Breaking News

ধর্ষিতা যখন বউ । পর্ব -০১

শুভ কাজ করে রাত ১২ টার দিকে নির্জন রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাসার দিকে যাচ্ছে এমন সময় শুভর কানে একটা চাপা গোঙ্গানির আওয়াজ আসে।

শুভ তখন আওয়াজটাকে লক্ষ্য করে সেদিকে যেতে থাকে।
শুভ গিয়ে দেখে দুইটা লোক একটি মেয়েকে জোর করে কি সব করতেছে
কিন্তু মেয়েটা বাচার জন্য অনেক চেষ্টা করতাছে।
শুভ বুঝতে পারে যে এটা জোর করে করা হচ্ছে।
শুভ তখন পকেট থেকে মোবাইল টা বেড় করে ফ্লাস জ্বালিয়ে যখন উচ্চ স্বরে বলে কে রে?
দুইটা লোক তখন মেয়েটিকে ছেড়ে সাথে সাথে দৌড়ে পালায়।
শুভ তখন মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
-আপনার নাম কি আর বাসা কোথায়?(শুভ)
-মেয়েটি কান্নার জন্য কোনো কথা বলতে পারে না।
-প্লিজ কান্না করবেননা, যা হওয়ার হয়ে গেছে
-তা-ও কান্না বন্ধ করছে না।
শুভ খেয়াল করে দেখছে মেয়েটি ভয়ে কাপতাছে।
-আপনি কোথায় যাবেন?(শুভ)
-যাওয়ার জায়গা নেই(মেয়েটি কান্না সুরে)
-এই শহরে কোথায় থাকবেন? এটা ঠিক না করেই এই শহরে চলে আসলেন?
-আসছিলাম কিন্তু তারা রাখে নাই
-কে সে?
-আমার কাকা
-ওহহ
-হুমম
-আচ্ছা এখন কোথায় যাবেন?
-জানিনা, রাস্তায় এভাবে হাটতে থাকবো আবার কিছু মানুষ এসে ঝাপিয়ে পরবে বলে
আওয়াজ করে কান্না করে দেয়।
আপনি কিছু মনে না করলে আমার বাসায় যেতে পারেন।
-আপনার মা বাবা কিছু বলবে না?
-আমার মা-বাবা নাই
.
-স্যরি
-আরে সমস্যা নাই,আসতে পারেন আমার সাথে
-কিন্তু
-আপনি আমাকে নিয়ে ভয় পাবেন না,আমি ওদের মতো না।
আর যদি এমন ভাবেন তাহলে আসার দরকার নাই বলে শুভ সামনে হাটতে থাকে।
তখন দেখে মেয়েটি শুভর পিছন পিছন হাটতে থাকে।
মেয়েটিকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার পরে......
-এবার কি আপনার নাম জানতে পারি?
-মুক্তা
-ওহহহ
-আপনার নাম কি?
-শুভ
-ওহ
-আপনার মা-বাবা কোথায়?
-মা আছে কিন্তু বাবা নাই
-ওহহ
-হ্যা
-আচ্ছা এগুলো খেয়ে নেন।
-খাবো না
-কেনো?
-এমনি
-সারাজীবন কি না খেয়ে থাকতে পারবেন?
-মুক্তা তখন চুপ হয়ে আছে
-খেয়ে নিন
মুক্তা তখন ভেজা চোখগুলো উড়না দিয়ে মুছে খেয়ে নেয়।
খাবার খাওয়ার পরে
-আপনি এখন কি করবেন ভাবছেন? (শুভ)
-জানিনা
-পড়ালেখা করছেন?
.
-হ্যা
-কতটুকু?
-ইন্টার পরীক্ষা দিছি
-ওহহ,আচ্ছা আমি দেখবো কোন চাকরি ঝোগাড় হয় কি না।
-ওকে
-আপনি এখানে শুয়ে পরেন আমি সোফায় ঘুমাবো বলে একটা কম্বল নিয়ে সোফায় শুয়ে পরে।
সকালে শুভ উঠার আগেই মুক্তা উঠে বসে আছে।
শুভ উঠে রান্না করতে যাবে এমন সময় মুক্তা শুভর কাছে গিয়ে বলে আমি রান্না করতে পারি।
-আপনার মন খারাপ, এখন শুয়ে থাকুন
-আমরা গরিব,এমন কিছু ঘটতেই পারে বলে মুক্তা আবার চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
-এই আমি বলছিনা আমার সামনে কান্না না করতে?
-মুক্তা ভেজা চোখে শুভর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে
-এখন যাও
-নাহ আমি রান্না করবো বলে শুভ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চুলার দিকে গিয়ে দাড়ায়।
শুভ তখন মুক্তার পিছনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রান্না করা দেখছে।
রান্না শেষে নাস্তা করে শুভ কাজের জন্য বের হবে এমন সময় মুক্তা সামনে গিয়ে দাড়ায়...
-কিছু বলবেন?(শুভ)
-আবার কখন আসবেন?
-রাতের ১০/১১টায়
-এত রাত কেনো?
-কাজ করি তাই
-কিসের কাজ?
-মোটর মেকানিক
-ওহহ,সাবধানে করিয়েন
-ওকে,আপনিও সাবধানে থাকবেন।দরজা লাগিয়ে রাখবেন।
-আচ্ছা
-যদি বোরিং ফিল করেন তাহলে টিভি লাগিয়ে কিছু দেখবেন।
-আচ্ছা
শুভ এসব বলে বেড়িয়ে যায়।
শুভ বেড়িয়ে যাওয়ার পরে মুক্তা মনে মনে বলে ছেলেটা অনেক পরিশ্রমী আর অনেক ভালো।
বিকালের দিকে মুক্তা রান্না করে শুয়ে থাকে।
১০ টার দিকে শুভ আসে।শুভ আসার পরে রান্না করতে গিয়ে দেখে সব কিছু রান্না করে টেবিলে সাজিয়ে রাখছে।
.
-তুমি এসব রান্না করতে গেলে কেনো?
-কেনো, রান্না করলে কি অসুবিধা, নাকি রান্না ভালো না?
-না ঠিক তা না
-তাহলে
-আচ্ছা খেয়েছেন?
-নাহ আপনার জন্য বসে আছি
-কাল থেকে আর এমন করবেননা,খেয়ে নিবেন।
-একা একা খেতে ভালো লাগেনা বলে মুক্তা শুভকে প্লেটে ভাত দিয়ে দেয়।
দুজন খাওয়া-দাওয়া করার পরে শুভ সোফায় ঘুমাতে যায় এমন সময়...
-এই কোথায় যাচ্ছেন?(মুক্তা)
-সোফায় ঘুমাবো
-এখানে ঘুমালে সমস্যা কি?
-কিছু না
-তাহলে মাঝখানে একটা বালিশ দিয়ে শুয়ে পরেন।
তখন মাঝখানে একটা বালিশ দিয়ে শুয়ে পরে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে দেখে শুভর হাত মুক্তার....
.
চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com