Breaking News

ম্যাম যখন বউ । পর্ব -১৪



ম্যাম, সত্যিই আপনাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে, আপনাকে পরীর মত লাগছে, রানীর মত লাগছে।
আবিদ থামো এবার, অন্য কথা বলো।
রাগ করলেন নাকি?
না, রাগ করব কেন?
রাগ না করলেই ভালো। ম্যাম এখন আমার যা ইচ্ছা করছে শুনবেন?
হ্যাঁ, বলো।
বাগান থেকে ফুল ছিঁড়ে আপনার খোপায় পরিয়ে দিতে ইচ্ছা করতেছে।
থাক এখন দেওয়ার দরকার নাই, বিয়ের পর দিও।
ওকে ম্যাম। কিন্তু বলেন তো আমরা কবে বিয়ে করতেছি?
জানিনা।
আবার সেই একই উত্তর?
হ্যাঁ।
ম্যাম বাদাম খাবেন?
খাওয়া যায়।
আমি তাহলে বাদাম নিয়ে আসি।
চলেন ম্যাম আমরা এক জায়গায় বসে বাদাম খাই।
হ্যাঁ, ঠিক আছে।
ম্যামকে আমি বাদামের খোসা ছড়িয়ে দিচ্ছি।
আবিদ তোমাকে বাদামের খোসা ছিড়ে দিতে হবে না।
ম্যাম বিয়ের পর আমি আপনাকে খাইয়ে দিব, আমরা এক প্লেটে খাবো।
এক প্লেটে খাবার খেলে দুজন- দুজনার প্রতি মায়া বাড়ে।
আচ্ছা দেখা যাবে নে। আবিদ সন্ধ্যা হয়ে গেছে, চলো বাসায় যাই।
হ্যাঁ,ম্যাম চলেন।
ম্যাম এর বাসায় থেকে বিদায় নিলাম। আন্টি বলল আবার আইসো আবিদ।



হ্যাঁ, আন্টি ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। সাইমা ভালো থেকো, ভালোমতো পড়াশোনা করিও।



আন্টি ম্যামকে বললো, মেঘলা আবিদকে এগিয়ে দিয়ে এসো।



ম্যাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,আমাকে এত সুন্দর একটা দিন উপহার দেওয়ার জন্য।

এই দিনটি স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে।



ধন্যবাদ তোমাকেও, সাবধানে বাসায় চলে যাও।



বাই ম্যাম।



বাই আবিদ।



রাতে বন্ধু শামীমকে কল দিলাম।

বন্ধু ঘটনাতো ঘটে গেছে।



কি হইছে রে?



আজকে ম্যামের বাসায় থেকে দাওয়াত খেয়ে আসলাম।



যাও একাই খাও। আমাকে বললে কি হতো শুনি?



আরে ম্যাম আমাকে একাই দাওয়াত করেছিলো, তোকে বলবো কিভাবে?



যাইহোক কি কি ঘটনা ঘটলো সেটা বল।



সে তো অনেক কাহিনী।

.



বিরানী রান্না করছি, তারপর বিকেলে ম্যামের সাথে ঘুরতে গেছিলাম।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো ম্যাম আমাকে বিয়ে করতে রাজি।



বাহ!তো কবে বিয়ে করতেছো?



কবে বিয়ে করবো সেটা বলেনি।



ও আচ্ছা। যাই হোক খুব দ্রুতই তোমরা বিয়ে করে আমাকে দাওয়াত দেও।



ঠিক আছে বন্ধু।



তো হঠাৎ তোকে দাওয়াত দিল কেন?



তা হলে শোন সেই কাহিনী, ম্যা বলেছিলো তার পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারলে আমাকে উপহার দিবে

আর আমি বলেছিলাম ঠিক আছে ম্যাম। তবে আমার আর একটা চাওয়া আছে, আমি ফার্স্ট হতে পারলে আপনার বাসায় আমাকে দাওয়াত দিয়ে বিরানি রান্না করে খাওয়াবেন।

ম্যাম তাতে রাজি হয়েছিল।



ও আচ্ছা, তাহলে এই কাহিনী।



আচ্ছা বন্ধু ঠিকআছে, কাল কলেজে দেখা হচ্ছে।



পরের দিন কলেজে আসলাম। নীলা বললো কি ব্যাপার আবিদ তোমাকে গতকালকতগুলো মেসেজ দিলাম তুমি সিন করলে না, কি সমস্যা?



আরে নীলা গতকাল আমি অনলাইনে ডুকিনি।



ডুকো নি কেন?



আমার ইচ্ছা হয়নি তাই।

.



ম্যাম চলে আসলো।সবার জন্য একটা সুখবর আছে।



সেই সুখবরটা কি ম্যাম?



বুধবার আমাদের কলেজ থেকে সোনারগাঁও শিক্ষা সফরে যাওয়া হচ্ছে।

আর এজন্য আগামী কালকের মধ্যে জনপ্রতি 300 টাকা দিতে হবে।

আর বাকি একটা সুখবর হল কলেজ থেকে বাকি খরচ বহন করবে গ্রহণ করা হবে।

আশা করি আমাদের কাছে শিক্ষা সফরটা খুবই আনন্দদায়ক হবে।



আজ বুধবার। সকাল 9 টা বাজে গাড়ি ছাড়বে,আর আটটা বাজে কলেজে উপস্থিত থাকতে হবে।

আর নাস্তার ব্যবস্থা রয়েছে।

আটটার পর পরেই কলেজে চলে আসলাম।

ম্যামও চলে আসছে।



ম্যাম আপনাকে কিন্তু শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছে।



সুন্দর-অসুন্দরের এ কথা বাদ দাও

চলো নাস্তা করি।



হ্যাঁ, অবশ্যই।

.



মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছে। নাস্তা শেষ করে বন্ধুদের সাথে সেলফি তুলতেছি।



পাঁচটা বাস ভাড়া করা হয়েছে। বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বক্সে গান বাজতেছে। একটু পর প্রিন্সিপাল স্যার সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলে বাসে উঠতে বললো।

আগে স্টুডেন্টরা বাসে উঠলে তারপর শিক্ষকরা উঠবে।আমরা বন্ধুরা একই বাসে উঠলাম।



অপেক্ষায় আছি ম্যাম যেন আমাদের গাড়িতেই উঠে। নিলা আমার বিপরীত পাশে বসেছে।

এক পাশে ছেলে আরেক পাশে মেয়ে এমন ভাবে বসতে হয়েছে।



নীলা কথা বলার জন্য বারবার ডাকতেছে। ওর ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় নেই আমার।



আমি তো ম্যামের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি।



এই আবিদ শুনছো না কেন?



নীলা আমি একটু সমস্যায় আছি পরে কথা বলি।



ওকে।



দশ মিনিট পর বাস ছাড়ার কথা।



ম্যামকে কল দিলাম। ম্যাম আপনি কোন বাসে আছেন?


.

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com