Breaking News

জুনিয়র হাজবেন্ড । পর্ব - ০২



সবকিছু কেমন যেন কল্পনার মত লাগছে রাহাদের,,,,,,
কি থেকে কি হয়ে গেল,,,, কিছুই বুঝতে পারতেছেনা ও,,,, দুইদিন আগেও যে মিথীলা,,,,,
ওকে পাগলের মত ভালবাসত,,,,, তার হঠাৎ কি এমন হলো,,,,
যার জন্য, র্ওকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেল,,,,,
একটু পর সৌরভ আর মাসুম আসলো,,,,,
সৌরভ: কিরে সকাল-সকাল এত জরুরি ডাকলি কেন,,,, কে হইছে,,,,
মাসুম: হুম কি হইছে,,,, আর তোকে এরকম দেখাচ্ছে কেন,,,, বউ মারছে নাকি 🤣🤣🤣🤣
রাহাদ: মজা করিস না ভাই,,, এটা মজা করার সময় না,,,,,
সত্যি অনেক খারাপ হয়ে গেছে,,,,
মাসুম: কি হয়েছে রে,,,, খুলে বলতো,,,,
রাহাদ: ভাই মিথিলা কাল কোথায় যেন চলে গেছে,,,,,
সৌরভ: কোথায় গেছে মানে,,,, কালকেই তো তোদের বিয়ে হল,,,, কি বলতেছিস এসব,,,,
রাহাদ: ঠিকই বলতিছিরে,,,,, আমি বুঝতে পারতেছি না কি করব,,,
এখনো ও বাসায় কেউ জানে না,,,,, তাই তোদের ফোন দিলাম,,,,,
সৌরভ: হুম,,,, কিভাবে কি হলো,,,,, কখন পালিয়ে গেল,,,, আর কেনই বা গেল,,,
আমরা তো জানতাম মিথিলা ও তোকে ভালোবাসে,,,,,,
.
রাহাদ ওদেরকে সবকিছু খুলে বলল,,,, কাল রাতে কি হয়েছিল,,,,,
মাসুম: এতো কিছু হয়ে গেছে,,,,,, একবার ও ফোন দিতে পারিস নি আমাদের,,,,,,
রাহাদ: এমনিতেই তোরা অনেক পরিশ্রম করছিলি,,,, তাই ফোন দেইনি,,,,,
সৌরভ: তাই কি হয়েছে,,,,,, ফোন করলে কি আসতাম না নাকি,,,
মাসুম: আচ্ছা বাদ দে এসব ,,,,, এখন কিছু একটা তো করতেই হবে,,,,,
যা হবার হয়ে গেছে,,,,,,
রাহাদ: কি করব,,,,, আমার মাথায় কিছু আসতেছে না,,,,,
কালরাত থেকে টেনসনে আছি,,,,,
তোরা কিছু একটা কর,,,
সৌরভ: তুই চিন্তা করিস না,,,, আমরা আঙ্কেল-আন্টি কে কিছু একটা বুঝিয়ে দিবোনি,,,,
তুই রুমে গিয়ে বিশ্রাম নে যা,,,,
রাহাদ: বিশ্রাম লাগবেনা,,,,, কিছু একটা কর,,,
মাসুম: হুম,,,, কি করা যায়,,,,,
হঠাৎ নিচে হইচই শুনতে পেল ওরা,,,,,
সৌরভ: নিচে আবার কি হলো রে,,,, এত হইচই কিসের,,,,
রাহাদ: জানি না,,,,, জেনে গেল না তো আবার,,,,,😮😮
মাসুম: নিচে যাই চল,,,,,
রাহাদ যা ভেবেছিল তাই হয়েছে,,,,, সত্যিই ওরা জেনে গেছে,,,,,,
প্রচন্ড রেগে আছে সবাই,,,, আর রাহাতের বাবার হাতে এখন ওই চিঠিটা
সৌরভ: সব তো জেনে গেছে রে,,,, তোর বাবার হাতে ওই চিঠি কিভাবে গেল,,,,
রাহাদ: কি জানি,,,, আমিতো টেবিলে রাখছিলাম,,,,,
মনে হয় ওখান থেকে নিয়েছি,,,,
.
