চোরা কেন?

তুমার জন্য মাম আমার তাতে লাগ করতে,

তুমি পতা,

!

আমি সরি বাবা,

তোমার আম্মুর সাথে আমি কথা বলবো সে আর তোমার সাথে রেগে থাকবেনা কেমন?

!

আর তখনি বাহিরে শুনতে পাই,

আমার ছেলে বলছে,

!

চলো আমাল ঘোড়া টিকটিক,

!

আশ্চর্য?

আমার ছেলে এখন আবার ঘোড়া পেল কোই?

তাও আবার এতো রাতে?

!

তাই দরজা খুলে বাহিরে উকি মারি,

উকি মারতেই দেখি,

!

আমার ছেলে তার বাবা কে ঘোড়া বানিয়ে তার পিঠে করে বাড়িময় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ইমার রুমের দিকে আসছে ইভেন শুধু তাই নয়,

আমার ছেলে ওর বাপের কান ধরে টানছে ও বলছে,

!

ওই ঘোড়া ওই এতু আততে তলো তেন?

তাড়াতাড়ি তলো আমি আমাল মামের কাতে যাবো,

!

বাপ বেটার কান্ড দেখে আমি ও ইমা মুখ চেপে হাসতে হাসতে দরজা লাগিয়ে দেই,

!

তার কিছুক্ষণ পরে দরজায় ঠকঠকানির কষ্ট হয়,

তাই আমি গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরি আর ইমা গিয়ে দরজা খোলে,

দরজা খুলতেই আমার ছেলে বলে,

!

ইমাপু আমাল মাম কুই?

!

ঘুমাইছে,

!

আমি ও আমাল মামের কাতে ধুমাইতে আসছি,

!

এসে তো আমাকে উদ্ধার করেছিস ভাই,

এই ভাই এই তোরা জামাকাপড় চেইঞ্জ করে আসিস নি কেন?

!

মামের কাতে আততে দামা পলা লাগে নাকি হুমমম?

!

যতবড় মুখ নয় ততবড় কথা মুখ ভেঙে হাতে ধরিয়ে তোমার,

!

দেখ পাপা আমাকে বকা দেয়,

!

তুই ওকে বকছিস কেন বোন?

আমি ওকে এখনি ভালো জামাকাপড় পরিয়ে আনছি,

!

কিন্তু কে শোনে কার কথা?

আমার ছেলে ওর বাপের পিঠ থেকে নেমে শার্ট টা খুলে ওটা দিয়ে নিজের মুখ টা মুছে আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে গলায় কপালে চোখে চুমু খেয়ে বলে,

!

আম্মু আমি তুমাকে অনেকককক ভালুবাসি,

!

ছেলের কথা শুনে মন টা ভরে যায় আমার তবুও চোখ বুঝে ছেলের কথা গুলো শুনতে থাকি,

!

মাতৃত্বের স্বাদ মেয়েরা বিয়ের পরে ভোগ করে আর আমি সেটা বিয়ের আগে থেকেই ভোগ করছি ইহান পেয়ে,

আমার শাশুড়ি আম্মু যেতে যেতে আমাকে তিনটে অমূল্য রত্ন দিয়ে গেছেন,

তার ছেলেমেয়ে গুলো কে আমাকে দিয়ে গেছেন,

আর আমি ওদের আমার মতো করে মানুষ করছি,

আমার স্বামী সত্যি খুব ভালো একজন মানুষ যাকে বলে মাটির মানুষ,

এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরি আমি,

!

পরেরদিন সকালো ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছেলে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে ইভেন তার বাবা ও আমি চোখ খুলে আমার সোয়ামীর দিকে তাকাতেই সে আমার গালে চুমু খেয়ে বলে,

!

তুমি তো আমার সাথে রাগ করেছ তাই না?

তাহলে ছেলের ওপরে রাগ দেখাচ্ছ কেন হুমমম?

প্লিজ ওর ওপরে রাগ করে থেকো না সোনা,

!

তারপর আমার উনি শাওয়ার নিতে ওয়াসরুমে চলে যায়,

আর আমি ও আমার ছেলে কে ভালো করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়াতে যাওয়ার গোছগাছ করতে থাকি,

!

গোছগাছ শেষ করে আয়নার দিকে তাকাতেই দেখি আমার ছেলে ওর ব্রাশ টা মুখে নিয়ে সাড়ির আচল ধরে টানাটানি করছে,

!

তাই আমি পেছনে ফিরেই ওকে আমার কোলে তুলে নেই,

তখন ও আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

!

আম্মু তুমি আমাকে কতকুন কুলে নেওনি তুমি দানো?

!

ছেলের কথা শুনে আমি ওকে আমার বুকে জড়িয়ে আদর করে বলি,

!

আমি সরি বাবা,

!

আম্মু কখনো সলি বলেনা হুমমম,

!