সৌরভ: টেবিলে রাখছিলি মানে,,,,,
নিজের কাছে রাখতে পারিস নি,,,, এখন কি হবে,,,
রাহাদ: কি হবে,,, আজ নয় কাল তো সত্যিটা সবাই জানতোই,,,,
তাছাড়া আমার দোষ তো নেই এখানে,,,,,,
সব দোষ মিথিলার,,,,,,
মাসুম: হুম ঠিক বলছিস,,,, চুপ করে থাক,,,, বড় রা কি বলে সেটা শোন,,
বাড়িতে একপ্রকার ঝড় উঠে গেছে প্রায়,,,,,
রাহাদের বাবা তো অনেক রেগে গেছে,,,, যা তাই বলতেছে,,,,,
মিথিলার বাবা চুপ করেই আছে,,,, কারণ তার যে বলার কোন মুখ নেই,,,,,,
একপর্যায়ে,,,,, এতদিনের দুই পরিবারের সম্পর্কটা,,,,,
নিমিষেই শেষ হয়ে গেল,,,,, রাহাদের বাবা রাগ করে,,,,,
ওদেরকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললেন,,,,,
কথাটা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল,,,,, রাহাদ ও অবাক,,,,
কারণ এই দুই পরিবারের সম্পর্কটা রক্তের সম্পর্কের চেয়ে বেশি ছিল,,,,,
রাহাদের বাবার এমন কথায়,,,,,,
মিথিলার পরিবার সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছে,,,,
সত্যি সত্যি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছিলো,,,,,
রাহাতের দাদু পর্যন্ত চুপ ছিল,,,,,
এক নিমিষে সবকিছু শেষ হয়ে গেল,,,,,, তা সব কিছু হলো মিথিলার জন্য,,,,,
একটা ভুল সিদ্ধান্ত জীবনে অনেক কিছু বদলে দিতে পারে,,,,, এটা হয়তো তার প্রমাণ,,,,
রাহাদ ওখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,,, ও শুধু পুরো ঘটনা গুলো দেখতে ছিল,,,,
নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ও,,,, কি বলবে ও,,,,ওর যে কিছু বলার নেই,,,,,
জীবন কখনো থেমে থাকে না,,,, তাই রাহাদের জীবনটাও থেমে নেই,,,,
দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল,,,,, এখন রাহাদের একটা পরিচয় আছে,,,,
ও আর আগের মতো নেই,,,,,,
অনেক বদলে গেছে ও,,,,, সব সময় নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখে,,,,,,
অনেক বড় বিজনেসম্যান ও এখন,,,,,, বাবার ব্যবসার সবকিছুর দায়িত্ব এখন ওর হাতে,,,,,
একাই সব কিছু সামলে নিচ্ছে,,,,,
সেদিনের পর থেকে,,,, মিথিলার পরিবারের আর রাহাদের পরিবারের কোন কথা হয়না ,,,,
এখনো সেই অভিমানটাই বেঁচে আছে,,,,,
বলতে গেলে দুই পরিবার এখন একে অপরের শত্রু,,,,,,
আজকে রাহাদের একটা জরুরী মিটিং আছে,,,,, কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে,,,,,
তাই তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে,,,,,
অনেক জরুরী মিটিং,,,,
.
রাস্তায় ড্রাইভিং অনেক জোরেই করতেছিল,,, কিন্তু হঠাৎই একটা সাইকেলের সাথে ধাক্কা লেগে,,,,,,
সাইকেল চালক পড়ে যায়,,,,, জোড়ে লাগেনি,,,, একটা সাইটে লাগছে,,,,,
রাহাদ গাড়ি থামায়,,,,,,, কারণ দোষটা ওর ই ছিল,,,,,
যার সাথে ধাক্কা লেগেছে,,,, সে হচ্ছে একটা মেয়ে,,,,,,
রাহাত: সরি,,,, ভুল করে লেগে গেছে,,,, দেখতে পাইনি,,,, একটু তাড়া ছিল তো,,,,, প্লিজ কিছু মনে করেন না,,,,
মেয়েটা: কিসের সরি,,,,, আমি সরি টরি বুঝিনা,,,,, 5000 টাকা দেন,,,,😉😉😉
রাহাদ:😱😱😱😱 কি,,,, 5000 টাকা দেবো মানে,,,,, জানেন আমি কে,,,,
মেয়েটা: আপনি কে সেটা দেখে আমি কি করবো,,,,, টাকা দেন তাড়াতাড়ি,,,,, নাহলে কিন্তু লোক জড়ো করবো,,,
রাহাত: কিসের টাকা,,,, কিছুই তো হয়নি আপনার,,,,,,
মেয়েটা: কিছু হয়নি মানে,,,, কত জায়গা কেটে গেছে জানেন 🙂🙂🙂🙂
রাহাত: কোথায় কাটছে,,,, এক জায়গায় তো রক্ত বেরোচ্ছে না,,,,
মেয়েটা: সেটা আপনি দেখতে পাবেন না,,,, জায়গাটা গোপন,,,,, টাকা দেন আপনি,,,,
রাহাদ: জায়গা গোপন মানে,,,,, কি বলতে চাচ্ছেন,,,,,
মেয়েটা: কিছু না,,,, টাকা দেন তো,,,, নাহলে কিন্তু লোকজনকে ডাকলাম,,,,,
না দেখে গাড়ি চালানোর জন্য,,, গণধোলাই খাবেন
.
রাহাদ: কাজটা কিন্তু খারাপ করতেছেন,,,, আপনি জানেন না আমি কে,,,,,
অবস্থা কিন্তু খারাপ করে দেবো আপনার,,,,
মেয়েটা: 🤣🤣🤣🤣🤣 বাংলা সিনেমার ডায়লগ বাদ দেন তো,,,,
আপনি টাকা দেন,,,, যা করার পরে করেন,,,,,
রাহাদ বাধ্য হয়ে টাকাটা দিয়ে দিলো,,,,,
কারণ উপায়ও নেই,,,, মেয়েটা সত্যিই অনেক বজ্জাত,,,,
বিশ্বাস নেই,,,,, তাছাড়া এমনিতে মিটিংয়ে দেরি হয়ে যাচ্ছে,,,,,
রাহাদ: কাজটা কিন্তু ভাল হল না,,,, সত্যি আমি দেখে নেব আপনাকে,,,,
5000 টাকা উসুল করে ছাড়বো,,,,,
মেয়েটা:😛😛😛😛😛 কইরেন,,, আমিও দেখবো,,,,,
রাহাত: হুম,,,,,
রাহাদ গাড়ি নিয়ে চলে গেল,,,,
আর মেয়েটা ওখানে দাঁড়িয়ে থেকে হাসতেছে,,,,,,
মেয়েটার নাম হল কেয়া,,,, বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে,, পড়াশোনা শেষ,,,,
জবের ইন্টারভিউ দিচ্ছে,,,,, আজকে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিলো ও,,,,
কিন্তু রাস্তায় যা হলো সেটা তো দেখতেই পেলেন,,,,,
ভালোই হলো,,, সকাল সকাল 5000 টাকা কামাই,হলো,,,,
ইন্টারভিউ টা দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া যাবে জমিয়ে ,,,,,,
কেয়া ইন্টারভিউ দিতে গেল,,,,,
আর এদিকে রাহাদের মেজাজটা হট হয়ে আছে,,,, মিটিংয়ে লেট করছে,,,,
তার ওপর,,, সকাল সকাল বিনা দোষে 5000 টাকা গচ্চা গেল,,,,,
.
সৌরভ: কিরে আজকে দেড়িতে আসলি কেন,,,,,
আরেকটু হলে তো মিটিং টাই মিস করতি,,,,
রাহাদ: আর বলিস না,,,, মেজাজটা পুরো খারাপ হয়ে আছে,,,,
সকাল সকাল 5 হাজার টাকা গোচছা গেলো,,,
সৌরভ: কি বলিস,,,😱😱😱 কিভাবে
রাহাদ সৌরভ কে সবকিছু খুলে বলে,,,,,,
রাহাদ: দেখছিস কি হয়েছে,,,, কেমনটা লাগে তাহলে,,,,
সৌরভ: 🤣🤣🤣🤣 আমারতো হাসি পাচ্ছে,,,,, তবে যাই বলিস,,,
মেয়েটা কিন্তু অনেক চালাক,,,,,
রাহাদ: চালাক না ছাই,,,, আর একবার দেখা হোক শুধু,,,,
ওকে দেখাবো নি আমি কি জিনিস,,,,
সৌরভ: হুম,,, সে দেখিস,,,, আজকে যে কয়েকজন এর ইন্টারভিউ আছে,,,
সেটা কি মনে আছে,,,,
রাহাদ: হুম মনে আছে,,,,,, কয়জন,,,,,
সৌরভ: 10 জনের মধ্যে তিনজন রাখছি,,,, ওদেরকে একটু ভালো লাগছে,,,,
এখন শুধু তুই দেখলেই হবে,,,,,
রাহাত: ওকে,,,, ঘণ্টাখানেক পর পাঠিয়ে দে আমার রুমে,,,,
আমার একটু রেস্ট দরকার,,,,
সৌরভ: হুম,,,, ঠিক আছে তুই রেস্ট নে তাহলে,,,,,
.
আমি এই দিক সামলাচ্ছি,,,,,
রাহাদ রুমে চলে গেল,,,,
আর সৌরভ গেল যারা ইন্টারভিউ দিতে আসছে তাদের কাছে,,,,,
ওয়েটিং রুমে বসিয়ে রাখা হয়েছে ওদের,,,,,
সৌরভ: আপনারা এখানেই থাকুন,,
ঘণ্টাখানেক পর,,, স্যার কথা বলবে আপনাদের সাথে,,,,
দুজন হ্যাঁ বলে দিলো,,,, কিন্তু আরেকজন আর হ্যাঁ বললো না,,,,,
তর্ক করা শুরু করে দিলো,,,,
কারণ ওই মেয়েটা , হচ্ছে,,,কেয়া,,,,
কেয়া: কখন থেকে বসে আছি আমরা,,,,
আর এখন এসে বলতেছেন আরও এক ঘন্টা পর,,,,,
আপনাদের বস কি করে এত,,,,
সৌরভ: স্যার অনেক বিজি,,,, একটু বোঝার চেষ্টা করুন,,,
কেয়া: হুম বুজছি যান,,,, ডাক দিয়েন,,,,
একঘন্টা পরে একে একে দুজনের ইন্টারভিউ নেয়া হয়ে গেছে,,,, এখন কেয়ার পালা,,,,
ও যাচ্ছে ইন্টারভিউ দিতে,,,,,
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com