ওরে দুষ্টু,

দেখি বাবা চলো আমি তোমাকে গোসল করিয়ে দেই,

!

তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে এনে ওর গা মুছিয়ে দেই আর তখন ও আমাকে ঘোমটা দিয়ে বলে,

!

আম্মু তুমাকে না বৌ সাজলে অনেক সুন্দুর নাগে,

!

ওমা তাই?

!

অয় আম্মু,

!

দাড়া ও দুষ্টু ছেলে তোমাকে দেখাচ্ছি মজা,

!

হ্যা গো শুনছ?

!

হ্যা সোনা বলো?

!

আমাকে বৌ সাজলে নাকি অনেক সুন্দর লাগে তোমার ছেলের বক্তব্য,

!

কি তাই নাকি?

!

অয় পাপা,

!

তাহলে তোমার ছেলের বিয়ে দিয়ে দেই কেমন?

যেহেতু আমার বৌ কে বৌ সাজলে ওর এতো ভালো লাগে নিজের বৌ কে বৌ সাজলে তো ওর আরো ভালো লাগবে,

হা হা হা,

!

পাপা তুমি পতা আমার নজ্জা করে,

!

ওরে আমার লজ্জাবতী লতিকারে লজ্জায় তো মরি গেল হা হা হা,

!

তারপর আমরা রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরি তখন আমার উনি বলে তোমাকে মেরুন কালারের সাড়ি ও অয়েল বেইর্জ মেকাপে না তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,

তারপর আমরা ষাটগম্বুজ মসজিদে যাওয়ার জন্যে,

সেখানে গিয়ে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকে দীঘির পারে গিয়ে মাদুর বিছিয়ে খাবারের বাস্কেট নিয়ে স্বপরিবারে বসি,

!

আর তখনি আমার ছেলে ওর বাবা কে ওর সাথে ক্রিকেট খেলতে বলে,

আর দুই বাপবেটা মিলে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে,

ক্রিকেট খেলতে খেলতে ছেলের বাপ খুব জোড়ে একটা ছক্কা হাকায়,

!

আর সেই ছক্কা গিয়ে সামনে দাঁড়ানো এক আঙ্কল এর টাকে গিয়ে লগে,

!

আর তখনি আমার গুনোধর স্বামী ব্যাট ফেলে পালিয়ে যায়,

আর আমার ছেলে আমার বুকে এসে মুখ লুকোয়,

!

আর তখনি ওই আঙ্কল বল টা নিয়ে আমার কাছে ছুটে এসে বলে,

!

এখানে একটা লোক ও বাচ্চা মিলে ব্যাট বল খেলছিল না তারা কোই?

!

আমি জানিনা আঙ্কল?

!

কি আর বলবো ফাজিল দুটো আমার টাক ফাটিয়ে পালিয়েছে,

!

ওনার কথা শুনে আমি ও ইমা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে মৃদু মৃদু হাসতে থাকি,

!

তখন ওই আঙ্কল টা ইহান কে আমার কোলে মুখ লুকিয়ে থাকতে দেখে বলে,

!

ইয়েস এই তো সেই পিচ্চি টা,

!

তখন ইমা ওনাকে চোখ রাঙিয়ে বলে,

!

এই যে মিস্টার আঙ্কল দেখেননা ও খাচ্ছে?

ওর খাওয়া ছেড়ে খেলতে যাবে?

মানুষ আর পাননা তাই না?

!

কি জানি কি দেখতে কি দেখেছি?

তবে ওই ছেলে দুটো কে পেলে চাপকে সিধে করে দিবো হুমমম,

ফাজিল যেন কোথাকার আমার টাক ফাটিয়ে পালিয়েছে একবার হাতের কাছো পাই ওদের একদিন কি আমার একদিন,

!

তারপর আঙ্কল টা রাগে গজগজ করতে করতে বল টা ফেলে দিয়ে চলে যায়,

আর উনি যেতেই ইমা আমাকে হাসতে হাসতে বলে,

!

তোমার ছেলে তো খুবি খাচ্ছে তাই না?

তা পেট ভরেছে ওর?

হা হা হা,

!

ফাজিলের ফাজিল তোদের তিনটে কে মাথায় মাথায় টাকাতে হয়,

!

হা হা হা তাই নাকি সোনা?

উম্মাহহহ উম্মাহহহহ

!

বাদাড় যেন কোথাকার ব্যাটার টাক ফাটিয়ে কোথায় উবে গেছিলেন হুমমমম?

!

বেটার টাকে মলম লাগাতে গেছিলাম হুহুহু,

হা হা হা,

!

হায় আল্লাহ এ আমি কার সাথে সংসার করছি?

নিজে পাগল আর আমাকেও পাগল পাগল করতে উঠে পরে লেগেছে,

!

হা হা হা আয় লাভ ইউ সোনা,

.

চলবে...